অনেক বেশী ভাল লাগলো টিমওয়ার্কের তৈরী গল্প টি
সকাল ৭ ঘটিকা
ইলিয়াস সাহেব বুঝতে পারলেন যে, স্বপ্নে তিনি সুন্দরবনে গিয়ে ছিলেন কিন্তু ইলিশ মাছের ঘটনাটি সত্য যা হপ্তা খানিক আগে ঘটে ছিল। দস্যু এর কথা শুনে মাথায় যে ফর্মুলা মাখছেন তাতে ভালোই কাজ হয়েছে। কিন্তু তার নাকের ডগায় একটা মস্ত ইলিশ ঝুলছে কেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
পলাশঃ আপনি তো আমার ওপরে অনেক রাগ গত সপ্তাহে আপনার মাছ খেয়ে ফেলার জন্য। তাই আপনার জন্য এটা নিয়ে আসলাম।
ইলিয়াসঃ তুমি নিজের টাকা দিয়ে এতো বড় মাছ কিনেছ !?
পলাশঃ ইয়ে মানে না ! আসলে হৃদয়[ইনি থাকেন আমাদের প্রতিবেশী দেশে, খুবই মিশুক ও রসাল ব্যাক্তি] দাদা ভারত হতে বাংলাদেশে এসেছেন আপনার হাতে রান্না করা পদ্মার ডিম ওয়ালা শর্ষে ইলিশ খাবার জন্য। মাছ কেনার টাকা তিনিই দিয়েছেন। এখন তিনি আপনার ড্রয়িং রুমে অবস্থান করছেন।
ইলিয়াসঃ ওহ, তাই নাকি !?
এক সপ্তাহে ইলিশের ওপরে রাগ ইলিয়াস সাহেবের অনেক কমে গেছে। মনে মনে ভাবছেন কিভাবে সুস্বাদু ইলিশ রান্না করা যায়। ইউ টিউবে সার্চ দেবেন কিনা তা চিন্তা করছে ! এরি মধ্যে হৃদয় তার ঘরে এসে গেলেন।
হৃদয়ঃ ভাইজান কেমন আছেন ?
ইলিয়াসঃ কোন রকম আছি !! সকালে পলাশ এর মুখ দেখে দিন শুরু হলো এখন পুরা দিন কেমন যায় তা নিয়ে টেনশনে আছি।
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং
ইলিয়াসঃ হ্যালো কে ?
জাবেদ ভুঁইয়াঃ স্যার আমি জাবেদ[ ইনি ডজন খানিক বাংলা ফোরামের মালিক]।
ইলিয়াসঃ ফোরাম জাবেদ ভুঁইয়া নাকি ?
জাবেদ ভুঁইয়াঃ জি। স্যার। একটি গুরুতপূর্ণ তথ্য দেবার জন্য ফোন করে ছিলাম
ইলিয়াসঃ জলদি বলো, আমার টাইম নাই।
জাবেদ ভুঁইয়াঃ স্যার, আপনি জেনে খুশি হবেন যে, বাংলাদেশের বাংলা ফোরামের ইতিহাসে প্রথম ইলিশ মাছ নিয়ে একটা ফোরাম খুলেছি আমি। যদি আপনি এর সদস্য হতেন তবে আপনারে মডু বানিয়ে দিতাম।
ইলিয়াসঃ ইলিশ মাছ রান্না নিয়ে কিছু আছে আপনার ফোরামে ?
জাবেদ ভুঁইয়াঃ গুড আইডিয়া। এখনি ইলিশ মাছ রান্না নিয়ে আলাদা একটা বিভাগ খুলছি ফোরামে। বাই।
হৃদয়ঃ কে ফোন করে ছিল ?
ইলিয়াসঃ ফোরাম জাবেদ ।
হৃদয়ঃ ওহ । নতুন কোন ফোরাম খুলেছে নাকি ? কি ইঞ্জিন ? ফ্রী ডোমেইন নাকি পেইড ?
ইলিয়াসঃ আরে বাদ দেন। এখন বলেন এতো বড়ো মাছ আমরা কিভাবে খাব ?
হৃদয়ঃ আরেক জনকে ডাকলেই হবে।
ইলিয়াসঃ রাসেল আহমেদ [গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও মাইবিবি/পানবিবি ইঞ্জিন সহ আরো কিছু বিবির এক্সপার্ট]কে ডাক দেই (মনে মনে ভাবছেন এই চামে তার কাছ হতে ফটোশপ শেখা যাবে dancing )
সকালের নাস্তাতে বিক্রমপুরের মিষ্টি খেয়ে হৃদয় দাদা খুশিতে গদ গদ।
সকাল ১০ ঘটিকা
ইলিয়াস সাহেব পলাশ কে পাঠালেন রান্নার উপকরন কেনার জন্য সাথে হৃদয় দাদা সাথে গেলেন এলাকা দেখার জন্য। আর ইলিয়াস বসলেন ইউ-টিউবে ইলিশ মাছ রান্না শেখার জন্য। দুপুরে রান্না করা হবে ঐতিহাসিক ইলিশ মাছ।
আমি দিলাম কেউ মাইন্ড কইরেন না(আমি কিন্তু কারো অনুমতি নেই নাই কিংবা ব্যক্তিগতভাবে চিনি না।তাই আশা করি আমাকে নতুন বিবেচনায় দয়া করে ব্যপারটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)
দুপুর ১২টাঃ
ইউটিউব থেকে অনেক খুজে পেতে ইলিয়াস ভাই ইলিশ মাছ রান্না করলেন। রান্নার সময় পলাশ ভাই কে সাথে নিয়ে রান্না করেছেন।আর হৃদয় দাদা তপ্ত রোদে এলাকা ঘুরে মাথায় পানি ঢেলে শুয়ে ছিলেন।
রান্না শেষ
সুস্বাদু ইলিশের ঘ্রানে ইলিয়াস ভাইয়ের বাসা মম করছে। বাসায় উপস্থিত হৃদয় ভাই,পলাশ ভাই,জাবেদ ভাই ও ইলিয়াস ভাই।জাবেদ ভাই কে ফোন দিয়ে আনা হয়েছে। বেচারা ইলিয়াস ভাইকে মডু বানাতে চেয়েছিল তাই তাকে তো আর দাওয়াত না দিয়ে পারা যায় না। সবাই তারা খেতে বসেছেন। হঠাৎ কলিংবেল। ইলিয়াস ভাইয়ের মাথা আবারও গরম হয়ে উঠতে শুরু করল।
ইলিয়াসঃ কে?
ছবিঃআমি।
দরজা খুলেই ইলিয়াস ভাইয়ের চক্ষু চড়কগাছ! ছবিপুর সাথে একখান ছোড়া!
ইলিয়াসঃ(মনে মনে)এইডা আবার কেডা?
ছবিঃ(হাসি দিয়ে) আsবো? aমাr সাথে ফোরামেr e aক ছোট ভাe aইটা।নাm হইল তাহসান কাব্য। দেখেn না আপনাr ইলিশ aর কথা শুne aসcলাম aপনার বাসায় aর রাস্তায় দেখা হইল oর সাথে।সেe কবে ১৪ e ফেব্রুয়ারী তে চা খাeতে চাeছিল। oফিসে aসতে বলছিলাম কিন্তু বজ্জাত ছেলেটা aসে নাe। aর aজ দেখা হeতেই ধeরা বসছে 'আপু আমি আপনার সাথে যাব।' কি আর করা নিয়া আসলাম। aর পিচ্চিটারে তো চিনেন ই aমার জেরী।
ইলিয়াসঃআসেন আসেন। ভাই তুমিও আসো।
তাহসান কাব্যঃ ধন্যবাদ ইলিশ ভাই।
ইলিয়াসঃমানে?
তাহসান কাব্যঃনা মানে ফোরামে হঠাৎ ঢুকেই ইলিশ নিয়া আপনার গল্প শুনলাম।তাই ভুলে মুখ দিয়া বের হয়ে গেছে।
ইলিয়াসঃওই মিয়া মজা লও?আমার নাম ইলিয়াস ইলিশ না।
তাহসান কাব্যঃস্যরি ইলিয়াস ভাই।যাই হোক আপনার বাসায় ইলিশ রান্না হইতাছে এই শুইন্না পুরা ফোরাম আসছে কিন্তু রেডি হন ইলিয়াস ভাই।
ইলিয়াসঃ(মাথায় হাত)কও কি মিয়া।সবাই খবর পাইল কেমনে।
ইতিমধ্যে সকলের আগমন।
ছবিঃবাহ সবাই দেখি হাজির।ভাল ভাল aই সু্যোগে aমি eকটা ফোরামের গ্রুপ ছবি aকতে পারব।aগামী কালের পোষ্ট নিয়ে aর চিন্তা করতে হবে না।
ইলিয়াসঃআসেন আসেন।সবাই বসেন।কেবল আমরা ইলিশ নিয়া বসছি।আপনাদের কথা স্মরন করছিলাম।কিন্তু সবাইকে অল্প করে খেতে হবে নইলে ভাগে পাবেন না।
সবাই সমস্বরে বলল, "অবশ্যই। দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।"
অতঃপর তাহারা সকলে মিলিয়া ঐতিহাসিক ইলিশ খানি ভক্ষন করিতে লাগিলেন।
এখনও শিখছি। আরো শিখতে চাই। পরে নাহয় শেখানো যাবে। আপাতত শেয়ার করতে পারি