টপিকঃ যেলড্রিয়ান প্রহেলিকা পর্ব-৩
যেলড্রিয়ান প্রহেলিকা পর্ব-১
যেলড্রিয়ান প্রহেলিকা পর্ব-২
আগের পর্বের শেষের কিছু অংশ হতে..
সিমিতকে সৃষ্টি করা হয়েছিলো ভালোবাসা, ঘৃণা, ভীতি আর অদম্য অনুরক্তি – এই চারটি আবেগীয় অবস্থায় অসাধারণ সংবেদী করে। প্রফেসর ফেরিন ফ্যারিহাড তাঁর ফ্যারিহাড্রিক মডেলিংয়ের অনন্য প্রয়োগে সিমিতের বিকাশ সাধন করেন। এইমাত্র লজিকের একটা প্রচণ্ড ঝড়ে সিমিতের উপর ক্রিয়ারত নুয়ানের অবচেতন স্তরের বাধা চুরমার হয়ে গেলো। যা কখনো ঘটে নি, তাই প্রথমবারের মত ঘটল। সিমিত অবচেতনের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে গভীর মনোসংকটে থাকা নুয়ানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে ফেললো। খুব কোমলভাবে বহুদূর হতে ক্ষীণ ডাকের মত শুধালো – নুয়ান!
নুয়ান চমকে উঠে এদিক-ওদিক তাকিয়ে চেনা স্বরের অধিকারিণীকে খুঁজতে লাগলো। কিন্তু কোথাও কেউ নেই!
=======================================================================
যেলড্রিয়ান রাত, ১০১২ যেলড
নুয়ানের ল্যাব (নিম্ন যেলড্রন )
=======================================================================
কোথাও কারো থাকার কথাও না। ল্যাবে কেবল নুয়ানই একাই রয়েছে। সিমিত, হিসাব অনুসারে প্রায় ৪০ ফ্লীপস(১৩) দূরত্বে নিশ্চল হয়ে আছে। কিন্তু সিমিতের রেশম কণ্ঠস্বর এইমাত্র শুনেছে। না, ঠিক শোনা হয়তো নয়, এক প্রকারের মনের দিগন্তে প্রতিধ্বনি শোনার মত – অত্যন্ত জীবন্ত! সম্ভবত এমপ্যাথি (১৪) প্রয়োগ করছে! মনে হচ্ছে একটু আগে নুয়ানের প্রবল মানসিক সংকটটা সিমিত বুঝতে পেরেছে। গলায় একটা উদ্বেগ মিশ্রিত উতকণ্ঠা। কিন্তু এটা কী করে করছে, নুয়ান ঠিক বুঝতে পারছে না। একটা মেকা-প্রাণ এমপ্যাথিক মিথষ্ক্রিয়ায় (ইন্টের্যাকশন) অংশগ্রহণ করে ফেলেছে, তাও আবার নুয়ানের অবচেতন ফিল্টার ভেদ করে – এই ব্যাপারটা আশ্চর্য হওয়ার জন্য যথেষ্ট বৈকি!
সিমিত, সিমিত নাকি! কীভাবে যোগাযোগ করছো? কোথা থেকে বলছো? হড়বড় করে বলে ফেলে নুয়ান। অন্য প্রান্তে একটা চাপা হাসি এবং তারপর একটা মেকি অনাবশ্যক গাম্ভীর্য ঝরে পড়ে –
বোকার মত কথা বলো না, নুয়ান! তুমি ভালো করেই জানো আমি কোথায় থেকে কথা বলছি। খুব উদ্বেগে তুমি বোকার মত কথা বলো, মহামান্য নুয়ান! এবারো হাসি।
না, মানে ঠিকই বলেছোঃ আমি তোমার অবস্থান জানি, কিন্তু মেকা-বাই-ফাই ছাড়া কীভাবে যোগাযোগ করছো, বুঝতে পারছি না! এমনকি আমি কথা বলার জন্য ভোকাল কর্ডও ব্যবহার করছি না! নুয়ান সামলে নেবার চেষ্টা করতে থাকে।
আমি এমপ্যাথিক চ্যানেলে তোমার মনের কিছু কিছু অবস্থা বুঝতে পারছি। ক্ষমা করবে – এ ব্যাপারটা তোমার কাছে গোপন করেছি। এমনিতেই এমপ্যাথিক টার্মে তুমি প্রায়-দুর্বোধ্য! নিজেকে ভালোই আড়াল করতে পারো। তবে, জানি না আসলে কী হয়েছে, এই একটু আগে তোমার সমস্ত প্রতিরোধ ধ্বসে গিয়েছিলো। ওটাই আমাকে এক প্রকারের এক্সেস দিয়েছে। যতদূর মনে হচ্ছে, তুমি আমার কথা ভেবে আঁতকে উঠেছিলে, কেন?
নুয়ান কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। অবস্থাটার গভীর বিশ্লেষণ করছে। সিম্যুলেশানের ফলাফল সিমিতকে জানাবে কি জানাবে না, পরিণামটা যাচাই করছে।
সিমিত আবার সরব হয় – মনে হচ্ছে তুমি কিছু লুকাতে চাচ্ছো, নুয়ান। কী এমন কথা আমাকে বলতে পারছো না?
অনেক ধরণের সম্ভাবনা খেলে যায় নুয়ানের মাথায়। কে জানে এটা হয়তো উচ্চ-যেলড্রিয়ানদের কোনো কারসাজি – গুপ্তচর পাঠিয়েছে। কিংবা অন্য কিছু... কিন্তু সব ছাড়িয়ে নুয়ানের অনুসন্ধিৎসু এনালাইটিক মনের জয় হলো। মেকা-প্রাণের এমপ্যাথিক মিথষ্ক্রিয়া এবং সেটার প্রায়োগিক সম্ভাবনা নিঃসন্দেহে গবেষক নুয়ান নৈঋতকে অজানার হাতছানি দিতে থাকে।
সিমিত, ৪০ ফ্লীপস এমন কোনো দূরত্ব নয়, এখনি আমার এখানে চলে আসতে পারবে? তাছাড়া, আমি দুঃখিত আজ খুবই অভদ্রের মত ব্যবহার করেছি। তুমি কষ্ট পেয়েছো, ধরো, সেটার একটা ক্ষতিপূরণ দেবো। কী, ক্ষতিপূরণ চাও না? গলায় একটা রোমান্টিক ছাঁদ!
হুম, দেখি তো হেলিওসেলিনটা আছে না গেছে! কৌতুক ঝরে সিমিতের কথায়। তোমার মুখে এই কথা! যাহোক, আমি আসছি। বেশি সময় লাগবে না। সিমিত বুঝতে পারছে কিছু একটা ঠিক নেই, নুয়ান মোটেই তেমন প্রেমিক নয়! কিন্তু ব্যাপারটাও বুঝে উঠতে পারছেনা। যাওয়াটা জরুরী। সিমিত গতিপথটা উল্টা করে নিলো।
=========================================================================
কিছু দিন আগে...
কোনো এক যেলড্রিয়ান মধ্য দুপুর, ১০১২ যেলড
হিলড্রা(১৫), উচ্চ-যেলড্রন
ইউয়ান ইয়েরিন চিন্তিত মুখে কাপ্পা-নেটে বিচরণ করছিলেন। কঠিন ধাতুতে গড়া ইউয়ানকে দেখে বয়স আন্দাজ করা শক্ত – যে কেউ ২৬৫ যেলড বলবে। আসলে ৩৬৫ যেলড! সদ্য ক্রমবর্ধ্মান অতি প্রবীণ পুলে নাম লিখিয়েছেন। এই তারুণ্যের ব্যাপারটায় একটু পুলক পুলক ভাব জাগলেও অতি দ্রুত সেটা মিলিয়ে গেলো। নতুন কমিশান প্রাপ্ত উচ্চ-যেলড্রিয়ান নিরাপত্তা বলয়ের প্রাচীরে একটা অদ্ভুত অনুপ্রবেশ ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।
আসলে নিরাপত্তা উপদেষ্টার মত ফালতু কাজ গোটা উচ্চ-যেলড্রনে আছে কিনা সন্দেহ! যেইমাত্র ভেবেছিলেন মিনিম স্পেসটাকে একটা আরামদায়ক বিছানায় রূপান্তরিত করে নেবেন আর সাথে একটা অপার যৌবনা রিনহি(১৬), তখনি কোত্থেকে জানি অনুপ্রবেশটা ধরা পড়লো। রাগে-দুঃখে ঘোঁত করে একটা শব্দ করে উঠলেন এবং একটা অশ্রাব্য খিস্তি!
কিন্তু অবস্থাটা মোটামুটি গুরুতর। ধারণা করা হচ্ছে একটা অজানা পরিচয়ের যাই-নেটীয় মেকা-বাই-ফাই থেকে ফ্যারিহাড্রিয়ান ফ্যাসিলিটিতে(১৭) সন্তর্পনে চুরিটা করা হয়েছে - মানুষ এবং অন্যান্য বুদ্ধিমত্তার মানসিক অবস্থা সংক্রান্ত তুলনামূলক মানদণ্ড। রিপোর্ট করেছেন নিরাপত্তা প্রধান হেসলান হেরিং – দুর্ধর্ষ উচ্চ-যেলড্রিয়ান!
চুরির বিষয়টা নিয়ে মুচকি হাসলেও চুরির ধরণটা এবং সাহসটা দেখে চিন্তা দানা বাঁধছে ইউয়ানের মনে। নিম্ন-যেলড্রিয়ান হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলতে গেলে...যত্তসব মাথামোটা মানুষের দল! তবে বুড়ো ফ্যারিহাড আবার না তো? নিজের হাতে গড়া রিসার্চ ফ্যাসিলিটি উদ্ধার করতে চাইতেই পারেন। উল্লেখ্য, ফেরিন ফ্যারিহাড প্রায় ১৫০ যেলড ধরে ফেরার!
খুঁতখুঁতে ইউয়ান সময় নষ্ট করলেন না। হেসলান হেরিংকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থার নির্দেশ দিয়ে নিরাপত্তা বলয়ে ফাঁদের ব্যবস্থাটা চালু করতে বললেন। আর তারপর মিনিম স্পেসে ফিরলেন; রিনহিটাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষমান রাখা হয়েছে! আর কত?
---------------------------------০০০০০০০০০০০০০০০০০---------------------------------
যেলড্রিয়ান রাত, নুয়ানের ল্যাব (নিম্ন যেলড্রন )
সিমিত যে মেকা-প্রাণ এটা মানতে এখনও কষ্ট হচ্ছে নুয়ানের। সিম্যুলেশানের কার্যপদ্ধতি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে উচ্চ-যেলড্রিয়ান যাচাই-সূত্র কি নির্ভরযোগ্য? অবশ্যই, কেন নয়? নিজে নিজেই স্বগতোক্তি করে। কয়েক শতক ধরে উচ্চ-যেলড্রিয়ানদের জ্ঞান- বিজ্ঞান, প্রগতি অভাবনীয়। কিন্তু এতো রাখঢাক কেন, এটা একটা ধাঁধাও বটে! সিমিত কি ওদেরই কেউ?
ঠিক তক্ষুনি নুয়ানের মিনিম স্পেসের ফ্লোট-পোর্টারের দরজাটা সশব্দে খুলে যায়। দীর্ঘ পা ফেলে প্রবেশ করে সিমিত। খানিকটা নিস্পৃহ নুয়ানের কখনো সেভাবে দেখা হয় নি। কে বা কারা ওকে তৈরি করেছে...অসাধারণ যত্ন নিয়ে প্রতিটা খাঁজ-বাঁকে চূড়ান্ত পারফেকশানের নিদর্শন! প্রায় শিল্প-কর্মের সমতুল্য! দৃষ্টিটা পা থেকে চিকন কটিদেশ ছাড়িয়ে ভরাট বুকের প্রাচুর্য ছুঁয়ে গিয়ে পাতলা ওষ্ঠের সঙ্গমে এসে কাঁপতে থাকে। অতঃপর গোল্ডেন অনুপাতের ডিম্বাকৃতির মুখের একজোড়া গভীর কালো চোখে এসে স্থির হয়ে যায়। নুয়ানের দৃষ্টিটা দুর্বোধ্য ঠেকে সিমিতের কাছে। নীল চুলের গোছা সরাতে সরাতে,
কী দেখছ অমন করে? আগে দেখোনি?
দেখছি একটা জিনিস কত নিঁখুতভাবে বানানো যায়! অপূর্ব সৃষ্টি! তোমার সৃষ্টিকর্তা কে, মেকা-প্রাণ? নুয়ানের মুখে ব্যঙ্গ-মিশ্রিত একটা রাগ গনগন করতে থাকে। সে মেকি জিনিস ঘৃণা করে এসেছে।
হঠাত আক্রমণে দিশেহারা হয়ে যায় সিমিত! কিছুক্ষণ কিছুই বলতে পারে না। বেশ আনন্দ নিয়ে এসেছিলো। নুয়ান নিজে থেকে ডেকেছে... কিন্তু অবস্থার এই হঠাত পরিবর্তনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো – কেবল একটা জলের ধারা ধীরে ধীরে নামতে থাকে।
নুয়ান ক্রুব্ধ হাসি হাসতে থাকে। তোমার এই চোখের জলটা কোন ইভেল্যুশনারি এলগরিদমের ফলাফল – সেটাও বলে দাও! তুমি আসলে কে, মেকা-প্রাণ? কী চাও আমার কাছে? হিসহিসিয়ে ওঠে নুয়ান।
অনেক হয়েছে! চেঁচিয়ে ওঠে সিমিত। কী বলছো এসব? ডেকে এনেছো অপমান করার জন্য? তুমি এতটা নীচ, জানতাম না।
দাঁড়াও মেয়ে, আমি নীচ হতে পারি, কিন্তু আমার গবেষণা নীচ নয়। আমার কম্পিটেশান ভুল হবার সম্ভাবনা নেই বললে চলে। তারপর সংক্ষেপে বলে যায় ফলাফলের কথা!
সিমিত সেরিন (মেকানো আইডি এসএস১১২৩৫৮) হাঁটু গেড়ে মাথা নীচু করে ফেলে! নির্বাক কিছুক্ষণ কেটে যায়। শেষে মাথা তুলে যেন বিস্ফোরন ঘটায়,
ঘৃণা কেবল সকল ধরণের প্রাণের ক্ষতিই করে এসেছে, নুয়ান নৈঋত। হ্যাঁ, আমি মেকা-প্রাণ – স্বীকার করছি। তবে, আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই। আমি তোমার রক্ষাকারী। বিশ্বাস করো। অবশ্য এটার মূল্য তুমি ভুলে যাচ্ছ। তবে, একটা কথা - কারো অজান্তে ঐ এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে তুমি মানব-মেকা-সনদের অপমান করেছো। আর তুমি নিজেই কি মানুষ? সাহস থাকলে নিজের উপরই পরীক্ষাটা চালাও না কেন? কেমন বিচিত্র ভঙ্গীতে হাসতে থাকে সিমিত! নুয়ান ধাঁধায় পড়ে যায়...কী হচ্ছে এসব?
শব্দ কোষ:
১. ফ্লোট-পোর্টারঃ কাল্পনিক, এক ধরণের যাতায়াত এবং যোগাযোগ মাধ্যম। উচ্চ শক্তির সনিক ওয়েভ ক্যারিয়ার, বস্তু এবং তথ্য – উভ্য় পরিবহনে সক্ষম।
২. যেলড্রনঃ কাল্পনিক, পৃথিবী হতে ৪.৫ আলোকবর্ষ দূরের মনুষ্যবসতি (২২০০ এ.ডি)। নিম্ন এবং উচ্চ – এ দুইভাগে বিভক্ত। যেলড্রিয়ানরা এর অধিবাসী – মূলত মানব সম্প্রদায়।
৩. হেলিওসেলিনঃ কাল্পনিক, কৃত্রিম সূর্য সদৃশ যন্ত্র বিশেষ; সময় বিশেষে চাঁদের মত কাজ করে।
৪. হাই-হাইপারসনিক মাইক্রোক্যাননঃ কাল্পনিক, অত্যন্ত কার্যকর ২৫ ম্যাক রেঞ্জের উচ্চ শক্তির শব্দ-তরঙ্গ ঘাত ভিত্তিক ক্ষুদ্রাকৃতির অস্ত্র বিশেষ। উচ্চ-যেলড্রিয়ানদের কুক্ষিগত!
৫. ফ্যারিহাড্রিক মডেলঃ কাল্পনিক, তাত্ত্বিক সাইকো-ফিজিসিস্ট ফ্যারিহাড ১২০ যেলড –এ বুদ্ধিমান স্তরের প্রাণের চেতনার গাণিতিক মডেলের ধারনা দেন।
৬. রেন সমুদ্রঃ কাল্পনিক, রেন নামক মধ্য বুদ্ধিমত্তার তরল সদৃশ প্রাণে পরিপূর্ণ সাগর। সাধারণ বিচারে বন্ধুত্বপূর্ণ!
৭. কাপ্পা-নেটঃ কাল্পনিক, উচ্চ-যেলড্রিয়ানদের অন্তর্জাল।
৮. ফ্রাক্টাল এলিমেন্ট এন্টেনাঃ বাস্তব, ডিটারমিনিস্টিক ফ্রাক্টাল (বেনোয়া ম্যান্ডেলব্রোট দ্বারা সংজ্ঞায়িত) আকারে সজ্জিত এন্টেনা বিশেষ। মূলত আরএলসি রেসোনেটর – সেলফ লোডিং এবং ফ্রিকোয়েন্সি উদাসীন।
৯. ক্লাস্টারঃ বাস্তব, অনেকগুলো কম্পিউটিং মেশিনের সমাহার যেটা একত্রে একটা একক মেশিনের মত কাজ করে।
১০. মেকা-বাই-ফাইঃ কাল্পনিক, মানুষ এবং অন্যান্য মানুষ সদৃশ প্রাণের সম্মিলিত নেটওয়র্ক!
১১. যাই-নেটঃ কাল্পনিক, নিম্ন-যেলড্রিয়ানডের স্বতন্ত্র নেট।
১২. মেকা-প্রাণঃ কাল্পনিক, একধরণের জীবন ধারা – জৈব এবং যন্ত্রের অসাধারণ সম্মিলন। সাধারণ বিচারে মানুষের থেকে পার্থক্য করা দুঃসাধ্য!
১৩. ফ্লীপসঃ কাল্পনিক, ফ্লোট-পোর্টারে দূরত্ব মাপক।
১৪. এমপ্যাথিঃ বাস্তব, একে অপরের মনের অবস্থা বোঝার কিংবা অনুধাবনের ধারণা।
১৫. হিলড্রাঃ কাল্পনিক, উচ্চ-যেলড্রিয়ানের কেন্দ্রবিন্দু।
১৬. রিনহিঃ কাল্পনিক, উচ্চ-যেলড্রিয়ান উদ্ভিন্ন যৌবনা বিনোদিনী।
১৭. ফ্যারিহাড্রিয়ান ফ্যাসিলিটিঃ কাল্পনিক, ফ্যারিহাড প্রতিষ্ঠিত গবেষণা স্থাপনা। উচ্চ-যেলড্রিয়ান কতৃক দখলকৃত।
চলবে...
তৃষ্ণা হয়ে থাক কান্না-গভীর ঘুমে মাখা।