আমসহ অন্যান্য ফল যেমন আতা, কলা, কাঠাঁল ইত্যাদি পরিপক্ক হলে দ্রুত পাকানোর জন্য রাসায়নিক পদ্ধতি ছাড়া ফিজিকাল বা ভৌত উপায়ে পাকানো যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হল তাপ প্রয়োগ করা বা সহজ ভাষায় বললে গরম দেয়া। কেননা ফল মুলত একটা গাছের জৈবিক অংশ এবং এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, হরমোন, ভিটামিনসহ অন্যান্য পদার্থ। ফল পাকার সময় কার্বোহাইড্রেট জটিল রুপ হতে সহজ রুপ (সিম্পল সুগার যেমন ফ্রুকটোজ)-এ রুপান্তরিত হয়। এক্ষেত্রে যে প্লান্ট হরমোন প্রভাবক হিসাবে কাজ করে। অন্যান্য হরমোনের সাথে ফল পাকার ক্ষেত্রে ইথিলিন হরমোন অন্যতম ভূমিকা রাখে। গাছ তার পাতা, কান্ড, মূল, ফুল, ফল অর্থাৎ প্রায় সব অংশেই এই ইথিলিন তৈরী করে। আমের ক্ষেত্রে এটা গাছ হতে পারার পরও ফলের মধ্যে তৈরী হতে থাকে। যেহেতু ইথিলিন এখন সংশ্লেষন করা যায়, তাই এটাকে আম পারার পর বাইর হতে প্রয়োগ করে আম পাকার প্রকিয়াকে দ্রুততর করা যায়।
আপনি যেহেতু বাইর হতে ইথিলিন প্রয়োগ করছেন না, তাই আমাদেরকে প্রাকৃতিকভাবে ফলের মধ্যে তৈরীকৃত ইথিলিনকে ধরে রাখতে হবে । আর উচ্চ তাপমাত্রায় রাখলে পুরো রাসায়নিক প্রক্রিয়ার বিক্রিয়াগুলো আরো দ্রুততর হবে। এটা নানানভাবে করা যায়। যেমন গ্রামগঞ্জে তুষের মধ্যে রেখে দেয়।
তবে আপনি নিচের স্টেপগুলো ধারাবাহিকভাবে করে চেস্টা করে দেখতে পারেন।
১। আম পারার পর ভাল করে ধৌত করুন।
২। আমগুলোকে একটা পলিথিনে ঢুকিয়ে মুখটা ভালভাবে বন্ধ করে দিন। যাতে ভিতরের বাতাস বাইরে না আসতে পারে।
৩। এর পর আমসহ পলিথিন ব্যাগ স্টোর রুমে রাখুন। সম্ভব হলে রাখার স্থানে একটা বৈদ্যুতিক বাল্ব দিয়ে বা অন্যকোন উপায়ে গরম করার ব্যবস্থা করতে পারেন।
সাধারনত আম ৭-১২ দিনেই পেঁকে যায়। আপনি ২-৩দিন অন্তর অন্তর ব্যাগ না খুলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
তোমাকে ভালবাসি, তোমারই চরণে ঠাঁই,
মা,
তোমার ভালবাসার কোন তুলনা নাই।