টপিকঃ টুয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু
কমান্ডো ট্রেনিং শেষে কাল থেকে নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দলের টুয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সংক্ষিপ্ত ওভারের ম্যাচের এই বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে ক্রিকেটাররা কমান্ডো ট্রেনিং করেছে। এই ট্রেনিং অনেক কিছু পাল্টে দিয়েছে পরিস্থিতি। সবার মধ্যেই ‘কিছু একটা করে দেখানো’র ইচ্ছা। মূল আসরে প্রস্তুতিটা এমনভাবে কাজে লাগাতে চান যেন যেকোনো দলের বিপক্ষেই জিততে সক্ষম হন। কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস শেষে এমনটাই বললেন অধিনায়ক আশরাফুল। তার দল এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত বলে সে সামর্থ্য রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। টুয়েন্টি২০ ম্যাচে যেকোনো দলই জিততে পারে। মাত্র ২০ ওভারের ম্যাচ বলে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অঘটন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই এই আত্মবিশ্বাস তার। দুটি দলই বাংলাদেশের কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও বাংলাদেশ যেকোনো একটি দলের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখছে। তারপরও অধিনায়ক আশরাফুল দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারে বলে জানালেন, এর জন্য যেকোনো একটি দলকে হারাতে হবে। সেটা অসম্ভব কিছু নয়। গত বিশ্বকাপে দÿিণ আফ্রিকাকে হারানোর রেকর্ড আমাদের রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গেও লড়াই করতে চাই। ম্যাচগুলো মাত্র ২০ ওভারের হওয়ায় আমরা যেকোনো একটি দলের বিপÿে জয় পেতে পারি। তবে এটুকু বলতে পারি, পজিটিভ মনোভাব নিয়ে খেলব। একই সঙ্গে বললেন, ‘এটা নতুন টাইপের খেলা। আমাদের এই টাইপের খেলার সঙ্গে বেশি পরিচিতি নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাত-আটটা ম্যাচ আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছি। আমাদের ফিটনেস থেকে ম্যাচ প্র্যাকটিসের ওপর গুরুত্ব বেশি দেওয়া উচিত। বেশিসংখ্যক প্র্যাকটিস ম্যাচ খেললে ভালো করতে পারতাম। ‘ম্যাচ প্র্যাকটিস মেটাতেই আজ বিসিবি একাডেমী দলের সঙ্গে দুটি ও কাল ৪০ ওভারের একটি ম্যাচ আয়োজন করেছে ক্রিকেট বোর্ড। তবে এই ম্যাচগুলোর ফাঁকে ফাঁকে চলবে ফিটনেস টেস্ট, ফিল্ডিং প্র্যাকটিস। এছাড়া টুয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের আগে কেনিয়ায় একটি চার জাতি টুর্নামেন্ট খেলবে। সংক্ষিপ্ত ওভারের ম্যাচ বলে স্ট্রোক প্লেয়িংটাই বেশি প্রাধান্য পায় এ ধরনের ক্রিকেটে। ক্রিজে নামলে লক্ থাকে কম বলে বেশি রান করার। তা না হলে ম্যাচ বাঁচানো কঠিন। অধিনায়ক আশরাফুলও এর সঙ্গে একমত পোষণ করে জানালেন, ‘এ ধরনের ম্যাচে স্ট্রোক ব্যাটসম্যানদের ভ‚মিকা থাকে বেশি। আমাদের দলে অনেক স্ট্রোক ব্যাটসম্যান আছে। তাই যেকোনো একটি দলকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারি বলে দৃঢ় বিশ্বাস। অবশ্য তিনি দলের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে ভালো রান করতে হবে বলে মনে করছেন। বললেন এভাবে, ‘প্রথম ৬ ওভারে আমাদের টার্গেট থাকবে ৪০-এর ওপর স্কোর করা। তাহলে আমরা ভালো করতে পারব।’ টুয়েন্টি২০ বিশ্বকাপে প্রেসার থাকবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক জানালেন, ‘আমাদের কোনো প্রেসার থাকবে না। স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চাই। তবে অপরিচিত পরিবেশে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। মূল প্র্যাকটিসের আগে কমান্ডো ট্রেনিং নিয়েও কথা বললেন আশরাফুল। ‘কমান্ডো ট্রেনিং করার পর আমাদের মানসিক ও শারীরিক শক্তি বেড়েছে। এটা নিয়মিত করতে পারলে ভালো হবে। এই ট্রেনিং আগামীতে আমাদের কাজে আসবে।’ প্রথম দিনই সব ক্রিকেটার মূল প্র্যাকটিসে যোগ দিয়েছেন। সময় কম থাকায় প্রথম দিন থেকেই ক্রিকেটারদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংটা সারতে হয়েছে।
রিপোর্ট টি http://www.dainikdestiny.com থেকে নেওয়া
[img]http://forum.projanmo.com/uploads/2007/12/542_flagmobile.gif[/img]