রবি লিখেছেন:আমি বাইরে পড়াশুনা করতে আগ্রহী...... আমাকে কেউ উপদেশ দিলে উপকৃত হব। আসলে দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলতে পড়তে যে খরচ সে হিসাবে বাইরে পড়াশুনা করা কি ভালো হবে...... শুনেছি বাইরে পার্টটাইম কাজ করে পরাশুনার খরচ চালানো যায়। আমি বড় ভাইয়াদের মতামত আশা করছি......
কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী সেটা জরুরী। এছাড়া, কোথায় স্থায়ী হতে চান সেটাও জরুরী। অর্থাৎ পড়াশেষে যেখানে থাকতে চান (দেশে: ঢাকা/ঢাকার বাইরে অথবা বিদেশে) সেখানে কোন ধরণের পেশাদারের চাহিদা রয়েছে/ তৈরী হবে সেটা দেখে বিষয় নির্বাচন করা জরুরী। যেমন: কেউ যদি দেশে থাকতে/ফিরতে চান তাহলে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কোন মানে নাই।
কোথায় কোন কাজের চাহিদা বেশি সেটা জানতে বিভিন্ন চাকরীর সাইটে ঢু মারতে পারেন। তাহলেই চাকরীর বাজার সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। সেই অনুযায়ী বিষয় নির্বাচন করতে সুবিধা হবে।
পড়াশোনার খরচ দেশের চেয়ে বিদেশে বেশি। আমি একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াচ্ছি। এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং করতে গড়ে মোট (১,৮০০টাকা/ক্রেডিট * ১৪৬ ক্রেডিট + ১০ সেমিস্টারের ল্যাব ফী ১০০০০ =) ২,৭২,৮০০ টাকা লাগে। তবে, আসল খরচ আরও কম। কারণ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ২০% - ১০০% টিউশন ওয়েইভার পাওয়া যায়। তাই খরচও অনেক কমে আসে। ৪ মাসে এক সেমিস্টার; সেমিস্টারের পেমেন্ট এক মাস পর পর করে ৩ বারে করতে হয়। সেই হিসেবে প্রতিবারে সর্বোচ্চ ৯,৫০০ টাকা (ওয়েইভার ছাড়া) খরচ লাগে। সাধারণত: ওয়েইভার সহ মাসে ৪,০০০ টাকার বেশি লাগে না। অন্য দেশি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতেও মোটামুটি এরকমই বা একটু বেশি খরচ পড়ে বলে জানি।
দেশে থাকলে থাকা-খাওয়ার খরচ কম। বিদেশে সেটা বেশি। অবশ্য প্রবাসে যদি কোন নিকটাত্মীয় থাকে (ভাই/বোন/চাচা/মামা ইত্যাদি) তাহলে হয়ত থাকা খাওয়ার খরচ খুবই কমে যেতে পারে। একজন নবাগতের জন্য পার্ট-টাইম চাকরী খুব সহজ কিছু নয় দুটি কারণে। প্রথমত: ঐ নতুন জায়গার রীতিনীতি/ভাষা না জেনে চাকরী করলে ব্যবসার ক্ষতি হতে পারে - তাই চাকরীদাতারা একটু শঙ্কিত থাকে; বেতন কম দেয়। দ্বিতীয়ত: হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয়। আমাদের দেশের মত গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ানোর কোন উপায় নেই। আর ঐ পরিশ্রমের পর পড়াশোনা এবং ভাল ফলাফল করা খুবই কঠিন। অনেকেই বাইরে গিয়ে সেজন্য এডজাস্ট করতে পারেন না... ফ্রাস্টেশনে ভোগেন। অর্থনৈতীক দায়ের কথা মনে করে ফিরেও আসতে পারেন না, পড়াশোনাও হয় না।
তবে আমার কাছে খরচের চেয়ে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমটাকে বড় অন্তরায় মনে হয়।