টপিকঃ হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

ইহা একজন হাতুড়ে'র ডায়েরি। যথাসময়ে লেখা হয়নি বলে দিন তারিখ দেয়া হয় নি। তবে এটা বেশ লম্বা ত্যানা প্যাচানি লেখা। ভুলক্রমে পাঠকদের মাঝে মাঝে জিরিয়ে নিয়ে পড়ার জন্য নাম্বারিং করে দিলাম ... ...

১।
বেশ কিছুদিন যাবৎ একটা ঝামেলায় ছিলাম। লিনাক্স নিয়ে ঘাটাঘাটি করি বলে রটে যাওয়াতে এই ঝামেলা। অফিসে কোনোভাবে ছড়িয়েছে ব্যাপারটা। অবশ্য ওদেরকেও দোষ দেয়া যায় না। পেঙ্গুইন মেলা এবং আরো কয়েকটা লিনাক্স বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে আমার মধ্যস্থতায় হয়েছে বৈকি। দেখা গেল আগের ভিসি স্যার ইউনিভার্সিটির নতুন ওয়েব সাইট কমিটি করে সেটার চেয়ারম্যান বানিয়ে রেখেছেন। আরে বাবা লিনাক্স চালালেই কি ওয়েব বিষয়ে দিগগজ হয়ে যায় নাকি কেউ! যা হোক সেই ফাঁড়া কেটেছে কোনরকমে -- রায়হান (আমাদের ডেটাবেসের উইজার্ড) সেটা সামলেছে ভালভাবেই। সাথে আইটির আরো দুইজন ছিলো। ... ... আচ্ছা ... ... রায়হান নিজেও সিভিলের গ্রাজুয়েট!!

২।
এরপর যেটা হল সেটাও কম ভেজালের ছিলো না। ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন) থেকে ভিসিদেরকে আইসিটি বিষয়ক একটা সেমিনারে দাওয়াত দিয়েছেন। তাদের সাথে আইটি বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ ফ্যাকাল্টিকে নিতে হবে। বর্তমান ভিসি স্যার কী করলেন? তিনি সিএসই-এর ফ্যাকাল্টি বাদ দিয়ে আমাকে সাথে নিয়ে গেলেন। আমার বদলে সিএসই'র কাউকে যে নিতে বলবো সেই সুযোগটাও পাইনি -- সরাসরি আমার টেবিলে অফিস অর্ডার হাজির হয়েছিলো। সামনে ২৫শে জুলাইয়েও ইউজিসিতে আরেকটা কর্মশালা আছে -- ভিসিদেরকে তাঁদের রেজিস্ট্রারকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। যথারীতি রেজিস্ট্রার এবং সাথে আমি! এমন নয় যে ভিসি স্যার কম্পু অজ্ঞ। স্বনামধন্য ফাইনান্সিয়াল ইকোনোমিস্ট হওয়ার পরেও উনার কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্সে একটা মাস্টার্সও করা আছে, একসময় উনি ডেটাবেস সার্ভার সংক্রান্ত কাজও করতেন। কম্পিউটার বিষয়ে ওনার লেখা একটা বই প্রকাশের অপেক্ষায় ... ...

যা হোক কর্মক্ষেত্রে হাতুড়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছি মনে হচ্ছে। :-p

৩।
এবার আসি মূল কাহিনীতে; আমাদের ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের জামাল স্যার বাসায় লিনাক্স ব্যবহার করেন। অনেক আগে ওনার বাসায় গিয়ে ডেস্কটপে লিনাক্স মিন্ট ৯ ইনস্টল করে দিয়ে এসেছিলাম। মাঝে সম্ভবত ওনার নেটবুকেও কোনো একটা ভার্সন ইনস্টল করে দিয়েছিলাম। এবার অনুরোধ করলেন ওনার অফিস পিসিতে লিনাক্স ইনস্টল দিতে। অফিসের আইটি ডিপার্টমেন্ট আগেই হাত তুলে সারেন্ডার করে যথারীতি শামীম স্যার মানে আমাকে রেফার করে দিয়েছেন।

জামাল স্যারের পিসিটা পেন্টিয়াম ফোর (কারণ -- অফিসের পুরাতন পিসিগুলো সব ফ্যাকাল্টিদের কাছে যায়, নতুনগুলো ল্যাবে ছাত্রদের জন্য যায়), তবে ১ গিগা মেমরি লাগানো আছে বলে রক্ষা। ওখানে পাইরেটেড উইন্ডোজ এক্সপি চলে (চলতো)। একটা ডকুমেন্টে ক্লিক করার পর ৫ মিনিট লাগে সেটা ওপেন হতে। কাজের সময় কম্পিউটারের কারণে বিরক্তিতে পাগল হওয়ার দশা হয়। বাসায় লিনাক্স চালিয়ে সুখের কারণে এখানেও লিনাক্স চালাবেন। এছাড়া উনি চাচ্ছেন যে বার বার পরিবর্তনের ঝামেলা বিহীন কোনো ডিস্ট্রিবিউশন থাকলে সেটা নিবেন। ওনার কথা শুনে মনে হল লিনাক্স মিন্ট ডেবিয়ান এডিশন (LMDE) দেয়াটাই ঠিক হবে, কারণ এটা রোলিং এডিশন; বলা হয় যে এটা সবসময় আপডেট হতে থাকবে, কোনরকম আপগ্রেড করার ঝামেলা নাই। তবে ছোট্ট একটা ঝামেলা আছে, তা হল এটা উবুন্টুর বদলে সরাসরি ডেবিয়ানের উপর ভিত্তি করে তৈরী বলে একটু বেশি দক্ষ ব্যবহারকারীর প্রয়োজন -- পুরাপুরি স্টুপিড ফ্রেন্ডলি নয়। জামালকে নিয়ে সেই সমস্যা নাই -- উনি না পড়ে, না বুঝে নেক্সট বাটনে ক্লিক করার বান্দা নন।

তো, ওনাকে দেয়ার আগে সেটা একটু নিজেকে পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন, ডেবিয়ান বলে কথা! আমার নিজের বাসার ডেস্কটপটাও আপডেট করা দরকার হয়ে পড়েছিলো -- কারণ সেটাতে সেই তিন বছরের পুরাতন উবুন্টু ১০.০৪.৩ ভার্সন চলছিলো। আমি লিনাক্সগুরুদের মূলনীতি ফলো করে ওটা পরিবর্তন করিনি -- মূলনীতি হল: যতক্ষণ না সিস্টেমে সমস্যা হচ্ছে ততক্ষণ একটা স্টেবল সিস্টেম পরিবর্তনের দরকার নাই। আমার এটার অফিসিয়াল সাপোর্টও প্রায় শেষের পথে। আর বউয়ের মাস্টার্সের ঝামেলাও শেষ -- ফলে এটার উপর একটা অপারেশন চালানোই যায়।

৪।
মহা উৎসাহে LMDE ডাউনলোড করলাম (অফিসে)। তারপর পেনড্রাইভকে সেটা দিয়ে বুটেবল করে অফিসের ডেস্কপট বুট করে দেখলাম -- হুমম চলে। তবে বাসায় এসে পুরা ধরা খেয়ে গেলাম। ডাউনলোডের উত্তেজনায় ভুলে গিয়েছিলাম যে বাসার ডেস্কটপটা ৩২ বিটের, আমি ডাউনলোডাইছি ৬৪ বিটের সিস্টেম!! সাধারণত ৩২বিট ওএস দিয়ে ৬৪ বিট চালানো যায়, কিন্তু উল্টাটা হয় না।

সেই দিন আরো একটা কাজ করেছিলাম -- বৃহষ্পতিবার ছিলো, ফলে অফিসে শুধু ল্যাব ক্লাস চলে সেইদিন -- তাই ফ্যাকাল্টি কম। ফলশ্রুতিতে চরম ডাউনলোড স্পিড ছিল। আমি নরমাল লিনাক্স মিন্ট অলিভিয়াও ডাউনলোড করে পেনড্রাইভ বুটেবল করিয়ে নিয়েছিলাম। পরের কর্মদিবসে অফিসের পিসির একটা পার্টিশনে জোরিন ওএস উড়িয়ে মিন্ট অলিভিয়া ইনস্টল করে রেখেছিলাম -- জোরিন ওএসটা শুধুমাত্র টেস্টিংএর (চেখে দেখা অর্থে) জন্য নামিয়েছিলাম অনেকদিন আগে; দুই চাইরবার ওটাতে বুট করেছিলাম। অন্য পার্টিশনগুলোতে মিন্ট ১২ (লিসা) আর উবুন্টু ১০.০৪.৩ ও ছিলো। জ্বি, গোলমাল লাগার কিছু নাই, আমার অফিসের নতুন ডেস্কটপটা পেয়েই পাইরেটেড উইন্ডোজ উড়িয়ে লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ইনস্টল করেছি; শুধুই লিনাক্স চলে ওটাতে এবং প্যারালালি ৩টা সিস্টেম রেখেছি। সাইড ইফেক্ট হিসেবে আইটি রিলেটেড সমস্যাগুলো নিজেকেই সলভ করতে হয়; আইটি ডিপার্টমেন্ট থেকে কোনো সাহায্য করার মত কাবেল বান্দা পাওয়া যায় না -- নেটওয়র্ক প্রিন্টার সহ কিছু সমস্যা করলে নিজেকেই সমাধান করতে হয়।

এর মধ্যে আরেকটা ঘটনা ঘটলো। কো‌নো কারণে অফিসের ডেস্কটপে লিসাতে (মিন্ট-১২) বুট করতে পারছিলাম না, তাই অলিভিয়া (মিন্ট-১৫) চালাচ্ছি। আর এটাতে পেনড্রাইভ মাল্টিবুট করার জন্য যেই সফটওয়্যার (মাল্টি সিস্টেম) সেটা ইনস্টল হচ্ছিলো না -- এরর মেসেজ দেয়। এমনকি এর আগে বাসার ল্যাপটপেও এটা ইনস্টল করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলাম। এখন আবার, আমার এটা ছাড়া চলবে না। কারণ ৮ গিগার পেনড্রাইভে অনেক জরুরী জিনিষপত্র আছে। অন্যদিকে বউয়ের কাছে ধার করা ইউএসবিটা ১গিগা সাইজের। এটাতে ১.৩ গিগা সাইজের LMDE রাখা যাবে না। তাই প্রথমে পড়লাম মাল্টিবুট ইনস্টলের সমস্যা নিয়ে। সমস্যার ত্যানা শুধু লম্বাই হচ্ছে ... ... ...

৫।
মাল্টিসিস্টেম-এর  ইনস্টলারটা ইনস্টল করতে গেলেই xterm error দেয়। রাতে বাসার ল্যাপটপ থেকে গুগল করে খুঁজে খুঁজে সমাধান পেলাম: বোধি লিনাক্সের ফোরামে একজনের একই সমস্যার উত্তরে আরেকজন জানিয়েছে, বোধিতে xterm নামক প্যাকেজটা বাই ডিফল্ট দেয়া থাকে না, ওটা ইনস্টল করে নেন -- এই উত্তর জেনে সমস্যা সমাধান হয়েছে। উৎসাহিত হয়ে আমিও সিনাপ্টিক প্যাকেজ ম্যানেজার থেকে xterm লিখে সার্চ দিয়ে দেখি আসলেই এটা ইনস্টলড নাই। তাই দুই ক্লিকেই ইনস্টল হয়ে গেল এটা। তারপর সুবোধ বালকের মত মাল্টিসিস্টেম ইনস্টল হয়ে গেল --- খুশিতে চউক্ষে পানি এসে গেল। যা হোক, বাসায় টেস্ট করে দেখলাম সুন্দর এটা দিয়ে নপিক্সের পাশাপাশি LMDE বুটেবল করতে পারলাম। কিন্তু সেটা ৬৪ বিট বলে কাজ এগোলো না। ৩২ বিটেরটা অফিসে ডাউনলোড করা আছে।

নেক্সট দিন সম্ভবত সময় পাই নাই। তাই আরো এক দিন পর অফিসের পিসিতেও একই সিস্টেমে মাল্টিসিস্টেম ইনস্টল করে ফেললাম। আমাকে আর পায় কে! পেন ড্রাইভে LMDE ৩২ বিট বুটেবল করে নিয়ে এলাম। সেই রাতেই বাসায় সেটা দিয়ে ডেস্কটপ বুট করে দেখলাম। অলিভিয়া (মিন্ট-১৫) এর তুলনায় বেশ ফাস্ট রেসপন্স। মাত্র ৮০ গিগার হার্ডডিস্কে আর জায়গা নাই। একটা ৮ গিগার পার্টিশনে উবুন্টু ছিল --- LMDE ইনস্টল করার জন্য দিলাম উবুন্টু উড়িয়ে ... ... ... কিন্তু এটা আরো বড় ঝামেলার সৃষ্টি করলো।

৬।
বাসার ডেস্কটপে LMDE ৩২ বিট ইনস্টলের প্রায় শেষ এমন পর্যায়ে এসে কি জানি হয়ে যায় -- চলতেই থাকে চলতেই থাকে, কিন্তু শেষ আর হয় না। দান দান তিনবার ট্রাই করলাম প্রতিবারই একই অবস্থা। একেবারে শেষ পর্যায়ে - আপডেটিং বুটলোডার -- এখানে এসে গড়বড়। সারাটা রাত মাটি হল। তিন বারের পর এই এরর দিয়ে ল্যাপটপ থেকে আবার গুগলে সার্চ দিলাম। হুমম, পাওয়া গেল --- বলা হয়েছে যে ইউএসবি থেকে এটা সমস্যা করে, তবে ডিভিডি থেকে সমস্যা করে না। .... .... .... হায় কপাল!

আমার ডেস্কটপে কোন সিডি ড্রাইভই নাই, ডিভিডি তো দুরের ব্যাপার। এদিকে এটাও ইনস্টল হয়নি, তাই বুটলোডার দিয়ে অন্য পার্টিশনের পাইরেটেড এক্সপিও চালানো যাচ্ছে না (এক্সপি উড়িয়ে দিয়ে পাইরেসীর কলঙ্কমুক্ত হব এই ঈদে)। ফলে সিস্টেম পুরা বসা। বউকে সকালে বললাম, "ডেস্কটপে সমস্যা আছে, ওটা চালু করিও না। যা কাজ ল্যাপটপে করিও" --- অবশ্য এমনিতেও ডেস্কটপটা কম ব্যবহার হত। ছুটি ছিল সেদিন, তাই ঘুম দিয়ে উঠে লিনাক্স মিন্ট অলিভিয়া ৩২ বিট দিয়ে পেনড্রাইভ বুটেবল করলাম আবার (স্থান সংকুলানের জন্য ইউএসবিতে দুইটার বেশি ওএস রাখি না)। তারপর বিকালে খুব সহজেই ওটা ইনস্টল করতে পারলাম। তবে ৫১২ মেগা মেমরি ও সেলেরন ডি৪ প্রসেসর বিশিষ্ট ডেস্কটপ ওটা নিয়ে বেশ ধীর গতির হয়ে গিয়েছিলো। যা হোক, তাও মেশিনটা যে কর্মক্ষম হয়েছে -- শান্তি।

তবে শান্তি বেশি স্থায়ী হয়নি। দুই দিন পর বাসা থেকে বউ ফোন দিয়ে কমপ্লেন দিলো যে মেশিন এ্যাত স্লো -- কোন কাজই করা যাচ্ছে না .... .... .... ... । সেদিন রাতেই lxde ডেস্কটপ ইনস্টল করে সেটাই ডিফল্ট করে রাখলাম। lxde ডেস্কটপ দেয়াতে মেশিন আবার দৌড়ানো শুরু করেছে --- তবে এটা এর আগে বউ দেখেনি। তাই অফিসে যাওয়ার পর ফোন পেলাম -- হোম ফোল্ডার কৈ, হ্যান কৈ, ত্যান কৈ!? যা হোক ফোনে বলার পর ৫ মিনিটের মধ্যেই বউ এটা দিয়ে কাজ করা শুরু করতে পারছে।

৭।
বাসায় LMDE টেস্টিং ব্যাপক ফেইলিওরের পর অফিসের জামাল স্যারের কম্পুতে দেয়ার জন্য আইটিকে বলে একটা ডিভিডি বার্ন করিয়ে নিলাম। কারণ, ইতিমধ্যেই ধরা খেয়ে জেনেছি ইউএসবি দিয়ে করলে বুটলোডারে গিয়ে ঝামেলা করে। কিন্তু এবারও যথারীতি প্রথমবার ধরা --- ভুলে ৬৪ বিটেরটা নিয়ে গিয়েছি। আবার ৩২ বিটের টা আরেকটা ডিভিডিতে রাইট করে নিয়ে সেটা দিয়ে জামাল স্যারের পিসি বুট করালাম।

মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক --- এটা আরো সমস্যা এবং সমাধানের নতুন কাহিনীর জন্ম দিলো।

জানা কথা যে ইউএসবির তুলনায় সিডি/ডিভিডি থেকে ডেটা ট্রান্সফার রেট অনেক কম। তাই ব্যাপক সময় নিয়ে পিসি বুট করলো। জামাল স্যার আগেই ডেটা ব্যাকআপ নিয়ে রেখেছেন। ইনস্টলের জন্য প্রথম দিকেই পার্টিশনের অপশন আসে সেটা প্রথমেই দিয়ে ছোট্ট ৪০ গিগাবাইট হার্ডডিস্কের ১৪ গিগার C ড্রাইভ পাইরেটেড উইন্ডোজ এক্সপি সহ উড়িয়ে দেয়া হল। তারপর সেটাই ড্রাইভ মুছে সেখানে ৮ গিগার রুট, ৫ গিগার হোম আর ১ গিগা সোয়াপ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলাম। কাজ করতে করতে হঠাৎ স্ক্রিন অন্ধকার হয়ে গেল, কীবোর্ডের দুটি বাতি ব্লিংক করা শুরু করলো, আর কালো স্ক্রিনে অনেক হিজিবিজি লেখার পর কার্নেল প্যানিক নামক একটা পরিচিত টার্ম পেলাম। নিজেকে বললাম ঘাবড়াও মাৎ .... রিস্টার্ট বাটন চেপে রিস্টার্ট করলাম।

৮।
এবারও আগের মত অনেক সময় নিয়ে বুট হল মেশিন (যেহেতু ডিভিডি), তারপর ইনস্টল করার আগে ভাবলাম জিপার্টেড চালিয়ে পার্টিশনটা আগেই ঠিকঠাক করে ফেলি। জিপার্টেড চালু করার আগেই আগের মত কালা স্ক্রিন, কীবোর্ডের লাইট অনবরত ব্লিংক, হিজিবিজি হিজিবিজি, কার্নেল প্যানিক। একটু ঘাবড়ালাম। হার্ডডিস্কে সমস্যা নাকি? আবার রিস্টার্ট বাটন চেপে রিস্টার্ট করলাম। এবার অবশ্য পুরা বুট হওয়ার আগেই বেচারা কার্নেল প্যানিকে এসে হাজির হল।

এবার রিস্টার্ট করে ইউএসবি থেকে নপিক্স দিয়ে বুট করলাম। যথারীতি দ্রুতগতিতে চমৎকার বুট হল মেশিন। জিপার্টেড চালিয়ে দেখলাম পার্টিশন তো ঠিকঠাক মতই হয়েছিলো। তারপরেও সন্দেহমুক্ত হওয়ার জন্য এটা দিয়ে আবার পুরা এই ১৪গিগা মুছে একটা একটা করে ড্রাইভ বানালাম। এরপর মেশিন বন্ধ করে আবার ডিভিডি দিয়ে বুট করালাম। আবার বেচারা প্যানিকড্ হল। মিন্ট বিশেষজ্ঞ রিং ভাইকে রিং দিলাম। উনি বললেন মাদারবোর্ড কী? (আরে বাবা, সেটা আমি কি জানি?) উল্টাপাল্টা মাদারবোর্ডে নাকি এরকম সমস্যা হয় --- তবে উনি এখন ঢাকায় নাই, সুদুর মাইজদিতে একটা প্রজেক্টে; শুক্রবার আসবেন (সেদিন ছিল বুধবার)। পরের রবিবারও থাকবেন না --- আর আমিও শুক্র শনিবার অফিসে যেতে ইচ্ছুক না। ... ... ... ... এদিকে জামাল ভাইও বাসায় চলে গেলেন।

৯।
অফিসের পিসি তো আর এভাবে ফেলে রাখা যায় না। অন্তত কাজ চালানোর মত সচল তো রাখতে হবে। তাই ঠিক করলাম, ওটাতে যেহেতু নপিক্স চলছে, নপিক্সই ইনস্টল করে দেই। আপাতত কাজ চলুক।

যেই ভাবা সেই কাজ। নপিক্স দিয়ে বুট করলাম। প্রথমেই জিপার্টেড দিয়ে সোয়াপ বাদে রুট আর হোম পার্টিশন দুইটা ভেঙ্গে একটা বড় reiserfs পার্টিশন বানালাম  --- ইয়েস, এই সিস্টেম ছাড়া নপিক্স ইনস্টল হয় না বলেই জানি -- আগে আমার নেটবুকে নপিক্স ইনস্টল করে চালাইতাম। তারপর ১৫ মিনিটের মধ্যেই নপিক্স ইনস্টল করে ফেললাম।

ইনস্টল করার পর নেট সেটাপ করলাম। তারপর সিনাপ্টিকে ঢুকে সফটওয়্যার রিপজিটরি থেকে ডেবিয়ান আনস্টেবল অফ করলাম। তারপর আপডেট দিলাম। কিসের কি! এরর মেসেজ দিয়ে বের হয়ে আসলো!! যা হোক মেশিনতো আপ হল, নেটও পায়; এবার প্রিন্টারটা সেটাপ করে দিতে পারলেই হবে। যথারীতি গুগল বাবাজির শরনাপন্ন হলাম। ওহ্ এটা খুবই সোজা -- নেটওয়র্ক প্রিন্টার নামক একটা মেনু আইটেমই দেয়া আছে নপিক্সে। কিন্তু ওটাতে ক্লিক করাতে দেখি ব্রাউজারে একটা পেজ খোলে। আমি তাজ্জব। একটু পর টের পেলাম, ঐ পেজটার এড্রেসে আসলে লোকাল হোস্টের এড্রেস দেয়া। আন্দাজ করলাম যে নেটওয়র্ক প্রিন্টারের জন্য আলাদা ইন্টারফেস না বানিয়ে সরাসরি এটা দিয়ে কাজ সেরেছে। কিন্তু বুঝলে কি হবে, প্রিন্টার সেট করার উপায় পেলাম না। গুগলে বলেছে -- এ্যাড প্রিন্টার দিতে। কিন্তু সেই বাটন কোথায়?

এদিকে সিনাপ্টিকেও এরর দিচ্ছে - ঠিক যে করবো, সেই সুযোগই নাই; সিনাপ্টিক প্যাকেজ ম্যানেজার চালু করলেই এরর দেয়। সেটা বন্ধ করলে সিনাপ্টিকও বন্ধ হয়ে যায়। ধ্যাৎ! আবার ইউএসবি থেকে বুট করে নপিক্স উড়িয়ে দিয়ে আরেকবার ইনস্টল করলাম। এবারও সিনাপ্টিকে রিপোজিটরি অফ করলাম -- এবং একই এরর!! বেশ রাত হয়ে গিয়েছিলো। তাই নেট সেটাপ করে চলে আসলাম।

১০।
রাতে বাসায় এসে নেটে নপিক্সের সাইটে ঢুকে মনে হল আমি তো লেটেস্ট ভার্সনটা দেই নাই। এজন্য হয়তো রিপোজিটরি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। আমি দিয়েছিলাম ৭.০৪ ভার্সন, আর লেটেস্ট হল ৭.২। পরেরদিন অফিসে ক্লাস ছিলো না। দুপুরের পর একটা সেমিনারে এ্যাটেন্ড করতে হবে। তাই একটু আগেই গিয়ে আবার সেই মেশিন নিয়ে বসলাম। প্রিন্টার সেটাপে ঢুকে, একটু ঘাটাঘাটি করে দেখি পাশে ট্যাবেই অ্যাড প্রিন্টার অপশন। ক্লিক করার পর ৩/৪ ক্লিকেই ২ মিনিটের মধ্যে নেটওয়র্ক প্রিন্টারে প্রিন্ট দিতে পারলাম --- আগের দিন এটা পাইনি কেন সেটাই আশ্চর্য্য করলো। একটু সৌন্দর্যবর্ধণ করে নিজের রূমে এসে নপিক্সের লেটেস্ট ভার্সন ডাউনলোড করলাম। ২০ মিনিটের মধ্যে ৭০০ মেগা ডাউনলোড হয়ে গেল। মাল্টিসিস্টেম দিয়ে আগেরটার বদলে নতুনটা ইউএসবিতে লোড করে নিলাম।

এবার আবার জামাল স্যারের পিসি নিয়ে সেটাতে নতুন করে নতুন ভার্সনের নপিক্স ইনস্টল করলাম। নেট সেটাপ আর প্রিন্টার সেটাপ করে এটার সৌন্দর্য বর্ধন করলাম। দেখতে বেশ জোস হল। এই অবস্থায় রেখে আসলাম। জামালও সেমিনারে এসেছিলো। ও দেখে খুশি, ওর অফিসের অফিসার দেখে বলে, জামাল স্যারের মেশিনতো হেভি ফাস্ট হয়ে গেছে! .... ... স্যার আমাকেও এটা দেবেন।

না না ... ... কাহিনী শেষ হয় নাই। আরো বাকি আছে।

১১।
পরের সপ্তাহে জামাল স্যার এটা দিয়েই কাজ চালালো। আমাকে জানালো, নপিক্সে লগ-ইন পাসওয়র্ড দরকার, এছাড়া প্রিন্ট রেসপন্স ধীরে হচ্ছে, নেটওয়র্কে শেয়ার্ড ড্রাইভ পাচ্ছে না। শেয়ার্ড ড্রাইভ - আমি কখনো ব্যবহার করিনি তাই এটার সমাধান নাই। আমি ওনার মেশিনে রুট পাসওয়র্ড দিয়ে আসলাম। কিন্তু সেটাতে লগইন ইউজার হয় না।

এর মধ্যে ডিস্ট্রো ওয়াচে দেখি জোরিন ও এস ৭ লাইট রিলিজ হয়েছে। ভাবলাম একটু টেস্ট করে দেখি। এটাতেও নপিক্সের মত LXDE ডেস্কটপ, কিন্তু ডেবিয়ানের বদলে উবুন্টু ফর্ক। তাই সুবিধা একটু বেশি হওয়ার কথা। আর জোরিনের মূল আকর্ষনই হল এর GUI এর ডিজাইন -- বেসিকালি এটা উইন্ডোজ লুক এলাইক বানাতে চেয়েছিলো। আমার অফিসের হার্ডডিস্কে এর পুরাতন ভার্সন ইনস্টল করা ছিলো, তবে সেটা ছিলো GNOME ডেস্কটপ। এবারেরটা LXDE - যা কিনা সবচেয়ে এফিশিয়েন্ট ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট। এটা দিয়ে বউএর ইউএসবিটা বুটেবল করে চালিয়ে দেখলাম বেশ ভাল দেখতে। সমস্যা হল অন্য লাইটওয়েট ডিস্ট্রোর মতই -- এটাতে লিব্রে অফিস দেয়া থাকে না। যেহেতু ইনস্টল করে নেয়া যায়, তাই ব্যাপার না সেটা। উবুন্টু বলে হয়তো লগ-ইন ইউজার তৈরী করা যাবে।

বাসায় ডেস্কটপে লিনাক্স মিন্ট অলিভিয়ার উপর সিনামন বাদ দিয়ে LXDE লাগিয়েছি। তাই ভাবলাম LXDE নিয়ে আরেকটু ঘাটাঘাটি করলে মন্দ হয় না। তাছাড়া সিকিউরিটি আর ইউনিটি জনিত কারণে উবুন্টু ১৩.০৪ ইনস্টল করিনি, কিন্তু এটা সেই সিস্টেমই - শুধু ইউনিটি আর লেন্সের বদলে LXDE। তাই ভাবলাম, উবুন্টুর অসুবিধাটুকু বাদ দিয়ে ঠিক যা চাই সেরকম একটা জিনিষ হবে এটা। বাসার ডেস্কটপে লাইভ বুট করে দেখলাম -- দারুন স্মুদ। ল্যাপিতে চালিয়ে দেখলাম .... ব্রাউজ করা যায়। একই সিস্টেম দিয়ে ৩২ আর ৬৪ বিট সিস্টেম চললো। ডিফল্ট ভাবে এটাতে ক্রোম ব্রাউজার দেয়া -- এটাও জোস্ জিনিষ, বাংলার সমস্যা আর নাই। তাই, নিজের অফিসের পিসির পুরাতন একটা পার্টিশনে উবুন্টু ১০.০৪.৩ উড়িয়ে দিয়ে সেখানে জোরিন ইনস্টল করলাম। এটার ইনস্টলারটা সেই আদি অকৃত্রিম উবুন্টু ইনস্টলার।

ইনস্টল হল, লগ-ইনের সময়ে পাসওয়র্ড চায় -- সবই ঠিক আছে। ইউএসবিটা জামাল স্যারকে দিয়ে আসলাম -- বললাম, দেখেন দেখি, আপনার মেশিন এটা দিয়ে বুট করে কি না?

১২।
ক্লাস শেষে জামাল স্যারের কাছ থেকে রিপোর্ট নিলাম -- হ্যাঁ হয়। ঠিক আছে, তাহলে এটা আপনার পিসিতে ইনস্টল করে দিবো -- আগের নপিক্সের সমস্যাগুলো থাকবে না। জামাল স্যার বললেন ঠিকাছে। আমিও ওনার পিসি বুট করে দেখলাম ঠিক আছে। লাইভ সিস্টেমে প্রথম কাজ হল নেট সেটাপ ঠিক করা। ওটাও ঠিক হল -- নেটে কানেক্ট হল। কিন্তু ব্রাউজ করতে গিয়ে সমস্যায় পরলাম -- ব্রাউজ হয়না। কারণ প্রক্সি। ক্রোমের প্রক্সি দিতে গিয়ে দেখি একটা মেসেজ দিল যে এই সিস্টেমে প্রক্সি দেয়ার সিস্টেম ডিজেবল করা আছে, তবে কমান্ড লাইন ব্যবহার করে সেটাপ করা যাইতেও পারে! সেই কমান্ড লাইন চালিয়ে কিছুই হইলো না।

ভাবলাম নেট না চলুক, দেখি লাইভেই ফায়ারফক্স ইনস্টল করি; ওটাতে প্রক্সি সহজেই সেটাপ করা যায়। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না, সিনাপ্টিকও আপডেট হয় না --- সব ঐ প্রক্সির দোষ। ভগ্ন মনোরথে নিজ চেম্বারে ফেরৎ আসলাম। প্রক্সি সেটাপ করতে গিয়ে যেই মেসেজটা পেয়েছিলাম আমার পিসিতে বুট করে (ইনস্টল তো আগেই করেছি) দেখি সেই একই সমস্যা। লগআউট করে মিন্ট অলিভিয়া বুট করলাম। এবং আবারো গুগলের শরনাপন্ন হলাম। সেখানে মনে হল সমাধান পাইলাম। একটা ফাইল এডিট করতে হবে, তিনটা কমান্ড রান করতে হবে আর একটা নতুন ফাইল বানাতে হবে। অলিভিয়া থেকেই জোরিনের পার্টিশনের ঐ ফাইলটা বের করলাম, তারপর এডিট করলাম ---- একবারে হয়নি, রুট পার্মিশন লেগেছিলো। ভাবলাম এই গাইডটা সেভ করি, তারপর জোরিন থেকেই টেস্ট করি। তাই লগআউট হয়ে আবার জোরিনে বুট করলাম। মজার ব্যাপার হল, প্রথম ফাইলটা আগেই এডিট করার কারণে জোরিনে দেখি ইতিমধ্যেই ব্রাউজ করা যাচ্ছে! পরের স্টেপ গুলো চালানোর আগেই জামাল স্যারের ওখানে চলে গেলাম।

জামাল স্যার বাসায় গিয়েছেন, কিন্তু ব্যাকাপ নিয়ে রেখেছেন আগেই। তাই ওনার মেশিনে নপিক্স উড়িয়ে দিয়ে জোরিন ইনস্টল করলাম। এরপর এই স্টেপ অনুযায়ী প্রক্সি সেট করলাম। ভাবলাম এবার লিব্রে অফিসটা ইনস্টল করবো আর প্রিন্টার সেট করবো তাহলেই কাজ শেষ। প্রিন্টার সেট করার চেষ্টা করলাম কিন্তু বলে যে সার্ভার পায় না। আবার গুগল সার্চ। LXDE ফোরামেই সম্ভবত সমাধান পেলাম।ওখানে বললো cups রিস্টার্ট করা যেতে পারে। আরেকজন দেখি বলেছে প্রথমে CUPS আনইনস্টল (purge) করে তারপর ইনস্টল করে তার সমাধান হয়েছে। আমি তাই করলাম প্রিন্টার কানেক্ট করে প্রিন্ট করতে পারলাম।

ইতিমধ্যেই দেখি আপডেট ম্যানেজার মেসেজ দিয়েছে যে উবুন্টু-৭ রিলিজের পর ৫৬ মেগাবাইট আপডেট এসেছে, করি? আমি আর কি বলবো! বললাম কর --- মনে মনে খুশি, যে নেট পুরাপুরি কাজ করছে। লিনাক্স কার্নেল টার্নেল আপডেট হল। তারপর লিব্রে অফিস ইনস্টল করলাম। শান্তি ... ... আশা করছি জামাল স্যার এবার নিজের পছন্দমত কাজ করতে পারবেন।

নিজের পিসিতেও এসে একই অপারেশন চালিয়ে প্রক্সি পুরাপুরি এক্টিভেট করলাম। আপডেট হল। প্রিন্টারে একই সমস্যা - তাই CUPS purge করে ইনস্টল করে সমাধান হয়ে গেল। লিব্রে অফিস, পিডিএফ শাফলার ইত্যাদি ইনস্টল করলাম। সবই চলছে, প্রিন্ট হচ্ছে। শান্তি!!

১৩।
জোরিন লাইট নিয়ে একটা রিভিউ লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এটাতে ডিফল্টভাবে স্ক্রিনশট নেয়ার কিছু খুঁজে পেলাম না। তাই আপাতত বাদ। আশা করি সময় বের করে সামনে একটা রিভিউ দিতে পারবো।

১৪।
অনেকেই লিনাক্সভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউশন/ওএস বা অপারেটিং সিস্টেম চালাতে ভয় পায়। আমি এখানে কিছুটা ডিটেইল লিখলাম -- কোন রকম পূর্ব প্রশিক্ষণ ছাড়াই সমস্যা কিভাবে সমাধান করেছি সেটা সম্পর্কে যারা ভীতু তারা যেন অবগত হয় সেজন্য। খেয়াল করলে দেখবেন, উইন্ডোজের সমস্যগুলোও হয়তো প্রায় একই পদ্ধতিতে সমাধান করছেন। যাঁরা পারে, তারা কিন্তু মায়ের পেট থেকে এসব শিখে আসেনি। কোনো না কোনো পর্যায়ে এভাবে ঠেকে, হার না মেনে শিখেছে। হারার আগেই হার মেনে নেয়ার প্রবণতা থাকলে তাকে কিছু বলার নাই ...

শামীম'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি CC by-nc-sa 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

পুরোটা পড়লাম। এখন মনে হচ্ছে আপনার কথা মত "জিরিয়ে নেওয়া" উচিত ছিল! roll উত্তরে কী লিখব বুঝতে পারছি না। তবে আপনার ১৪ নম্বর পয়েন্টের সাথে একমত পোষণ করছি। thumbs_up

লেখাটি CC by-nc-sa 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

তাও যে একজন পুরাটা পড়েছেন! জেনে ভাল লাগলো।  smile

শামীম'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি CC by-nc-sa 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

ভাইতো জীবন ধর্মী মহা কাব্য লিখেছেন, পুরোটা পড়লাম আমিও একবার মাল্টিবুটে বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম, মানে অন্য পিসি অপশন ছিল না। নেট কানেট হচ্ছেনা, কেন হচ্ছেনা সেঁতা যে গুগল করব সেই উপায় নেই  neutral

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন দ্যা ডেডলক (১৫-০৭-২০১৩ ১৩:১১)

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

সকাল ১০ টায় শুরু করে ছিলাম আর এখন পড়া শেষ হলো big_smile

সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার।

সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন শামীম (১৫-০৭-২০১৩ ১৩:১৭)

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

শামীম'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি CC by-sa 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

লিখছে ভায়া সাইজে হাতি,
লম্বাতে যে এক জিরাফ,
যতই ভাবি পড়বো টানে,
শেষ করা এ বড়ই টাফ।  ghusi

ছড়াবাজ'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি CC by-nc-sa 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

ভাই পড়তেছি এখনো শেষ হচ্ছে না .................

১০

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

ভাই, ঘন্টা দেড়েক লাগল পুরোটা পড়তে। পুরোটা লিখছেনও নাকি একটানে। ভাই আপনি পারেনও! thumbs_up

কষ্টকরে কষ্টকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। big_smile

আলহামদুলিল্লাহ!

১১

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

ভাই একটা সেলেরন ল্যাপটপ আছে যার প্রসেসর ১.৭ সিঙ্গেল কোর, ড়্যাম ৫১২ ছিল আমি ১.৫ গিগায় আপগ্রেড  করেছি, হাড্ডি ৮০ জিবি আইডিই এবং গ্রাফিক্স ইন্টেল মোবাইল ৪৫ বা  আকাছা কাছি  সিরিজ
অনেক হার্ডওয়ার ঠিক মত সাপোর্ট দেয়না, আজ সাউন্ড নষ্ট কাল গ্রাফিক্স নষ্ট কিন্তু সাউন্ড ঠিক
কিবোর্ড একেবারে গেছে সাথে ডিভিডি ড্রাইভও
এই মুমূর্ষু ল্যাপিতে শুধু মাউস ইউজ করে গান শোনা, ভিডিও দেখা আর টুক টাক নেট ব্রাউজ(না হলেও চলে) এর জন্য কোন ডিস্ট্রো এর কোন ভার্সান ভালো হয় ( লিনাক্সে হার্ডওয়ার ভালো সাপোর্ট দেয়, ড্রাইভার ডাউনলোড করাও লাগত  না মিন্ট ৯ এ )
এছাড়া কিবোর্ড ছাড়া কি ইন্সটল দেওয়া সম্ভব??

১২

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

১৩

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

লেখাটি CC by-nc-sa 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

১৪

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

hit like thunder and disappear like smoke

১৫

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

ভাল হয়েছে আনেক বিস্তরীত লিখেছেন ।

১৬

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

পুরো টা পড়লাম দাদা big_smile।লিনাক্স নিয়ে আরও এক্সপেরিমেন্ট করা লাগবে দেখছি।এখনো পর্যন্ত তো লিনাক্সের অ-আ ও শিখিনি crying

সব কিছু ত্যাগ করে একদিকে অগ্রসর হচ্ছি

লেখাটি CC by-nd 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

১৭

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

বড় লেখা এবং তা এক বসাতেই পড়ে ফেললাম। লিনাক্স ডিস্ট্রোর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে শুনে ভাল লাগছে। তবে আমি ইচ্ছা করলেও পুরোপুরি যেতে পারছিনা। সেই পাওয়ারপয়েন্ট, পিস্পাইসের জন্য। এগুলো নিয়েও শামীম ভাইয়ের অভিজ্ঞতা, পরামর্শ জানা দরকার - আশা করছি তিনি সে সময় দিবেন।

অফ টপিক: আমি একটা মেইল দিয়েছিলাম, ওটা কি পেয়েছেন শামীম ভাই ?

লেখাটি CC by-nc-nd 3. এর অধীনে প্রকাশিত

১৮

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

একখানা কমার্শিয়াল সফ্টওয়্যারের জন্য উইন্ডোজ (পাইরেটেড) বাদ দিতে পারছিনা। কয়দিন পাওয়ারশেল নিয়ে গুতোগুতি করছিলাম উইন্ডোজ এর সিএলআই শেখার জন্য। জানতে পারলাম উইন্ডোজ এইটে পাওয়ারশেল ফীচার সব'চে বেশি। স্বভাব বশত জেনুইন ৭ বাদ দিয়ে ৮ এ চলে আসি। আপডেটেড জিনিসের প্রতি অদ্ভুত আগ্রহ, কাজে লাগুক বা না লাগুক।

তবে ভার্চুয়াল বক্সে ডেবিয়ান ৭ প্র্যাকটিস করছি। এই যা ভরসা। পাইথনটা ভালমত শিখে ফেলতে পারলে একদিন পুরোপুরি উইন্ডোজ বাদ দিয়ে দিব। জিআইএস নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।

লেখাটি CC by-sa 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

১৯

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

@অয়ন, আমি যে প্রসঙ্গটা তুলেছি, সেটার সঙ্গে সাইকোলজিক্যাল কিছু বিষয় জড়িত। এলটিস হোক বা না হোক, যখন দেখি উবুন্টু বা মিন্টের নতুন একটা সংস্করণ আসছে, তখন কিন্তু সেটি চেখে দেখার খায়েশ জাগে। এটাকে দমিয়ে রাখা বেশ কষ্টকর ব্যাপার। তাছাড়া নতুন সংস্করণে কিছু না কিছু নতুন জিনিস দেয়া হয়। ফলে আপগ্রেড করার ইচ্ছেটাকে ঠেকিয়ে রাখা যায় না আর সেটা করতে গিয়েই অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন, বাংলালায়ন মডেম। আমি যে মডেম ব্যবহার করি, সেটা একটা সংস্করণে ব্যবহার করা গেলেও পরবর্তী সংস্করণে আপগ্রেড করামাত্রই আর ব্যবহার করা যাবে না।

ছয় মাস পর পর নতুন সংস্করণ আসাটাকে আমি একেবারে ডিনাই করছি না, কিন্তু বিষয়টা যেন সহজতর হয়- সেটাই বলতে চেয়েছি। উদাহরণ হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেসের প্রসঙ্গটা (যদিও উদাহরণটা জুতসই হলো না, কিন্তু জাস্ট বুঝাবার জন্য বলছি) তুলেছি। জুমলার এক সংস্করণ থেকে অন্য সংস্করণে যেতে যে পরিমাণ ঝামেলা পোহাতে হয়, ওয়ার্ডপ্রেসে তার কিছুই করতে হয় না। কোনোকিছু না জেনেই অটোমেটিক্যালি ওয়ার্ডপ্রেস আপডেট করা যায়। উবুন্টু বা মিন্টে যদি এরকম করা যেত, তাহলে বোধকরি আরও কিছু ব্যবহারকারী পাওয়া যেত।

২০

Re: হাতুড়ে টেকি ডায়েরি (মিন্ট, নপিক্স, জোরিন)

মোবাইল থেকে একদমে পড়ে ফেল্লাম ( শামীম স্যারের ডায়েরি  বলে কথা, তাই মিস করিনি) ।

তবে একটা জিনিস লক্ষ করলাম, আপনার কাছে হাইস্প্রিড নেট কানেকলন ছিল ১৩ নম্বর ষ্টেপ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন বলে মনে হচ্ছে ... ..

নোট থেকে যা শিখলাম তা হলে ... সমস্যা হাজির তো গুগলের শরনাপন্ন হও এবং ধোর্য্যই সাফল্যের সোপান ।