টপিকঃ সিংঙ্গাপুর ভ্রমণের প্রথম দিন
অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি চলছে থাইল্যান্ড বেরাতে যাওয়ার। কিন্তু নানা করণে শুধুই পিছাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় শুধু থাইল্যান্ড নয়, এর সাথে সিংঙ্গাপুর ও মালায়শিয়াও ঢু মারা হবে।ভুলের শুরু এখান থেকেই। কারণ এতো অল্প সময়ে (১২দিন) এতো গুলি যায়গার কিছুই দেখা সম্ভব নয়।
ঢাকার গুলশানের একটি ট্যুর এ্যান্সির সাথে আলাপ করে একটি প্যাকেজ তৈরি করি আমরা এভাবে- ঢাকা টু সিংঙ্গাপুর, সিংঙ্গাপুর টু মালয়শিয়া, মালয়শিয়া টু থাইল্যান্ড এবং থাইল্যান্ড টু ঢাকা এয়ার টিকেট। সিংঙ্গাপুরে ২ রাত, মালায়শিয়ায় ২ রাত, থাইল্যান্ডের পাতায়ায় ১ রাত ও ব্যাংঙ্ককে ৫ রাত থ্রীস্টার হোটেল। প্রতিটি দেশে হাফ-ডে সিটি ট্যুর। সকালের বুফে নাস্তা ও এ্যায়ারপোর্ট টু হোটোল এবং হোটেল টু এ্যায়ারপোর্ট মাইক্যবাস পরিবহন সার্ভিস। সেই সাথে মালয়শিয়ায় “গ্রাংটিং হাইল্যান্ড ও বুফে লান্চ, পাতায়ায় কোরার দ্বীপ ভ্রমণ ও বুফে লান্চ। তাছাড়া ব্যাংঙ্কক টু পাতায় ও পাতায় টু ব্যাংঙ্কক মাইক্রবাস সারর্ভিসও এর সাথে ইনক্লুডেট ছিলো। এই সমস্ত সার্ভিস এর জন্য আমাদের জন প্রতি দিতে হয়েছে-৮৮,৫০০টাকা করে। আর তিন দেশের ভিসার জন্য দিতে হয়েছে-৫,৫০০ টাকা করে।
২০১০এর ১৪ই ডিসেম্বার রাত সোয়া দশটার সিংঙ্গাপুর এ্যায়ারলাইন্সের এর SQ 0447 ফ্লাইটে চড়ে সিংঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনার মাধ্যমে শুরু হয় আমাদের ভ্রমণ যাত্রা। বোডিং শেষে লাগেজ জমা দিয়ে চড়ে বসি প্লেনে। পাইলট জানিয়ে দেয় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উপর দিয়ে মায়ানমারের রেঙ্গুন পার হয়ে সোজা চলে যাবে সিঙ্গাপুর। তিন ঘন্টা ৪৫ মিনিটের উড়াল শেষে সিংঙ্গাপুর সময় ভোড় ৪টা ১৫ মিনিটে পৌছে যাব গন্তব্যে।
এর আগেও বেশ কবার প্লেনে চড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার, কিন্তু এবারই প্রথম রাতের বেলা খেচর হচ্ছি। কিন্তু ভাগ্য খারাপ- আমার সিটটি জানালার একটি সিট পরে। তাই বকের মত গলা টান দিয়ে কোনো রকমে দেখতে পেয়েছি ঢাকার রাস্তার স্থির জানবাহনের লাল আলোর স্তব্ধ নদী। বেশ লাগে উপর থেকে দেখতে, এই এক জায়গাতে ঢাকার ট্রাফিকের প্রশংসা করতেই হবে। !!!!
সিংঙ্গাপুরে ল্যান্ড করার আগে বোডি কার্ড দিয়ে যায় এয়ারহোস্টেস। কার্ড পুরন করতে হোটেলের নাম দিতে গিয়ে দেখি ভুল করে হোটেল রিজার্ভেশানের কাগজ লাগেজে রেখেই জমা দিয়ে দিয়েছে আমাদের ভাতিজা সোহেল।
এ্যারপোর্টে ইমেগ্রেশনের সামনে যেতেই আটকেদেয় আমাদের। একজন অফিসারকে ডেকে এনে আমাদের সমস্যার কথা যানাই। কিন্তু সে সরাসরি বলে আমাদেরকে সন্দেহ করছে তিনি। শেষ পর্যন্ত তাকে রাজি করাতে পারি আমাদের একজনকে নিয়ে গিয়ে যে লাগেজে কাগজগুলি আছে সেটাখুলে কাগজ নিয়ে আসতে। আমাদের একজন (সাইফুল ২) কে নিয়ে অফিসার নিজেই যায় কাগজ সংগ্রহ করতে। কিন্তু সেই লাগেজে যে কাগজ পাওয়া যায় তা আমাদের পাসপোর্ট ও ডলার ইন্ডোসমেন্টের ফটকপি মাত্র, হোটেল রিজারভেশানের কাগজ সেখানে নাই। এটাকে কি ধরনের ভুল বলা চলে? সাইফুল ২ এর সামনেই অফিসার পুলিশে ইনফরমেশন দেয়ার অর্ডার দিয়ে দেয়। অফিসারকে আগেই বলেছি আমাদেররে রিসিভ করার জন্য হোটেল থেকে লোক আসবে এ্যারপোর্টে, কি মনে করে অফিসার সাইফুল ২ কে নিয়ে বাইরে গিয়ে দেখে সেখানে একজন দাঁড়িয়ে আছে SALAM SHOHEL লেখা কাগজ হতে। সেই লোকের কাছ থেকে আমাদের রিজারভেশান সম্পর্কে কনফার্ম হয় অফিসার। তখন অবশ্য আমরাও জানতে পারি এতো খুঁজে যে কাগজ পাওয়া যাচ্ছে না তা আসলে রয়েছে আমাদের সাথেই একজনের (মনির) কাঁধের ব্যাগে। SALAM SHOHEL আমাদের ভাতিজাই এই কাগজ এখানে রেখে ভুলে গেছে। যাই হোক অফিসারকে কাগজ দেখাতেই সে আমাদের ছেড়ে দেয়। আমরাও মাইক্রবাসে চেপে রওনা হয়ে যাই হোটেলের উদ্দেশ্যে।
হোটেলে পৌছানোর পরে দেখা দেয় আরেক সমস্যা। আমরা পৌছেছি ভোড় ছয়টায়, কিন্তু আমাদের বুকিং করা ৩টি রুমই খালি হবে ১০টা থেকে ১টার মধ্যে। আর ক্রিসমাস সামনে থাকাতে ওদের কোনো রুমই খালি নাই, যেখানে আমরা আপাততো উঠতে পারি। সারা রাতের ধকল আর ঝক্কি ঝামেলার পরে এই ফেসাদ কেমন লাগে বলেন? কিছুক্ষণ এদিক সেদিক ঘুরে-কিছুক্ষণ হোটেল লবিতে বসে ধীরে কাটতে থাকে সময়। এর মধ্যেই এক সময় সকালের নাস্তা সেরে আসি সবাই মিলে। তারপর ১০টার দিকে একটি রুম খালিহতেই সকলেই সেই রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে দিই ঘুম।
দুপুরের পরে খাওয়া সেরে কিছুক্ষণ মার্কেটে ঘুরে বিকেলের দিকে বের হই শহর দেখতে। একটি মাইক্রবাস ভাড়া করি প্রতি ঘন্টা ২৫ সিংঙ্গাপুরি ডলার হিসেবে চার ঘন্টার জন্য।
তখন ঝিরিঝিরি ইলশেগুরি বৃষ্টি হচ্ছে, এর মাঝেই বেরিয়ে পরি আমরা।
এবার দেখুন সেই সময়ে তোলা কিছু ছবি-
১। প্যাকেট করা কাঠালের কোয়া এতো চমৎকার হয় দেখতে আগে জানতাম না।
২।নাম না জানা কত্ত ফলযে আছে এখানে!
৩।কোনটা খাবেন দেখেন।
৪।চেনা লাগছে? হৃতিকের কৃষ ছবির কথা মনে করুন।
৫।Singapore Flyer
৬।Patung Sir Stamford
৭।Merlion Park এর বিখ্যাত সেই Merlion
৮।আমার পিছনে Sands Skypark
৯।Sands Skypark
১০।আমার পেচনে Esplanade Theatres
১১।Merlion
১২।Merlion
১৩।Merlion
১৪।Merlion
১৫।Merlion park থেকে Singapore Flyer
১৬।Riverside Point এরাকা বড় দিনের জন্য প্রস্তুত।
১৭।Riverside Point এরাকা বড় দিনের জন্য প্রস্তুত।
১৮।Riverside Point এরাকা বড় দিনের জন্য প্রস্তুত।
১৯। সিংঙ্গাপুরের সবচাইতে অভিজাত এলাকার তিন কি.মি রাস্তা এভাবে সাজানো হয়েছে বড় দিনের জন্য। এলাকাটির নাম মনে নাই।
২০।
২১।