টপিকঃ মুঠোফোন
জীবনে প্রথম যে সিমটি কিনেছিলাম সেটির দাম ছিল ১৪০০ টাকা।
তারপর জীবনের গতিপথ একটুখানি পরিবর্তিত হলো। বাধ্য হয়েই একটি সিম কিনতে হল। সেটার দাম ছিল ৩৭৮৭০ টাকা:D
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি » মুঠোফোন » মুঠোফোন
জীবনে প্রথম যে সিমটি কিনেছিলাম সেটির দাম ছিল ১৪০০ টাকা।
তারপর জীবনের গতিপথ একটুখানি পরিবর্তিত হলো। বাধ্য হয়েই একটি সিম কিনতে হল। সেটার দাম ছিল ৩৭৮৭০ টাকা:D
আমি জীবনে প্রথম ব্যবহার করি সিটিসেল। আমাদের গ্রুপের প্রধান (সুমন ভাই) এটি কিনেছিলেন। প্রথম থেকেই সেটে সমস্যা ছিল। অপর প্রান্তে কথা খুব আস্তে শোনা যেত। তাই তিনি কয়েকদিন ব্যবহার করে ওটা রেখে দিলে আমি নিয়ে নেই। এভাবে কাটে অনেকদিন। তারপর একটা সময় নিজেই সেট ও সিম কিনি। কিন্ত রয়ে যায় এন্টিক এই সেটটি। আমার নতুন কেনা সেটটি আরেকজনের সাথে বদল করি। ঐদিন রাতেই আমার সেটটি চুরি হয়ে যায়। কি আর করা আবার সঙ্গী সেই সিটিসেল। তারপর আবারো সেট কিনলাম সাথে বাংলালিঙ্ক সিম। কিন্তু দুর্বল নেটওয়ার্ক তাই ভালভাবে ব্যবহার করতে পারছিলাম না। এরই মধ্যেই আবারো সেটটি হারিয়ে গেল।
কি আর করা, সিটিসেল তো রয়েছেই। পরে বাইরে থেকে স্যামসাং এক্স ৪৮০ আনিয়ে ব্যবহার করলাম। তার কিছুদিন পরে আরও একটি সিটিসেল কিনি। আমার এন্টিক সেটটি এখন অভাগাদের সঙ্গী। রনি নামের আমাদের গ্রুপের এক সদস্যের সেট চুরি হয়ে যায় বাস থেকে। অনেকদিন রনি ভাই সেটি ব্যবহার করে। তার পর এখন ব্যবহার করছেন তারই ক্লাসমেট সুব্রত। সুব্রত ভাইও তার সেট ক্যাম্পাসে হারিয়ে ফেলেন। সুব্রত ভাই খুব শীঘ্রই আরেকটি মোবাইল কিনবেন। তাই এর পর লাইনে রয়েছে আমার রুমমেট।
সম্প্রতি আমার স্যামসাং সেটটি অদল-বদল করেছি আমার ভাইয়ের সাথে। আমি তাঁর কাছ থেকে নোকিয়া ৬৬১০আই নিয়েছি মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করা জন্য। আমি বর্তমানে এই সেট দিয়েই ইন্টারনেট ব্যবহার করছি।
আমার বাবা তার নিজের জন্য একটা মোবাইল কেনার জন্য আমাকে টাকা দেন। সেট কেনার পর কিছু টাকা বেচেঁ যায় সেই টাকা দিয়ে আমি আমার জন্য একটা সিম কিনি। কিন্তু সেট কেনার জন্য টাকা ছিল না। তাই মাঝে মাঝে অন্যদের সেট ব্যাবহার করে কথা বলতাম। একসময় অল্প টাকায় একটা পুরাতন সেট কিনি।
মোবাইল কেনার কিছুদিন পর ঢাকায় আসি। ঢাকায় একটা মেসে থাকতাম। মেসে শুধু আমার মোবাইল ছিল। তাই সবার ফোন কল আমার কাছেই আসতো। মাঝে মাঝে বিরক্ত হতাম।
এখন আমাদের মেসে এত পরিমান মোবাইল যে মানুষের থেকে মোবাইলের সংখাই বেশি। ঘরের মধ্যে মোবাইল গিজগিজ করে।
আগে সারা দিনে হইতো একটা মিসকলও আসতো না। আর এখন মোবাইল কানের সাথে মোবাইল ধরে রাখতে রাখতে হাতটাই ব্যাথা হয়ে যায়। আর রাতে তো ঘুমানোর উপায় নাই। আজাইরা প্যাচাল পারতে পারতে পুরো রাতটাই পার হয়ে যায়।
আমেরিকাতে কিন্তু মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে খুবই দুরবস্থা। মানে বলতে চাই, বাংলাদেশে মোবাইল পোষা অনেক সহজ।
প্রধান কারণ হলো আমেরিকাতে অধিকাংশ কোম্পানির প্ল্যানই হলো পোস্ট পেইড। তাও মাসে নির্দিষ্ট মিনিট একটা নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে দিবে, এর বেশি মিনিট ব্যবহার করলেই চড়া টাকা দিতে হবে।
উদাহরণ দেই - আমার বর্তমান প্যাকেজ হলো ৩৯.৯৯ ডলার মাসে, এর বদলে পাবো ৬০০ মিনিট। ইনকামিংকেও এরা মিনিট ধরবে, কাজেই ফোন রিসিভ করলেও ৬০০ মিনিট থেকেই কাটতে থাকবে। এর উপরে গেলে প্রতি মিনিট চল্লিশ সেন্ট করে ধরবে। আর ৩৯.৯৯ হলো বেইস চার্জ, এর সাথে ট্যাক্স ধরে মোট দেই মাসে ৪৮-৪৯ ডলার।
তবে একটা মুলা এরা ঝুলিয়েছে, সেটা হলো রাত ৯টা হতে সকাল ৭টা পর্যন্ত ফ্রি, আর শনি-রবিবার (সপ্তাহান্ত) ফ্রি।
পুরা আমেরিকার সবখানেই একই রেট, মানে ঐ ৬০০ মিনিট থেকেই একই হারে কাটা যায়, আর রাতে/সপ্তাহান্তে ফ্রি।
খুব খারাপ ব্যাপার হলো, এখানে অন্তত ১ বা ২ বছরের কন্ট্রাক্ট করতে হয়। মাঝখানে কাটতে চাইলে ২০০ ডলার জরিমানা!!!
প্রি পেইড আছে খুবই অল্প। তাও প্রচন্ড চড়া রেইট।
এসএমএস আমি করিনা, রিসিভ না করার চেষ্টায় থাকি। কারণ এসএমএস রিসিভ করলেও পয়সা দিতে হয়!!
আর আরেকটা ব্যাপার হলো, এখানে কেউ নতুন আসলে পোস্টপেইডও তাকে দিবে না, কারন হলো ক্রেডিট হিস্ট্রি (আর্থিক অবস্থার ইতিহাস) না থাকলে এরা পোস্টপেইড লাইন দেয় না। দিলেও কয়েকশ ডলার জামানত রাখে।
আর এখানকার ফোন কোম্পানিগুলাও বদের হাড্ডি। ফোন কিনার সময় সেটের সিম লক করে রাখবে, যাতে ঐ সেটে অন্য কোম্পানির সিম কাজ না করে।
(অবশ্য এর কারণ হলো, ১ বছরের কন্ট্রাক্ট করলে অনেক সময় সেট টা ফ্রি দেয়।)
কাজেই, বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহার করে অনেক সুখেই আছে সবাই। আমেরিকাতে মোবাইল কোম্পানিগুলা বেনিয়া প্রজাতির ... টাকা আদায় করার হাজারো তরিকা করে রেখেছে।
তাহলেতো মনে হচ্ছে সত্যিই আমরা বেশ ভাল আছি। ইউএসএর মত এত সীমাবদ্ধতা নেই। সীম কিনলাম। প্রয়োজনে কথা বললাম নয়তো ফেলে দিলাম।
কলরেটও এখন কমে যাচ্ছে।
তা আর বলতে। আমি তো সময় আরো কিছু পেলে দেশের থেকেই মোবাইল নিয়ে আসতাম। দেশে সিটিসেলের প্যাকেজ সেট সমেত ১৩৯৯ টাকায় ৩০০ টাকার টকটাইম সহ দিচ্ছিলো। একই টাকায়, অর্থাৎ ২০ ডলারে মোবাইলের কাভারও পাওয়া যাবে না আমেরিকাতে।
এই দিক থেকে ইউরোপ আর এশিয়া অনেক অনেক এগিয়ে আছে।
গত বছরের মে মাসে একটি সিটিসেল কিনেছিলাম ১৭০০ টাকা দিয়ে সাথে ৩০০ টাকার কার্ড। একটা নম্বরে প্রথম তিন মিনিট ফ্রি। কেটে কেটে আবার করতাম।
দাম উঠে গেছে এক মাসেই। বাকিটা বোনাস। ফোনটি এখনও সতেজ ও সচল রয়েছে। তবে ফ্রি মিনিট শেষ। এখন ঐ নম্বরে প্রতি মিনিট ২৯ পয়সা।
সামেহায়্যারের দ্রোহী নাকি?
কি সিম কিনেছিলেন ৩৭৮৭০ টাকা দিয়ে?
আমার প্রথম সিমের দাম কত ছিল মনে নেই.. কারন সেট সহ দাম নিয়েছিল...... তবে ২০০০ টাকার নিচে ছিল না এটা শিওর.... আবার ২০ টাকা দিয়েও সিম কিনেছি....... ফ্রি... মানে গিফটও পেয়েছি বেশ কয়েকটি...
মনে আছে প্রথম টিউশানির টাকা দিয়ে সেট কিনেছিলাম। হ্যাপী ডেইজ।:)
বাংলাদেশে "বাংলালিংকের" বদলোতে আমরা হওতবা
আগামীতে সীম পবো কমপ্লিট ফ্রি+ গিফট।
ওয়ারিদ সম্পর্কে কারো কাছে কি নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য আছে?
না রে ভাই
মোবাইলে sms করতে হয় কীভাবে?
সুবিধা অসুবিধা সবই আছে । আমি যে প্যাকেজটা নেই সেটা ও২-এর স্টুডেন্ট প্যাকেজ । ১০ ইউরো দিয়ে আমি ওদের সাথে একটা কন্ট্রাক্ট করি । মাসে ৫ ইউরো লাইন চার্জ + ৫ ইউরো কল = ১০ ইউরো দিতে হবে দুই বছর ধরে (১০*২৮=২৪০) ইউরো । ফোনে দুইটা নাম্বার । একটা হোম নাম্বার আরেকটা মোবাইল নাম্বার । হোম নাম্বারটা ল্যান্ড ফোনের নাম্বারের মতো । বাসা থেকে একটা নির্দিষ্ট দুরত্ব পর্যন্ত (হোমজোন) কাজ করে এটা । হোম জোনে কেউ আমাকে হোম জোন নাম্বার থেকে কল করলে ৫ সেন্ট/মিনিট । খু্বই সস্তা । আর ইনিশিয়াল ১০ ইউরো দিয়ে আমি ৬০০ ইউরো দামের একটা সেট নিয়েছিলাম । এখন আমার দুই বছর শেষ প্রায় । কন্ট্রাক্ট টারমিনেট করে নতুন একটা এন সিরিজ নেব চিন্তা করছি ।
বাংলাদেশে এই জাতীয় ফ্যাসিলিটিজ চিন্তাও করা যায় না ।
প্রজন্ম ফোরাম » তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি » মুঠোফোন » মুঠোফোন
০.০৪৬০১৬৯৩১৫৩৩৮১৩ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৫৫.৬০৩২৯৭৯১৮৭৫ টি কোয়েরী চলেছে