Re: ইলিশ কিনে ইলিয়াস ভাই বাড়ি ফেরার পথে...
আরও কতদুর গড়ায় দেখার অপেক্ষায় আছি। সবাই চমৎকার লিখছেন।
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » বিবিধ » হাসির বাক্স » ইলিশ কিনে ইলিয়াস ভাই বাড়ি ফেরার পথে...
আরও কতদুর গড়ায় দেখার অপেক্ষায় আছি। সবাই চমৎকার লিখছেন।
নাহ ইলিশ টা কি শেষ হবে না?
শান্ত বালক লিখেছেন:জেলাল : মামা-ভাগ্নে হইবো আর চাচা-ভাস্তে হইবো না - এইডা আমি মানি না। ইলিয়াস চাচারে ছাড়া আমি খামুই না।
দৌড়ানোটা মনে হয় ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ে। ঘন্টা খানিকের মধ্যে ঢাকা শহরের প্রায় অর্ধেক মানুষ ইলিয়াস ভাইয়ের পেছনে দৌড়াতে শুরু করলো। সবার মুখেই ধর ধর রব......
দারুন হয়েছে। খুব মজা পেলাম। এর পরে কি হবে.....
নাহ ইলিশ টা কি শেষ হবে না?
![]()
![]()
![]()
![]()
গল্প কিন্তু শেষ হায় নাই।
ইলিয়াস ভাইয়ের পেছনে অর্ধেক ঢাকা শহর দৌড়াইতেছে......
তারপর কি হলো...???
আমাদের অবশ্যই জানতে হবে।
দৌড়াতে দৌড়াতে ইলিয়াস ভাই হঠাৎ একটা ম্যানহোলের মধ্যে পড়ে গেলেন। ঘটনা হঠাৎ হওয়ায় ক্রেজি জনগন কিছু বুঝতে না পেরে দৌড়াইতেই থাকে! )
ইলিয়াস ভাই উহার ভিতর থেকে উঠে দেখেন যে কেউ নেই, আহ কি আনন্দ!
জনগন কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর যখন বঝতে পারে যে তাদের সামনে আসলে কেউ নাই তখন তারা সোওওওজা u-turn নেয় আর ফিরে এসে দেখে একটা ম্যানহোল! ক্রেজি জনতা জনে জনে ম্যানহোলের মধ্যে লাফ দেয়! ) তবে ততক্ষণে ইলিয়াস ভাই গায়েব!
তারপর জনতা ম্যানহোলের চিপা থেকে বের হয় আর তীব্র রাগে বলে ওঠে, "এবার খাইছি তরে!"
আমি বাচ্চা মানুষ, ফোরামিক হিসেবে তো একেবারেই নাদান! ইলিয়াস ভাই, বেয়াদবি নিবেন না!
বাহ গল্পের মোড় পুরাই পাল্টে গেছে
@ কাব্য হাসির বাক্সে কারো মাইন্ড খাওয়া এলাউ না যতক্ষন না আপনি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন বা হেয় করছেন ।
ভালই লাগছে। পড়ছি আর হাসছি। চালিয়ে যান আপনারা।
মিলিত গল্প যত আগাচ্ছে ততই হাসছি ।
এ মন একটা গল্প কোথায় পড়েছি বলে মন হচ্ছে। ও আচ্ছা মনে পড়েছে। গোপাল ভাড়ের কাহীনিতে
ম্যানহল থেকে ইলিয়াস ভাই উঠলেন । সবাই তখন যে যেখানে পারছে ম্যানহলের ভেতরে ঝাপিয়ে পড়ছে। কাদা মেখে ভুত তিনি ! হটাত সামনে উড়ে এসে পরল পলাশ । এবং সয়ং তার আব্বাজানকে চিনতে পারল না বলল ব্রাদার এখানে একজন ইলিশ ওয়ালা মুরুব্বি ঝাপ মেরেছেন । তিনি কি ধরা খেয়েছেন? ইলিয়াস ভাই কথা বারালেন না। বললেন এখনও ওই মুরুব্বি ম্যানহলে গোল্লা ছুট খেলছেন । আপনি আল্লার নাম বলে ঝাপিয়ে পড়ুন
। পলাশ চোখ মুখ বুজে আল্লাহ হুয়াকবার বলে ম্যানহলে ঝাপিয়ে পড়ল।
জাক !! এক আপদ গেছে ! এখন কোন ভাবে আজ রাত কোথাও মাথা গুজে পার করে দিতে পারলেই হয় । ভালই আক্কেল হয়ছে । আর জীবনেও তিনি ইলিশ কিনবেন না। অসময়ে ইলিশ কেনার ভালই উসুল দিতে হচ্ছে ।
কাদামাখা অবসস্থায় তিনি এলিফেন্ট রোড দিয়ে হেটে চলেছেন । কোথায় যাওয়াযায় ভাবতে ভাবতে তার মনে পড়ল আজ রাত দোকানেই কাটিয়ে যেয়া যাক । কিন্তু চাবি রেখেছেন শান্ত বালকের কাছে । যাবে নাকি তার কাছে ।
নাহ !! পাগলে পাইছে আমারে ? নিজেকেই শাসালেন তিনি । শান্ত বালক নাম হলেও শান্ত সে মোটেও না । কি সুন্দর একটা জাঁদরেল ইলিশ কিনে ফিরছিলেন তিনি । এতক্ষনে ইলিশ তার পেট এ লাফালাফি করত আর তিনি কি সুন্দর হাত পা ছড়িয়ে বিছানায় গা এলিয়ে ঘুমাতেন। এই শান্ত বালকই সব গুবলেট করে দিল । জত্তসব। এই শান্ত বালক সব নষ্টের গোঁড়া । ভাবতে ভাবতে গায়ের রক্ত গরম হয়ে গেল ইলিয়াস ভাইয়ের
। ভেতর থেকে যুদ্ধের ডাক পেলেন ! আজ শান্ত বালকের এক রাত তো তার আরেক রাত । কোমরে গামছা বেধে শান্ত বালক কে শেষ যেখানে দেখেছিলেন সেদিকে রওনা দিলেন তিনি । নিউ মার্কেট পর্যন্ত এসে দেখলেন উদাসীন সম্পূর্ণ উদাসীন হয়ে কালি গোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আপন মনে কি যেন বিড়বিড় করছে ।
ইলিয়াস ভাই ভাবলেন ভালই হল । সাথে উদাসীন কে নিয়ে যাই ।
কাছে গিয়ে ইলিয়াস ভাই ডাক দিলেন উদাসীন কে । বাজখাই গলায় বললেন ওহে উদাসীন , এতো রাতে তুমি এখানে কি করো ? উদাসীন ঢুলুঢুলু চোখে আঁকাস থেকে চোখ নামিয়ে ইলিয়াস ভাইয়ের দিকে তাকালেন । কিন্তু কাদা মাখা সরিলে যেখানে পলাশ তার বাপ কেই চিনতে পারে নি সেখানে উদাসীন তো কোন ছার ! সে দেখল পেট মোটা আধো মানুষ আর আধো কাদার তাল তার সামনে দাড়িয়ে তাকেই ডাকছে । ডাকছে তো না যেন গর্জন করছে ।
উদাসীন ভাই ভাবলেন তার শেষ দিন উপস্থিত ! এবং তিনিও চোখ কান বন্ধ করে বিকট চিৎকার করে পিছন দিকে দিলেন ছুট !
ইলিয়াস হত বিহম্বল হয়ে দাড়িয়ে রইলেন , যাই হোক শেষ মেস তিনি আবার রওনা দিলেন শান্ত বালকের সন্ধানে । মনে তার ধিকি ধিকি আগুন
উদাসীন ভাই ভাবলেন তার শেষ দিন উপস্থিত ! এবং তিনিও চোখ কান বন্ধ করে বিকট চিৎকার করে পিছন দিকে দিলেন ছুট !
গল্প চরম এগুচ্ছে
ম্যানহল থেকে ইলিয়াস ভাই উঠলেন ।
.......
ইলিয়াস হত বিহম্বল হয়ে দাড়িয়ে রইলেন , যাই হোক শেষ মেস তিনি আবার রওনা দিলেন শান্ত বালকের সন্ধানে । মনে তার ধিকি ধিকি আগুন
দারুন লিখেছেন ভাই। কাহিনী এমন এক জায়গায় শেষ হয়েছে যে, অঘোষিত নিয়মানুসারে আমি তো পরবর্তী অংশে হাত দিতে পারছি না। দেখা যাক, পরবর্তীতে কাহিনীর কি চমক অপেক্ষা করছে।
ওদিকে শান্ত বালক মাঠ থেকে ফেরার সময় একটা ব্যাং ধরে এনেছে সেটার আগা পাস তলা ইত্যাদির ভাল মতন ছবি তুলে ফোকাসে মেরে দেবে বলে। ইদানিং যাই পাচ্ছেন তাই ফোরামে পোস্ট করছেন (মা, খা, ন)। কারণ আর কিছুই না । ৮৯৭ টা সম্মাননা হয়ে গেছে তার । ১০০০ পুরা করেই ছাড়বেন তিনি এই শীতে । গোপন নিউজ পেয়েছেন হাঙ্গরিকোডার ১০০০ সম্মাননা হলে পরে তাকে মডু রেখে দিতে পারেন । মেহেদি৮৩ কে তিনি কয়েক হাত দেখে নেবেন তখন হ্যা । ইদনিং বেশ মডুগিরি দেখচ্ছে সে (মা খা এন)
যাই হোক ব্যাং এর কয়েকটা ছবি তুলে তিনি খেয়ে দেয়ে আরাম করে ঘুমাতে গেলেন। ব্যাং টা যেন না মরে তাই পানির জগে সেটাকে ছেড়ে দিলেন তিনি ।
আর এইদিকে ইলিয়াস ভাই চরম রাগে ফুসতে ফুসতে শান্ত বালকের বাসার দিকেই আসছিলেন । বাসার কাছাকাছি পৌঁছেই তার সামনে পড়ে গেল ফারহান খান ওরফে মূর্খ ।
ইলিয়াস ভাই ভাবলেন এই মূর্খটাকে ধরে নিয়ে যাই । শান্ত বালক কে মারধর করতে সুবিধে হবে তখন । মূর্খ মানুষ বুঝিয়ে রাজি করান সহজ হবে।
আগের বার উদাসীন তাকে দেখে পালিয়েছিল। তাই একে হঠাত ধরতে হবে । যেন না পালাতে পারে তাই ইলিয়াস ভাই চুপিচুপি ফারহান খানের ২ হাত কাছে চলে এলেন । ঝাপিয়ে পড়ে তিনি ফারহান খান কে ধরলেন ।
প্রথমে চমকালেও ফারহান খান ঠিক চিনতে পারলেন ইলিয়াস ভাইকে তার পান খাওয়া দাত দেখে ।
ফারহান :আরে চাচা মিয়া আপনার গায়ে এগুলা কি ?
ইলিয়াস:এগুলা শিন্নী , খাবি ??
ফারহান :শিন্নী কই , আমি তো দেখি কাদা !!
ইলিয়াস:আরে মূর্খ কাদাই দেখছিস আবার প্রস্ন করছিস কেন ?
ফারহান : তা এখানে কি করছেন এতো রাতে ?
গলার সর খাদে নামিয়ে ইলিয়াস ভাই এদিক ওদিক চেয়ে বললেন , শুন ... কানে কানে বলি ...
চাচা মিয়া কানে কানে না, কানে মুখে বলে ওটাকে , গালের দাত সব বের করে বললেন ফারহান খান ।
ক্ষণিকের জন্য ইলিয়াস ভাইয়ের মনে হল এই মূর্খের সাথে কথা বলে আমি নিজেও মূর্খ হয়ে যাব
শান্ত বালক লিখেছেন :
অঘোষিত নিয়মানুসারে আমি তো পরবর্তী অংশে হাত দিতে পারছি না। দেখা যাক, পরবর্তীতে কাহিনীর কি চমক অপেক্ষা করছে।
নেন ভাই , এখান থেকে শুরু করেন
চরম। এগিয়ে যান ।
৬ ঘণ্টা তো হয়ে গেল... গল্পের পরের অংশ কই?
চরম হচ্ছে!!
কেউ কি আর লিখবেন না ? নাকি এখানেই শেষ
কেউ লিখেন.......... প্রয়োজনে এটার পিডিএফ করে একত্র করা হবে। আমাদের আল আমিন ভাই তো আছেন ই
জার পোস্ট তার খবর নাই
![]()
![]()
![]()
জার পোস্ট তার খবর নাই
ভাই, গল্পের বাকী অংশটা আমি লিখতে চেয়েছিলাম অবশ্য। কিন্তু আজ খুব ব্যাস্ত থাকায় রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত ফ্রি হয়ে নেটএ বসার সুযোগ পাইনি। পরে কেন জানি আজ মাথায় রম্য আইডিয়া এলো না।
প্রজন্ম ফোরাম » বিবিধ » হাসির বাক্স » ইলিশ কিনে ইলিয়াস ভাই বাড়ি ফেরার পথে...
০.০৬৮৯৭৪৯৭১৭৭১২৪ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৮৪.৯৩৬৫৬৫০৫৬৫৮৪ টি কোয়েরী চলেছে