Re: প্রসঙ্গঃ বাইসাইকেল
ডিস্ক ব্রেকের রক্ষণাবেক্ষণ অনেক কঠিন।
রাইট কিন্তু It worths it ...
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » প্রসঙ্গঃ বাইসাইকেল
ডিস্ক ব্রেকের রক্ষণাবেক্ষণ অনেক কঠিন।
রাইট কিন্তু It worths it ...
দেরিতে টপিকে আসার জন্য দুঃখিত। এত গুলো পোস্ট এসেছে। প্রত্যেকটারই উত্তর আছে। দিচ্ছি এক এক করে।
আমারটা আজকে চুরি হইয়া গেছে। এখন TWIST অথবা কোর প্রজেক্ট কিনার ইচ্ছা আছে।কেউ যদি এইটার রিভিউ দিতেন তাহলে ভাল হত।
TWIST সম্পর্কে আইডিয়া না থাকায় কিছু বলতে পারলাম না। Core Project 1.0 সম্পর্কে আমি এখানে কিছুটা বলেছি। কোর এর সাইকেল গুলো খুবই ভালো।
ফ্যাক্ট ওয়ানঃ- আমাকে সাইকেল চালানো শিখাতে পারবেন ? মাঠের মধ্যে বেশ চালাইছিলাম কিন্তু রাস্তায় কখণো চালাই নাই।
ফ্যাক্ট টুঃ- সাইকেল জিনিস্টা দেখলেই কেমন জানি ভয় লাগত । এইটা দূর করার চেষ্টা করতেছি ।
ফ্যাক্ট থ্রিঃ- গ্রামেই আত্নবিশ্বাস পাই নাহ। আর ঢাকায় সাইকেল চালানোপ্রথম দিনই একসিডেন্ট করব
আমি যদি ১৫ মিনিটে শিখতে পারি আপনি কেন পারবেন না? এদিকে আসলে জানিয়েন এক দিনেই হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
আমি কিছুদিন আগে বনশাল থেকে মেঘনা "রেলে"'র একটা সাইকেল কিনেছিলাম ১৪৫০০ টাকা দিয়ে। মেইন রোডে চালায়ে দারুন মজা বাট ভাঙ্গা রাস্তায় চালায়ে তেমন শান্তি নাই যদিও সাস্পেনশন টাস্পেনশন সবই আছে। রাস্তা খুব খারাপ থাকলে এইগুলা কোন কাজে দেয় না। সাইকেলের বডি হাফ এলয়, ডিস্ক ব্রেক। কিছুদিন আগে সামনের ডিস্ক ব্রেকের স্ক্রু চুরি হইছে!
Raleigh Max কিনেছিলেন নাকি? সাইকেলটা ভালো না। এই দামে আপনি Combat নিলে বুদ্ধিমানের কাজ করতেন। অসাধারণ একটা সাইকেল পেতেন। আর আপনার ডিস্ক ব্রেক এর স্ক্রু চুরি হয়নি এটা গ্যারান্টি দিচ্ছি, শিওর থাকেন, স্ক্রু খুলে পড়ে গেছে রাস্তায়। অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।
মোটকথা হচ্ছে কেউ যদি অফিস+ইউনিভার্সিটি সহ দৈনন্দিন কাজের জন্য সাইকেল কিনতে চান তবে ১০,০০০ বাজেট যথেষ্ট। আর যদি মাঝে মাঝে লং ট্রিপ দেয়ার ইচ্ছা থাকে তবে গিয়ারসহ দামী সাইকেল কেনা অত্যাবশক। সবশেষে যদি শখের জন্য হয়, তবে শখের তোলা তো আশি টাকা
পরোপুরি সহমত।
আমি মেঘনা টরোন্টো কিনতে চাচ্ছি। বাজেট যত কমে পারা যায়। Prince Alien এবং PRINCE Vegus টাও সাজেশনে পেলাম। বিগিনার সাইক্লার।
![]()
কোনটা ভাল হবে?
ইমরান তুষার ভাইয়েরটা সম্ভবত গিয়ার নাই। তাই না?
হ্যাঁ আমারটা গিয়ার ছাড়া। আমারটা কে বলা হয় সিঙ্গেল গিয়ার, কারণ আমার সাইকেল এর চেইন অলরেডি সামনে ৩ এবং পেছনে ৭ এ সেট করা। আর হ্যাঁ, আমার সাইকেলে আমি চাইলে গিয়ার, সামনের সাসপেনশন, এগুলো লাগিয়ে নিতে পারবো।
সাইকেল কয়েকটা চালিয়ে যা বুঝলাম, হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক ছাড়া বাকিগুলা ভাল পাই নাই। 35 কে দিয়ে কেনা এক ফ্রেন্ডেরটা চালাইলাম, সিরিয়াসলি মটরবাইক থাকার পরও এখন ওটা কিনতে মঞ্চাইতেছে, হুটহাট করে কিনে ফেললে তখন কেউ দোষ দিয়েন না
হে হে হে হে হে হে...... ভাই ৬৫কে এর একখান সাইকেল দেখসি। আপনারে দেখাইলে আপনে শিওর আপনের বাইক বেইচ্চা দিতেন।
দক্ষিণের-মাহবুব লিখেছেন:এর চেয়ে দামী ভি ব্রেক ব্যবহার করা উচিত।
ভাল কোয়ালিটির ভি ব্রেক ইউজ করা উচিৎ আমার মতে। কারণ হালকা আর ঝামেলা কম।
ডিস্ক ব্রেক রক্ষনাবেক্ষন কোন সমস্যা না। সাইকেল এনথুজিয়াস্ট হলে নিজ আগ্রহেই এটা করবে।
আসলেই। ভি ব্রেক নষ্ট হলে শুধু ব্রেক প্যাড চেঞ্জ করলেই চলে। কিন্তু ডিস্ক ব্রেক নষ্ট হলে ডিস্ক সহ চেঞ্জ করা লাগতে পারে। আর ডিস্ক ব্রেক এর সবচেয়ে বড় সমস্যা এর স্ক্রু গুলো। কম দামী সাইকেল হলে স্ক্রু খুলে সব পড়ে যাবে, কোন সন্দেহ নাই।
Raleigh Max
ম্যাক্স না বাট নামটা আপাতত মনে নাই।
ডিস্ক এর স্ক্রু লাগাইছি ।
আসলে কেয়ার না নিলে ভালো বেশিদিন ভালো থাকেনা।
আর আমার এলাকার রাস্তা আসলে খুবই খারাপ।
নেক্সট বেশি বাজেট নিয়ে সাইকেল কিনতে হবে।
TWIST সম্পর্কে আইডিয়া না থাকায় কিছু বলতে পারলাম না।
এটার ব্রেকটা ভাল। Trekto Novella। এই ব্রেক সাধারণত আরও দামি সাইকেলে থাকে।
এই লিংক গুলোতে তাই লেখা।
http://bdcyclists.com/qa/4226/how-is-th … iven-below
http://bdcyclists.com/qa/5881/which-is- … -talus-1-0
http://bdcyclists.com/qa/5830/raleigh-t … er-version
টপিকটা বাম্প করছি বলে দুঃখিত। এমনি এমনি টপিক না খুলে এখানে জানতে চাওয়াই ভালো মনে হচ্ছে।
প্রথমে বলে নেই, সাইক্লিং সম্পর্কে আমার জ্ঞান পুরোপুরি ০। সেই পিচ্চিকালে পিছনে দুইটা ব্যালান্স চাকাসহ ১ বছরের মত চালিয়েছিলাম সেটুকই যা। ইদানীং আবার সাইক্লিংয়ের খায়েশ জাগছে আরাফাত জাহানের কথায়।
আমি একেবারে এন্ট্রি লেবেল হলেও, আরাফাত জাহানের পরামর্শ মত একেবারে এন্ট্রি লেবেল সাইকেল কিনার ইচ্ছা নেই। মোটামুটি মানের কিনতে চাচ্ছি। বাজেট 15-16k এর মাঝে। বেশ কয়দিন দুইজন মিলে কয়টা শর্টলিস্ট করলাম সাইকেল লাইফ এক্সক্লুসিভ, নওয়াব এন্ড সন্স, লায়ন সাইকেল এদের ফেসবুক পেজ দেখে দেখে।
গত বুধবার বংশাল গিয়েছিলাম দেখতে+পছন্দ হলে কিনে নিয়ে আসতে। অবশ্য জ্যামের জন্য ওইদিন কেনা হয়নি আর। কিন্তু যেয়ে দেখা গেল লিস্ট যেসব করেছিলাম তার একটাও এভয়লেবল না। সব লেটেস্ট সাইকেল। তো আমার প্রাইস রেন্জে লায়ন সাইকেলের Nekro ASH20 টা পছন্দ হল। এটা নেয়া কি ভালো হবে?
আশিক৭২ ভাই, দেরিতে আসার জন্য আন্তরিক দুঃখিত। Nekro ASH20খুব ভালো সাইকেল। কোন সাইকেল নিলেন জানাবেন প্লিজ।
ফোরামের সাইক্লিস্টদের মধ্যে কার কি অবস্থা? কে কে এখনো রেগুলার সাইকেল চালাচ্ছেন?
আজ আমার কাজিন তার নিজের জন্য এই সাইকেলটা কিনলোঃ
CORE FiXie
Frame: Steel 53cm and 57cm
Fork: Steel:
Hub: Alloy
Tyre: Kenda
CWC: Prowheel Alloy
Pedal: Wellgo
Chain: KMC
BB: Neco sealed
Headparts: Neco
Price: With Bullhorn 14000/-
আশিক৭২ ভাই, দেরিতে আসার জন্য আন্তরিক দুঃখিত। Nekro ASH20খুব ভালো সাইকেল। কোন সাইকেল নিলেন জানাবেন প্লিজ।
রিপ্লাইয়ের জন্য থ্যাংকস।
আসলে নানান সমস্যায় পরে আর কেনা হয়নি। মেইনলি ওইসময় ঈদের জন্য প্রচুর যানজট ছিল। একদিন গিয়েও ভীড় দেখে ফিরে আসছি। পরে পরীক্ষা, হরতাল এসব কারণে আর হয়নি। এদিকে আনাটাও বেশ ঝামেলার। এখনো কিছুটা দ্বিধায় ভুগছি যে আমার আসলেই এটা প্রয়োজন আছে কিনা ভেবে।
আসলে নানান সমস্যায় পরে আর কেনা হয়নি। মেইনলি ওইসময় ঈদের জন্য প্রচুর যানজট ছিল। একদিন গিয়েও ভীড় দেখে ফিরে আসছি। পরে পরীক্ষা, হরতাল এসব কারণে আর হয়নি। এদিকে আনাটাও বেশ ঝামেলার। এখনো কিছুটা দ্বিধায় ভুগছি যে আমার আসলেই এটা প্রয়োজন আছে কিনা ভেবে।
এইটুকু শিওর থাকেন, সাইকেল কিনলে পড়ে থাকার সম্ভাবনা খুব-ই কম। অন্তত আজকাল এটা হওয়ার চান্স-ই নাই, ঠিক-ই কোন না কোন গ্রুপ বা ফ্রেন্ডস পেয়ে যাবেন সাইক্লিং এর জন্য।
আমি ১ সপ্তাহ আগে ১৬০০০ টাকা দিয়ে ফরমুলা ২ কিনে দিলাম বন্ধুকে।
সার্ভিস কেমন? চালাইনি কখনো...।
অস্থির! বেস্ট lightweight MTB. Fork এর comparison টা বাদ দিলে Ash20 থেকেও বেটার। তার উপর এটা Totem Brand এর সাইকেল (The company which makes Upland/Totem bikes)। সাইকেলের নাম শুধু ফরমুলা ২ নয়, Totem Formula 2. আর Totem ব্র্যান্ড টা ডেফিনিটলি Nekro থেকে বেটার। Nekro/Core এগুলা Lion এর বানানো। Formula, Upland, Totem এগুলা ডাইরেক্ট Chinaর Golden Wheel কোম্পানীর।
Totem নিঃসন্দেহে Nekro থেকে বেটার।
লাইটওয়েট এর মধ্যে বেস্ট সাইকেল গুলো সব Totem এর।
Yup. আমি Totem Power Pro চালিয়েই বুঝেছি। এদের বাইকগুলোর ওজন খুব কম হলেও পার্ফরমেন্স হেভি। ধুমায়া চালাইতেছি প্রায় ৩ মাস হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা পাই নাই।
তাই আমি ওকে Nekro বাদ দিয়ে Totem কিনে দিয়েছি। No Offense, কিন্তু দেশের সাইকেলগুলোর ভিতরের পার্টসপাতি কেমন দেয় তাতে সন্দেহ আছে। (যেগুলোর স্পেসিফিকেশন হয় না)। গিয়ারের তারের কোয়ালিটি, ভিতরের কার্বন বিয়ারিং ইত্যাদি।
মেঘনার সাইকেলগুলোর পার্টস নরম গোছের। আমার ভেগাসের ক্র্যাংকসেট কিছুদিন চালানোর পর বেঁকে গেছিল। (ভার নিতে পারে নাই)। পরে হাতুড়ি দিয়া বাইড়ায়া ঠিক করা লাগছিল। :v তাছাড়া এদের বল বিয়ারিং ও ভালটা দেয় নাই। :\ আমি তাইওয়ানিজটা লাগাই নিছিলাম পরে।
তাই আমি ওকে Nekro না নিয়ে Formula 2 কিনে দিয়েছি। নিজে চালিয়ে দেখেছি। অস্থির জিনিস বানাইছে
আর I love Totem
না জেনে কিনেও কিনার পর পার্ফরমেন্স দেখে ফ্যান হয়ে গেছি।
বাইসাইকেল কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজনঃ
১. সাইকেলটা যখন এসেম্বেল করা হবে, সেটা যেন আপনার সামনে করা হয়।
২. সাইকেল এর সাথে সাধরণত বেল, স্ট্যান্ড, মাডগার্ড ইত্যাদি দেয়া হয় না। তবে কোন কোন সাইকেল এর সাথে এগুলো আসতে পারে, তখন খেয়াল রাখবেন যেন সেগুলো ঠিকঠাক দেয়া হয়।
৩. যে সাইকেলটা কিনবেন, তার ব্যাপারে যত বেশি পারবেন পাবলিক মতামত নিবেন। এক্ষেত্রে ফেসবুকের বিডিসাইক্লিস্ট এর গ্রুপে ছোট্ট একটা পোস্ট দিয়েই আপনি কাজটা করতে পারেন। এতে বাইকটার সুবিধা অসুবিধা সব উঠে আসবে।
৪. সাইকেল এর বেল এবং স্ট্যান্ড কেনার সময় মাথায় রাখবেন কিভাবে সাইকেল এর ওজন বাড়ানো না যায়। সাইকেল চালানোর সময় একটা ছোট্ট স্ক্রু এর ওজন-ও বড় ব্যাপার হতে পারে।
৫. সাইকেল এ অনেকে অনেক রকম গ্যাজেট লাগান। চেষ্টা করুন প্রয়োজন এর অতিরিক্ত কিছু না লাগাতে। শুধু শুধু সাইকেল এর ওজন বাড়বে।
৬. সাইকেল এর সামনে এবং পেছনে লাইট, অথবা/অন্তত রিফ্লেক্টর লাগানোর চেষ্টা করুন। কারণ এই জিনিস আসলেই অনেক দরকারী।
৭. সাইকেল বাদে এক্সেসরিজ টাইপ যত জিনিস আছে, যেমন হেলমেট, স্ট্যান্ড, বেল, লাইট, গ্লাভস, রিফ্লেক্টর ইত্যাদি জিনিস বাজেটে হলে যেখান থেকে সাইকেল নিচ্ছেন সেখান থেকে নেয়াই ভালো। অবশ্য এক্ষেত্রে জিনিসগুলোর দাম বেশি রাখার সম্ভাবনা থাকে অনেক। এছাড়া বংশাল থেকেও নিতে পারেন, কিছুটা কম দামে, প্রোডাক্ট সামান্য একটু উনিশ বিশ হতে পারে, তবে একটু খুঁজে দেখলে ভালো জিনিসগুলোই পাওয়া যায়। এখন বংশালে অনেক ভালো ভালো দোকান আছে।
৮. আপনি যদি লং রাইডে যান, অথবা হাইওয়ে তে বা বড় রোডে আপনার সাইকেল চালানো হয় বেশি, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই হেলমেট নিবেন। আমি আমার কাজিন সহ অনেক সাইক্লিস্ট কে দেখেছি যারা এই সামান্য ককশিট এর হেলমেট এর কারণে এখনো বেঁচে আছেন। আমি আবারো বলছি, এটাকে হেলাফেলা করবেন না। বিপদ কি রকম হতে পারে, কখন, কোথা থেকে হতে পারে, কেউ জানে না। তাই সাইকেল এর সাথে সাথে হেলমেট কিনে ফেলাটা জরুরী মনে করি আমি।
সর্বোপরি, সাইকেল কেনার পর সেটার দেখার-ও একটা সৌন্দর্য আছে। সাইকেল যত ক্লিন, তত সুন্দর, তত চালাতে সুবিধা। তাই উপরের বিষয় গুলো মাথায় রাখলে আমি মনে করি অসাধারণ একটা সাইকেল পাচ্ছেন আপনি।
আর হ্যাঁ, সাইকেল কিনে আমার সাথে একদিন রাইড দিতে ভুলবেন না।
পোষ্ট টা পুনরায় তুললে আশা করি এডমিন মডারেটর রা রাগ করবেন না।
অবরোধের কারণে রাস্তায় বাস কিংবা অটোরিকশায় চলাচল করতে বেশ ভয় লাগে। তাই ভাবলাম একটা সাইকেল কিনে ফেলি। কিন্তু দেশের এবং আমার উভয়েরই অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ যাচ্ছে এই সময় । তাই ভাবলাম কমদামীর মধ্যেই একটা বাইসাইকেল কিনবো। তাই বাজেট দশ হাজার টাকা ধার্য করে, নেট ঘেঁটে-টেটে একটা একটা বাইসাইকেল পছন্দ করে গেলাম বাজারে। Raleigh Motomax
ইহাই আমার সাইকেল তবে গ্রিপটা ভিন্ন।
বাইসাইকেলে আমার ধারনা একেবারেই নগণ্য। সাইকেল কেনার পর বুঝতে পারলাম এই সাইকেলটা আমার হালকা পাতলা কাঠবডি ওয়ালা মানুষের জন্য অত্যধিক ভারী হয়ে গেছে। একটা ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি এই ফোরামে পরামর্শ চেয়ে একটা পোষ্ট দেওয়া ফরজ ছিল কিন্তু এই ফরজ কাজটা আদায় না করে ভুল হয়ে গেছে।
তো সাইকেল খানা কেনার পর বুঝতে পারলাম আমার হাত এখনো বেশ কাঁচা। ছোট খাটো রাস্তায় চালাতে পারলেও বড় রাস্তায় চালাতে গেলে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যায়। যার দরুন আজকে সোনারগাঁও হোটেলের গেটের সামনে রাস্তা পারাপাররত এক পথচারীর সাথে সামান্য সংঘর্ষে সাইকেল সহ ভূপাতিত হই। ভাগ্য ভালো পেছন থেকে কোন গাড়ি গায়ের উপর তুলে দেয় নি। পূর্বে দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার অভিজ্ঞতা থাকায় হয়তবা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি একটু বেশিই।
আপনাদের কাছে পরামর্শ চাই আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় কি। আর টানা অনেকক্ষণ চালালে আমার উরু ব্যথা হয়ে যায়, ২-২.৫ কিমি এর বেশি একটানা চালাতে পারি না। কিভাবে সহিষ্ণুতা(Stamina) বাড়ানো যায় এ ব্যাপারেও পরামর্শ চাই। সাথে সাথে আমার মনে হয় আমার সাইকেলটা চালাতে একটু শক্তি বেশিই খরচ হয়, আমার বন্ধুর Talus 1.0 চালাতে এতটা শক্তি প্রয়োজন হয়না বলে মনে হয় আমার কাছে। বন্ধু বলল লুব করালে নাকি ঠিক হয়ে যাবে। গিয়ার, টিউনিং, লুব এসব ব্যাপারে কেউ যদি একটু বুঝিয়ে লেখেন তবে উপকৃত হই।
আপনাদের কাছে পরামর্শ চাই আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় কি। আর টানা অনেকক্ষণ চালালে আমার উরু ব্যথা হয়ে যায়, ২-২.৫ কিমি এর বেশি একটানা চালাতে পারি না। কিভাবে সহিষ্ণুতা(Stamina) বাড়ানো যায় এ ব্যাপারেও পরামর্শ চাই। সাথে সাথে আমার মনে হয় আমার সাইকেলটা চালাতে একটু শক্তি বেশিই খরচ হয়, আমার বন্ধুর Talus 1.0 চালাতে এতটা শক্তি প্রয়োজন হয়না বলে মনে হয় আমার কাছে। বন্ধু বলল লুপ করালে নাকি ঠিক হয়ে যাবে। গিয়ার, টিউনিং, লুপ এসব ব্যাপারে কেউ যদি একটু বুঝিয়ে লেখেন তবে উপকৃত হই।
আগে ১ মাস নরমাল রোডে চালিয়ে হাত পাকা করুন। তারপর মেইন রোডে চালাবেন। হেলমেট+গ্রিপ পরলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
নতুন নতুনের কারণে ব্যথা হচ্ছে। ১সপ্তাহ চালালে ঠিক হয়ে যাবে।
ইয়াপ। 10K রেন্জের সাইকেলের বডি সব স্টিলের। ওজন বেশি। তাই চালাতে একটু কষ্ট হতে পারে।
Talus 1 অন্য রেন্জের সাইকেল :v 17K এর সাইকেল ভাল তো হবেই। Alloy বডি তাই ওজন কম। কম্পোনেন্টস ও ভাল তাই চালিয়ে হেভি মজা।
গিয়ার টিউনিং: যখন প্রেসিং এর পর গিয়ার চেন্জ হয় না তখন গিয়ার টিউন করতে হবে।
লুপ: আসলে ব্যাপারটা Lube :v লুব মানে হচ্ছে লুব্রিকেটিং করা। প্রথমে কেরোসিন/ডিগ্রিজার দিয়ে ডিগ্রিজ করে মেশিন অয়েল/অন্যান্য অয়েল দিয়ে গ্রিজ করাকেই এক্ষেত্রে লুব বলা হয়েছে।
ধন্যবাদ বস। সম্মাননা দিয়ে ২২২ কে ২২৩ করে দিলাম ।
আর টানা অনেকক্ষণ চালালে আমার উরু ব্যথা হয়ে যায়, ২-২.৫ কিমি এর বেশি একটানা চালাতে পারি না। কিভাবে সহিষ্ণুতা(Stamina) বাড়ানো যায় এ ব্যাপারেও পরামর্শ চাই।
সীট এডজাস্ট করে নিন।
আর সহিষ্ণুতা(Stamina) বাড়াতে চালানোর বিকল্প নেই।
বাইসাইকেলে আমার ধারনা একেবারেই নগণ্য। সাইকেল কেনার পর বুঝতে পারলাম এই সাইকেলটা আমার হালকা পাতলা কাঠবডি ওয়ালা মানুষের জন্য অত্যধিক ভারী হয়ে গেছে। একটা ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি এই ফোরামে পরামর্শ চেয়ে একটা পোষ্ট দেওয়া ফরজ ছিল কিন্তু এই ফরজ কাজটা আদায় না করে ভুল হয়ে গেছে।
এখানে একটা পোস্ট দিলেই পারতেন।
আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় কি।
প্রচুর প্র্যাকটিস। এর কোন বিকল্প নেই। কোয়ার্টার বা কলোনী টাইপ এলাকায়, অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়, অথবা মানুষ কম, কিন্তু একেবারে খালি নয়, এই ধরনের জায়গায় প্র্যাকটিস করুন। এ ধরনের জায়গা না পেলে ভোর বেলা যখন গাড়ি রিকশা কম থাকে তখন প্র্যাকটিস করুন। সবচেয়ে ভালো হয় সাইকেল চালানোর কোন সঙ্গী পেলে। সে আপনাকে লিড দিলে অনেকখানি ভরসা পাবেন নিজের উপর।
বন্ধু বলল লুপ করালে নাকি ঠিক হয়ে যাবে। গিয়ার, টিউনিং, লুপ এসব ব্যাপারে কেউ যদি একটু বুঝিয়ে লেখেন তবে উপকৃত হই।
আগে বলুন আপনি সাইকেল কিনেছেন কবে? নতুন হলে এখনি লুবিং এর প্রয়োজন নেই। আর বাকি প্রশ্নের উত্তর সাইফ দিয়ে দিয়েছে।
টানা অনেকক্ষণ চালালে আমার উরু ব্যথা হয়ে যায়, ২-২.৫ কিমি এর বেশি একটানা চালাতে পারি না।
সিট এর সামনের অংশ টি সামান্য একটু ঢালু করে চালিয়ে দেখুন তো। আমার এভাবে কোন সমস্যা হয়না।
আমার মনে হয় আমার সাইকেলটা চালাতে একটু শক্তি বেশিই খরচ হয়, আমার বন্ধুর Talus 1.0 চালাতে এতটা শক্তি প্রয়োজন হয়না বলে মনে হয় আমার কাছে।
প্রথমত সাইকেলটা ওজনে অনেক ভারী, দ্বিতীয়ত, সম্ভবত আপনি নিজের পায়ের সুবিধামত গিয়ার এডজাস্ট করতে পারেন নি। বর্তমানে গিয়ার সাইকেল এ আমার দেখা সবচেয়ে কমন নাম্বার হলো সামনে ২, পেছনে ৫। আপনার যেই গিয়ার পজিশনে পায়ের সুবিধা হয় এবং সেই সাথে স্পীডও মোটামুটি ঠিক থাকে সেভাবে সেট করে নিন। আশা করি কষ্ট অনেকটাই কমে আসবে। বাকিটা চর্চার উপর।
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » প্রসঙ্গঃ বাইসাইকেল
০.১০০৫৪২০৬৮৪৮১৪৫ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৮৮.৪৩২৭০২৬৭২৯৬৫ টি কোয়েরী চলেছে