সবগুলো পোষ্ট বেশ মনোযোগ সহকারে পড়লাম। বেশির ভাগই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে লিখেছেন। আমি মনে করি এটা অবাস্তব।
আমার জন্ম হয়েছে আশির দশকে। এই ফোরামের অদ্যবদি যত সদস্য আছে তার অধিকাংশই মনে হয় আশির দশকে জন্ম নেওয়া। (সিনিয়রদের অসম্মান করছি না) আমারা অর্থাৎ আমাদের প্রজন্ম এখনও রাষ্ট্র পরিচালনা বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যায়গায় যেতে পারে নাই। হয়ত আরও এক দশক লাগবে। তাহলে এখন কারা এই গুরুত্বপুর্ন কাজ করছে? যারা করছেন তারা নিশ্চই তারা আমাদের চেয়ে কমপক্ষে এক দশক সিনিয়র। তাহলে হিসাব অনুযায়ী তাদের জন্ম হয়েছে সওরের এর দশকে। আর সুধু সওরের দশকেরই নয় তার চেয়েও অনেক সিনিয়র রাজনীতিবিদ আমাদের দেশে আছে এবং তারা এখনও সক্রিয়। যারা দেশের বিভিন্ন সময়ের গুরুত্বপুর্ন ইতিহাস রচনা কারক। তাদেরই চোখের সামনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। তারাই আমাদের চেয়ে ভাল বলতে পারবে কারা যুদ্ধাপরাধী ছিল আর কারা নয় এবং এর জন্য কারা দায়ী। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশকে গড়ার জন্য সাময়ীক ভাবে অনেক কৌশল হয়ত নেওয়ার প্রয়োজন আছে কিন্তু আজ অব্দি তাদের বিচার করা যায় নাই কেন এর উওর আগে জানা প্রয়োজন।
যারা প্রবীন রাজনীতিবিদ অর্থাৎ যাদের সামনে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে বা যারা প্রত্যক্ষ্য ভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তারা স্বাধীনতার পর থেকে গতকাল পযর্ন্ত সময়ের মধ্যে কোন না কোন ভাবে বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিলেন এবং এদেশের জনগন তাদের বুঝে হোক আর না বুঝে হোক ক্ষমতায় এনেছিলেন। কিন্তু তারা কি যুদ্ধাপরাধীদের কোন বিচার এতদিন করেছেন? বরং আমরা দেখেছি স্বাধীনতা বিরোধীরা আমাদের এর রাষ্ট্র পরিচালনাও করেছে। আমি মনে করি স্বাধীনতার বীর সহীদদের ত্যাগ অপমানিত হয়েছে। আজ আমাদের এই দেশ মাতৃকা ধর্ষিত হয়েছে।
৭১-এ যদি কোন ১৫ বছরের বালকও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অংশ নিত তাহলে আজ তার বয়স হবে ৫২ বছর। পুর্ন বুড়ো। তাহলে তখন যারা ২৫+ ছিল যারা তাদের যৌবনকে বাংলাদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করেছে তারা কি আজ বেঁচে আছে? এক এক করে অধিকাংশইতো মারা গেছে।
এতদিন দেশের গুরুজনেরা কোন কথা বলেননি, কিন্তু আজ তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করছেন, এটা কি আমরা করব? নাকি আজ যুদ্ধাপরাধীদের সংখ্যা কম বলে তারা এখন মুখ খুলে নব প্রজন্মের কাছে ভালমানুষ সাজার অভিনয় করছে? তাহলেতো দেখব যেদিন সকল যুদ্ধাপরাধীরা স্বাভাবিক ভাবে মারা গেছে তার পর বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে সত্যি সত্যি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রকৃয়া হয়েছে এবং বলা হবে এখন আর কোন যুদ্ধাপরাধী বেঁচে নেই বিধায় কিছু করা গেল না, না হলে দেখায় দিতাম।
সেজন্যই বলেছি বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবাস্তব। আর এই ভাবে চাটুকারদের সাথে তাল মিলিয়ে না বলে আসুন এই ভাবে বলি যে "সুধু যুদ্ধাপরাধী নয় যারা আজ অব্দি তাদের বিচার করে নাই, যারা তাদের আমৃত্য বাংলাদেশে লালন পালন করেছে তাদেরও বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম শাস্তি চাই"
আলহামদুলিল্লাহ্ ! আমার বংশে কোন পুলিশ নাই।