Re: প্রতিদিন একটা কোরআনের আয়াত অথবা হাদীস.......
"যারা আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করে তারাই আল্লাহর দল এবং তারাই বিজয়ী।"
[সূরা মায়িদাহ : ৫৬]
এই মেঘ এই রোদ্দুর
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » প্রতিদিন একটা কোরআনের আয়াত অথবা হাদীস.......
"যারা আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করে তারাই আল্লাহর দল এবং তারাই বিজয়ী।"
[সূরা মায়িদাহ : ৫৬]
হযরত আনাস (রা) বর্ণনা করেনঃ রাসুলে আকরাম (সা)'র সময়ে দুই ভাই ছিল। তাদের এক ভাই রসুলুল্লাহ (সা)'র কাছে আসত আর এক ভাই নিজ পেশা নিয়ে ব্যস্ত থাকত। কর্মব্যস্ত ভাই রাসুলে মকবুল (সা)'র কাছে এসে অপর ভাইয়ের বিরুদ্ধে (কোন কাজ না করার) অভিযোগ করলো। রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ সম্ভবত তোমাকে তারই বরকতে রিযিক দেয়া হচ্ছে। (তিরমিযি)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
"তিনিই আল্লাহ তা'আলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামসমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।"
[সূরা হাশর : ২৪]
আর তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো তারা তো খেজুরের আঁটির আবরণেরও অধিকারী নয়। তোমরা তাদেরকে আহবান করলে তারা তোমাদের আহবান শুনবেনা এবং শুনলেও তোমাদের আহবানে সাড়া দিবেনা। তোমরা তাদেরকে যে শরীক করেছো তা তারা কিয়ামতের দিন অস্বীকার করবে। সর্বজ্ঞের ন্যায় কেউই তোমাকে অবহিত করতে পারবেনা।"[সুরা-ফাতির,আয়াত-১৪]
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
"তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সেই ব্যক্তি বেশী প্রিয় যে বেশী চরিত্রবান।"
[বুখারী শরীফ]
"দুটি বিষয় এমন যা মানুষের মধ্যে কুফরী বলে গণ্য হয়: বংশধারা কে কলংকিত করা ও মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশার্থে উচ্চ শব্দে কান্নাকাটি করা।"
[ মুসলিম :১২১]
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, "প্রত্যেহ যখন সূর্য উঠে, মানুষের (শরীরের) প্রত্যেক গ্রন্থির সাদকাহ্ দেয়া অবশ্য কর্তব্য। দু'জন মানুষের মাঝে ইনসাফ দেয়া হচ্ছে সাদকাহ্, কোন আরোহীকে তার বাহনের উপর আরোহন করতে বা তার উপর বোঝা উঠাতে সাহায্য করা হচ্ছে সাদকাহ্, ভাল কথা হচ্ছে সাদকাহ্, সালাতের জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপ হচ্ছে সাদকাহ্ এবং কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা থেকে সরানো হচ্ছে সাদকাহ্।"
[বুখারী শরীফ: ২৯৮৯, মুসলিম: ১০০৯]
হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেনঃ রাসুলে আকরাম (সা) বলেছেনঃ আল্লাহর দ্বী (জীবনবিধান) সহজ । যে কেউ এ দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর তা চেপে বসবে। কাজেই সুষম ও মধ্যম পন্থা অবলম্বন করো,সামর্থ্য মত কাজ করো। আর সু সংবাদ গ্রহণ করো এবং সকাল, সন্ধা ও শেষ রাতের কিছু অংশ বন্দেগী করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও। ...................................[বুখারী]
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আবু হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত,
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে বললেন, আমাকে কিছু উপদেশ দিন।
জবাবে রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, "রাগ করো না"। লোকটি এরূপ বার বার রাসূলের নিকট উপদেশ চাইলেন,
আর রাসূল (সা:) বললেন, "রাগ করো না"।[বুখারী: ৬১১৬]
মহান আল্লাহ বলেনঃ পক্ষান্তরে মুত্তাকি লোকের অবস্থান করবে বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে। এবং তাদেরকে বলা হবে যে, এতে প্রবেশ কর পুর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা সহকারে, নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে। তাদের মনে যা কিছু কপটতার ত্রুটি থাকবে, তা আমি বের করে দেবো। তারা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে সামনা-সামনি আসনের উপর বসবে। তারা সেখানে না কোন কষ্টের সম্মুখিন হবে , না সেখান হতে কখনো বহিস্কৃত হবে। [ সূরা হিজর আয়াতঃ ৪৫-৪৮]
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ ৭টি জিনিস প্রকাশ পাওয়ার পূর্বেই তোমরা নেক কাজের দিকে সত্ত্বর অগ্রসর হও। সেগুলো এইঃ
১ তোমরা তো অপেক্ষমান শুধু এমন দারিদ্রেরই যা তোমাদের অমনোযোগী বানিয়ে দেবে
২ বা এমন প্রাচুর্যের যা তোমাদের সীমালংঘন করিয়ে দেবে
৩ অথবা এরূপ রোগ ব্যধির যা তোমাদের পাপাসক্ত করিয়ে ছাড়বে
৪ এমন বৃদ্ধাবস্থার যা জ্ঞান-বুদ্ধিকে বিলোপ করে দেবে
৫ এমন মৃত্যুর যা অচিরেই সংঘটিত হবে
৬ কিংবা দাজ্জালের, যা কিনা নিকৃষ্ট অনুপস্থিত বস্তু, যার জন্যে অপেক্ষা করা হচ্ছে
৭ অথবা কিয়ামতের যা অত্যন্ত বিভীষিকাময় ও কঠিন।(তিরমিযি, রিয়াদুস সালেহীন)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর রাস্তায় একদিন মাত্র রোযা রাখার ফযিলত
আবূ সাঈদ আলখুদরী (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সা:)-কে বলতে শুনেছি,
"যে বান্দা আল্লাহর রাস্তায় একদিন মাত্র রোযা রাখবে, সেই বান্দার চেহারাকে আল্লাহ (ঐ রোযার বিনিময়ে) জাহান্নাম থেকে সত্তর বছরের পথ পরিমাণ দূরত্বে রাখবেন।" (আল্লাহু আকবর)[বুখারী: ২৮৪০, মুসলিম: ১১৫৩, তিরমিযী, নাসাঈ]
তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।
তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।
তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন।[সূরা আদ্ব-দ্বোহা-আলকোরআন]
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"
অযূর পর দু'রাকাত সালাত আদায় প্রসঙ্গে:
"যে ব্যক্তি আমার ন্যায় এরূপ অযূ করে একাগ্রচিত্তে দু'রাকাত সালাত আদায় করবে, তার পূর্বের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।"
হযরত ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমি কি জানাব না কোন লোক দোযখের আগুনের জন্য হারাম অথবা কার জন্য দোযখের আগুন হারাম? (তাহলে শোন) দোযখের আগুন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য হারাম যে লোকদের নিকটে বসে বা তাদের সাথে মিলেমিশে থাকে। যে কোমলমতি, নরম মেজাজ ও বিনম্র স্বভাব বিশিষ্ট”। [তিরমিযি]
অপরদিকে, “যাকে কোমলতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাকে সব ধরণের কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত করা হয়েছে”। (মুসলিম) এজন্যেই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলছেন, “আমি কি তোমাদের দোযখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলঃ প্রত্যেক অহংকারী, সীমালঙ্ঘনকারী, বদমেজাজী ও উদ্ধত লোক”। [বুখারী,মুসলিম]
''নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে, সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে। তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে। তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না; কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে। পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে। নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না। এবং আমার আয়াতসমূহে পুরোপুরি মিথ্যারোপ করত। আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি।''
[সূরা নাবা:২১-২৯]
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। যদি সে নেককার হয় তাহলে (দীর্ঘ জীবনের কারণে) বেশী বেশী সৎকাজ করতে পারবে। আর যদি সে পাপিষ্ট হয় তাহলে হয়তো (তওবা করে আল্লাহ ও বান্দার হক আদায় করে) আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করবে। (বুখারী শরীফ, হাদিস নং-৬৮০৮)
আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম। {Al-Mumtahana: 9}
‘তোমরা কি ভেবে দেখেছ, আল্লাহ্ যদি তোমাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেন এবং তোমাদের হৃদয়ে মোহর করে দেন তবে আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন প্রকৃত ইলাহ্ আছে যে তোমাদের এগুলো ফিরিয়ে দেবে?’
[সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৩০]
‘লোকদের ওপর এমন এক যুগ আসবে যখন একদল লোক যুদ্ধ করবে, তারা বলবে, তোমাদের মধ্যে কি কেউ আছেন যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গ লাভ করেছেন? সবাই বলবে, হ্যাঁ। তখন তাদের বিজয় দান করা হবে। অতপর লোকদের ওপর এমন এক যুগ আসবে যখন একদল লোক যুদ্ধ করবে, তারা বলবে, তোমাদের মধ্যে কি কেউ আছেন যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গলাভকারী কারও ছোহবত পেয়েছেন? সবাই বলবে, জী হ্যাঁ। তখন তাদের বিজয় দান করা হবে। অতপর লোকদের ওপর এমন এক যুগ আসবে যখন একদল লোক যুদ্ধ করবে, তারা বলবে, তোমাদের মধ্যে কি কেউ আছেন যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গ লাভকারীর সোহবতপ্রাপ্ত কারও সাহচর্য পেয়েছেন? সবাই বলবে, হ্যাঁ। তখন তাদের বিজয় দান করা হবে।’ [বুখারী : ৩৬৪৯; মুসনাদ আহমদ : ২৩০১০]
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » প্রতিদিন একটা কোরআনের আয়াত অথবা হাদীস.......
০.০৮০৭৬৬৯১৬২৭৫০২৪ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৮৪.২১৩৮৩৩৩৫১৫৩৭ টি কোয়েরী চলেছে