খুব প্রয়োজন ছাড়া ডায়বেটিস এর রোগীর চোখ অপারেশন করা উচিৎ নয়।
আমি শুনেছি ডায়বেটিস থাকলে অপারেশনের ২/৩ বছরের মধ্যে রোগী মারা যেতে পারে......
যদিও ঔষধের উপর পড়ে এর সত্যতা পাঠ্য বইয়ে পাই নি কিন্তু চারপাশ থেকে প্রমাণ পেয়েছি 
তবে যাই করা হোক অপারেশনের পর যাতে গ্লুকোজের মাত্রা কখনই না বাড়ে
আমার মতে লেন্স জার্মানের তৈরী গুলো ভাল...... তবে ফিজিশিয়ানকে যদি বলেন সবচেয়ে বেশি দামেরটা দেন তখন সেই কুমিরের বাচ্চা দেখানোর মত ১০ হাজারের লেন্স ২৫ হাজার নিবে।
আমি বলছি না যে তারা খারাপ লেন্স দিবে। মানে ধরুন সবচেয়ে দামী পাওয়া যায় ক্রাইজল বা জনসন কোম্পানীর এবং দাম ১০ হাজার, এবং আপনি বললেন দামীটাই দেন তখন আপনার সবচেয়ে দামী ডিমান্ড শুনে এই জিনিসই ২৫ হাজারে দিবে।
আর ক্লিনিক বা হাসপাতালে কিন্তু অথারিটিই সব কেনে। ভাল কোনটা কোন্টা এটা জানতে চক্ষু বিশেষজ্ঞ বা মেডিক্যাল সাপ্লাইয়ার দোকান এ যোগাযোগ করুন। পিজি ও মিটফোর্ড এর আসেপাশে অনেক আছে।
আরেকটা কথা বলব সামর্থ থাকলে পাশের দেশ ভারতের চেন্নাইয়ে সংকর নেত্রালয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন। যাওয়া আসার খরচটাই অতিরিক্ত এছাড়া সব খরচ কম। হয়ত চিন্তা করছেন ছোট অপারেশনের জন্য অতদূর কেন?? এতে কিন্তু একটা ভ্রমনও হল কি বলেন??
আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় বলি
আমার বড় মামা দেশে চক্ষু ডাক্তারের ভুল ট্রিটমেন্টের কারনে অন্ধ হয়ে যান। উনার গত ২০ বছর ধরে ডায়বেটিস। কিন্তু কখনই ইনসুলিন লাগেনি। শুধু ডায়েট, ব্যয়াম ও মাঝে মাঝে ওরাল মেডিকেশন। তো দেশের ডাক্তার বুঝলেন যেহেতু তিনি ১ম শ্রেনীর সরকারী কর্মকর্তা এবং টাকা পয়সা ভালই আছে, তারা ইমোশনকে কাজে লাগালেন "আপনার চোখে ঝাপসা দেখা কোন সাধারন রোগ নয়, দ্রুত চিকিৎসা না করালে অন্ধ হয়ে যাবেন"

মামা বললেন কত সময় আছে? তারা জানালেন ৪৮ ঘন্টা...... চিন্তা করেন হার্টের রোগীও অনেক সময় ৪৮ ঘন্টা সারভাইব করে। পরে তারা ১৮০০ ভোল্টের/ওয়াটের লেজার ও ইঞ্জেকশান দিয়ে ৮০,০০০ বিল করল।
এরপর চোখের ব্যন্ডেজ খুলে মামা কিছুই দেখেন না। তাদের ভবটা এমন এটাতো রোগীর ভাগ্যে ছিলই আমরা অনেক ট্রাই করেছি
চামাড়ের দল
আমরা সবাই অসহায়ের মত চেয়ে থাকলাম। দেন এই ফোরামে লিখলাম। অনেক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলাম, আমরা সিউর মামার চাকরী থাকবে না। হয়ত মেডিকেল লিভ দেখিয়ে কিছুদিন দীর্ঘায়িত করা যাবে।
দেন ইমার্জেন্সি ভিসা নিয়ে চেন্নাই গিয়ে পরীক্ষা করে তারে জানালেন, অপটিক্যাল নার্ভ ড্যামেজ। এবং এর কারন বেশী ভোল্টের লেজার এবং মজার বিষয় আগে চোখে তেমন কোন সমস্যা ছিল না। চোখে কারন ছাড়া ১৮০০ ভোল্টের/ওয়াটের লেজারে তারা অবাক।
তারপর ওখানে চোখের ভিতর সিলিকন জেল ইমপ্লান্ট করা হল এবং মামার অনেক সুস্থ্য।
এক চোখ সাদাকালো হয়ে গেছে মানে ওটা দিয়ে কালার দেখা যায় না।
আরেক চোখ মোটামুটি ভালই। তবে অতিরিক্ত আলো বা কম আলোয় কিছু দেখেন না।
এখন অফিসের সব কাজ করতে পারেন। পেপার পড়তে নিষধ করে দিয়েছেন ডাক্তার ১ বছরের জন্য (ছোট লেখা ও পড়ার পর টেনশানের কারনে সম্ভবত
)
লিখতে লিখতে অনেক কথা লিখে ফেললাম।
আশাকরি আংকেল দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।