ওনার কোয়েশ্চেনগুলো টপিকের মূল দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে অপ্রাসংগিক এবং কোয়েশ্চেনগুলো বা যে দাবীগুলো করেছেন সেগুলো ঠিকও নয়। আমি প্রত্যুত্তর দিতে পারতাম। কিন্তু তাতে বিতর্ক বাড়বে, কোন লাভ হবে না।
এই টপিকটি শুরু হয়েছিল স্বপ্নীলের সহজ ও ইতিবাচক একটি চাওয়ার মধ্য দিয়ে। কিন্তু নেতিবাচকভাবে তার বিরোধিতা করতে গিয়ে আমরা কোথা থেকে কোথায় চলে গিয়েছি আমরা নিজেরাও জানিনা।
এখানে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের আলোচনা করার জন্য উপবিভাগ খোলার আবেদন করা হয়নি। কিছু টপিকের শিরোনামের উদাহরণ দিচ্ছি:
"নামাজে হাত বাঁধবো কোথায়", "তারাবীর নামাজ কি মসজিদে গিয়ে পড়াটা জরুরী", "প্রতিদিন শেয়ার করি একটি করে কোরআনের আয়াত বা হাদীস", "রমজানের শিক্ষা", "সীরাতুন্নবী (সাঃ)" ইত্যাদি ইত্যাদি। এরকম টপিক ফোরামে হয়েছে এবং এ টপিকগুলোর আলোচনায় অন্য ধর্মের প্রসংগ আসার কি কোন কারণ আছে?
এ টপিকগুলোতে শরীয়াতের বিভিন্ন মাসলা-মাসায়েল নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। সেগুলোতে মডারেটারগণের উত্তর বা ফতওয়া দেয়ার যোগ্যতা থাকা না থাকার প্রসঙ্গটি একটি অবান্তর ব্যাপার। এই নিরীহ টপিকগুলোতেও কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বা ফোরামের নিয়মাবলীর বাইরে আচরণ করে তবে সেটার মডারেশন জেনেরিক্যালিই হতে পারে। এজন্য শরীয়াতের বিশেষ জ্ঞান বা যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন নেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো এ টপিকগুলো এখনোতো হচ্ছে। স্বপ্নীল বা আমরা শুধু একটি উপবিভাগ চেয়েছিলাম যাতে যারা এ বিষয়গুলো জানতে চান তারা সহজে ওই টপিকগুলো পেতে পারেন। ভেরি সিম্পল এ চাওয়ার সমীকরণ, ব্রেড এন্ড বাটার। এখানে অন্য ধর্মকে আক্রমণের ধুয়া তোলা হলো কেন?
এমনকি এ ফোরামে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের প্রসংগ চলে আসে এমন আলোচনাও হয়েছে অতীতে কয়েকবার। সেখানে টপিকের এক পর্যায়ে দু-একজন সদস্য আহমাদ মুজতবার মত টপিক লক করার আবেদন জানালে মডারেটরগণের মধ্যেই দু' একজন বলেছিলেন- এ সব বিষয় যত আলোচনা হবে ততই ভালো, মানুষ আরো জানতে পারবে। বলাবাহুল্য, ওইসব আলোচনায় যিনি বা যারা ইসলামের পক্ষে বলেছিলেন তাদের অন্য ধর্মকে আক্রমন করার প্রয়োজন হয়নি।
কই, তখনতো সমস্যা হয়নি।
ফোরামিকরা ধর্মীয় আচার পালন করতে গিয়ে অনেক ধরণের অজ্ঞতার সম্মুখীন হতেই পারেন। সেগুলো জানার জন্য ফোরামে পোস্ট করে উত্তর চাইতেই পারেন। যাদের সে উত্তর জানা আছে তারা কন্ট্রিবিউট করতেই পারেন। কন্ট্রিবিউশন একাধিক ফোরামিকের পক্ষ থেকে হতেই পারে। আর উপবিভাগের আদলে এটার ক্যাটেগরাইজেশন হতেই পারে। দিস ইজ ভেরি সিম্পল ইকুয়েশন। নাথিং ফ্যান্সি। ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট কানেকশনের উপরে ৫-৬টি টপিক হলেই সেটার জন্য উপবিভাগ খুলতে যদি সমস্যা না থাকে, অন্য কিছুর ক্ষেত্রে সেটা সমস্যা কেন হবে বুঝতে পারার কথা নয়।
উপবিভাগের বিরূদ্ধে টপিকের শুরুতে মডারেটর যে যুক্তি দিয়েছেন সেটা আদৌ যুক্তিসংগত না হলেও এটা ধরেই নিয়েছি, বাই এনিওয়ে, মডারেটররা উপবিভাগ খুলবেন না এ ব্যাপারে। এ জন্য এ দাবী নিয়ে আর সোচ্চার হওয়ারও মানে পাচ্ছি না। ঘুমন্ত একজন মানুষকে ডেকে ঘুম থেকে ডেকে তোলা যায়, তবে যে ঘুমের ভান করে পড়ে থাকে তাকে ডেকে তোলা খুবই কঠিন একটি কাজ।
উপবিভাগ না থাকলেও এই টপিকগুলোতে যারা ঝামেলা বাধানোর তারা বাধাবেই। ছবি আপার "প্রতিদিন শেয়ার করি একটি করে কোরআনের আয়াত বা হাদীস" টপিকটির কথাই ধরুন। সুন্দর এই টপিকটিও রেহাই পায়নি "অলোক" নামের ফোরামিকের স্প্যামিং টাইপের পোস্ট থেকে। যারা ওই টপিকটির শুরু থেকেই টপিকটির সাথে ছিলেন তারা বুঝবেন ব্যাপারটি। বলাইবাহুল্য, ফোরামে অলোকের আরো অনেকগুলো বাজে পোস্টের সাক্ষী এ ফোরামের কমবেশি সবাই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মডারেটরগণ হয়তো ব্যবস্থা নিয়েছেন। তবে সেটা কতটুকু ফলপ্রসু তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
মেহেদী৮৩ লিখেছেন:স্বপ্নীল লিখেছেন:আজব একটা ব্যাপার। আমরা কি এখানে কোথাও ঝগড়া করছি?? আলাপ-আলোচনা-তর্ক তো হবেই। সেটাকে খারাপ চোখে দেখার মানেটা কি?
তর্কটাই আমার দৃষ্টিতে সমস্যার উদ্রেক করে। ধর্ম পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাসের ব্যাপার, যুক্তিতর্কের বিষয় ধর্ম নয়।
এটা একটি ভুল ধারণা। ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে তর্কের কথা বলছি না। শরীয়তের অনেক হুকুম-আহকামের বিষয় আছে যেগুলো জেনে-বুঝে ও যথেষ্ট ওয়াকিফহাল হয়ে পালন করা উচিত। জমির উদ্দিন বললো এই জিনিসটা এইভাবে পালন করো, সমির উদ্দিন অমনি দৌড়ে গিয়ে শুধুমাত্র বিশ্বাসের বাতাবরণে বন্দি হয়েই সেটা পালন করা শুরু করলো আর কিছু না জেনেই - তাহলেতো হলোনা। আর সে জানাটার জন্যই এ সব ব্যাপারে সুষ্ঠু তর্ক হতেই পারে, কুটতর্ক নয়। ধন্যবাদ।