Re: ফটোগ্রাফি টিপস
ভালো লাগলো
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » চারুকলা » আলোকচিত্র » ফটোগ্রাফি টিপস
আজকাল অনেকেই ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলেন। আসুন জেনে নেই ডিজিটাল ছবির টুকিটাকি। ছবি তোলা, সংরক্ষণ, প্রসেসিং, প্রিন্ট নিয়ে অনেকগুলো সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জানা যাবে।
একটি ছবির মান নির্ভর করে একজন ক্যামেরাম্যানের উপর। অর্থাৎ যিনি ছবি তুলবেন তার দক্ষতার উপরই ছবির ভালমন্দ অনেকাংশে নির্ধারিত হয়ে যায়। তাই ছবি তোলার সময় যথেষ্ট মনোযোগী হতে হবে। ছবিতে রেজুলেশন ও মেগা পিক্সেল যত বেশি হবে ছবির মানও তত ভাল হবে। বড় ছবি তুলতে ক্যামেরার মেগা পিক্সেল ও রেজুলেশন বেশি (অন্তত ছয় মেগা পিক্সেল) করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে বড় ছবি তুললেও তা ফেটে যাবে না। আর ছবি তুলতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আলোর ব্যাপারটি। ছবি তোলার জন্য খুব বেশি কড়া রোদ বা খুব বেশি মেঘলা আবহাওয়ার উপযোগী নয়। মোটামুটি আলোকোজ্জ্বল আবহাওয়াতে ছবি ভাল আসে। আর সূর্যের দিকে তাকিয়ে ছবি তুললে ছবি ঝলসে যায়। তাই ছবি তুলতে হবে সূর্যের বিপরীত দিকের। কারণ এতে লেন্সের উপর আলো পড়ে না আর ছবির মানও ভাল হয়। আর ঘরে ভেতর ছবি তুলতে হলে কৃত্রিম আলো দিয়ে ছবি তুলতে হবে। ছবি তোলার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করা যাবে না।
এনালগ ক্যামেরার ছবি সম্পাদনা করার খুব বেশি সুযোগ নেই। তবে ডিজিটাল ক্যামেরায় এই সুযোগটা আছে। ডিজিটাল ক্যামেরার ছবি সম্পাদনা করতে কম্পিউটারের ফটোশপ সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়। ছবির আলো কমবেশি করা বা পটভূমি পরিবর্তন করা যায় এর সাহায্যে।
এনালগ ক্যামেরার ছবি প্রিন্ট করা হয় নেগেটিভ থেকে। এটি একটি জটিল ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরার ফলে ছবি প্রিন্ট করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে পেশাদার ক্যামেরাম্যানরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেনড্রাইভ ব্যবহার করেন। আর যারা ব্যক্তিগত ছবি প্রিন্ট করিয়ে থাকেন তারা ছবিগুলো সিডি বা ডিভিডিতে রাইট করে স্টুডিওতে প্রিন্ট করতে দিতে পারেন। ডিজিটাল ক্যামেরার মেমোরি কার্ড স্টুডিওতে নিয়ে গেলে তা থেকে ছবি প্রিন্ট করা যায়। আর ইমেইল করেও ছবি স্টুডিওতে পাঠানো যায়। তবে আগে থেকেই তা স্টুডিও কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
ছবি দুই ধরনের কাগজে প্রিন্ট করা যায়- ম্যাট ও গ্লসি। ছবি প্রিন্ট করতে খরচ পড়বে ৩আর প্রতিটি ৬ টাকা, ৪আর প্রতিটি ৭ টাকা, ৫আর প্রতিটি ১৫ টাকা, ৬আর প্রতিটি ২৫ টাকা, ৮আর প্রতিটি ৮০ টাকা এবং ১০আর প্রতিটি ১০০ টাকা।
এনালগ ক্যামেরার নেগেটিভ অনেকদিন থাকলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরার সুবিধা হচ্ছে ছবি দীর্ঘদিন কম্পিউটারে সেভ করা যায়। শুধু প্রয়োজনে প্রিন্ট করিয়ে নিলেই হয়। আর বর্তমানে সবাই কম্পিউটারে অ্যালবাম করে ছবি সংরক্ষণ করেন। এতে প্রিন্ট করে অ্যালবামে রাখার দরকার হয় না। আর প্রিন্টেড ছবি সংরক্ষণ করার জন্য অবশ্যই ভাল একটি অ্যালবাম ব্যবহার করা উচিত। এবং অ্যালবামটি এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে সহজেই আলো-বাতাস প্রবেশ করে। আর মাঝে মাঝে ছবিগুলো খুলে দেখলে ছবি ভাল থাকে। আর ছবি সংরক্ষণ করতে লেমিনেটিংও খুব ভাল উপায়।
৩আর ও ৪আর ১০ টাকা, ৫আর ১৫ টাকা, ৬আর ২০ টাকা, ৪আর ২৫ টাকা, ১০আর ৩০ টাকা।
ছবি থেকে ছবি করতে চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির দাম পড়বে ৮০-১০০ টাকা এবং ৩আর ও ৪আর ছবি একটির দাম পড়বে ৮০ টাকা। আর পুরনো ছবি নতুন করতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
দৈনিক ইত্তেফাক
মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী ও পরিবর্তক ২.১.০
ফটোগ্রাফির উপরে ইদানিং সচলায়তনে অরূপের দারুন কিছু লেখা পড়লাম।
আমি খুব শিগগিরই সনি এইচ-৫০ কিনছি। ইতোমধ্যে নানা জায়গা ঘুরে বেশ কিছু শিখেছি। ফোরামের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছা রইলো।
আচ্ছা নরম্যাল ডিজি ক্যামেরায় ম্যাক্রো করার কোনো উপায় আছে?
আচ্ছা নরম্যাল ডিজি ক্যামেরায় ম্যাক্রো করার কোনো উপায় আছে?
অবশ্যই আছে।(ইদানিংকার সবগুলাতেই পাবা)
তবে সরাসরি ম্যাক্রো সাধারণত লেখা থাকেনা।যদি না থাকে তবে ক্লোজআপ অপশনটা ঘাটাঘাটি করো।
সবচেয়ে সহজ রাস্তা হলো নিচের আইকনটা ফলো কর।
এটা থাকলেই মনে করবা পেয়ে গেছো।
ধন্যবাদ!
এই টপিকটা ঘুমাচ্ছে কেন? গুরুজনেরা কেউ কিছু লিখেনা কেন?
আচ্ছা কেউ iso জিনিসটা নিয়ে কিছু বলবেন ?আর যে সব ক্যামেরায় ছবি তোলার অনেকক্ষন পর ছবি উঠে মানে যা ফোকাস করেছিলাম তা গায়েব হওয়ার পর ছবি উঠে তার টাইমিং যতটুকু কমানো সম্ভব তা জানাতে পারবেন কেউ?
আমার ও জানা দরকার ISO টার আসল কাজ কি..।...
তবে বাংলাতে এবং এই টপিকেই শেষ করতে হবে অন্য কোন লিংক দিলে চলবে না
আমার ও জানা দরকার ISO টার আসল কাজ কি..।...
তবে বাংলাতে এবং এই টপিকেই শেষ করতে হবে অন্য কোন লিংক দিলে চলবে না
কম আলোতে ছবি তোলতে আইএসও কাজে দেয়। যত কম আলো হবে আইএসও তত বাড়িয়ে নিতে হবে। (কতটুকু করতে হয় বা কিভাবে করতে হবে, তা আমারও ভালোভাবে জানা নেই)
তবে যত বেশি আইএসও হবে ছবিতে তত নয়েজ আসবে।
"ক্যামেরাটা ঠিক থাক"
আজকের প্রথম আলোতে প্রকাশিত ক্যামেরা যত্ন-আত্তি বিষয়ে-
স্মৃতি ধরে রাখতে আপনার সঙ্গে ক্যামেরার বিকল্প নেই। একটা সময় ছিল যখন অ্যানালগ ক্যামেরার ব্যবহারই ছিল বেশি। এসব ক্যামেরার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে ডিজিটাল ক্যামেরার দিকে। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরা স্পর্শকাতর হওয়ায় এর ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। আলোকচিত্রী আক্কাস মাহমুদ জানালেন, ‘ক্যামেরার ব্যবহার যত বেশি, এর ক্ষতির আশঙ্কাও তত বেশি। তবে সাবধান থাকলে ক্যামেরা নিয়ে চিন্তা নেই। এসব ক্যামেরা একটু এদিক-ওদিক হলেই বিড়ম্বনা। পাছে ক্যামেরার জন্য ভ্রমণের আনন্দটাই মাটি!’
ক্যামেরার যত্ন নিয়ে কথা বলেছেন আক্কাস মাহমুদ ও বাংলাদেশে ক্যানন ক্যামেরা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জেএনএন অ্যাসোসিয়েটের জেনারেল ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল সাফী। ক্যামেরার যত্নে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করুন।
ক্যামেরার সবচেয়ে বড় শত্রু হলো পানি। তাই ক্যামেরা ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন এটি কোনোভাবেই পানির সংস্পর্শে না আসে। একই সঙ্গে ধুলোবালি থেকেও ক্যামেরাকে দূরে রাখতে হবে।
ডিজিটাল ক্যামেরা বহনের ক্ষেত্রে ভালো ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। বড় বা পেশাদারি কাজে ব্যবহূত ক্যামেরা যদি বেশি দূরের পথে ভ্রমণের জন্য বহন করতে হয়, সে ক্ষেত্রে ক্যামেরার সঙ্গে নরম কাপড় পেঁচিয়ে ব্যাগে ভরতে হবে। এতে আঘাত লেগে ক্ষতি হওয়ার ভয় থাকবে না।
ক্যামেরার লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক লেন্স থেকে অন্য লেন্স বদলাতে হবে দ্রুত। এর ফলে এতে ধুলোবালি ঢোকার আশঙ্কা কম থাকে ও লেন্স ভালো থাকে।
লেন্স নরম কাপড় দিয়ে সাবধানে পরিষ্কার করতে হবে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় ব্লোয়ার মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করলে। এতে যেমন হাতের স্পর্শ লাগবে না, তেমনি ঝুঁকিও থাকবে না।
ব্যবহারের পর ক্যামেরা থেকে ব্যাটারি খুলে রাখতে হবে। আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেমোরি কার্ড থেকে ছবি স্থানান্তর করতে হবে। কারণ মেমোরি কার্ডে ভাইরাস থাকায় ছবি মুছে যেতে পারে।
ক্যামেরায় ব্যাটারি চার্জ কম দেখালে ক্যামেরা ব্যবহার না করাই শ্রেয়। কেননা, এ রকম অবস্থায় ক্যামেরা ব্যবহার করলে ব্যাটারিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ব্যবহারের পর ক্যামেরার ব্যাটারি ফেলে না রেখে রিচার্জ করে রাখলে ব্যাটারিটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
কম্পিউটারে ছবি নেওয়ার সময় কার্ডরিডার ব্যবহার না করে ক্যামেরার সঙ্গে থাকা কেব্ল ব্যবহার করাই উত্তম। এতে ভাইরাস আক্রমণের আশঙ্কা কম থাকে।
ক্যামেরাটি ধুলোবালিহীন ও ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে এবং প্রতি ছয় মাস অন্তর সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে লেন্স পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে।
ক্যামেরায় যেকোনো ত্রুটি দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব ভালো কোনো সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান।
ক্যামেরার যত্নে ওপরের বিষয়গুলো মেনে চলুন। এতে আপনার ক্যামেরা ভালো থাকবে দিনের পর দিন।
why point and shoot camera have live view whereas d60 doesnot
sorry for English post from mobile.
ধন্যবাদ
টপিকটা জোস!
আরও টিপস চাই...
ধন্যবাদ বলেই ক্ষান্ত হইলাম না। জানাইতেছি যে আমি একখানা নতুন লেকা শুরু করিতেছি। আশা করি নিয়মিত লিখিব
স্টিকি করা টপিক কিন্তু বর্তমানে "যায়যায় দিনের" ছবি গুলো আর দেখা যাচ্ছে না তাই টিউটো গুলি ঠিক বুঝতে পারছিনা। ছবিগুলি কি রি-আপলোড করা যায় ?
প্রজন্ম ফোরাম » চারুকলা » আলোকচিত্র » ফটোগ্রাফি টিপস
০.১০৭৯৩৯৯৫৮৫৭২৩৯ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৮৬.২৬০৮৮০৪০৪১২৩ টি কোয়েরী চলেছে