টপিকঃ ব্যাচলর রান্নাঘর ,ঝট পট সহজ রান্নাঃরেসেপি বাঁধাকপি ভাজি
পোরামের উনুনটা দেহি বেশ গরম সবাই বাজাবুজিত লাগ্যাই আচে কড়াইয়ের তেলটা গরম থাকতে থাকতে ভাবলাম আমিও একটু বাজাবুজি করেই ফেলি......
ব্যাচেলর রান্নাঘরে সবাইকে স্বাগতম
আজকে আমরা শিখিবো বাঁধাকপি ভাজি (বাঁধাকপি নামটা শুনলেই আমার ফুটবলের কথা মনে হয় )
তা আমাদের যা লাগিচ্চ্যে তার ছুট্র তালিকা পেশ করিলামঃ
১)বাঁধাকপি ১টা
২)চাকু/ছুরি
৩)চ্যাপিং বোর্ড
৪)থালা/প্লেট/গামলা কোনকিছু না পেলে পেপার দিয়েও চলবে
৫)কাচা মরিচ ৫/৬টা
৬)শুকনা মরিচ ২টা
৭)পেয়াজ ১ টা
৮)লবন ১ টেবিল চামচ/চা চামচ কোনকিছু না পেলে হাতের আঙ্গুল দিয়ে দিয়ে দিবেন।
৯)হলুদ হাফ টেবিল চামচ।
১০)তেল চায়ের কাপের সেমি হাফ কাপ।
১১)কড়াই
১২)খুন্তি
১৩)ঢাকনি
১৪)চুলা গ্যাসের/লাকড়ি/তেলের একটা হলেই চলবে
১৫)চুলা ধরানোর জন্য ম্যাচ
১৬)বাঁধাকপি ধোয়ার জন্য পানি।
ও হ্যা আর
১৭)ধনাপাতা
কি দেকেচেনতো কি কি লাগবে ,জলদি জলদি জোগাড় করে ফেলেন ।মাঝারি একটা বাঁধাকপি ২০/২৫ টাকা নিবে ।
এইবার আসেন একে একে কাজগুলো করে ফেলি...
১) প্রথমে চ্যাপিং এ বাঁধাকপিকে আল্লাহ আকবার করার জন্য রেডি করান তবে সাবধানে চাকুতে আবার হাত কাইটেন না , জানেনইতো আমরা ব্যাচলর মানুস আমাদের হাত কাটলে স্যভলন লাগানোর মানুস নাই।শেষমেস নিজেকেই ভোগা লাগবে
চিত্র-১:বাঁধাকপিকে হত্যকান্ডের পূর্বমূহুর্ত
২) এইভাবে বুকের মদ্যিকান দিয়ে চাকুদিয়ে ঘায়েল করে হৃদপিন্ডটা বের করে আনুন।
চিত্র-২: নিহত বাঁধাকপির উন্মচিত হৃৎপিন্ড
৩) এইবার যতটুকু পারেন চিকন চিকন করে কেটে নিন , মরিচগুলো মাঝখান দিয়ে চিড়ে রাখুন , পেয়াজটা ছিলে চাকা চাকা করে কেটে নিন ।পেয়াজ কাটার সময় চোঁখে চশমা পড়ে নিন নইলে রুমমেট দেকলে ভাববে আপনি আপনার বিয়ার লাগি কানতেচেন।আর মরিচ কাটার পরে হাতটা সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিবেন না হলে পরে হাত জ্বলবে।
চিত্রঃ৩-কঃ চিকন চিকন করে কাটা বাঁধাকপি
চিত্রঃ৩-খঃকাটা পেয়াজ ,মরিচ,ধনেপাতা
চিত্র৩-গঃরান্না করার প্রস্তুতি মূহুর্ত
৪)
এইবার ম্যাচ দিয়ে সাই করে চুলাটা ধরিয়ে ফেলুন এবং কড়াই চাপিয়ে দিন কড়াই গরম হতে থাকুক এই ফাঁকে আপনি পরিস্কার পানি দিয়ে বাঁধাকপি এবং পেয়াজ-মরিচ-ধনাপাতা ধুয়ে নিন।
৫)কড়াই গরম হয়ে আসলে তাতে তেল দিন ।
চিত্র-৫: কড়াইয়ে তেল
৬) এইবার তেল একটু গরম হয়ে আসলে পেয়াজ , মরিচ দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন
চিত্র-৬:গরম তেলে পেয়াজ-মরিচ
৭) নাড়তে নাড়তে পেয়াজ-মরিচের কালার হলদে হয়ে এলে তাতে হলুদ দিয়ে আবারো নাড়তে থাকুন একসময় এমল লালচে কালার চলে আসবে
চিত্র-৭:লালচে করে ভাঁজা পেয়াজ-মরিচ
৮) এরপর বাঁধাকপি কড়াইয়ে ঢেলে দিন এবং ভালোভাবে নেড়ে পেয়াজ-মরিচের মিশ্রনের সাথে মিশিয়ে নিন।
চিত্র-৮(ক): বাঁধাকপি কড়াইয়ে ঢালা
চিত্র-৮(খ): পেয়াজ-মরিচের সাথে বাঁধাকপি ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়া।
৯) ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে এইবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন এবং ১০ মিনিট এইভাবেই রাখুন
চিত্র-৯: ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেওয়া
১০) ১০ মিনিট পরে ঢকনা তুলে খুন্তি দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন
চিত্র-১০: খুন্তি দিয়ে নাড়াচোড়া
১১) এরপর আগে থেকে কেটে রাখা ধনাপাতা দিয়ে দিন এবং শুকনো মরিচ মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে ছেড়ে দিন এবং খুন্তি দিয়ে নেড়ে আবারো সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
চিত্র-১১: ধনাপাতা এবং শুকনো মরিচ মেশানো
১২) এরপর মিনিট তিনেক ভালোভাবে খুন্তি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলুন এবং গরম গরম ভাতের সাথে খেয়ে ফেলুন
চিত্র-১২:বাঁধাকপির ভাজি