আরণ্যক লিখেছেন:কিন্তু ফোরামে বর্তামানে সতর্কবার্তা দিলে কোন এমনি তা বুঝার কোন উপায় নেই। মেইল চেক করতে গেলে বা প্রোফাইল থেকে সতর্কবার্তায় ক্লিক করলে তখন বুঝা যায়। যার ফলে আপনাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই বার্তা ঠিক মত আমাদের কাজে লাগছে না।
এ বিষয়ে কি করণীয় সে বিষয়ে দয়া করে নজর দিবেন।
সতর্কবার্তা পাঠানোর জন্য মেইলের চাইতে ইমার্জেন্সি মাধ্যম হিসেবে এসএমএস ইউজ করা যায়। কিন্তু ব্যয়বহুল হওয়ার এটা পসিবল না। ইমেইলটা ইউজ করার যথেষ্ট কারণ আছে। ইমেইলেই সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদিত হয়। পাসওয়ার্ড রিসেট, রেজিস্ট্রেশন ইত্যদি। তবে ওয়েব সাইটে হয়ত আরও কিছু এড করা যায়।
সতর্কবার্তা কাজে আসছে না, কথাটা ঠিক না। এটা ভালই কাজ করছে। সতর্কবার্তা দেবার পর মোটামুটি সবাই সতর্ক হয়ে যায়। যারা সতর্ক হয় না তারা ব্যান্ড হয়ে যায় এক সময়। তো যারা এখনও আছেন ফোরামে, তারা সতর্ক হয়ে আছেন অথবা প্রথম থেকেই সতর্ক আছেন বিধান নিয়ম ভাঙা হয় নি।
আরণ্যক লিখেছেন:আমাকে সে বিষয়ে সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন, সে বিষয়ে আমি অত্যন্ত সচেতন। এ বিষয়ে ফোরামের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ছবির যে টপিকে সম্মাননা দেবার জন্য বার্তা দিয়েছিলেন যেখানে লেখক উল্লেখ করেছিলেন না এটা তার তুলা ছবি না। আমি তাই না বুঝেই দিয়েছিলাম পরে অবশ্য বিষয়টা পরিষ্কার হয়েছিল। আমি মনে করি এজন্য আমার সতর্ক বার্তা পাওয়া কতটা যুক্তি সঙ্গত তা বিবেচনার বিষয় আছে। লেখকের দোষের কারণে পাঠক তো সতর্ক বার্তা পেতে পারেন না। তাই নয় কি?
লেখকের দোষের কারণে আপনি সতর্কতা পাননি। আপনি পেয়ে থাকলে নিজের দোষের কারণে পেয়েছেন। আপনি সম্মাননা না দিলে আর আপনাকে সতর্কতা দেয়া হত না।
এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলি। আগে কেউ ভুল সম্মাননা দিলে তখন শুধু সম্মাননাটা মুছে দেয়া হত। সম্মাননাটা যদি প্লাস হত তাহলে যে সম্মাননা পেয়েছে তার মন খারাপ হয়ে যেত। এবং পরে সে অভিযোগ করত, তার সম্মাননাটা কেন মোছা হল। তখন আমরা ভেবে দেখলাম আসল যায়গায় ভুলটা শুধরানো উচিৎ। কারণ বার বার সম্মাননা মুছলে তো লাভ নেই। যে উল্টা পাল্টা সম্মাননা দিচ্ছে সে যদি দিতে থাকে তাহলে আমরা খালি মুছতে থাকব। এটা তখনি রোধ করা সম্ভব যখন সম্মাননা প্রদানকারীকে বোঝানো যাবে যে সে ভুল সম্মাননা দিচ্ছে। এরপর থেকে এখন সম্মাননা মোছা হয় এবং যারা নিয়ম ভাঙছে তাদের ব্যান করা হয় অথবা সতর্ক করা হয়।
আরণ্যক লিখেছেন:পরের লেখায় উল্লেখ কার সূত্রের সাথে লেখকের প্রকাশিত টপিকে বেশ পার্থক্য আছে। আর পুরো লেখাটা কোট করা নেই। যার ফলে ধরে নিয়েছিলাম তিনি সূত্র অবলম্বনে নিজের মত করে লিখেছেন। সে জন্য সম্মাননা দিয়েছিলাম। যদি শুধু মাত্র মৌলিক লেখায় সম্মাননা দেওয়ার অনুমতি থাকে তাহলে তো ব্রাশু ভাইয়ের অধিকাংশ লেখার সম্মাননাই বাতিল করা দরকার। অথবা পরিবেশ প্রকৌশলীর বা @মন ভাইয়ের। ইংরেজি থেকে অনুবাদ লেখার জন্য বা সেই লেখা নিজের মত করে উপস্থাপনের জন্য কি সম্মাননা দেওয়া যাবে?
আমি ফায়ার ফক্সের লেখা বেশ ভাল মত সাইড বাই সাইড কম্পেয়ার করেছি। কোন পার্থক্য পাইনি। কুয়োর জল, যৌবনবতী স্ত্রী এই অংশটা বোল্ড করা দেখে ধরেই নিয়েছিলাম অনেক কিছু এড করা হয়েছে। কিন্তু কম্পেয়ার করে দেখলাম না আসলে তেমন কিছু যোগ করা হয় নি। সেক্ষেত্রে এটাকে কপি পেস্টই বলা যায়।
লেখক যদি এমন কিছু যুক্ত করে যা যুক্ত করতে তেমন কোন ইফোর্ট দিতে হয় না, বা যা কিনা মূল লেখার অর্থকে পরিবর্ধন করে না, যা কিনা জেনেরিক টাইপের (যে কথা সব লেখায় যুক্ত করা যায়) তাহলে এখানে সম্মাননা দেয়া যাবে না। সহজ কথায় কপি পেস্ট করা লেখায় কোন সম্মাননা দেয়া যাবে না। তবে কিছু স্পেশ্যাল ক্ষেত্র আছে। তখন এটা এলাওড।
ধরুন একজন জানতে চাইছে খিচুড়ি রান্না করতে হয়, তখন কেউ যদি রেসিপি কপি পেস্ট করে তখন সে সম্মানা দিতে পারে। এখানে সে ইচ্ছে করে কপি পেস্ট করেনি আরেকজনকে উপকার করতে যেয়ে কপি পেস্ট করেছে। এই উপকারের জন্য সম্মাননা পেতেই পারে। আমি বিপদে পড়েছি, প্রোগ্রামারের আড্ডা টপিকে পোস্ট করলাম, সারিম আমাকে একটা লিংক দিয়ে দিল, বিশাল একটা লেখা নেট থেকে কপি করে দিল। তাতে আমার সমস্যা সলভ হয়ে গেল। সারিম তখন সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য। তার মানে এই নয় যে কেউ একজন আজাইড়াতে লিখল, "আমার পিসিতে RAM কম দেখায়", আর তাই দেখে কেউ একজন নতুন একটা টপিক খুলে এনসার দিল তাও আবার কপি পেস্ট করে। তখন সম্মাননা দেয়া যাবে না। কারণ সে হয়ত একটু ফোকাস হবার জন্য আলাদা টপিক খুলেছে। কিন্তু করেছে কপি পেস্ট। নিজে থেকে লিখলে সম্মাননা দেয়া যায়। কপি পেস্টে না।
ইনভারব্রাশ ভাইয়ের কোন টপিকের কথা বলছেন যেটার সম্মাননা বাতিল হবে? নির্দিষ্ট টপিক ছাড়া শুধু ব্যক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি না।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে এটা বলতে পারি, আমি নিজে ওনার অনেক টপিক পড়েছি। যেখানে উনি নিজের হাতে টাইপ করে নিজের ব্রেইন হতে উদ্ভুত তথ্য দিয়েছেন অনেক। সাথে রেফারেন্স হিসেবে অনেক লিংক, কোটেোশন দিয়েছেন। প্রচুর কপি পেস্টও আছে তার। কিন্তু সাথে অনেক কিছু নিজের কথাও আছে। তবে খুজলে এমনও টপিক পাওয়া যাবে যেখানে নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে।
পরিবেশ প্রকৌশলির ব্যাপারটা ইনভারব্রাশ ভাইয়ের চাইতে সহজ। ওনার মোটামুটি সব পোস্টই ওনার নিজস্ব জ্ঞানে লেখা। উনি যেই বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন সেই বিষয়ে লিখছেন। যৌক্তিক ভাবেই উনি এটা বেশ ভাল জানেন। আর লেখায় যথেষ্ট ইফোর্ট আছে। উনি মাঝেমাঝে কপি পেস্টও করেন নিজের ব্লগ থেকে। নিজের লেখা কপিপেস্ট করলে সম্মাননা দিতে কোন বাধা নেই।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ করলে সম্মননা দেয়া যাবে। অনুবাদ যে করেছেন সেটাই তো একটা বড় ইফোর্ট। সম্মাননা এই ইফোর্টটার জন্যই। লেখা নিজের মত উপস্থাপন করুন, যদি যথেষ্ট ইফোর্ট দিয়ে সেই পরিবর্তনটা করতে পারেন তাহলে সম্মাননা নিয়ে কোন সমস্যা না। তবে কপিপেস্ট লেখা না দেয়াই ভাল। আপনি একটা আর্টিকেল কপি করে আর নিজের মতামতের একটা প্যারা লিখে একটা বিশাল লেখা তৈরী না করে বরং নিজের লেখাটাই দিন আর্টিকেলের লিংকটা দিন। আপনার ইফোর্টটাই (নিজের লেখা একটা প্যারা) আমরা পড়ি।
আরণ্যক লিখেছেন:আমি বিষয়টা নিয়ে সচেতন এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করি ফোরামের নিয়ম মেনে চলার। অহেতুক সচেতন ফোরামারকে দশ/পনের দিন আগের লেখায় সতর্ক বার্তা পাঠানর চেয়ে ফোরামের মান উন্নয়নে অনেক কিছু করার সুযোগ আপনাদের আছে। আশা করি সে দিকে আপনারা মনোযোগ দিবেন। অশিক্ষিত এবং উচ্চ শিক্ষিত ট্রল দিয়ে ফোরাম ভরে গেছে। এ বিষয়ে আপনাদের কৃপা দৃষ্টি কামনা করছি।
অহেতুক তো সতর্কতা পাঠানো হয় নি। সতর্কতার হেতু (কারণ) আছে। সচেতন মানুষ অপরাধ করলে কি তাকে সতর্ক করা যাবে না। আপনাকে তো ব্যান করা হয় নি। ব্যানটা হল শাস্তি। সতর্কতা শাস্তি না।
হ্যা ইদানিং অনেক ট্রলিং হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ সদস্যই হয়ত এর মধ্যে তাদের পারসনাল ফিলিংস নিয়ে আসছেন। এটা আমরা আনতে পারছি না। আমাদের ডিসিশন আসলে জাস্টিফাই করেই নিতে হবে।