হুম..
জানেন আমি দুই হাত নাড়িয়ে আকাশে উড়তে পারি। আমার সে সামর্থ আছে। কি বিশ্বাস হল না? না হবারই কথা কারন কারন সেটা আমি কখনই কাউকে করে দেখাতে পারি নাই। যেটা করে দেখানো যায় এবং তার গ্রহন যোগ্য ধারাবাহিকতা বজায় থাকে সেটাই তার সামর্থ বলেই আমি জানি। (অবশ্য সংগা আকারে বলতে গেলে অনেকেই যুক্তি খন্ডন করতে পারবেন। কিন্তু আমি মুল ভাবটা বোঝাতে চাচ্ছি) আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিরোধী নই। তাদের বিজয়ে আমিও আনন্দে উদ্বেলিত হই। কিন্তু মুর্ছা যাই না। (অনেকেই মুর্ছা যায়তো তাই বললাম
) ধরুন শাহরিয়ার নাফিস ২০০ ম্যাচ খেলে ২০০০ রান করল। তার মধ্যে প্রথম ২৫টা ম্যাচে ১৯ টা শতক আছে। কি কেমন লাগছে স্কোরটা ১৯ টা সেন্চুরী! ২৫ ম্যাচে, দারুন না? কিন্তু যখন টোটাল ম্যাচের সংখ্যা দেখা যাবে তখন কেমন লাগবে?..
প্রথম ২৫ ম্যাচ পর আর কিছুদিন দেখার পর যখন দেখব যে ধারাবাহিক ভাবে সে ০ রান করছে তখন খুব বেশি হলে আমি ৩৫ ম্যাচ পরই তাকে ফেলে দেব কারন সে ভাল খেলার সামর্থ হারিয়েছে।
অনেকেই বলেছেন সামর্থ নাই এটা ঠিক না নেতিবাচক মম্তব্যই ব্যার্থতার কারন। তো ভাই আপনাদেরকে বলছি আসুন আমরা সবাই মিলে সবার জন্য আর কোন নেতি বাচক মন্তব্য না করে একে বারে সম্পুর্ন ইতি বাচক মন্তব্য করা শুরু করি এবং প্রয়োজনে এদের নাম জিকির করা শুরু করি দেখি পাকিস্তান সফর একটু ভাল হয় কিনা।( সিরিজ জয় আমি আশা করছি না, শুধু হাড্ডাহাড্ডি লড়াই) ইতি বাচক মন্তব্য তাদের ভাল পারফরম্যান্স এনে দেবে তার কি গ্যারান্টি আছে। আর যদি না হয় তাহলে কি বলবেন?
আরও একটি কথা সমর্থ হলেই কিন্তু সামর্থ পরিমাপ করা যায়। আমি কখনই ৪০০ মিটারের বাইরে ছক্কা মারতে পারি নাই। কারন বল হারিয়ে যাক আমি তা চাই না।:-O এই খেঁারা যুক্তি কি আপনারা মানবেন নাকি বলবেন সেটা আমার সামর্থের বাইরে কোনটা।
আপনারর কি বলবেন তারা ২০-২৯ গড় রান করারই সমর্থ তাহলে তো ৪০ গড় এর উপরে যাওয়ার ক্ষেত্রে তারা অসমর্থ। অর্থাৎ তাদের সামর্থ নেই সেই পর্যায়ে যাওয়ার। আশরাফুল এর গড় কত? আর কত ম্যাচ খেললে তার গড় ৪০ হবে। আপনারা কি নিশ্চয়তা দিতে পারবেন, যে প্রথম সারির ৫জন ব্যাটস ম্যানরা আগামী ১০ ম্যাচে ৫*৩০ * ১০ = ১৫০০ রান করতে পারবে।
আর আমি যতদুর জানি তাদের মানসিক ও শারীরিক শক্তি বর্ধনের জন্য বিশেষ মনোবিদ নিযুক্ত করা হয়েছিল এবং কিছুদিন আগে কমান্ডো ট্রেনিং নিয়ে এসেছে। সেক্ষেত্রে তাদের তো নেতিবাচক কোন কথা গায়ে লাগানো উচিৎ না। আর প্রত্যেক ম্যাচএর আগেই একটা গেম প্ল্যান সেট করা হয় যা ম্যাচ শেষে অনেক ক্ষেত্রে জানাও যায় কিন্তু দেখা যায় সে প্ল্যান কেউ কাজে লাগাতে পারে নাই। তাহলে কি প্ল্যান ঠিক হয় নাই নাকি খেলোয়াররাই পারে নাই? একই ভুলে বারবার আউট হলে তার দায় কার খেলোয়ারের নাকি নির্বাচকের?
আমি আমাদের পাড়ার ক্লাবে খেলতে গিয়ে দেখেছি অনুশীলনের ও একাগ্রতার কোন বিকল্প নাই। এই একই কথা অনেক ক্রিকেট বোদ্ধারাও বলেছেন। তাহলে আমাদের খেলোয়াররা কি অনুশীলন করছে? অয়ানডে ষ্ট্যাটাস পেয়েছে কিন্তু খুব অল্পদিনও হয় নাই। আজ আমাদের প্রত্যাশা ভাল খেলার, জিততে হবে এমনটা নয় কিন্তু আর ৬,৭ বছর পর আমরা যেকোন দলের বিরুদ্ধে বাস্তব সম্মত জয়ই চাইব। তখন কি আমাদের প্রত্যাশা করাটা অন্যায় হবে?
@ দও
মাশরাফির কাছ থেকে আমরা কিন্তু শতক বা অর্ধশতক আশা করি না। তাদের সে দায়ও নাই। তাদের দায় অন্য যায়গায়। তারা হিসাবে ২০-৩০ বল এর বেশি খেলতে পাওয়ার কথা না। আর শেষ দিকে এসে যদি ৫-১০ টা বল পায় সেটাতে তার রিস্ক নেওয়াই উচিৎ তাতে দুই বল খেলে আউট হওয়া দোষের কিছু না। আর যদি কিছু রান এনে দিতে পারে সেটা উপরি পাওয়া। রানের ক্ষেত্রে মুল দায়িত্ব কিন্তু ব্যাটসম্যানদেরই।
@আশাবাদী
হেইডেন (অন্যান্যদেরও সম্মান করছি) এর মত ছক্কা দেখাতে তারা মাঠে নামে? তাদের এত কিছু প্রয়োজন নাই। অতীত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাভাবিক খেলাই খেলুক। আমরা এটাই চাই। ছক্কা দেখে তালি দেব বলে বল রেখে ঘুড়ে দাঁড়াক তা চাই না।
( অনেকদিন আগে জাফরুল্লাহ সরবত দু:খিত শরাফত এর এক রেডিও ধারা বিবরনীতে শুনেছিলাম, ব্যাটসম্যান ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে, ভাবলাম ভালকিছু বোধ হয় করল পড়ে উনিই জানালেন না বোলার একটা বাউন্সার দিয়েছে আর শরীর বাঁচাতে ব্যটসম্যান ১৮০ ডিগ্রি ঘুড়ে সরে গেছেন। খেলাটা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে। ব্যটসম্যান ছিলেন জাভেদ অথবা রোকন। তবে এটুকু মনে আছে প্রথম দিনেই তাদের প্রথম ইনিংস-এ বাংলাদের তাদের অলআউট করেছিল)
আলহামদুলিল্লাহ্ ! আমার বংশে কোন পুলিশ নাই।