Re: 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
মুক্ত কর ভয়। আপন মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়॥"
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » চায়ের কাপে ঝড় » 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
যেহেতু নাস্তিক বা আস্তিক কেউই ঈশ্বর এর অস্তিত্ব থাকা না থাকা নিয়ে ১০০% প্রমান করতে পারছেনা । সেক্ষেত্রে আস্তিকরাই লাভবান হচ্ছে।
মরার পর নাস্তিকরা যদি দেখে ঈশ্বর আছে। তাহলে তার কি অবস্হা হবে সে কি কখনো ভেবে দেখেছে??
আর একজন আস্তিক যদি মরার পর দেখে ঈশ্বর নাই তাহলে তার একটু আপসোস হবে যে দুনিয়ায় অনর্থক কিছু সময় নষ্ট করেছে। এছারা তার আর কোন ক্ষতি নাই। তাই আস্তিক হওয়াই সঠিক কাজ নয় কী?
আসলে ধর্ম হচ্ছে মানুষ নামক বিশৃঙ্খল প্রাণী কে শৃঙ্খালায় রাখার একটা সূত্র মাত্র। আমরা মুখে সবাই যতই ফটর ফটর করি আমাদের সবার জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন ঐ অদেখা ঈশ্বর কে মানতে হয় তার কাছে মাথা নত করতে হয়। এখানে যে যতই যুক্তি দেখান না কেন যে যেই ধর্মের হয় না কেন আমরা সবাই তা করি।
ঈশ্বর আছে কি নেই তা চেক করার একটা সহজ উপায় আছে। কিন্তু চেক করার পর তার উত্তর এখানে জনানো আমাদের কারোর পক্ষে সম্বভ না।
বছর দুয়েক আগে একটা সিনেমা দেখেছিলাম The Book of Eli সময় পেলে যারা দেখেন নি দেখে নিয়েন ধর্ম সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যাবে।
অনেস্টলি প্রাকৃতিক ঘটনা অসুখ, বিসুখ শিশু মৃত্যু এসব ঘটনার মধ্যে সৃষ্টিকর্তার এক্সিসটেন্স পাওয়া না পাওয়ার চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই। আমার কাছে ব্যাপার গুলো মনে হয় চিরন্তন সত্য এটা থাকবেই এবং এটা থাকার জন্য। সব কিছুতেই প্রকারভেদ থাকবেই। জঘণ্য খারাপ, জঘণ্য অসুখ যেখানে থাকবে সেখানে সুখী মানুষ বা ভালো কিছুও থাকবে। এসবের সাথে ঈশ্বর থাকা না থাকার সম্পর্ক তালাশ করা বোকামি লাগে। একবার ভাবুন আমাদের লাইফ যদি পুরো পার্ফেক্ট হতো তাহলে কি হতো? যদি না পাওয়া, কষ্ট এটা সেটা প্রিয় জনের মৃত্যু এসব নাই থাকতো, তাহলে আমি সেটাকে তো লাইফ বলবো না। জীবন আছে দেখেই এসব আছে, এগুলাই লাইফের এক্সাইটমেন্ট। এসব প্রতিটা বিট যে পার করতে পারবে, এনড্যুর করতে পারবে সেই ব্রাভো। এসবের জন্য ঈশ্বর বা ধর্মের দোহাই বা দোষ দেয়া ভীরুতার পরিচয় লাগে আমার কাছে। এবং শুধু মাত্র এই একটা কারণে আমি ১০০ পার্সেন্ট শিওর যে ইটারনাল কোনো হেভেন থাকতে পারে না। আর থাকলেও আই রিয়েলি ডুন ওয়ান্ট দ্যট। দ্যট উড বি সো ইনটিমিডেইটিং
পৃথিবীর বয়স কত এটা হয়তো, সঠিক ভাবে কারও জানা নাই।হাদিস থেকে আমরা জানি, পৃথিবীতে আগে জিন বাস করতো । এরা যখন নিজেদের মধ্যে স্বার্থ নিয়ে মারামারি করতো, তখন মহান আল্লাহ ফেরেস্তা পাঠাতেন, এদের শায়েস্তা করতে। কিছুসময় শান্ত থাকতো। আবার পরিস্থিতি খারাপ হলে আল্লাহ আবার ফেরেস্তা পাঠাতেন। এভাবেই চলছিল। এরমধ্যে সম্মানিত আল্লাহ মানুষ বানানো/পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। পরের ঘটনা সবাই জানে।
* পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান প্রায় ৩০/৪০ হাজার বছর হতে পারে।
* হযরত আদম(আ:) প্রথম মানুষ/নবী, হযরত নূহ(আ:) প্রথম নবী, হযরত মুহম্মদ(স:) সর্বশেষ নবী,মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম(আ:)। এই সময়ের ভিতরে প্রচুর নবী পাঠানো হয়েছে। এটার সংখ্যা হতে পারে ১.৫-২.৫ লাখ ।মূলত: মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্যই সম্মানিত নবী-রসুলদের আগমন। সমস্ত নবী-রসুল মুসলমান ছিলেন। এই জায়গায় প্রচুর সংখ্যক মুসলমান ভুল করে। মনে করে, হযরত মুসা(আ:)এসেছিলেন বর্তমান ইহুদী মতবাদ নিয়ে, হযরত ঈসা(আ) ছিলেন বর্তমান খৃষ্টবাদ নিয়ে।এই দুই জাতি নবীদের আনা ইসলামকে ধর্মকে বিকৃত করে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসে।
“তোমরা আদৌ সত্যের উপর প্রতিষ্ঠত নও, যতক্ষন না তোমরা আসল তওরাত, যবুরকে প্রতিষ্ঠিত না করছো ।
" নবীগন ছিলেন একই দ্বীনের(জীবন-ব্যবস্থা) পতাকাবাহী"
আল-কুরআন
সর্বশক্তিমান আল্লাহর এই নবী-রসুলদের কাছে পাঠানো সংবিধানগুলোর মধ্যে কুরআন হচ্ছে সর্বশেষ সংবিধান। সহজে বুঝানোর জন্য একটা উদাহরন দেয়া যায়। windows যদি মুসলমান হয়, তাহলে windows-7 হচ্ছে quran, যদি microsoft আর version তৈরী না করে।
“আজ আমি দ্বীনকে(জীবন-ব্যবস্থা)পূর্নতা দিলাম(complete code of life), আর একমাত্র কুরআনকে তোমাদের জীবন-বিধান হিসাবে মনোরীত করলাম।“ আল-কোরআন
এছাড়া আল্লাহ যদি একটাই শক্তি হয়, তাহলে তিনি , বিভিন্ন রকম মতবাদ পাঠাবেন, এই এটা সঠিক চিন্তা না।
এটা ঠিক যে, সব ধর্মই নিজেকে ঠিক বলে ,কিন্তু কোরআন ছাড়া কেআআন ধর্মই নিজেকে শেষ ধর্ম বলেনি।
আল্লাহ আছে কিনা? সরাসরি এটা উত্তর পাওয়া কঠিন। গনতন্ত্র,সমাজতন্ত্র,রাজতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্রের মত কুরআন
রাষ্ট্র চালানোর একটা সংবিধান। কাজেই আমেরিক, রাশিয়ার সাথে এর সম্পর্ক আছে। ৫০-৮০ দশক পর্য্যন্ত আমেরিকা/রাশিয়া উত্তেজনার অন্যতম প্রধান কারন ছিল, বিপরীত ধর্মী রাষ্ট্র-ব্যবস্থা। কুরআন মানুষকে বিজ্ঞান, ইতিহাস ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বিষয়গুলো সরাসরি শেখাতে আসেনি, মানুষকে সহজে বুঝানোর জন্য আল্লাহ বিভিন্ন ঘটনার বর্ননা দিয়েছেন। বৈজ্ঞানিক বর্ননাগুলো থেকে সহজেই আল্লাহর অস্তিত্ব বুঝা যায়।
@ হৃদয় আপনাকে কেউ পরিচয় বিষয়ক প্রশ্ন করলে আপনি কি উত্তর দেন আপনি ভারতীয় নাকি হিন্দু নাকি বাঙালী?আইডেন্টিটি মূলত জাতীয়তা আর তাই আমরা সবাই বাংলাদেশী বললে যে দ্যোতনা সেটা বাঙালী মুসলমান বা বাঙালী হিন্দু কিংবা প্রভৃতিকে পাওয়া যাবে না।আর কোন বিশেষ ধর্মকে অক্রমন করার উদ্দেশ্য আমার নেই আরণ্যক বারবার সব লজিকেই ইসলামী কনটেক্সট থেকে বিচার করছেন তাই প্রতিযুক্তি হিসাবে ইসলাম ও রেফারেন্স হিসাবে আব্রাহামিক ধর্ম এসেছে এবং অন্যান্য ধর্ম নিয়ে কথা বলার সুযোগ বা কারণ ছিল না।এখন ৯৭ ভাগ মুসলিম নিবাসী বাংলাদেশের বাংলাভাষী ফোরামে নিশ্চয় আফ্রিকার জুলু উপজাতীর ধর্ম নিয়ে কথা বলার কারণ নাই।ধর্মের আইডেন্টিফিকেশন কতটা দূর্বল তার প্রমান বাংলাদেশের অভ্যুদয় যাকে কিনা এক ধর্মের শৃঙ্খল পাকিস্তান নামে বেঁধে রাখতে পারে নি।
@ আরণ্যক রাশিয়া ধর্মশূন্য নয় সেখানে ৭০ ভাগ লোক অর্থোডক্স খ্রিষ্টান এবং ৮-১৪% নাস্তিক আছে একই ভাবে চীনও নাস্তিকতা অফসিয়াল হলেও তাদের ধর্ম ব্যবস্থা মূলত প্র্যাগম্যাটিক ও একলেকটিক।সেখানে নাস্তিক ৮-১৪%।চীন প্রধানত কালচারাল প্র্যাকটিস নির্ভর ধর্ম ব্যবস্থা।আর ধর্ম একটা ব্যক্তিগত আচার এর রাস্ট্রীকরণ বা রাজনীতিকরণেই আমার আপত্তি।যতক্ষন এটা ব্যক্তিগত ততক্ষন কোন সমস্যা নেই কিন্তু যখন এটা রাজনীতিকরণ হয় তখনই সমস্যা।আরেকটা কথা ধর্মের ভালো দিক হলেই তা স্বাভাবিক আর খারাপ দিক তুলে ধরলেই তা ধর্ম ব্যবসা কিংবা পথভ্রস্টতা বা ভুল ব্যাখ্যা তাই না।আপনি যে লেনিনের উদাহরণ দিলেন তা আদতে সিসিলির দার্শনিক ইউহিমেরাসের ভাষায় 'magnified man' যা বীর পূজার বিশেষ ধরণ।আমাকে মৌলবাদ বলার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।আপনি বার বার বান্দরের বংশ,বান্দরের বংশ মানেই জবাবদিহিতার বাইরে যা খুশী তাই করার অধিকার।ধর্ম মানেই বিল্ট ইন নৈতিকতা বললেও তা মৌলবাদী ছিল না নিশ্চয় কি বলেন ?
মডুদের কাছে আকুল আবেদন টপিক ডিলিট মাইরেন না। এখন টাইম নাই। ঈদের পরে পড়বো। ডিলিট মারলে এক কপি আমাকে পাঠিয়ে দিয়েন।
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » চায়ের কাপে ঝড় » 'ঈশ্বর ও ধর্ম' এবং আপনার বিশ্বাস
০.০৬৯২১৭৯২০৩০৩৩৪৫ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৫৮.৯৭০১৬২৮১৯৭৭৫ টি কোয়েরী চলেছে