টপিকঃ আমার গল্প লেখা ও কতিপয় আফসুস!
বটগাছে আমার এটা প্রথম লেখা, একদম যা মনে আসে লিখে ফেলেছি। শারিরীক অসুস্থতার মাঝে লিখতে বেশ কষ্ট হয়েছে, তবুও বেশ মজা পেয়েছি। এক ধরনের ফান হিসেবে লেখাটা লিখেছি, কেউ এটাকে সিরিয়াসলি নিলে ভুল করবেন, সবশেষে শ্রদ্ধেয় ইলিয়াস ভাই ও সুপারম্যান মাহবুবের কাছে বিশেষভাবে ক্ষমাপ্রার্থী: স্বপ্নীল
গল্প জিনিসটা কেন যেন আমি খুব একটা ভাল লিখতে পারি না, শুধু গল্পের মূল কনসেপ্টটা একটু ঠিক থাকে, কিন্তু সেটা উপস্থাপন করতে গিয়ে আমি বেশ ভাল গোলমাল করে ফেলি, সবসময়ই একটা তাড়াহুড়া করতে থাকি কখন গল্প শেষ করব। সেজন্যই অনেকে অবাক হয়ে লক্ষ করেন: আমার গল্প শুরু হবার আগেই শেষ
লেখাটি লিখেছেন: স্বপ্নীল - প্রজন্ম ফোরাম
অনেকে আমার ট্রেনের গতির চেয়েও (বাংলাদেশি ট্রেন না, জাপানি ট্রেন) ভয়ংকর গতির গল্প পড়তে গিয়ে মাথা ঘুরে নাকি পড়ে যান, অনেকের হার্টবিট বেড়ে গিয়ে হার্ড এটাক হবার বিপুল সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই ইদানিং কেউ কেউ আমার লেখা গল্পের শিরোনাম দেখেই ভয়ে আর টপিকে ঢুকেন না, আবার কেউ কেউ সৌজন্যতা করে ঢুকলেও গল্পের কাহিনী এগিয়ে যাবার প্রচন্ড গতির তোড়ে ভেসে যাবার ভয়ে একটু পড়েই বের হয়ে চলে আসেন। পুরো গল্প আর পড়া হয় না। আফসুস!!
লেখাটি লিখেছেন: স্বপ্নীল - প্রজন্ম ফোরাম
কয়েকজন আছেন তারা আমাকে বেশ পছন্দ করেন। আমি কমেন্ট না পেলে কষ্ট পাবো, তাই তারা কমেন্ট করেন, আমি যেন একটু বেশি খুশি হই সেজন্য কমেন্টটা হয় এরকম :
-আরে স্বপ্নীল, দারুন হইছে।
- লা জওয়াব, আমি ভাষাহীন।
-জব্বর হইছে ঈমানে কইতাছি
- অনেকদিন পর অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম। দু:খে আমার হাসি চলে আইতাছে।
- গল্প পড়ার আগে থেকেই ভাই কানতাছি, আপনি এত কষ্টের গল্প আর লিখবেন না।
এইসব কমেন্ট দেখে আমার আফসুস আরো বেড়ে যায়
লেখাটি লিখেছেন: স্বপ্নীল - প্রজন্ম ফোরাম
ফোরামিকদের মধ্যে ইলিয়াস ভাইয়ের ব্যাপারটা বলা যায়। ইলিয়াস ভাইকে যতই বলি না কেন উনি কখনই আমার গল্পের সমালোচনা করবেন না। আমাকে একটু বেশিই স্নেহ করেন, তাই আমি যদি কলাগাছ নিয়াও একটা দুই লাইনের আজগুবি গল্প লিখি, ইলিয়াস ভাই ভাবেন: আহা, বেচারা কত শখ করে লিখসে, যাই একটু উৎসাহ দিয়ে আসি।
-স্বপ্নীল, দারুন হইছে, চালাইয়া যাও, এরকম গল্প আরো ২০০-৩০০ টা চাই।
তবুও উনি আমার গল্পের সমালোচনা করবেন না , বড় বড় আফসুস
লেখাটি লিখেছেন: স্বপ্নীল - প্রজন্ম ফোরাম
সবশেষে, বলতে হয়, একজনকে পাওয়া গেছে যে মন খুলে আমার গল্পের সমালোচনা করতে পারছে। সে হচ্ছে দক্ষিণের-মাহবুব। আমি তাকে বললাম: যাও, গল্প পড়ে আসো। তার ইদানিং মেজাজ খুব গরম থাকে, সে সবকিছু দেখেই ২-৩ মিটার বেশি ভুরু কুচকে ফেলে। আমার টপিকে ঢুকেই সে বলল: কি সব লেখছেন এগুলা, ছাতা-মাথা কিছুই তো বুঝি না। আমি আনন্দে ছোট-খাটো একটা অলিম্পিক লাফ দিলাম : পাইছি, পাইছি...এতদিনে একজন পাইছি। কোনোমতে তারে আমার গল্পের টপিকে ঢুকিয়ে একটা কমেন্ট করাতে পারলেই কেল্লাফতে, আমার মনমত একখান জব্বর কমেন্ট পাওয়া যাবে, হেহেহে। সুপারম্যান মাহবুব, তোমাকে ২০০ বস্তা ধইন্যাপাতা সব আফসুস উধাও
আমার সব ছোট গল্প