টপিকঃ কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ৩- অতিথি: ছবি আপু
পূর্বকথা: "কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল" একটি সাক্ষাৎকার নেয়ার সিরিজ।এখানে বিভিন্ন মানুষের ছোটো-খাটো সাক্ষাৎকার নেয়ার চেষ্টা করা হয়।আজকেরটা পর্ব ৩।যারা এই সিরিজের পর্ব ১ ও ২ পড়েন নাই তারা নিচের লিংকে যেয়ে পড়ে নিতে পারেন:
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ১- অতিথি: সালেহ আহমদ
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ২- অতিথি: সমন্বয়ক শিপলু
আজকের পর্ব কথা:
"কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল" সিরিজে আরেকটা সাক্ষাতকার নেয়া হয়ে গেল।ব্যাপারটুকু অনেকটা হুট করেই।আমি বেশিরভাগ সময় বড় প্ল্যান ও সময় নিয়ে কিছু করতে পারিনা,যা করি হুট করেই করি হঠাৎ একবার মনে হল :আচ্ছা,ছবি আপুর একটা ইন্টারভিউ নিয়ে নিলে কেমন হয়।যেই ভাবা,সেই কাজ।আপুকে বুঝিয়ে বলতেই বলল :ঠিক আছে।ব্যাস,দুই-এক দিন প্ল্যান করে তারপর নিয়ে নিলাম ইন্টারভিউ
আমার অনুভুতিটুকু সেইম,সেই আগের মত টেনশন,প্রশ্ন নিয়ে কাটাছেড়া,মাথার উপর একটা ভারের মত বয়ে বেড়ানো তবে শেষ পর্যন্ত ভিন্নরকম এক্সপেরিয়েন্স গেইন করার চ্যালেন্জ ও নতুন কিছু করার অপরিসীম আনন্দটুকু সেসব ভার বা টেনশনকে একদম ছাপিয়ে গেছে
এবার,ছবিপু (ছবি + আপু)বা ছবি-Chhobi সম্পর্কে কিছু বলি।পুরো নাম কাজি ফাতেমা ছবি,বয়স ৩৫,দুই ছেলের গর্বিত মা, বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিসার পদে কর্মরত আছেন।সবকিছু মিলিয়ে পরিবারের এক পরিপূর্ন কর্ত্রী,সাথে প্রজন্ম পরিবারের একজন অতি মূল্যবান সদস্যাও বটে।
লিখেন বেশ গুছিয়ে,লেখার মাঝে একটা চমৎকার সহজ-সরল প্রকাশভঙ্গি রয়েছে যেটা আমার খুবই ভাল লাগে।উনার আবেগ প্রকাশের ধরনটুকুর সাথে মাঝে মাঝে আমার কোথায় যেন বেশ খানিকটা মিল খুজে পাই
অনেক কথা বললাম।এখন চলুন দেখে নিই ছবি আপুর সেই চমৎকার ইন্টারভিউটুকু.........
ছবিপু,কেমন আছো?
-আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি । আল্লাহ রাখছে ভাল।
"কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল" সিরিজে তুমি হচ্ছ প্রথম মহিলা অতিথি,তোমাকে অভিনন্দন।
-অভিনন্দন সাদরে গ্রহণ করলাম ।
প্রথমে আমাদেরকে বলো : প্রজন্মে কিভাবে এলে?
-গুগলে কি জানি একটা খুজতেছিলাম । বাংলা লিখে সার্চ দিলে প্রজন্ম ফোরাম এর নাম আসে। তারপর সাইন আপ করি।
সাইন আপ তো অনেকেই করে,সবাই তো থাকে না।কিন্তু তুমি তো বেশ ভালই প্রজন্মের সাথে জড়িয়ে গেলে।কোন জিনিসটা এর পিছে বেশি কাজ করল?
-আমি প্রথম থেকেই দেখলাম যে এখানে অনেক কিছু শিখার আছে, জানার আছে । আর আমি প্রথমেই যে পোষ্ট করেছিলাম সেখানে অনেকেই মন্তব্য করেছে যা আমাকে উৎসাহিত করেছে। তারপর কবিতা পোষ্ট করলাম এবং সম্মাননা পেলাম । আমার কাছে খুব ভাল লাগছিল এবং লেখালেখিতে উৎসাহ দিগুন বেড়ে গেল ।আর যেহেতু আমি অফিসের পুরো টাইম অনলাইনে থাকতে পারি, তাই প্রজন্মকে ছাড়তে পারলাম না ।
অফিসের কাউকে বলেছ প্রজন্ম ফোরামের কথা?বা আশপাশের কাউকে?
-না বলিনি । বললে অসুবিধা হবে।সবাই তো আর সমান না । হয়তো কটু মন্তব্যও করতে পারত।
হুমম...আচ্ছা,তোমাকে তো সামুতে ব্লগিং করতেও দেখলাম।কেমন এনজয় করছ?
-প্রজন্ম-এর মত না ।সামুতে আছি এখনও,মাঝে মাঝে যাই।
এবার তোমার প্রতিদিনের রুটিন সম্পর্কে আমাদের একটু আইডিয়া দেবে?একটু ডিটেইলস প্লিজ।
-আমি সাধারণত ঘুম থেকে উঠি ৪.৩০ হতে ৫.০০ টার মধ্যে।প্রথমেই ফজরের নামাজ পড়ে কাজের মেয়েটাকে সাথে নিয়ে রান্নার কাজে যাই । রান্না করতে প্রায় একঘন্টা লাগে । তারপর বড় ছেলেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে পড়াতে বসি । তারপর ছেলেদের খাওয়াই । বড় ছেলেকে টিচারের বাসায় পাঠাই।ছোট ছেলেকে কাজের মেয়ের সাথে দিয়ে নিচে পাঠাইয়া দেই।তারপর আমি অফিসের জন্য রেডি হই । স্টাফ বাসে বসি । বাস ছাড়ে ৯.১০ এর সময়ে , অফিসে পৌছি ৯.৪৫ ।তারপর খাতায় সাইন করে কাজ শুরু ।অফিসে এসে পিসি অন করে প্রজন্মতে ঢুকি । তারপর টুকটাক মন্তব্য শেষে অফিসের কাজে বসি।
আল্লাহর রহমতে অফিসে তেমন কাজের চাপ নাই । বেশীর ভাগ কাজই আমাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে করতে হয় । তাই প্রজন্মের সাথে বেশীর ভাগ সময়ই থাকতে পারছি ।কাজের ফাকে আমরা ১১.০০ টায় সবাই একসাথে মিলে নাস্তা করি।সবাই বাসা থেকে টুকটাক কিছু আনে।সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কিছু সময় অতিবাহিত করি। অফিসে যখন একটু সময় পাই, তখন আমার কলিগদের এখানে বেড়াতে যাই , চা খাই, কিছু সময় কাটাই , তারপর আবার সীটে আসি ।কেমনে যে সময় গড়ায় টেরই পাই না । ফাকে ফাকে শ্বাশুড়ীর কাছে ফোন করে বাচ্চাদের খবর নেই।এভাবে করতে করতে ১.০০ বেজে যায়।
১.০০ বাজলে আর কাউকে সীটে পাওয়া যায় না । আমার ডিপার্টমেন্ট পুরোপুরি ফাকা হয়ে যায় ।আর আমি নামাজ পড়তে যাই।নামাজ পড়ে নিজের সীটে বসে লাঞ্চ শেষ করি ।লাঞ্চ শেষে কিঞ্চিত সাজুগুজু করি ।চা পান করি ,মাঝে মাঝে কফিও খাই।তারপর আবার পিসিতে বসি,ফোরামে ঘুরাফেরা করি । জরুরী কাজ থাকলে করে নেই আগে ।যেমন এখন মোটামুটি দুই একটা জরুরী কাজ আছে ।কিন্তু তোমার সাথে কথা বলে শেষ করে তারপর করবো ।
হায়হায় ,বলো কি??জরুরী কাজ!!
-ইদানিং বেশী সময় পাচ্ছি আজাইররা ।কারণ লোকজন অপরাধ কম করতেছে বলে মনে হয় । অপরাধীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।যাইহোক,তারপর ৫.০০ টায় আসরের নামাজ পড়ি ।নামাজ পড়ে আবার কম্পিউটারে গুতোগুতি.....৫.০০ থেকে ৬.০০ এই সময়টা উত্তেজনার মধ্যে কাটে কখন সময় হবে যাবার।আমাদের স্টাফ বাস ছাড়ে ৬.২০ এ। বাসায় যেতে যেতে পৌছি ৭.০০ প্রায়।তাই প্রতিদিন চেষ্টা করি একটু আগে যাওয়ার, যেমন ৫.৩০ থেকে শুরু।তখন যদি বস আমাকে ছুটি দেয় তাহলে রিক্সা করে বাসায় ফিরি ,তাহলে একটু আগে যাওয়া যায় । রিক্সা ভাড়া নেয় ৫০ টাকা ।এটা ব্যাপার না । যখন গিয়ে দেখি দুই ছেলে অপেক্ষা করছে রাস্তায়,তখন মনটা অতিরিক্ত ভাল হয়ে যায় । তাদের কে নিয়ে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত নিচে ঘুরাফেরা করি ।
তারপর আযান পড়লে বাসায় ফিরি । ফিরে গোসল করি । মাগরিবের নামাজ পড়ি। বাচ্চাদের খাওয়াই। তারপর বড় ছেলেকে পড়াতে বসাই, নিজে পাশে বসি, প্রায় দশটা বাজে পড়াতে পড়াতে। এসময়টা টিভি দেখতে পারি না ।তারপর নিচে আধঘন্টা হাটতে বেরোই। হাটা শেষে টিভিতে কিছু থাকলে দেখি। বাচ্চাদের ভাত খাওয়াই, নিজে খাই,তারপর ঘুমাতে ঘুমাতে তো প্রায় ১২.০০/১.০০ বেজে যায়।ছোট ছেলে তো ঘুমাইতেই চায় না। তার বাবা তাকে কোলে নিয়ে হাটতে হাটতে ঘুম পাড়ায়। তারপর কখন যে ঘুমিয়ে যাই টের-ই পাই না। মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রাখি, তাই ফজরের নামাজের সময় উঠতে পারি।
তুমি এত কম ঘুমাও??? Omg!!!
-হ্যা। এইটাই চাকুরীজীবি মেয়েদের জীবন। তারপরও তো কারো মন উঠাতে পারি না।সব কিছুতেই ব্যর্থ হই
শুধু এটুকু বলব : তুমি অনেকের কাছে আদর্শ ,আমার মতে
আচ্ছা,তোমার জব সম্পর্কে কিছু বলবে আমাদেরকে?
-আমি আছি একটা গুরুত্বপূর্ণ উইং এ ,যেখানে সমস্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের শৃংখলা মুলক কাজ দেখা হয়,তাই সব সময়ই সীটে থাকতে হয়। কোন সময় যে কাকে বাঁশ দেয়া লাগে সেইটার জন্য অপেক্ষায় থাকা।যারা ভিকটিম তারা আমাদেরকে দেখতে পারে না।এ উইংয়ে আছি অনেকদিন, প্রায় ৭ বছর। দেখলাম যে বড় বড় রাঘব বোয়ালরা দোষ করে বেচে যায় ।আর যারা ছোট খাট চাকুরী করে যেমন পিয়ন কেয়ারটেকার অফিসার ,তাদের একটা না একটা শাস্তি হবেই।কিন্তু একেবারে উপরের লেভেলের লোকেরা কিভাবে যেন বেচে যায়।এইটা আমাকে মাঝে মাঝে ভাবায়।
হুম..বুঝতে পেরেছি।এবার আমাদের একটু বলো,তোমার পরিবারের সম্পর্কে,যদি কোন আপত্তি না থাকে বলতে।
-আমার পরিবারের কথা বলব না কেন?বলব অবশ্যই। প্রথমেই বলি আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাই আমার বাবাই আমার আদর্শ গর্ব।আমার বাবা সেনাবাহিনীতে চাকুরী করতেন । ওইখান থেকেই বাবা যুদ্ধে যান।আমার বাবার কারণেই আজ আমি এতদুর। বাবা চাকুরী শেষে কাতার থাকেন ৮ বছর, তাও সরকারী ভাবে। তারপর আবার যান কুয়েতে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট হিসাবে।সেখানে থাকেন ৫ বছর। আর এখন আছেন দেশেই।
আর আমার মাও আমার গর্ব।মায়ের মমতা আর আদরে আজ আমি এতদুর,কারণ ছোটবেলা থেকেই বাবাকে কাছে পাইনি আমরা। আমার মা-ই আমাদের মানুষ করেছেন অনেক কষ্টে।এখন বুঝি মানুষ যে কত কথা শুনাত আমার মাকে।মানুষদের দিয়ে বাজার করাতেন আমার মা।
আমরা তিন বোন দুই ভাই।আমার দুইভাই আমার ছোট । আমার বড় বোন, তারপর আমি, তারপর ভাই, তারপর বোন, তারপর ছোট ভাই।আমার ছোটটা এখন ডেস্ক কোম্পানীতে চাকুরী করে, ঢাকায়ই আছে। আর ছোট ভাইটা ইন্টার পরীক্ষা দিল। আমার ছোট বোন বাংলাদেশ ব্যাংকেই ছোট একটা চাকুরীতে ঢুকিয়ে দিয়েছি। আর বড় বোন দেশেই আছে হাউজ ওয়াইফ হিসাবে,আর দুলাভাইও সেনাবাহিনীতে ছিলেন এখন রিটায়ার্ড ।বড় বোনের একছেলে এক মেয়ে।
আমার মা আমাকে কোন কাজেই বাধা দিতেন না । পড়াশুনা শেষ করে আমি আমার চার বন্ধু মিলে কম্পিউটার ব্যবসা দিয়েছিলাম । অনেকেই অনেক কথা শুনিয়েছে । কিন্তু আমার মা আমাকে উৎসাহ দিয়েছিল ।এই ব্যবসা দেয়ার কারণেই আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকুরীটা পেয়েছি । বন্ধুদের সাথে যদি তখন না থাকতাম তাহলে গ্রামে পড়ে থেকে কিছুই জানতাম না। কম্পিউটার সেন্টারে বসে পত্রিকা পড়ে এখানে এপ্লাই করি। তারপর টিকেও যাই।আর আমার বড় সাপোর্ট ছিল আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা,মেধা আমার ততটা নেই। আল্লাহর রহমতেই আমি এ চাকুরী পাই । তারপর চাকুরীর পরে বিয়ে।
আমি যেখানে জয়েন করেছিলাম সেখানের বড় ভাইয়েরা আর এক ভাবী ছিল, তারাই আমার জন্য পাত্র খোজা শুরু করলো। তারপর একজনকে এনে দেখালো,আমি কিছুই বললাম না,শুধু বললাম আমার পরিবারের সবাই যা বলে তাই হবে।তখন আমি ঢাকাতে আমার দুলাভাইয়ের বাসায় থাকতাম।তখন সবাই দুলাভাইকে খবর দিযে আনালো, তারপর কথাবার্তায় শেষ পযর্ন্ত বিয়ে পর্যন্ত গড়ালো।আমার হাজবেন্ডও বাংলাদেশ ব্যাংকে আছেন ।বর্তমানে এ্যাসিন্টেট ডাইরেক্টর হিসাবে কর্মরত।তারপর তো এই আমি।
অনেক কিছু জানতে পারলাম তোমার কাছ থেকে।এত চমৎকারভাবে তুমি সব বলেছ যেন মনে হচ্ছিল চোখের সামনে সব ভেসে উঠছে।তোমার আবেগটুকু আমার মাঝেও সঞ্চারিত হয়ে গেল।যাই হোক,আমি তো অনেক প্রশ্ন করলাম।আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চাও??
( প্রশ্নটা করে একটু বিপদেই পড়ে গেলাম।ছবিপু অনেক কিছু জানতে চেয়েছিলেন।কিন্তু ইন্টারভিউটুকু আমার নয়,বিধায় আমার অনুরোধে একটি স্পেসিফিক প্রশ্ন করলেন)
-চাই। বর্তমানে কি ভালবাসো কাউকে?
খুব জটিল প্রশ্ন।সেটা ডিপেন্ড করে কার কথা জানতে চাইছ-মা-বাবা-ভাই-বোন??নাকি কোন মেয়েকে?
-কোন মেয়েকে
নাহ..আপাতত এসব থেকে মুক্ত।তবে মাঝে মাঝে পুরোনো অসাধারণ কিছু স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠে,খুব বিচিত্র একটা ভাল লাগা অনুভুতি হয় তখন।
যাই হোক,তোমার কাছে শেষ প্রশ্ন :ইন্টারভিউটুকু দিয়ে কেমন লাগল?
-খুবই ভাল লাগল। আসলে এসব তো আর কেউ জানতে চায় না।তুমিই প্রথম এত সুন্দর করে বিষয়টি উপস্থাপন করলে।খুবই ভাল লাগছে।
সবশেষে, ছবিপু, তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় দেয়ার জন্য।সত্যি বেশ ভাল লেগেছে তোমার ইন্টারভিউটুকু নিয়ে, পুরো ডিফারেন্ট একটা অনুভুতি পেলাম।
-তোমাকেও অশেষ ধন্যবাদ।
এই ছিল ছবি আপুর ইন্টারভিউ। আমার নিজের অনেক বাড়তি প্রশ্ন ও অফ দা রেকর্ড কথা-বার্তা ছিল যেগুলো করা হয়েছে আপুর উত্তরগুলো ডিটেইলড বের করে নিয়ে আসার জন্যে,তবে উল্লেখ করা হয়নি সাজানোর সুবিধার্থে।ইন্টারভিউ শেষ হবার পর পুরো জিনিসটা সাজানো ও এডিট করতে অনেক সময় লেগে গেল-এটাই সবচে কঠিন স্টেপ মনে হয়।এখনো এডিট করছি বারে বারে কিভাবে আরো সুন্দরভাবে ইন্টারভিউটাকে উপস্থাপন করা যায়-কারন আরেকজন মানুষকে সবার সামনে উপস্থাপন করাটা আমার কাছে অনেক বড় একটা রিসপনসিবিলিটি বলে মনে হয়।তারপরও কিছু ভুল থেকে যেতে পারে।সেসব নিয়ে একটু টেনশনে আছি।সবাই ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।