টপিকঃ কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল (ঈদ স্পেশাল) : পর্ব ৮ - অতিথি: সমন্বয়ক উদাসীন
পূর্বকথা: "কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল" একটি সাক্ষাৎকার নেয়ার সিরিজ। এখানে বিভিন্ন মানুষের সাক্ষাৎকার নেয়ার চেষ্টা করা হয়। আজকেরটা পর্ব ৮। যারা এই সিরিজের আগের পর্বগুলো পড়েন নাই তারা নিচের লিংকে যেয়ে পড়ে নিতে পারেন :
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ১- অতিথি: সালেহ আহমদ
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ২- অতিথি: সমন্বয়ক শিপলু
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ৩- অতিথি: ছবি আপু
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ৪- অতিথি: আহমাদ মুজতবা
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ৫ - অতিথি: রূপসী-রাক্ষসী
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ৬ - অতিথি: jemsbond
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ৭ - অতিথি: অন্তিক
আজকের পর্ব কথা:
অনেকদিন পর আবার ফিরে আসলাম আপনাদের সামনে "কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল" সিরিজের ৮ম ইন্টারভিউ নিয়ে। আজকের অতিথি হচ্ছে আমাদের সবার প্রিয় মডু উদাসীনদা , যিনি কিনা খুবই ভাল কবিতা আর গল্প লিখেন, বলা যায় প্রজন্মের সবচে সেরা সাহিত্যিকদের মাঝে একজন। উদাসীনদাকে আমরা সবাই বেশ পছন্দ করি, কিন্তু উনার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না, মাঝে মাঝেই বেশ জানতে ইচ্ছা হয়, সেজন্যই এই ইন্টারভিউ। উদাসীনদা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য আমরা জানতে পারব এই ইন্টারভিউটির মাধ্যমে। ইন্টারভিউটুকু বেশ ব্যতিক্রম হয়েছে। সেটা উদাসীনদার নিজস্ব চমৎকার প্রকাশভঙ্গির কারণেই।
মানুষটা বড্ড লুকিয়ে থাকতে ভালবাসেন, একদম সবার সামনে ফোকাস হতে চান না। সেজন্য আজ থেকে কয়েক মাস আগে উনি সবিনয়ে এই "কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল" সিরিজের অতিথি হবার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আমি জানতাম এটা হবেই। তাই এতটুকু হাল ছাড়িনি। অবশেষে আবার কদিন আগে উনাকে অনুরোধ করি ১০ প্রশ্নের একটা ছোট্ট ইন্টারভিউ দিতে। এবার আর আমাকে নিরাশ করেননি, কি যে খুশি হয়েছিলাম সেদিন! প্রশ্ন খুব ভয়ে ভয়ে তৈরি করেছি, ভেবেছি উদাসীনদা সব প্রশ্নের জবাব দেবেন তো? কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি সব প্রশ্নেরই খুব সুন্দরভাবে জবাব দিয়েছেন। আমি যতই উনার দেয়া উত্তরগুলো পড়ি ততই অবাক হই, একদম ব্যতিক্রম, গতানুগতিক উত্তরের মত নয়, সেজন্যই বোধহয় পড়তে গেলে আলাদা স্বাদ পাওয়া যায়, বেশ ভালও লাগে।
উদাসীনদা সম্পর্কে লিখতে গেলে একটা বিরাট বই লেখা হয়ে যাবে, আমাকে বেশ স্নেহ করেন, এই যে মাঝখানে ১৮ মাস বিরতির পর প্রজন্মে একটু নিয়মিত হয়েছি সেখানে উনার অনুপ্রেরণা আর উৎসাহের অবদান অপরিসীম। তাই উনার একটা ইন্টারভিউ নিতে পেরে আমি সত্যি অনেক অনেক খুশি হয়েছি। সবশেষে উনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে এই অসাধারন ইন্টারভিউটুকু আমাদের উপহার দেবার জন্য।
তো চলুন দেরি না করে দেখে নেই উদাসীনদার সেই ব্যতিক্রমধর্মী ইন্টারভিউটুকু.....
ইন্টারভিউ
উদাসীনদা, কেমন আছেন? দিনকাল কেমন যাচ্ছে আপনার?
- ভালো আছি একরকম... আলহামদুলিল্লাহ্! দিনকাল মোটামুটি যাচ্ছে। তবে মাঝে মাঝে কেমন যায় সেটাও ঠিক বুঝি না হা হা হা।
প্রথমেই জানতে চাইব- "উদাসীন" নিক নেবার পিছনের রহস্য কী?
- উমম ঝামেলায় ফেললে... ‘উদাসীন’ কীভাবে নিলাম? আমার প্রায়শঃ মনে হয় আমি বোধহয় ঠিক গৃহী ধরণের নয়; সেটা আবার কীরকম? জাগতিক সবধরণের বিষয়ে সংসক্তি থাকা সত্বেও দিনশেষে মনে হয় আমার আসলে কোনোকিছুর সাথেই কোনো যোগ নেই! শেকড়বিহীণ সেই অস্তিত্বে মিছে মায়ার প্রাচীন অমীমাংসিত ভাবনাটা বিরাট জিজ্ঞাস্য হয়ে ঝুলে থাকে। তখন বড় উদাসীন হয়ে যাই...এবং কেন জানি মনে হতে থাকে সেই নির্মোহ ভাবুক মানুষটিই প্রকৃত আমি-আমি উদাসীন ।
বাহ বেশ চমৎকার। আচ্ছা প্রজন্মে কখন কিভাবে এলেন? মডারেশন প্যানেলেই বা কখন কিভাবে অন্তর্ভুক্ত হলেন?
- সেটা সম্ভবত ২০০৭ –এর জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারি হবে। প্রথম আলোতে প্রজন্মের একটা বিজ্ঞাপন পড়েই এখানে কৌতুহলবশতঃ ঢুঁ মারা। প্রথম আলোর কাছে আমি কৃতজ্ঞ এত সুন্দর একটা ফোরামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। অভ্রতে আরো আগেই বাংলা লেখা শুরু করেছিলাম। তারপর অন-লাইনে বাংলায় লিখতে ও পড়তে পারবো...এ ভেবেই খুব আনন্দ হয়েছিলো। সাইন ইন করেই ফেলেছিলাম। ফোরামের সিমপ্লিসিটি, সবার বন্ধুসুলভ ব্যবহার, জানার মত অনেক কিছু প্রভৃতি একেবারে মন কেড়ে নিয়েছিলো। আর আমার কবিতা তো ছিলোই...সেটাও তো কোথাও না কোথাও প্রকাশ করতে হবে, তাই না?
মডারেশন (মতান্তরে ভিলেইন টীম) টীমে যোগ দেই সেপ্টেম্বর ২০০৮ –এ। সত্যি বলতে কী আমি বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আবার আশ্চর্যও হয়েছিলাম আমার মত অর্বাচীন কে আমন্ত্রণ জানানোতে! প্রথমে শুধু বিনোদন, সাহিত্য আর দর্শনটা দেখলেও পরবর্তীতে সবগুলো সাবফোরাম দেখতে থাকি।
সংগীত, ছড়া-কবিতা, গল্প-উপন্যাস- এসবের প্রতি আপনার বেশ আগ্রহ । কিভাবে এটা তৈরি হল? লেখালেখির ব্যাপারটুকুই বা কবে থেকে শুরু?
- আমি প্রথম ছড়া লিখি পাঁচ বছর বয়সে চাঁদ মামাকে নিয়ে। জিজ্ঞেস করো না কী সেই ছড়া কারণ বেমালুম ভুলে গেছি কী লিখেছিলাম হা হা হা । সেটা আবার স্থানীয় একটা পত্রিকায় ছাপাও হয়েছিলো। তারপরের বেশ অনেকটা সময় বিরতি। একটা কিছুও লিখি নি। কাঠখোট্টা হিসেবে একটা হাল্কা পরিচিতিও হয়ে গেছিলো। যারা আমায় ভালো জানত না, তারা অমনই ভাবতো! অবশ্য চিঠি লিখতাম। ই-মেল নয় হে! হাতে লেখা ডাকের চিঠি। অত্যন্ত গোছানো রসময় যাপিত জীবনের সরল প্রক্ষেপন যা অনেককেই মুগ্ধ করে দিত
সত্যিকার অর্থে কবিতা লেখা শুরু করি ২০০৫ থেকে। সে হিসেবে খুব বেশি দিনের নয় আমার কাব্য-প্রচেষ্টা! আমি বরাবরই চুপচাপ, চাপা স্বভাবের। বলার থেকে দেখি বেশি। শুনি। মানুষের ভেতর নিরাভরণ অকৃত্রিম মানুষটাকে সহজেই দেখতে পাই। আর কিছু অভিজ্ঞতা, বেদনা, আঘাত, অপ্রাপ্তি তো ছিলোই। সব জমে জমে একদিন কী থেকে কী হয়ে গেল...আমার মত নিরস(!) মানুষকে কবিতা বুকে তুলে নিলো। সেই দিন আমার গভীরের অচেনা আমি কে আবিষ্কারের একটা অনন্য দিন। তারপর তো তোমরা দেখছই...
আমার প্রথম কবিতাঃ
আমারো আছে বেদনায় ভারী
বিষন্ন আকাশ,
আর ব্যথায় তপ্ত গুমোট বাতাস।
অহর্নিশ পাতা ঝরানো জীবন-বৃক্ষ,
আর দূরাগত ধ্বনির মত
হারাতে বসা কোকিলের কুহু।
জানি এসব হয়তো ছুঁইবে
কিংবা ছুঁইবে না তোমায়!
তবুও বলে যাই...
খরকুটো ধরা আশা-নিরাশার দোলায়
যদি ছোঁয় তোমার হৃদয়ের একান্ত কোণখানি...
ভাববো, বিবর্ণ জ্যোৎস্নায়
হ্যাঁ, আমারো আছে নাতিদীর্ঘ সুখের
আলো-জ্বালানি দীপাবলী।
প্রথম কবিতাটা তো বেশ অসাধারন। খুবই সুন্দর হয়েছে। যাই হোক, জীবনে কি হতে চেয়েছিলেন? যা হয়েছেন তা নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
- জীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কিছু হতে চেয়েছিলাম। খুব ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম বৈমানিক হবো। আকাশে একটা বিমান কিংবা কপ্টার উড়ে গেলেই হয়ে যেত! যতদূর দেখা যেত, ততদূর ছুটতাম। তারপর একসময় হারিয়ে গেলে কী দুঃখটাই না পেতাম! একটু বড় হলে মাথায় চাপল ছবি আঁকবো। ছবি এঁকে এঁকেই কাটিয়ে দেব বাকী জীবন হাহাহা। তারপর পদার্থবিদ, এঞ্জিনিয়্যর কী হতে চাইলাম না এক জীবনে! শেষে ঐ শেষ দুটোর মাঝামাঝি একটা জায়গায় এসে আটকে আছি হা হা হা। এ যাবত যা হতে পেরেছি তার জন্য পরম করুণাময়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
সব থেকে বড় কী জানো? আমি একজন খুব সাধারণ মানুষ হতে চেয়েছিলাম। অসাধারণভাবে ‘সাধারণ’ হওয়াটা অসম্ভব কঠিন একটা কর্ম! একটা মানুষের অনেক ধরণের অর্জন থাকতে পারে। কিন্তু তাতে যদি তার মাটিতে পা না পড়ে, তাহলে সেসবের কানাকড়ি মূল্যও আমার কাছে হয় না। সবসময় যথাজায়গায় মাত্রা মেনে বিনয়ী হতে চেয়েছি। দৃঢ়চেতা, ন্যায়বিচারি, সফল কিন্তু ডাউন টু আর্থ টাইপের মানুষই আমার আদর্শ। জানি না কতটুকু হতে পেরেছি...তবে সবসময় সে চেষ্টাই থাকে।
আপনার কথাগুলো বেশ ভাল লাগল। আমার সাথে কিভাবে যেন একদম মিলে গেল। আচ্ছা আপনার পুরনো কোন জায়গার স্মৃতি আছে কি যা আজো বেশ নাড়া দেয়?
- আমি স্মৃতিকাতর মানুষ; নাড়া দেবার অসংখ্য স্মৃতি আছে। কোন্টা ছেড়ে কোন্টা বলি? আচ্ছা একটা অদ্ভুত মজার স্মৃতির কথা বলি। লোড-শেডিং নিয়ে সবাইতো এখন যারপরনাই বিরক্ত, তাই না? অথচ আমার ছেলেবেলায় কিন্তু একেবারেই উল্টোটা ছিলো! সান্ধ্যকালীণ পড়াশুনাটা বিষের মত লাগতো; একই কবিতা উচ্চস্বরে একশবার দ্রুত আবৃত্তি করে আম্মাকে বুঝাতাম বিরাট পড়াশুনা করছি আর মনে মনে প্রার্থনা করতাম...আল্লাহ, কারেন্টটাকে উঠিয়ে নাও না কেন? কারণ কারেন্ট চলে গেলেই আমাদের বাচ্চা-কাচ্চাদের উতসব লেগে যেত। পুরো পাড়ার প্রায় সবাই লাগোয়া বিশাল মাঠে হইহই করতে করতে চলে যেতাম। অন্ধকার কোনো ব্যাপারই না। চোখ সয়ে গেলে ছোটাছুটি, গা ঘেঁষে ভুতের গল্প শোনা প্রভৃতি কী না হতো? একটা খেলা ছিলো সবাই হারিয়ে যেত আর একজনকে খুঁজে খুঁজে বের করতে হতো।
মাঠের এককোণে হেড স্যারের একটা কাঠের বাড়ি ছিলো। কোনো এক অজানা কারণে ওখানে খুঁজতে গেলেই আমার গা ছমছম করতো। আমাদের ছোটদের সাথে পায়ে পায়ে বড়রাও হাজির হতো। সে একেবারে মেলা বসে যেতো। কেউ কেউ মুড়ি-চানাচুর মাখা নিয়ে হাজির হতো। চোক্কা কাকু (ওনার নাকটা সেইরকম চোখা ছিলো) কীসব আজগুবি গল্প বলতেন! গল্পের জন্য উনাকে একরকম বাসা থেকে পাকড়াও করে নিয়ে আসা হতো। উনি আমাদের আমেরিকা নিয়ে গিয়েছিলেন প্রায় (অবশ্যি গুলগল্পে হি হি হি) অথচ নিজেই একদিন হুট করে সেই গেলেন আর ফিরে এলেন না। আমরা ছোট মানুষ..বিরাট দু:খ পেয়েছিলাম কারণ সবার জন্য ইয়া বড় সাইজের খেলনা রোবটের প্রতিশ্রুতি ছিল যে! আহ, অনেকদিন পর সেসব মনে পড়ে গেলো। সবার মধ্যে সবকিছু ছাড়িয়ে, সব ভেদাভেদ ভুলে কেমন একটা মায়া মায়া বন্ধনের সুখ নিবিড়ভাবে জড়িয়ে থাকত। তখন হঠাত করে কারেন্ট চলে এলে মেলা ভাঙ্গার দুঃখটা পুরোদমেই পেতাম। এখনকার কাচ্চা-বাচ্চারা বোধহয় এসব ভাবতেই পারে না! তাদের অত সময় কই এই সহজিয়া আনন্দ নেবার?
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন। বিদেশে তো অনেকদিন আছেন। দেশের কোন কোন জিনিস মিস করেন খুব? কাদের কথা বেশি মনে হয়?
- পুরো দেশ, মাটি ও মানুষ কেই মিস করি। তবুও বিশেষ করে বলতে গেলে আম-কাঁঠালের সময়টা। কত্তদিন হয়ে গেলো...ডালি ধরে আম খেতে বসি না। আমাদের বাড়িতে অনেক অনেক আমের গাছ...ফজলি, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি আর আরো কী কী যেন ছিলো মনেও নেই! আর কাঁঠাল...কতদিন খাই না! বাবা-মায়ের সাথে ঈদ করি না বহু বছর। আম্মার হাতে লাচ্ছা-সেমাই –এর স্বাদই ভুলে যেতে বসেছি। আর আমার বাবা, মা আর বড় বোন, বোনের মেয়ে...ওদের কথা খুব বেশি মনে হয়
দেশে ঘুরে যাবার কোন প্ল্যান আছে কি আগামী ২-৩ বছরের মাঝে বা তারপর?
- বলতে পারছি না। ১/২ বছরের মধ্যে যাওয়া হতেও পারে। বাকীটা আল্লাহর ইচ্ছা।
বিদেশে ঘটা মজার কোনো ঘটনা বা অন্য যেকোন ধরনের ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন প্লিজ
- বিদেশের মজার ঘটনাগুলো ইয়ে...সঙ্গত কারণে বলা যাবে না হা হা হা। তবে অন্য একটা ঘটনার কথা বলতে পারি। ০৭/০৭ এ লন্ডনে যখন সন্ত্রাসী বোমা হামলার ভিকটিম আমি হতে হতেও হই নাই। ভাগ্যের জোড়ে খুব বাঁচা বেঁচে গেছিলাম। ১৫/১৬ মিনিট আগে হলে কী হতো কে জানে? সেদিন কাজ থেকে ট্যাক্সি করে এক আজব ভয়ার্ত শহর দেখতে দেখতে বাসায় ফিরেছিলাম। থমথমে প্রায় জনমানবশূন্য! খালি পুলিশ আর পুলিশ। দুরুদুরু বুকে সিটি পার হচ্ছিলাম। নানাজনে নানান কথা বলছিলো...যার একটাই উপসংহার-হামলা তখনো শেষ হয় নাই; আরো বড় হামলা আসছে। কীভাবে, কোন মানসিক অবস্থায় যে বাসায় ফিরেছিলাম, তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।
কালে কালে তো অনেক সময় চলে গেলো। একাকিত্বটুকু কি দূর করে ফেলার জন্য শক্ত কোন প্ল্যান হাতে নিয়ে ফেলা যায় না? কেন এই কালক্ষেপন? কাছের মানুষরা কি এ ব্যাপারে চাপ দেয় না?
- হা হা হা বলতে পারছি না! কাউকে কাউকে হয়তো কোনোদিনও বাঁধনে বাঁধা যাবে না! আর যার জন্য বাঁধা যেত ঘর...সে তো...থাক সেটা বলতে চাই না। হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগানোর কী দরকার? আর কাছের মানুষেরা আমাকে ঠিক জানে। যা ভালোলাগে না তাতে মরে গেলেও সায় দেবো না।
সবশেষে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে সময় দেয়ার জন্য। সত্যি অসাধারন সব উত্তর দিয়েছেন প্রতিটা প্রশ্নের। দারুন একটা ইন্টারভিউ হয়ে গেল আজ। আমি খুবই খুবই খুশি হয়েছি
- তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। তুমি যে আমার মত তুচ্ছাতিতুচ্ছ মানুষ কে তুলে ধরতে চেয়েছো, তাতে আমি খুবই লজ্জিতবোধ করেছি। আসলে আমার তো বলার মত কিছু নেই; কীর্তিমানও নই! মুখচোরা মানুষ; অন্তরালের লো-প্রফাইলেই স্বাচ্ছন্দবোধ করি বেশি। যাহোক এই আয়োজনের পুরো কৃতিত্ব স্বপ্নীলের। আমার মতো আলসেকে টেনে বের করা সোজা কথা নয়! ভালো থাকুন সব প্রাজন্মিকেরা। জয় হোক প্রাজন্মিক সুশীল চেতনার!
এই ছিল উদাসীনদার ইন্টারভিউ। কেমন লাগল এই ইন্টারভিউটুকু সেটা জানানোর জন্য অনুরোধ রইল সবার প্রতি।ধন্যবাদ।