টপিকঃ ব্যাখ্যাতীত তথ্য নিয়ে (প্যারানরমাল সিরিজ - এক্টোপ্লাজম)
আগেই বলে দিচ্ছি, এই সিরিজের কোনো কিছুই কাউকে জোর পূর্বক বিশ্বাস করানোর জন্য না বরং শুধু মাত্র জানানোর জন্য 'ইফ সামথিং ইজ রিয়েলী আউট দ্যয়ার'। আমি এই সিরিজে প্যারানরমাল ঘটনাবলী নিয়ে ব্যাখ্যাতীত কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো। কতটুক সত্য সেটা যাচাই করা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া সাড়া জাগানো হরর মুভি The Haunting in Connecticut যদি কেউ দেখে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনারা এই নিম্নোক্ত পোস্টারটির সাথে পরিচিত -
এই বাচ্চাটির মুখ থেকে যেটা বের হচ্ছে উপরোক্ত ছবিতে সেটাই এই টপিকের আলোচ্য বিষয়, যার নাম - এক্টোপ্লাজম। এটা ডেফিনিটলি বায়োলজীর এক্টোপ্লাজম নয় দিস ইস সামথিং ইন বিট্যুইন নন-বায়োলজিক্যল এবং বায়োলজিক্যল এক্সিসটেন্স। যেটার নামকরণ করেন ফ্রেনচ সাইক্যলজিস্ট চার্লস রিকেট। বলা যেতে পারে এটা একটা পদার্থ যেটা ফিজিক্যল মিডিয়াম হিসেবে কাজ করে। আরেকটু ডিটেইলসে বলা যেতে পারে এটার মধ্যে অদৃশ্য আত্না থাকতে পারে, এর দ্বারা কোনো মৃত মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যেতে পারে অথবা এর মধ্যে অদৈব কোনো শক্তি লুকায়িত থাকতে পারে। এটা মানুষের শরীরের কান, চোখ বা মুখ এই তিন ইন্দ্রিয় দিয়ে বের হতে পারে। যেমন -
বিখ্যাত গোয়েন্দা কাহিনীর লেখক আর্থার কোনান ডয়েল ডিফাইন করেছেন এক্টোপ্লাজম হলো "এক ধরনের ঘণ, কঠিন এবং তরলের মাঝামাঝি রকম পদার্থ যেটা অন্য যে কোনো অবস্থার পদার্থ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং কঠিন পদার্থে রূপান্তরিত হয়ে কঠিনের মত আচরণ করতে পারে"।
এক ক্যানাডিয়ান সাইক্যলজিস্ট মি. ক্রফোর্ড এই পদার্থের উপর বার বার এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন যেখানে তিনি মিডিয়াম হিসেবে রেখেছিলেন ক্যথলিন নাম এক মহিলাকে। যাকে নিয়ে করা বিভিন্ন পরীক্ষা থেকে তিনি এমন কিছু ছবি তুলতে পেরেছিলেন যেগুলা তখনকার সময়ে প্যারানরমাল স্টাডিতে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
এবার চলুন এক নজরে জেনে নেই এক্টোপ্লাসম সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য:
* ধারণা করা হয় যে এটি শুধু মাত্র ঘুটঘুটে অন্ধকারে সৃষ্টি হতে পারে, এবং এর উপস্থিতি লিটারেলী কেবল ফিল করা সম্ভব। তবে যদি ধরে দেখা যায় তাহলে হয়তোবা ঠান্ডা কোনো অনুভূতি আপনার কাধ বেয়ে নেমে যেতে পারে।
* এর গন্ধ কিছুটা ওজোন গ্যাসের মতো, এবং অদৃশ্য অবস্থায় এটার মধ্যে আত্নাদের ডিমেনশন খুজে পাওয়া সম্ভব। অনেক সময় আত্না নিজের আকৃতি তৈরী করার জন্যও এটা ব্যবহার করতে পারে মাধ্যমের শরীরে।
* এটি নির্গমন হবার সময় এক ধরণের ফেইক হাতের মত আকৃতি সৃষ্টি করতে পারে যেটা কোনো কিছু ধরে রাখা বা ছুড়ে ফেলার মতই শক্তিশালী
কি শুনে ভয় পেয়ে গেছেন?
আসলে সায়েন্টিফিকলী এটার কোনো ভিত্তি নেই। কারণ আরেক সাইক্যলজিস্ট ড. এডমুন্ড এক্টোপ্লাসমের বিভিন্ন স্টাডির উপর গবেষনা করে উপনীত হন যে এসব ছবিতে যেটা বের হচ্ছে সেটা আর কিছুই না মুসলিন কাপড়। এছাড়াও অনেকে মনে করে ডিমের সাদা অংশ, সাবানের ফেনা, চ্যিউড কাগজ এইসব ব্যবহার করে মানুষকে ধোকা দিয়েছিলো এক্টোপ্লাসম বিশ্বাসীরা। এই বিশ্বাস আসলে মানুষকে তার ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিতে পারে তাই এটা নিয়ে 'অপটিক্যল কন্ট্রোল প্লেইন রিক্যয়ারমেন্টস' নামক সংস্থা ব্যপক রিসার্চ করেছে। এবং তারা বলেছেন যে এটা আসলে মডার্ণ স্পিরিচুয়্যলিস্টদের একটা সহজ পন্থা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বা তাদের বিভ্রান্ত ধারণার ভিত্তি স্থাপন করার জন্য।
যদিও অসংখ্য ফটাগ্র্যফারের ছবিতেই এই ধরণের ধোয়াময় পদার্থের উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে পরবর্তীতে কিন্তু সেগুলোর পিছনে যথেষ্ট পারিপার্শিক কারণ দাড় করানো যায়। কুয়াশা, বাতাস বা মুখ থেকে বের হওয়া সিগারেটের ধোয়া অথবা ঠান্ডা নিশ্বাস।
তবে আসলেই কি কোনোকিছু পুরোপুরি ভাবে এই বিতর্কিত ফিনামেনন কে হোক্স প্রমাণ করতে পারে? হয়তোবা আসলেই কোনো ব্যাখ্যাতীত কিছু লুকিয়ে আছে এই পদার্থের ভিতর... ?!?!?!
----- বি:দ্র: সবগুলো সোর্সই আমি চেষ্টা করেছি লেখার ভিতরে সাইট করে দেয়ার জন্য তাই আলাদা করে দিলাম না। আবারও বলছি এটা সম্পূর্ণ মাঝামাঝি পার্সপেক্টিভ থেকে আমি ইনফোরমেশন তুলে ধরেছি, এরপর বিইং ড়্যাশনাল অর বিইং ইড়্যশনাল ডিপেন্ডস অন ইউ!! -----
আমার ইন্সপায়রেশন এবং আপনাদের ফার্দার ইন্টারেস্টের জন্য দেখুন দিস ডক্যুমেন্টরী