Microsoft Windows OS থেকে বিরত থাকা সম্ভব নয় ! ! 11 পাতা থেকে পাতা 6

ভাইরাস কাকে বলে, সেটা জানার চেষ্টা করেন আগে। ম্যালওয়্যার আর ভাইরাস এক জিনিস না।

---

স্টুপিডিটি আর সিকিউরিটি দুটো ভিন্ন জিনিস। স্টুপিডনেসের জন্য কোন রকম নিশ্চয়তা কেউ দেয় না। কেউ দিতে পারবে না। এই কারণেই ব্রাউজারগুলো সতর্কবার্তা দেয়। সেগুলো এড়িয়ে যদি কোন স্টুপিড সিস্টেমের বারোটা বাজায়, তাহলে তার বারোটা বাজাই উচিত।

ওহ, আরেকটি কথা। আপনি বলেছেন সাধারণ ইউজারের দৃষ্টিতে। আসলে আপনি সাধারণ ইউজার না। আপনি পাওয়ার ইউজার। সাধারণ ইউজাররা হার্ডডিস্ক পার্টিশন কী জিনিস সেটা বোঝার চেষ্টা করে না। বুট ম্যানেজমেন্টের তো প্রশ্নই আসে না। মিডিয়া ফাইল চালানোর জন্য যত গবেষণা এ পর্যন্ত করেছেন, তা দিয়ে পিএইচডি না হলেও মাস্টার্স থিসিস লিখতে পারবেন। সাধারণ ইউজাররা উইন্ডোজে যা দেওয়া থাকে তাই ব্যবহার করে। এ কারণেই আইই-র ব্যবহারকারী বেশি। উইন্ডোজ লাইভ চ্যাটার বেশি।

এদের যদি প্রথমেই লিনাক্স ধরিয়ে দেয়া হতো। তবে এরাও উইন্ডোজ সম্পর্কে কিছুই জানত না।

সাধারণ ইউজারদের কাছে লিনাক্স ও উইন্ডোজে কোন পার্থক্য নাই। পাওয়ার ইউজারদেরই কনভার্ট হতে সমস্যা হয়। কেননা তারা ইতোমধ্যেই উইন্ডোজের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। সফটওয়্যার ইকো-সিস্টেমে উইন্ডোজের আচরণে অভ্যস্ত। একটি জিনিস যে উইন্ডোজের বাইরে ভিন্নভাবে চলবে, সেটা মেনে নিতে পারে না।

এই বিতর্কের শেষ কোথায়  ।

আমার মতে ,আসল কথা হচ্ছে নতুন কিছু জানার জন্য ইচ্ছা থাকতে হবে ।উইন্ডোস আগে থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে তাই শুধু উইন্ডোস কে ধরে পরে থাকব নতুন কিছু শিখবনা সেটাতো ঠিকনা । বাপ দাদা লুঙ্গি পরেছে বলে আমাকেও পেন্ট না পরে লুঙ্গি পরে  ঘুরতে হবে ? লুঙ্গি পরবো কিন্তু পেন্ট এ পকেট কটি,কিভাবে পড়তে হয় ,লম্বায় কতটুকু ,দেখতে কেমন ,লুজ হবে নাকি টাইট হবে এসব তো জানতে হবে নইলে দাদার সময় আর আমার সময় এর তপাত টা কি থাকলো ।
লিনাক্স হলো আধুনিক ,স্মার্ট ,জ্ঞানপিপাসু স্বাধীন চিন্তা ধারার মানুসের জন্য যারা নতুন কিছু করতে বা শিখতে চাই এক ধাপ এগিয়ে থাকতে চাই । জানার আগ্রহ ,ধর্য্য এবং যেটা আসল কথা সেটা হলো মাথার মধ্যে ঘিলু নামক জিনিসটি থাকতে হবে এই তিনটি জিনিস না থাকলে উইন্ডোস ছাড়া উপায় নাই ।