টপিকঃ কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ২- অতিথি: সমন্বয়ক শিপলু
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল একটি সাক্ষাৎকার নেয়ার সিরিজ।এখানে বিভিন্ন মানুষের ছোটো-খাটো সাক্ষাৎকার নেয়ার চেষ্টা করা হয়।আজকেরটা পর্ব ২ ।যারা এই সিরিজের পর্ব ১ পড়েন নাই তারা নিচের লিংকে যেয়ে পড়ে নিতে পারেন:
কিছুক্ষণ উইথ স্বপ্নীল: পর্ব ১- অতিথি: সালেহ আহমদ
কোন মানুষের সাক্ষাৎকার নেয়াটা আমার কাছে কেন যেন বেশ চ্যালেঞ্জিং এবং কষ্টসাধ্য কাজ বলে মনে হয় প্রশ্ন তৈরি করা,সাজানো,বিভিন্ন রকম প্রশ্নের মাধ্যমে অতিথিকে যতটা সম্ভব তুলে ধরা- এসব কিছুই বেশ কঠিন একটা দায়িত্ব বলে মনে হয়।
সেই কঠিন দায়িত্ব পালনের ফসল হিসেবেই এবার এল প্রজন্মের সবার শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় সমন্বয়ক শিপলু ভাইয়ের সাক্ষাৎকার সাক্ষাৎকার নেয়ার পূর্বে কিছুটা টেনশন কাজ করছিল যে কিভাবে নেব।শিপলূ ভাইয়ের সাথে বেশ আগে থেকেই কিছুটা সখ্যতা থাকার কারণে সেই টেনশনটুকু সাক্ষাৎকার শুরুর কিছুক্ষণ পরেই দূর হয়ে গেল
শিপলু ( আসল নাম: এ কে এম মোকাদ্দিম) সম্পর্কে বেশি কিছু বলার নেই।সবাই ভাল করেই জানেন, কতটুকু প্রতিভাবান ও নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে সচেতন এই মানুষটি। উনার যে জিনিসটি সবচে ভাল লাগে সেটা হল: চমৎকার বিচার-বুদ্ধি ও যুক্তির উপস্থাপনা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং শক্ত লেখার গাথুনি।আমি ব্যাক্তিগতভাবে উনার চিন্তা-ভাবনার ধরন এবং সোজা-সাপটা প্রকাশভঙ্গির একজন বড় ভক্ত
তো চলেন, দেরি করে লাভ নাই,দেখে নেই সমন্বয়ক শিপলু ভাইয়ের সেই সাক্ষাৎকারটুকু.........
শিপলু ভাই,কেমন আছেন?
-ভাল আছি।
প্রথমেই জানতে চাইব: প্রজন্মে অনেকদিন ধরে "অনিয়মিত" কেন? (সর্বশেষ পোস্ট প্রায় ৩ মাস আগে)
-ওহ। ভাবলাম মাইলফলক ধরতে পারি না কখনও। এবার মিস করব না। কিন্তু ৫০০০ তম পোস্টে কি লিখব তাই খুঁজে পাচ্ছি না। তাই যাচ্ছি না ।এখন না যেতে যেতে অভ্যেস হয়ে গেছে
প্রজন্মে অনেকদিন সমন্বয়ক হিসেবে আছেন।এতদিন এ ব্যাপারটি কেমন উপভোগ করেছেন?
-ডিউটি পালন করতে আর কেমন লাগবে? ডিউটির মতই লাগে।
বাড়তি কোন কিছু যা সাধারন একজন সদস্য হিসেবে পাওয়া যায় না?
-সতর্ক থাকতে হয় সবসয়ম যাতে কিছু হয়ে না যায়।
তো ইদানিং কি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ?
-কাজ নিয়েই ব্যস্ততা আসলে।আর আমার এক বন্ধু একটু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিল। তাই আরও ব্যাস্ত ।
সামনের দিকে আপনার কোন বিশেষ কিছু করার প্ল্যান আছে কি?
-নাহ। তেমন কোন প্লান নাই।হাল্কা পাতলা প্লানের মাঝে আছে, বাইরে ঘুরতে যাওয়া।দেশের বাইরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারি।
দেশের বাইরে কোথায়?
-ইউরোপের দিকে।
এবার একটু অন্য বিষয়ে আসা যাক।আপনার প্রতিদিনের রুটিন সম্পর্কে একটু আইডিয়া দেবেন?
-হুমম। ঘুম থেকে প্রায়ই উঠি ১২-১ টার দিকে।ঘুম থেকে উঠেই বিছানাতে মর্ণিং মেইল চেক বা অন্য কোন কাজ যা আছে তা সারি। এগুলো করতে ১ ঘন্টার মত লেগে যায়।
তারপর?
-এরপর কাজ করতে বসে যাই। কাজ করা হয় প্রায় ৬টা পর্যন্ত।এর মাঝেই কারেন্ট চলে গেলে গোসল আর খাওয়া দাওয়া করে নেই।মাঝে মাঝে কাজ করতে ভাল না লাগলেও খাওয়ার কাজ সেরে ফেলি ।তারপর সন্ধ্যায় যদি বাইরে কোন কাজ থাকে (কোন কিছু কেনা কাটা বা হাটা) তাহলে বাইরে যাই।
কাজ বলতে কি অফিসের কাজ?নাকি ব্যাক্তিগত কোন কাজ বা ফ্রিল্যান্সিং?
-অফিসের কাজ । এরপর হাল্কা পাতলা নাস্তা খাওয়া হয়।তারপর আবার কাজে বসি। মাঝে কারেন্ট গেলে খাই।কাজ শেষে নেটে বসি, তবে সেটা প্রায় ১২টার পর।এরপরের সময়টা কখনও মুভি দেখে, কখনও অনলাইনে গেম খেলে, কখনও প্রোগ্রামিং করে কাটাই।ভোরের দিকে আবার ঘুম।
টিভি বা মুভি কেমন দেখা হয়?
-টিভি দেখি না। ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ দেখেছিলাম। এরপর আর দেখি নি।মুভি দেখি কাজ শেষ হলে বা কাজের মাঝে বোর ফিল করলে।
প্রজন্মে ঢু মেরে যাওয়া হয় প্রতিদিন?
-প্রজন্মে ঢু মারি যখন কোন রিপোর্ট আসে। মেইলে নতুন রিপোর্ট আসলে সেটা যদি তৎখনাৎ চোখে পড়ে তাহলে ঢুকি।
পোস্ট পড়া হয় না তাহলে খুব একটা?
-একে বারে যে পড়া হয় না তা না। বিশেষ বিশেষ কিছু পোস্ট দেখলে পড়ি। আর মডারেশনের খাতিরে পোস্ট পড়ি।
এবার কিছু ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করতে চাই, করব?
-করতে পার। তবে সব কিছুর এনসার যে আমি দিতে পারব তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না ।
প্রথম প্রশ্ন : প্রজন্মবাসি কখন আপনার বিয়ের দাওয়াত পেতে পারে?এই বছরে পাবার কি কোন সম্ভাবনা আছে?
-হা হা। এটা সম্পর্কে আমিও নিশ্চিত না। এই বছর মনে হয় পার হয়ে যাবে।
কি ধরনের মেয়ে পছন্দ আপনার?
-কঠিন উত্তরের প্রশ্ন।
এটা নিয়ে কয়েকদিন আগে প্রজন্মতে এই টপিকে ভুটাভুটি পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে।
-তাই নাকি?
হ্যা।সবাই যার যার পছন্দের মেয়ের কথা জানিয়েছে।শুধু আপনারটা জানা বাকি
-যার সাথে থাকলে সকল কাজ সহজ হবে। জীবন সুন্দর হবে।নেক্সট কোশ্চেন!
পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে "শিপলু" কেমন ধরনের মানুষ?
-এটা তারাই ভাল বলতে পারবে।
কেন?তারা বলে না যে "তুমি সবসময় এরকম"?
- তাদের কাছে এই ধারণটা আছে যে আমি নিজেই নিজের আলাদা জগৎ তৈরী করে সেখানে বসবাস করছি।
হুমম..আচ্ছা..আপনার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট কোনটাকে বলে আপনি মনে করেন?
-যেদিন প্রথম গল্পের বই ছেড়ে বিজ্ঞানের বই পড়া শুরু করলাম।
কোন ক্লাসে ছিলেন সেসময়?মনে আছে?
-মনে নেই। তবে সম্ভবত হাই স্কুলে পড়তাম ।৭-৮ হবে হয়ত ।ও হ্যা..ওটা ছিল ক্লাস ৮ ।
কোন বিশেষ ঘটনা বা দৃশ্য কি এখনো চোখের সামনে বার বার ভাসে?
-এটা কি জীবনের টার্নিং পয়েন্ট বিষয়ক ?
সেটা যেকোন কিছু হতে পারে,এমনকি আপনার কোনো ভয়ের স্মৃতিও হতে পারে।
-একটা স্বপ্ন আছে, যা আমি অনেকদিন দেখেছি। প্রতিবার একি যায়গা দেখি। এটার কথাই মনে পড়ল। স্বপ্নটা এরকম, একটা বিশাল গাছ। গাছে একটা দোলনা বাধা। দোলনাটা দুলছে। কিন্তু কেউ বসে নেই।
এটা ছাড়া: ছোটবেলায় আকাশের দিকে যখন তাকিয়ে থাকতাম, তখন তারাগুলো আরও সুন্দর ও স্পষ্ট দেখা যেত। এখন সেটা দেখা যায় না। যতবার আমি আকাশের দিকে তাকাই ততবারই আমার চোখে সেইসময়ের আকাশের দৃশ্য চোখে ভাসে।
খুব ইন্টারেসটিং তো । যাই হোক, সর্বশেষ প্রশ্ন : এই সাক্ষাতকার নেয়ার ব্যাপারটা কেমন লেগেছে আপনার কাছে?
-এই প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি।নিজেকে সেলিব্রেটি মনে হচ্ছে!
হাহাহাহা,প্রজন্মের আসলেই আপনি একজন সেলিব্রেটি।
-নাহ!সেখানে আমার তেমন কোন অবদান নাই।আমার টপিক সংখ্যা অনেক কম। ১০০ টাও না।পোস্ট কিন্তু ৫০০০ ।
এখনো কিন্তু ৫০০০ হয়নি
-অনেক পোস্ট তো মোছা হয়েছে। সেই হিসেবে
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে আপনার মূল্যবান সময়টুকু দেয়ার জন্য।সত্যি বেশ মজা পেলাম আপনার সাক্ষাতকারটুকু নিয়ে
-তোমাকেও ধন্যবাদ।
এই ছিল শিপলু ভাইয়ের সাক্ষাৎকার।কেমন লাগল এই সাক্ষাৎকারটুকু সেটা জানানোর জন্য অনুরোধ রইল সবার প্রতি।