Re: লিনাক্স বা ওপেনসোর্সপ্রেমী বলেই যে মাইক্রোসফটের বিরোধিতা করি, তা নয়
operating system হিসাবে লিনাক্স যে windowsএর চেয়ে অনেক বেশী sophisticated এটা
যে লিনাক্স use করেছে তার অজানা থাকার কথা নয়।
হার্ডওয়্যার detectionএর ক্ষেত্রে linux windowsএর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
30 মেগাবাইটের একটা লিনাক্স ডিস্ট্র প্রায় সবধরণের সাউন্ড কার্ড ড্রাইভার সহ 16bit colourএর
graphicsদেয় যা windowsএর ক্ষেত্রে অচিন্তনীয় একটা বিষয়।
linuxএর stability অনেক বেশি। উইন্ডোজে কয়েকটা software install করলে প্রত্যেকটা
softwareই তাদের নিজস্ব .dll স্টোর করে। ফলে conflict দেখা দেয় এবং কয়েকদিন
পর windows slow হয়ে যায় বা reinstall করার দরকার পরে।
লিনাক্সে এটা হয় না যেহেতু এখানে একটা ফাইলই সবাই মিলে use করে।
শুধুমাত্র সেই ফাইলটাই install করা হয় যা তার প্রয়জন।
এই কারণে লিনাক্স corrupt প্রায় হয়না বললেই চলে।
system file missing , registry error ...এসব লিনাক্স ইউজারদের
একেবারেই অচেন বিষয়।
লিনাক্সে ভাইরাস ধরার সম্ভাবনা খুবই কম এবং প্রায় zero percent.
কারণ একটা নির্দিষ্ট software center থেকে সবকিছু install করা হয়।
বাইরের source থেকে তেমন কিছু লাগেনা বললেই চলে।
তাছাড়া বেশিরভাগ distroতেই ডিফল্টভাবে root লগিন থাকেনা ।
ফলে একজন সাধারণ user সিস্টেমের কোন ক্ষতিই করতে পারেনা।
windowsএ ডিফল্টভাবেই প্রবেশ করে root user.
সে ক্লিক করলেই software install হয়ে যায়, সেটা কাজের software হোক আর
ভাইরাস হোক।
লিনাক্সে ক্লিক করলেই software install হয় না।
তাকে root permission দিতে হয়।
এমনকি সেটা যদি portable softwareও হয়, তাও system corrupt করা এত
সহজ না। কারণ userএর সেটাকে executable করে নিতে হবে।
এরপরও যদি সেটা কোন malicious program হয় , তবে সে শুধু ওই নির্দিষ্ট user
এর-ই ক্ষতি করতে পারবে,টোটাল সিস্টেমের না।
আমার ছোটভাই samsung mobile কিনে windowsএ নেট কানেক্ট করতে গিয়ে
হিমশিম খাচ্ছিল কারণ মডেমের ড্রাইভার খুজে পাওয়া যায়না।
আমি উবুন্টু দিয়ে মূহুর্তের মধ্যে কানেক্ট করে দিলাম।
দুনিয়াতে হাতে গোনা কয়েকটি usb device আছে যার লিনাক্স সাপোর্ট এখনো আসেনি
(যেমন বাংলা লায়নের usb ডগল)।
আমার এক গরুমার্কা ছাত্রী computer নিয়ে অতিষ্ট হয়ে গেছিলো।
তারা সারা পিসি জুড়ে ছিল ভাইরাস।
windows reinstall করলেও কিছুদিন পর আবার খারাপ হয়।
আমি তাকে উবুন্টু install করে দেই।
সে ওটা বহুদিন ধরে use করছে কোন সমস্যা ছাড়াই।এখন সে আর windowsকে
চায় না।
আমার দুলাভাই xp নিয়ে পাগল হয়ে যাচ্ছে। খালি ভাইরাস ধরে আর সিস্টেম corrupt
হয়। আমি তার পিসিতে উবুন্টু install করে দিয়েছি।
এখন আর পিসি নষ্ট হয়না।
যখন windows use করতাম তখন বিভিন্ন website ঘুরে ঘুরে software
download করতাম।এখন আর কষ্ট করে সেটা করতে হয়না।কারণ লিনাক্স ডিষ্টোর
ভেতরে আছে একটা software center বা package manager যার মধ্যে থাকে
হাজার হাজার software.শুধু প্রয়োজনীয় software-টা দেখে টিক দিয়ে দিলেই হল।
কোথা থেকে download করতে হবে আর কিভাবে install করতে হবে তা ও নিজেই
জানে।
পেনড্রাইভেও লিনাক্স অনায়াসে চালানো যায়।এটা একটা বিশাল advantage.
তার মানে আপনার যদি হার্ডড্রাইভ নাও থাকে আপনি অনায়াসে কম্পিউটার চালাতে
পারবেন।এবং বুঝতেও পারবেন না যে এটা পেনড্রাইভে চলছে, হার্ডডিস্ক নেই।উইন্ডোজে
এটা সম্ভব না।যদিও windows livecd কোন কোন প্রতিষ্টান তৈরি করেছে,
সেগুলো কোন কাজেরই না।
চরম বিপদে পরলে ওগুলো use করে কিছু data সরানো যায়।
লিনাক্স থাকার কারনেই আজ আমাদের সরকার ১০ হাজার টাকায় ল্যাপটপ দেবার কথা চিন্তা
করতে পারছে। তা নাহলে এটা স্বপ্নেও সম্ভব হতো না।
লিনাক্সের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর নিরাপত্তা।
আপনাকে লিবিয়ায় নিয়ে যদি রাজপ্রাসাদে রেখে শুধু পোলাউ আর কোরমা খাওয়ানো যায়
তাও আপনি শান্তি পাবেন না। কারণ যেকোন সময় ঠুঁস।
তারচেয়ে ভাংগা ঘরে ডাল-ভাত খেয়ে শান্তিতে থাকা অনেক ভালো।
windows যারা সব সময় ব্যাবহার করছে তাদের কাছে এটা অনিরাপদ নাও হতে পারে কারণ তারা এর সাথে বাস করে অভ্যাস্ত হয়ে গেছে।
কিন্তু একজন পুরোদস্তুর কাছে লিনাক্স userএর কাছে
windows একটা অখাদ্য।
আমার কথাগুলোতে কেউ কষ্ট পেলে দুঃখিত। তবে এগুলো সত্যি কথা।
না বলে আর পারলাম না।
আমরা প্রত্যেকেই ম্যাচের কাঠির মতো।
আগুনটা বের করতে শুধু একটা ঘষা দরকার।