rizbe-soohagh.6 লিখেছেন:বাঙালি বলে নিজেকে পরিছয় দিতে খুবই কষ্ট হয়[-X!কারন u.a.e. কিছু এমন বাংলাদেশি আছেন যাদের কল্যানে আজ অনেক বাংলাদেশি মহিলা দেহ ব্যবসা করে আসছে.(y) প্রথম যখন আসি সবাই বলে গান্ডু তখন বুঝতাম না কেন বলে. কিছু দিনপূর্বে এক জন ইন্ডিয়ান আমাকে বললো এর মানে. এই দেশে বর্তমানে ১.৫ লাক মহিলা আছেন যারা এই কাজ করে যাচ্ছেন দালালের সহযোগিতায়. সবাই জানে বাঙালি মানেই খারাফ চোখ দেখাতে ও লজ্জা লাগে, তাই নিজের পরিছয় জানাই ইন্ডিয়ান. এভাবে কতদিন? কিছু লোক নিজের সার্থের জন্য দেশের সন্মান এভাবে নষ্ট করছে অথচ বাংলাদেশ দূর্তাবাস থেকে কোন কিছু করা হচ্ছেনা!কেন?কিভাবে এত জন নারি পাচাড় হলো? বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের অন্য দেশ সফর বন্দ করে দেওয়া উচিত. বলুন সবাই এখন কি করা যায়? আমি বা আপনি কিছুই করার নেই, করতে পারে কৃত্যপক. সবাই মুখে দেশকে সোনার দেশ বানানোর প্রতিশুর্তি দেয় প্রয়জোন শেষে তারা কি বলেছে তা ও ভূলে যায়.
বর্হিবিশ্বে দেহ ব্যবসা করে বাংলাদেশর খুবই সুনাম বয়ে আনছে তারা:-@:-@:-@:-@ তাদেরকে কোন ধরণের মেডেল দেওয়া যেতে পারে?~X(
বিষয়টি দু:খজনক। শুনে খারাপ লাগল। কিন্তু আপনি নিজেকে ইন্ডিয়ান কেন বলছেন? ইন্ডিয়ানরা কি এগুলো করছে না? যদিও তাদের সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান নেই, তবে ওদের মিডিয়া দেখে মনে হয় (শুধুমাত্র মনে হয়) তারা এ ক্ষেত্রে আদর্শ (!) ।
যতক্ষন কোন মেয়ে নিজ ইচ্ছা দেহ বিক্রি করছে, তার প্রতি আমার বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই। কারণ সে সম্পূর্ণ জেনে শুনে হয় জৈবিক চাহিদা মেটাতে বা বিলাসী জীবন কাটাতে এ কাজ করছে।
কিন্তু যারা দুর্ভাগের কারণে বা খপ্পরে পড়ে এসব কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে তাদের জন্য সত্যিই খারাপ লাগে।
আমার মনে হয়, কোন মেয়ে প্রাথমিক ভাবেই দেহ ব্যবসায়ে লিপ্ত হয় না। কারণ আমাদের সমাজ-সংস্কৃতিতে এটি (নিম্মবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত পর্যন্ত) বেশ কঠিন কাজ যে কারও পক্ষে।
আমার কাছে মনে হয় এ ব্যবসায়ের আসার ক্রম টা হল: কোন ঘটনাবসত তার শ্লীলতাহানী হয়; এবং তার ক্ষেত্রে কাজটি প্রায়ই ঘটে। আর বিষয়টি সমাজ বা পরিবারের এমন জায়গা থেকে আসে যে মেয়েটি প্রতিবাদ করতে পারে না বা মুখ খুলতে পারেনা। একটা সময় ধীরে ধীরে মেয়েটির আভ্রু খুলে যায়। নিজেকে তার মূল্যহীন মনে হয়। কারণ আমাদের মেয়েরা (সবাই নিশ্চয়ই নয়) এখন তার শরীরকে তাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ/সম্পত্তি মনে করে। যে কারণ এটি হারালে তারা নিজেকে অসহায় বোধ করে। আর যেহেতু সে মনে করে তার সবকিছু শেষ, দারিদ্র হাতছানি থেকে বাঁচতে তখন সে এ কাজে লিপ্ত হতে তেমন দ্বীধাবোধ করে না। কারণ সে দেখে একটু ইচ্ছায় তার অভাব ঘুছাতে পারে। আর যেহেতু সে নিজেকে অসতী ভাবে, সেহেতু অন্য কারও স্ত্রী হবে সেটাও তারা ভাবতে পারে না। ইমদাদুল হক মিলনের "নূরজাহান" বইয়ের প্রথম খন্ডে একটা উক্তি ছিল অনেকটা এরকম:
বাসি ফুল যেমন দেবতার সামনে দেয়া যায় না, তেমন বাসি শরীরও স্বামীকে দেয়া যায় না।
এ বিষয়ে সবচেয়ে উজ্জল একটা দৃষ্টান্ত হুমাহুন আহমেদের "নন্দিত নরকে"। এখানেই দেখানো হয়েছে কিভাবে পরিবারের বিশ্বস্ত জায়গা থেকে মেয়েদের উপর আঘাত আসে। চমৎকার এ সিনেমার জন্য হুমায়ুন আহমেদকে ধন্যবাদ।(y)
সম্পাদনা: এ বিষয়ে আরও একটি সিনেমরা কথা মনে পড়ল। নাম ভুলে গেছি। অভিনয়ে ছিল শাবনূর। সেখানোও অবশ্য দেখানো হয়েছিল কিভাবে একটি মেয়ে দেহ ব্যবসায়ের দিকে যেতে বাধ্য হয়।
শিপলু ও ইমন এর আলোচনা প্রসঙ্গে:
আসলেই দেহ ব্যবসাতে অনেকাংশে সমস্যা নেই। আমরা পুরুষরা নিজের শক্তি ও মেধাকে নিজের সম্পদ মনে করি। আর সে সম্পদ ব্যবহার/বিক্রয় করে আমরা উপার্জন করি। অন্য দিকে অনেক মেয়েই তার শরীরকে তার সম্পদ মনে করে। সেক্ষেত্রে তারা ও তো সেটি ব্যবহার/বিক্রয় করার অধিকার সংরক্ষণ করেই।
তবে ইমন আমাদের সামাজিক যে অবস্থাটা তুলে ধরেছেন সেটাও ঠিক।
বি:দ্র: আমি সম্পূর্ণ আমার নিজের মত বলেছি। নিজের মত স্বাধীনভাবে বলার জন্যই তো প্রজন্ম ফোরাম। তবে ভুল হলে অবশ্যই সংশোধন করতে রাজি। কোনভাবে কাউকে দু:খ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।
[img]http://twitstamp.com/thehungrycoder/standard.png[/img]
what to do?