@m_Kafi,
আপনার কথার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহমত পোষণ করছি।
১. যতদূর পড়েছি বা জেনেছি, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২-এ শুরু করেন যুদ্ধাপরাধী তথা রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস এদের বিচার কার্য। সেসময় ৭৫২ জনকে (আনুমানিক) শাস্তিও দেয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু নাকি ক্ষমা করছিলেন তাদের, যারা ভয়ে পাকিস্তানী সেনাদের সামনে সমর্থন জানাতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু তিনি তাদের কখনই ক্ষমা করেননি যারা সরাসরি পাকিস্তানীদের যুদ্ধে সহায়তা করে বাঙালীদের মারতে এগিয়ে দিয়েছিলেন। এই ব্যাপারটাকে নানা মানুষ নাকি নানাভাবে ব্যাখা করেছেন। আমি যেগুলো বললাম সেটা নিউ ইয়র্কের স্থানীয় পত্রিকা "ঠিকানা" থেকে একটা কলামে পড়েছিলাম।
২. আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের অনেক আশা ছিল যে তারা যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দেবে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তা করতে সক্ষম হয়নি। ফলে এক্ষেত্রে তারা অবশ্যই এখন লজ্জা পাওয়া উচিত যে তারা এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করে যখন তারা করতে পারে নাই। আর বিএনপি তো যুদ্ধাপরাধীদের দল বলে পরিচিত গোষ্ঠীর সাথে করে সরকার গঠন করে। তাহলে তাদের থেকেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করা অসমীচীন। এই ক্ষেত্রে আপনার সাথে আমি একমত।
৩. এখন এসব অতীত নিয়ে না খেলে আমরা যদি বর্তমানের দিকে তাকাই তাহলে দেখব যুদ্ধাপরাধীরা এখনো সক্রিয় যেমন তারা ছিল ৭১-এ। এমনই সক্রিয় যে তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করছে। আমার মতে যুদ্ধাপরাধী হতে হলে শুধুমাত্র ৭১-এ পাকিস্তানীদের সহায়তা করলেই হয়না, এখন যারা সেই মহান ত্যাগ, সেই স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করছে, তারাও সমান দোষী, এমনকি যদি তারা নতুন প্রজন্মেরও হয়ে থাকে (মানে মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্মই হয়নি এমন লোক)। আপনি যদি দেখেন বর্তমানে জঙ্গী তৎপরতা অন্যান্য সব সময়ের চেয়ে ভয়াবহ, যদিও এখন অনেকটাই কম। কিন্তু সেই সারা দেশব্যাপী গ্রেনেড হামলাসহ অনেক জঙ্গী তৎপরতা আরো উৎসাহিত হয় যখন সেসব ঘৃণীত খুনীরা দেশ চালায় আর সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে আমার মনে হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে ভবিষ্যতে।