Re: ফটোগ্রাফি টিপস
বাহ বাহ বেশ বেশ।
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » চারুকলা » আলোকচিত্র » ফটোগ্রাফি টিপস
আমি ঢাকায় থাকার সময় অনেক কষ্ট করে শাহীন কলেজে এ ছবিগুলো তুলেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। আসলে এরকম ছবি তোলার নিয়ম কি? আমি কিভাবে কিভাবে যেন করেছিলাম এখন মনে নেই।
সামনের অবজেক্ট ব্লার, দুরেরটা পরিষ্কার:
এখানে তার উল্টো। অথ্যাৎ, দুরের অংশটা ঘোলা, আর সামনেরটা পরিষ্কার।
আমি ঢাকায় থাকার সময় অনেক কষ্ট করে শাহীন কলেজে এ ছবিগুলো তুলেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। আসলে এরকম ছবি তোলার নিয়ম কি? আমি কিভাবে কিভাবে যেন করেছিলাম এখন মনে নেই।
সামনের অবজেক্ট ব্লার, দুরেরটা পরিষ্কার:
http://farm3.static.flickr.com/2360/219 … 14c1b7.jpgএখানে তার উল্টো। অথ্যাৎ, দুরের অংশটা ঘোলা, আর সামনেরটা পরিষ্কার।
http://farm3.static.flickr.com/2395/219 … 1df88c.jpg
প্রথমে দেখে এটা DOF কম বেশীর কারবার মনে হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে দুটো ছবির ক্ষেত্রে অবজেক্ট আলাদা আলাদা। তাই এটা DOF এর সাথে সংযোগ নাই বলেই মনে হয়। এক্ষেত্রে মনে হয় ফোকাস লেন্থ আগে পিছে করে অবজেক্ট পরিবর্তন করে তুলে ছিলেন।
এই টিপসগুলোও আজকে প্রকাশিত যায়যায়দিন পত্রিকা হতে নেয়া।
বিদেশি চোখে বাংলাদেশের শীত
চুল শুকানো : বাংলাদেশের খুব কমন দৃশ্য। কিন্তু চোখ সওয়া বলে বিষয়টি অনেকেরই হয়তো লেন্স এড়িয়ে যাবে
এমন বিষন্ন সন্ধ্যা শীতের কথাই মনে করিয়ে দেয়
লঞ্চ টার্মিনালে এমন ফ্রেম অন্য সিজনেও পাওয়া সম্ভব। কিন্তু এমন নরম আলো শীত ছাড়া আপনি পাবেন না
শেষ বিকালের সোনা রোদ (এই ছবিটা কোডারের কিছুদিন আগে আপলোড করা পদ্মার পাড়ের ছবির কথাটা মনে করিয়ে দেয়)
অনেকে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নামেই চেনেন। তারও দক্ষিণে সাগর পাড়ে এ স্থানীয় লোকটি ধরা পড়েছে রাইখম্যানের ক্যামেরায়
আমরা যারা ফটোগ্রাফির ছাত্র, হাতে ক্যামেরা, ব্যাগে ফটোগ্রাফির বই এবং আঙুলের ডগায় ইন্টারনেট, তারা প্রায়ই বিদেশি বিভিন্ন নামি ফটোগ্রাফারের ফটো দেখি আর আফসোস করি, হায় এমন সব ফ্রেম বাংলাদেশে কেন পাওয়া যায় না! পেলে নিশ্চয়ই ফাটিয়ে দিতাম।
কিন্তু বাংলাদেশে যে ফ্রেমগুলো আমাদের চোখের সামনে অনবরত ঘুরপাক খাচ্ছে আর বলছে, আমাকে তুলে নাও তোমার ক্যামেরায়, সেটি কি আমাদের চোখ পর্যন্ত পৌছায়?
কতো যে অসাধারণ মুহূর্ত আমরা পাশ কাটিয়ে চলে যাই সেটা বোঝা সম্ভব বাংলাদেশেরই ফটো যখন আমরা টাইম, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বা অন্য কোনো প্রকাশনায় দেখি।
ইনডিয়ান ফটোগ্রাফার রঘু রাই অসাধারণ সব ফটো তুলেছেন আমাদের ঢাকা শহরের। ছবি মেলা উপলক্ষে ঢাকায় এসেছিলেন মেক্সিকান ফটোগ্রাফার পেড্রো মেয়ার। সেই ১৯৮৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের অ্যাসাইনমেন্টে বাংলাদেশে এসেছিলেন স্টিভ ম্যাককারি আর বিল গেটসের সঙ্গে অল্প সময়ের জন্য গত বছর এসেছিলেন জেমস ন্যাটওয়ে।
যাদের নাম উল্লেখ করা গেল তাদের সবাই ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার। নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে এরা প্রত্যেকেই এক একজন দিকপাল। এদেরই পাশাপাশি আরো একজন ফটোগ্রাফার বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন প্রায় নীরবে। তার পরিচিতি ডকুমেন্টারি নয় বরং ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফার হিসেবে। তার নাম মাইকেল রাইখম্যান। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি তিনি অনলাইন ফটোগ্রাফিক জার্নাল লুমিনাস ল্যান্ডস্কেপের প্রতিষ্ঠাতা এবং এডিটর।
বিভিন্ন ফটোগ্রাফিক আর্টিকল, রিভিউ, টিপস, ফটো এসে (ঊংংধু) বিভিন্ন রিভিউ এবং পরামর্শের জন্য সবচেয়ে কাজের যে অল্প কয়টি অনলাইন রিসোর্স পাওয়া সম্ভব, তার মধ্যে লুমিনাস ল্যান্ডস্কেপ আপনাকে রাখতেই হবে। একই কথা বলে পিসি ম্যাগাজিনও। টেকনলজি বিষয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এ প্রকাশনাটি সারা বিশ্বে উপযোগিতার দিক থেকে সবচেয়ে কাজের ১০১টি ওয়েবসাইটের মধ্যে এটিকে রেখেছে।
এর আগে ক্যামেরা আর্টিকলে মাইকেল রাইখম্যানের লেখা প্রকাশিত হয়েছে একেবারে প্রথম দিকে। কিন্তু বড় স্পেস ছিল না বলে আমরা এতোদিন কোনো ফটোগ্রাফারের ফটো এসে ছাপতে পারিনি। রাইখম্যানের ফটো সে কারণেই ছাপা হলো তোলার দুই বছর পর।
আজকের সংখ্যায় রাইখম্যানের ফটো ছাপছি আমরা দুটি কারণে। এক. বিদেশি ফটোগ্রাফারের ফটো দেখলে খানিকটা ধারণা পাওয়া সম্ভব কোন বিষয়গুলো হরদম দেখা বলে আমাদের বাঙালি চোখ এড়িয়ে যায়, দুই. অতীত অভিজ্ঞতা বলছে একজন ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফারের বদলে ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফারই কেবল ফুটিয়ে তোলেন এ দেশের প্রকৃতির পজিটিভ বিষয়গুলো, তিন. বাংলাদেশের শীতের এমন ছবি সম্প্রতি আর কোনো বিদেশি ফটোগ্রাফার তুলেছেন বলে আমাদের চোখে পড়েনি। ফলে এ ফটোগুলো হয়তো নতুন যারা ফটোগ্রাফির চর্চা করছেন তাদের জন্য এ সিজনে অনুপ্রেরণার কাজ করবে। শীত চলে যায়নি এখনো। ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও যদি খানিকটা সময় বের করে নিতে পারেন, ঝাপিয়ে পড়–ন, দেখা যাক কোন অসাধারণ ফ্রেমটি অপেক্ষা করে ছিল আপনার জন্য।
সবশেষে বলা যায়, যদি সিরিয়াস হন আর যদি দেখার চোখটি তৈরি করে নিতে পারেন, তবে বিদেশ যাওয়া লাগবে না, ফাটিয়ে দিতে পারবেন বাংলাদেশে বসেই।
কৃতজ্ঞতাঃ
যায়যায়দিন
মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী ও পরিবর্তক ২.১.০
ছবি তোলার ক্ষেত্রে রাইখম্যানের টিপস
আমি যখন কোনো স্থানের ছবি তুলতে যাই, দিনের বেলাটি আমি গোটা এলাকাটি ঘুরে দেখি, সঙ্গে ক্যামেরা না নিয়েই। সে সময় ভেবে দেখি, ওই দিন বিকালে বা পরদিন ভোরে সূর্যের আলো ঠিক কিভাবে পাবো, কোন জায়গায় দাড়িয়ে ঠিক কিভাবে ফ্রেম ঠিক করবো।
সাধারণত আমি সন্ধ্যার চেয়ে ভোরে ছবি তোলা পছন্দ করি। ভোরের একটি স্নিগ্ধ শীতল আবেগ থাকে যেটা ঠিক সন্ধ্যায় পাওয়া যায় না। প্লাস ভোরের বাতাসে ধুলোবালিও থাকে কম। তারপরও কি সব সময় ভালো ল্যান্ডস্কেপ পাওয়া যায়? না, ভালো ছবি পাবেনই, এমন গ্যারান্টি আপনাকে কেউ দেবে না।
কৃতজ্ঞতাঃ
যায়যায়দিন
মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী ও পরিবর্তক ২.১.০
আমি ঢাকায় থাকার সময় অনেক কষ্ট করে শাহীন কলেজে এ ছবিগুলো তুলেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। আসলে এরকম ছবি তোলার নিয়ম কি? আমি কিভাবে কিভাবে যেন করেছিলাম এখন মনে নেই।
এখানে আবার DOF বোঝার ব্যপার। ছবি দুটোতে DOF কম থাকায় এরকম হয়েছে। কাজেই আপনার এরকম ছবি তুলতে যা করতে হবে -
- বড় এপারচার ব্যবহার
- জুম লেন্স হলে টেলি এর দিকে জুম করতে হবে
ব্যাস এখন কাছের কোন অবজেক্টকে ফোকাস করলে দূরের অবজেক্ট DOF কম এর কারনে আউট অব ফোকাস হবে এবং ভাইস ভার্সা।
ফটোগ্রাফি এর সব থেকে প্রথম কথা হল যত খুশি ছবি তোলা। যে ভাবে খুশি সে ভাবে তোলা।।
ডিজিটাল ছবি তুলতে তো খরচের বেপার নাই।
তারপর ছবি গুলো নিয়ে বস তে হবে।
খুত বের হলে ভাল আর না বের হলে আরেক জন কে দিয়ে বের করাতে হবে ।তার নজর থেকে ছবি তা কে দেখতে হবে।
আমি নিজে এই ভাবে কাজ করি। ছবি তুলি দেখি.।অন্য কে দেখাই আর কমেন্ট করতে বলি।
এক বারে তো কিছু হবে না.।সময় লাগবে। কিন্ত হবে।
ফটোগ্রাফি এর সব থেকে প্রথম কথা হল যত খুশি ছবি তোলা। যে ভাবে খুশি সে ভাবে তোলা।।
ডিজিটাল ছবি তুলতে তো খরচের বেপার নাই।
তারপর ছবি গুলো নিয়ে বস তে হবে।
খুত বের হলে ভাল আর না বের হলে আরেক জন কে দিয়ে বের করাতে হবে ।তার নজর থেকে ছবি তা কে দেখতে হবে।
আমি নিজে এই ভাবে কাজ করি। ছবি তুলি দেখি.।অন্য কে দেখাই আর কমেন্ট করতে বলি।এক বারে তো কিছু হবে না.।সময় লাগবে। কিন্ত হবে।
ভাল টিপস।
এতো ফটোগ্রাফি সম্পর্কে বললেন। আপনার সম্পর্কে কিছু বলবেন না (অভ্যর্থনা কক্ষে)?
ফটোগ্রাফি এর সব থেকে প্রথম কথা হল যত খুশি ছবি তোলা। যে ভাবে খুশি সে ভাবে তোলা।।
ডিজিটাল ছবি তুলতে তো খরচের বেপার নাই।
তারপর ছবি গুলো নিয়ে বস তে হবে।
খুত বের হলে ভাল আর না বের হলে আরেক জন কে দিয়ে বের করাতে হবে ।তার নজর থেকে ছবি তা কে দেখতে হবে।
আমি নিজে এই ভাবে কাজ করি। ছবি তুলি দেখি.।অন্য কে দেখাই আর কমেন্ট করতে বলি।এক বারে তো কিছু হবে না.।সময় লাগবে। কিন্ত হবে।
সহমত
আশা করি আপনার কাছ থেকে নিয়মিত ফটোগ্রাফী সংক্রান্ত টিপ্স পাবো
paurag লিখেছেন:ফটোগ্রাফি এর সব থেকে প্রথম কথা হল যত খুশি ছবি তোলা। যে ভাবে খুশি সে ভাবে তোলা।।
ডিজিটাল ছবি তুলতে তো খরচের বেপার নাই।
তারপর ছবি গুলো নিয়ে বস তে হবে।
খুত বের হলে ভাল আর না বের হলে আরেক জন কে দিয়ে বের করাতে হবে ।তার নজর থেকে ছবি তা কে দেখতে হবে।
আমি নিজে এই ভাবে কাজ করি। ছবি তুলি দেখি.।অন্য কে দেখাই আর কমেন্ট করতে বলি।এক বারে তো কিছু হবে না.।সময় লাগবে। কিন্ত হবে।
সহমত
আশা করি আপনার কাছ থেকে নিয়মিত ফটোগ্রাফী সংক্রান্ত টিপ্স পাবো
এই পদ্ধতি হলো গাইতে গাইতে গায়েন হওয়ার মত। অনেকটা আমাদের দেশে সঙ্গীত নিয়ে এখন যা চলছে, পারফেকশনের কোন বালাই নাই। অনেক ছবি তুলতে তুলতে হয়তো পারফেকশন আসবে ধীরে ধীরে তবে পারফেকশন আনার জন্য আগে থেকেই জানা থাকতে হবে কীভাবে তা আসে। চেষ্টা করতে করতে পারফেকশন আনার চিন্তাধারার সাথে ডিজিটাল ফটোগ্রাফির সহজলভ্যতার সম্পর্ক আছে তাতে সন্দেহ নাই। তবে আমি বলব আগে থিওরী তারপর প্রাকটিক্যাল।
এই পদ্ধতি হলো গাইতে গাইতে গায়েন হওয়ার মত। অনেকটা আমাদের দেশে সঙ্গীত নিয়ে এখন যা চলছে, পারফেকশনের কোন বালাই নাই। অনেক ছবি তুলতে তুলতে হয়তো পারফেকশন আসবে ধীরে ধীরে তবে পারফেকশন আনার জন্য আগে থেকেই জানা থাকতে হবে কীভাবে তা আসে। চেষ্টা করতে করতে পারফেকশন আনার চিন্তাধারার সাথে ডিজিটাল ফটোগ্রাফির সহজলভ্যতার সম্পর্ক আছে তাতে সন্দেহ নাই।তবে আমি বলব আগে থিওরী তারপর প্রাকটিক্যাল।
(y)
কিন্তু থিওরীর সাথে সাথে প্রাকটিক্যাল হলে ভালো হয়।
আজকের টিপসের বিষয় হলোঃ নেচার ফটোগ্রাফি-ওয়াইল্ড লাইফ, যায়যায়দিন হতে নেয়া
পাখির ডানা ঝাপটানোর ছবি
পেঙ্গুইন : উচু বরফের স্তূপ থেকে ঝাপিয়ে পড়ছে হিমশীতল পানিতে
এমন চুপচাপ কেবল হঠাৎ ভেসে ওঠা মাছ শিকার করার জন্যই
শামুক খুব কম সময়ই খোলস ছেড়ে বের হয়
আদুরে ঘুমের সঙ্গে সাপের সম্পর্কÑ এ ছবিটি না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন
পাখির উড়ে যাওয়ার গতিশীল ভঙ্গি আর উদ্দাম ঢেউ এ ফটোর অসাধারণ টাচ
লোকালয়ে এমন সাদা বাঘ পৃথিবীর এক স্থানেই পাওয়া সম্ভব
যদি ঠিকমতো তুলতে পারা যায়, নেচার ফটোগ্রাফি হতে পারে আপনার জন্য এক অসাধারণ ইমোশনাল এক্সপেরিয়েন্স। নিজের হাতে অসাধারণ এক মুহূর্ত ধরে ফেলার এ অনুভূতি কপাল ভালো থাকলে একবারই পাবেন আপনি। যে অসাধারণ ছবিটি তুললেন, সারা জীবনে আর কারো কাছেই প্রকৃতি এভাবে ধরা দেবে না। তবে হ্যা, এমন ফটো তোলার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ এলেম দরকার হবে আপনার।
ভেবে দেখুন, এমন উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে এমন মিতালি তৈরি করে স্বাধীন পাখিটি আর কখনো এভাবে কারো লেন্সের সামনে দিয়ে উড়ে যাবে? বা ওপরের পাখি দুটি এভাবে ডানা ঝাপটাবে আর এমন আলো কি পাওয়া যাবে, বা ওই সাপটিকেই কি এমন আদুরে ভঙ্গিতে কখনো পাবেন আপনি?
কি লাগে নেচার ফটোগ্রাফির জন্য? আপনাকে অনেকখানি এগিয়ে দেবে সহজ কিছু টিপস, যদি ইন্টারনেট কানেকশন হাতের নাগালে থাকে তাহলে অনেক ফ্রি অনলাইন কোর্সও পেয়ে যাবেন আপনি। ডিজিটাল এসএলআর (অন্য ক্যামেরা হলে চলবে না, এমন নয়), ম্যাক্রো এবং টেলি লেন্স, ট্রাইপডসহ দরকারি টুলস আগেই নিয়ে রাখতে হবে আপনাকে।
ওয়াইল্ডলাইফ ফটোর বেলায় সবচেয়ে জরুরী হলো যে প্রাণীর ফটো তুলছেন তার সম্পর্কে পরিষ্কার জ্ঞান রাখা। ধারণা হলে চলবে না, আপনাকে ঠিক ঠিক জানতে হবে। যেমন ধরুন একটি কেউটে সাপ ঠিক কতো দূর পর্যন্ত ফনা বাড়িয়ে ছোবল মারতে পারে, এ বিষয়ে কেবল ধারণা নিয়ে ফটো তুলতে যাওয়া কি ঠিক হবে? বা প্রজননের সিজনে কুমিরের মেজাজ কেমন থাকে সেটি কি জানেন আপনি? কোন প্রজাপতি কোন সিজনে কোন ধরনের ফুলে বসে সেটি কি দরকারি বই না পড়েই জানা সম্ভব?
এসবের বাইরে আরো দুটি জিনিস দরকার। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় হতেই হবে আপনাকে। স্রেফ ফটোর জন্যই মাইলের পর মাইল হাটার দরকার হতে পারে। কোনোভাবেই ওয়াইল্ডলাইফ ফটোর সাবজেক্ট আপনার ড্রয়িং রুমে বা স্টুডিওতে এসে পোজ দেবে না। অসাধারণ একটি ফটোর জন্য দীর্ঘ ধৈর্যের দরকারও হবে আপনার।
কৃতজ্ঞতাঃ
যায়যায়দিন
মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী ও পরিবর্তক ২.১.০
ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফির কোন বিষয়ে মনোযোগ দেবেন
আপনি যতোই ক্যামেরা, লেন্স, লাইট সম্পর্কে জানুন সে তথ্য কোনো কাজে আসবে না, যদি না আপনি সাবজেক্টকে ঠিকমতো জানেন। যার ফটো তুলবেন সে প্রাণীর প্রজাতি, আবাস, ফ্যামিলি গ্রুপ সম্পর্কে জানুন। প্রাণীটির স্বভাব সম্পর্কে যতোদূর সম্ভব পড়াশোনা করুন। অনেক প্রাণীই অন্য বন্য প্রাণীর উপস্থিতিকে এক রকম আবার মানুষের উপস্থিতিতে ভিন্ন আচরণ করে।
আপনার ক্যামেরা এবং লেন্স কি করতে পারে, সেটি জানার চেয়ে এর সীমাবদ্ধতা জানার চেষ্টা করুন। ওয়াইল্ডলাইফ কাটেগরির অনেক ফটোর বেলাতেই লং টেলিফটো লেন্স দরকার হবে। ইকুইপমেন্টের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি করা সম্ভব নয়। অভিজ্ঞ অন্য ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। জেনে নিন কোন কোন সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ভুল এড়ানোর জন্য। এমনও হতে পারে অসাবধানে একটি ভুলের জন্যই ভেস্তে যেতে পারে গোটা দিন।
ওয়াইল্ডলাইফ হলো ফটোগ্রাফির অন্যতম সেক্টর যেখানে সেকেন্ড চান্স বলে কিছু নেই। আপনি হয়তো ক্যামেরা ঠিক করে চিফ অ্যাডভাইজর বা আর্মি চিফকেও অনুরোধ করতে পারবেন আরো একবার হ্যান্ডশেক করার জন্য, যাতে আপনি আরো ভালো করে ছবিটি তুলতে পারেন, কিন্তু যে পাখি উড়ে গেছে, সেটি গেছেই। আর ফিরে আসবে না এ জীবনে। এ জন্য প্রাণীর স্বভাব বোঝা জরুরি। চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্ক হতে পারে এ জন্য আদর্শ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আপনি ভালো ফটো পেলেন কি না, তাতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু বন্য প্রাণীর কোনো রকম ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো কাজ করা অন্যায়। যতোদূর সম্ভব বন্য প্রাণীর এলাকায় কম অবস্থান করুন। এমন আচরণ এড়িয়ে চলুন যা বন্য প্রাণীর জন্য অস্বস্তির কারণ হয়। আর দলে যথা সম্ভব কম সদস্য নিন, এতে আপনার কাজেও সুবিধা হবে এবং বন্য এলাকা নষ্ট করার ঝুকি কমে যাবে।
আজকের ফটোগুলো নেয়া হয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ইয়োর শট নামের নিয়মিত প্রতিযোগিতা থেকে। কাজেই এতো সাবধানতার পরও এটা পরিষ্কার যে, এ ফটোগুলো আমার আপনার মতো সাধারণ ফটোগ্রাফাররাই তুলেছেন, তারা কোনো অসাধারণ খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার নন। এর মানে হচ্ছে যদি সময় দিতে পারেন আর যদি নিজের সেন্স তৈরি করে নিতে পারেন, আপনিও ধরতে পারবেন এমন সব মুহূর্ত। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভবত সঠিক মুহূর্তে নিজের ভেতরে আপনাআপনিই একটি অনুভূতি টের পাওয়া যে, এখুনি শাটার টেপার সময়। সেটি যদি আপনি আয়ত্ত করতে পারেন, আপনি জিতে গেলেন।
কৃতজ্ঞতাঃ
যায়যায়দিন
মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী ও পরিবর্তক ২.১.০
চমৎকার হচ্ছে সিরিজটি
আপনাকে, অন্যান্য অংশগ্রহনকারীকে এবং যায়যায়দিনকে এজন্য ধন্যবাদ।
অফটপিক: সাদা বাঘের কোন ছবি দেখলাম না:(
ডেফথ অফ ফিল্ড (DOF) কন্ট্রোল করার মাধ্যমে ছবি কত সুন্দর হতে পারে -তার নমুনা এই ছবিটি। আজকে ফ্লিকারে মোঃ জিয়াউল হকের সাইটে পেলাম ।
ডেফথ অফ ফিল্ড (DOF) কন্ট্রোল করার মাধ্যমে ছবি কত সুন্দর হতে পারে -তার নমুনা এই ছবিটি। আজকে ফ্লিকারে মোঃ জিয়াউল হকের সাইটে পেলাম ।
http://farm3.static.flickr.com/2417/214 … 9f4d_o.jpg
ফুলের কোণাগুলো দেখে মনে হচ্ছে এডিট করা ছবি
ফুলের কোণাগুলো দেখে মনে হচ্ছে এডিট করা ছবি
আমারও তাই মনে হচ্ছে।
আচ্ছা আমার Sony Cybershot আছে। আমি ঠিক জানি না কিভাবে সেটিংস পরিবর্তন করলে কাছের জিনিস স্পষ্ট আর দূরেরটা অস্পষ্ট আসবে, কিংবা উল্টোভাবে। আপনারা DOF-এর ব্যাপারটা যা বলেছেন তা আমি বুঝেছি। কিন্তু আমার Digital Cameraটাকে কিভাবে কাস্টমাইজ করব যাতে সেটা কাছের জিনিস স্পষ্ট আর দূরেরটা অস্পষ্ট দেখাবে।
ধন্যবাদ
আচ্ছা আমার Sony Cybershot আছে। আমি ঠিক জানি না কিভাবে সেটিংস পরিবর্তন করলে কাছের জিনিস স্পষ্ট আর দূরেরটা অস্পষ্ট আসবে, কিংবা উল্টোভাবে। আপনারা DOF-এর ব্যাপারটা যা বলেছেন তা আমি বুঝেছি। কিন্তু আমার Digital Cameraটাকে কিভাবে কাস্টমাইজ করব যাতে সেটা কাছের জিনিস স্পষ্ট আর দূরেরটা অস্পষ্ট দেখাবে।
ধন্যবাদ
Sony Cybershot এর কোন মডেল সেটি বলেননি...
DOF নিয়ন্ত্রণের জন্য মোটামুটি ভালো মানের ক্যামেরার প্রয়োজন হয়। সনি সাইবারশট বিগিনার লেভেল ক্যামেরা, তাই এটি দিয়ে ঠিকমত DOF নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
তবে ম্যাক্রো মোড দিয়ে ছবি তুললে কাছেরটা স্পষ্ট আর দূরেরটা অস্পষ্ট আসবে।
আর দূরের কোন অবজেক্টে ফোকাস লক করে নিয়ে এরপর কাছের অবজেক্টটা ফ্রেমে নিয়ে আসলে দূরেরটা স্পষ্ট এবং কাছেরটা অস্পষ্ট আসবে। বেশিরভাগ ক্যামেরায় ফোকাস লক করা যায় শাটার অর্ধেক প্রেস করে।
প্রজন্ম ফোরাম » চারুকলা » আলোকচিত্র » ফটোগ্রাফি টিপস
০.১০২৮৩৩০৩২৬০৮০৩ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৮৮.২০৪১৭৯৪৪২৭৭১ টি কোয়েরী চলেছে