Re: উবুন্টু বনাম ম্যাক
ইস!!!!!!!! আমার এখন ম্যাক চালাইতে ইচ্ছা করতাছে
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি » অপারেটিং সিস্টেম » উবুন্টু বনাম ম্যাক
ইস!!!!!!!! আমার এখন ম্যাক চালাইতে ইচ্ছা করতাছে
আমরা যারা গরীব মানুষ, তাদের ম্যাক-ট্যাকের কথা চিন্তা না করাই ভালো।ম্যাক আমাদেরকে target করে বানানো হয়নি।উবুন্টু আমাদের মতো ফকির-মিছকিনদেরকে target করেই বানানো হয়েছে।ম্যাক অনেক ভালো সেটা আমিও স্বীকার করি।তবে এটা বিক্রী করে যা আয় করা হচ্ছে তা দিয়ে এর developmentও চলছে।উবুন্টু ফ্রী হওয়ায় সেটা সম্ভব না।তারপরও উবুন্টু যথেষ্ট ভালো।একটা ফ্রি জিনিস যে এতোটা ভালো, এইটাই অনেক কিছু।এই কারণেই উবুন্টুর জন্য আমি একটা ভালোবাসা feel করি যে এটা মূলত মানুষের সেবার জন্যই।এজন্য এর অনেক দোষই আমার চোখে পড়েনা।ভালোবাসা দোষ দেখতে দেয় না।আমাকে যদি কেউ এখন একটা ম্যাকবুক দিয়েও দেয়, তবুও আমার কাছে মনে হয় উবুন্টুকেই বেশি ভালো লাগবে।একটা অন্ধত্বও সৃষ্টি হয়ে গেছে মনে হয়।
ম্যাকের চেহারা ভাল অত্যাধিক ভাল , কিন্তু এই অত্যাধিক ভালো চেহারাখানা বাগানোর জন্য অত্যাধিক ভারী পকেট থাকতে হয়। তাছাড়া আমি এমনিতেই সাধাসিধা ডেস্কপট ব্যবহার করি (শুধুমাত্র ওয়ালপেপার রুপে কিউট কিউট বিলাইর ছবি ব্যবহার করি
)। আইক্যান্ডি থাকে না তেমন। ডেস্কটপের চেহারাটাকে মাঝে মাঝে চোখ ঝলনাসো রুপে দেখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু আমার আবার ভার্চুয়ালাইজেশন করতে হয়। তাই আইক্যান্ডি বাদ দিতে হয়। কামের সময় আকাইমা জিনিস নাচানাচি করলে মেজাজ খারাপ হয়। আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শেষ কথা হচ্ছে ম্যাকের সাথে শুধু ম্যাকেরই তুলনা হয়, তেমনিভাবে উবুন্টুর সাথে উবুন্টুই
অন্য কিছুর সাথে তুলনা করতে আমি এইমূহুর্তে রাজী না
@সাইফ দ্যা বস, কেন? এখানে পরিবেশ নষ্ট করার কী হলো? এখানে উবুন্তু বনাম ম্যাক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এর মানে কি, শুধু ম্যাকের গুণগান গাইতে হবে?
ম্যাকের সবচেয়ে বড় ও প্রধান সমস্যা এটা যেকোন মেশিনে চলে না। লিনাক্স যেকোন মেশিনে চলে। শুধু ডেস্কটপ, ল্যাপটপ-ই না। অনেক ডিভাইসেও চলে। আর যেটা চুরি করে চালানো হয় সেটা উইন্ডোজের চাইতেও খারাপ চলে। কেননা ওএস এক্স সব ডিভাইসের জন্য বানানো হয়নি।
তার উপর এখন পরবর্তী যে ভার্সন আসবে (লায়ন), সেটা এক্সটার্নাল কিছুতে পাওয়া যাবে না। এ্যপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে। আজব! ৪+ গিগা একটা ওএস এ্যপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে চালাতে হবে, কোন পাগলের মাথায় এটা ঢুকল? আমি তো ই চ্ছা করলেও এখন কিনতে পারবো না। (হ্যাঁ, আমি টাইগার এবং স্নো লেপার্ড কিনে চালাই) তার উপর ঘোষণা দিয়েছিল লায়নে সার্ভার আর আলাদা নয়। এখন দেখা যাচ্ছে সেটাও আলাদা কিনে ডাউনলোড করতে হবে। এরকম শয়তান কোম্পানী পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। ইউজারকে কিভাবে, কতভাবে লকডাউন করা যায় সেই চিন্তা শুধু।
.dmg নিয়ে অনেকেই খুব উৎফুল্ল। কিন্তু সেন্ট্রাল রিপোর চাইতে এটা কতটা খারাপ সেটা কারও মাথায়ই ঢোকে না। একটা সফটওয়্যারে অনেক থার্ড পার্টি লাইব্রেরী থাকে। একটা সফটওয়্যার সবকিছু নিজের মত বানায় না। ম্যাকের প্রতিটা সফটওয়্যার কমপক্ষে একটি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ব্যবহার করে - স্পার্কল - যেটা দিয়ে অটোমেটিক আপডেট চেক করা হয়। এখন ধরি, আমার এ পর্যন্ত কয়েকশো সফটওয়্যার ইনস্টল করা আছে যার প্রত্যেকটাই এই লাইব্রেরী ব্যবহার করে। হঠাৎ করেই ঐ লাইব্রেরীর একটা সিকিউরিটি ফিক্স আসলো, যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে এখন প্রত্যেকে ডেভেলপারের ঐ লাইব্রেরীটা আপডেট করে নতুন ড্যামেজ ফাইল বানিয়ে ছাড়তে হবে। তারপর সেই কয়েক মেগাবাইট আপডেটের জন্য, আমাকে কয়েক গিগাবাইট ডাউনলোড করতে হবে। শুধু তাই না, এর মধ্যে যদি কয়েকটা সফটওয়্যার ইতোমধ্যে ডেভেলপাররা আর আপডেট না করে, তাহলে ঐটা চালানোর সর্বপ্রকার ঝুঁকি আমাকে বহন করতে হবে। এরকম থার্ড-পার্টি লাইব্রেরী একটা নয়, হাজারটা ব্যবহার করে সফটওয়্যার ডেভেলপাররা। অথচ উবুন্তুর ক্ষেত্রে এরকম পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র লাইব্রেরী আপডেট করলেই কেল্লাফতে। আমার ইনস্টলকৃত হাজার হাজার সফটওয়্যার যেটা এর উপর নির্ভরশীল, আপডেট হয়ে যাবে।
আর .dmg কোন ইনস্টলার ফরম্যাট নয়। এটা একটা ইমেজ ফরম্যাট। যেমন - .iso, .cue ইত্যাদি।
আর হার্ডওয়্যারের সীমাবদ্ধতার কথা বলে তো শেষ করা যাবে না। বাংলাদেশে ম্যাক দিয়ে টিভি দেখা তো অসম্ভব ব্যাপার। খুবই বেছে বেছে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে প্রচন্ড দামী হার্ডওয়্যার কিনতে হবে কোন কাজ করার জন্য। অসম্ভব রকমের লিমিটেড।
আর পার্টিশন ম্যানেজার নিয়েও অনেক গুনগান শুনলাম। এটা দিয়ে একটা এক্সট৪ পার্টিশন বানিয়ে দেখাও তো। লিনাক্স বা উইন্ডোজ ইনস্টল করার পর ম্যাক ওএস এক্স ইনস্টল করে অন্যান্যগুলোতে ঢোকার রাস্তা রাখো দেখি।
পৃথিবীর অন্যতম সেরা বাজে সফটওয়্যার হচ্ছে আইটিউনস। এটা চালু হতেই লাগে মিনিটখানেক। একটা অংশ থেকে আরেকটা অংশে যেতে লাগে সেকেন্ডখানেক। শুধু তাই নয়, এটা দিয়ে এ্যপলের যত কন্ট্রোল তার সব ডিভাইসের উপর। (আইওএস ৫ থেকে অবশ্য আর আইটিউনস লাগবে না ডিভাইস চালানোর জন্য) সবচেয়ে বড় সমস্যা এটা ডাটাবেস রাখে একটা প্লেইন এক্সএমএল ফাইলে। এক্সএমএল ফাইল কুয়েরি করা যেকোন সিকুয়েল ডাটাবেস থেকে অনেকগুণ স্লো। এই জিনিসটা পরিবর্তন করতে এ্যপলের কিসের সমস্যা সেটাই বুঝি না। এই একটা জিনিস পরিবর্তন করলেই এটা সুপার ফাস্ট হবে।
আর ফাইন্ডারের কথা আর কি বলব। এটা ব্যবহার করার ন্যুনতম চেষ্টাও আমি করি না। এটা দিয়ে কিছুই করা যায় না। আশা করি, লায়নে এটাকে উন্নত করবে এ্যপল। এর চাইতে ডসের মিডনাইট কমান্ডারও অনেক উন্নতমানের।
অবশ্যই ম্যাক ওএস এক্সের অনেক অনেক এডভান্সড ফিচার আছে যা অন্য কোথাও নেই। তবে সেগুলোর অনেক বিকল্পও আছে।
হ্যাকিন্টোশ সম্পর্কে আমার মন্তব্য হলো - ইজিবাইকে মার্সিডিজ ইঞ্জিন লাগিয়ে চলার চাইতে রিকশায় চড়া অনেক নিরাপদ।
আর চোখ খোলার মানে যদি পাইরেসি করা বোঝাও, তাহলে বলব - চোখ বন্ধ থাকাই ভাল।
বিঃ দ্রঃ এই পোস্টখানা একজন ফুলটাইম ম্যাক ইউজারের যে তার জীবনে তিনখানা কম্পিউটার জাতীয় ডিভাইস কিনেছে এবং প্রত্যেকটাই ম্যাক। এবং ওএস এক্সের সাথে ডুয়াল বুটে উবুন্তু চালায়।
প্রজন্ম ফোরাম » তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি » অপারেটিং সিস্টেম » উবুন্টু বনাম ম্যাক
০.০৫৫৮৬০৯৯৬২৪৬৩৩৮ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৫৮.২১৭৭১৬১৭৩৪২ টি কোয়েরী চলেছে