আইচ্যাটের চাইতে পিজিনে অনেক বেশি ফিচার আছে। এই কারণে ম্যাক ইউজাররা (যেমন আমি - আমার ডেস্কটপ, ল্যাপটপ দুটোই ম্যাক) আডিয়াম ব্যবহার করে। আডিয়াম হচ্ছে পিজিনের উপর তৈরী। আইচ্যাটে শুধু দুটো জিনিস অন্য যেকোন কিছুর চাইতে উন্নত - গোলটেবিল ভিডিও চ্যাট ও ডেস্কটপ শেয়ারিং। তবে এ দুটো জিনিস ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং-এ পড়ে না।
আইটিউনস হচ্ছে এ্যপলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সবচেয়ে শয়তানি সফটওয়্যার। এর জন্য আমি ইচ্ছা ও যোগ্যতা থাকা সত্তেও আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য সফটওয়্যার বানাতে পারি না। মিডিয়া প্লেয়ার হিসেবে আমারক ও বাঁশি খুবই ভাল জিনিস।
কুইকটাইম এক্সে অনেক ধরণের ভিডিও চালানো যায় না। যে কারণে প্রত্যেক ম্যাক ইউজারের ভিএলসি হচ্ছে প্রিয় ভিডিও প্লেয়ার। কোন ম্যাকে যদি ভিএলসি না থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে সে ভিডিও চালায় না।
ম্যাকের ডকের চাইতে আরও অনেক বেশি ফিচার সমৃদ্ধ ডক আছে লিনাক্সের জন্য। ম্যাকের ডকে শুধু এ্যপ্লিকেশনের আইকন থাকে। লিনাক্সের ডকে আরও অনেক কিছুই রাখা যায়।
টাইমমেশিন হচ্ছে মানুষের পকেট খালি করার আরেক উপায়। ব্যাকআপ রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় যুগ যুগ ধরে রয়েছে সকল সিস্টেমেই। চকচকে গ্রাফিক্স দিয়ে সেরা সফটওয়্যার হয় না। টাইমমেশিন একটা ফাইলের আগের ভার্সন ও নতুন ভার্সনের পার্থক্য বোঝে না। ফলে যদি একটি ২জিবি ফাইলে একটি অক্ষর পরিবর্তন করা হয়, তবে ব্যাকআপ হিসেবে ৪জিবি-র দুটো ফাইল থাকে। যেখানে যুগ যুগ পুরনো ব্যাকআপ সফটওয়্যার শুধুমাত্র বদলকৃত অক্ষরের সাথে কিছু মেটাডাটা সংরক্ষণ করবে।
যাইহোক, টাইমমেশিনের মত সফটওয়্যার লিনাক্সেও আছে। নাম - টাইমভল্ট, ফ্লাইব্যাক।
আইফটো গুগল পিকাসার কাছে কিছুই না। পিকাসার অটো ফোল্ডার আপডেটার আইফটোতে নাই। আইফটোতে ছবি ম্যানুয়ালি যোগ করতে হয়। ফলে একাধিক কপি হার্ডডিস্কে থেকেই যায়। তাছাড়া আইফটো ছবিগুলো তার ইচ্ছামত ফোল্ডারে সাজায়। ফলে স্রেফ ফাইন্ডার থেকে কয়েকটা ছবি কপি পেস্ট করে বন্ধুদের কাছে দেয়া যায় না। বরং আইফটোর ভেতরে ঢুকে বহু কসরৎ করে ছবি বাছাই করে এক্সপোর্ট করে তারপর সেই ছবিগুলো ইমেইল বা শেয়ার করা যায়। অন্যদিকে পিকাসাতে ছবির ফোল্ডার দেখিয়ে দিলেই হয়, পিকাসা সেই ফোল্ডারকে সাজানোর কোন চেষ্টা করে না। যেখানে খুশি সেখানে ছবি রাখা যায়। তাছাড়া অটো ওয়াচ তো আছেই। কোন ফোল্ডার পিকাসাতে যোগ থাকলে সেখানে ছবি রাখলেই পিকাসা নিজে থেকেই লাইব্রেরিতে যোগ করে নেয়।
আইমুভি, গ্যারেজব্যান্ড এগুলো সাধারণ ইউজারদের জন্য না। আমি আমার জীবনেও এগুলো ব্যবহার করি নাই। এগুলো আমার ম্যাকে ইনস্টল করাও নাই। তবে হ্যাঁ, এগুলোর কোন বিকল্প নাই।
দুনিয়ার সবচেয়ে জঘন্য ফাইল ম্যানেজার হচ্ছে ফাইন্ডার। FTFF নামে একখানা জনপ্রিয় টার্মই আছে এর জন্য। এর থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই টাকা দিয়ে ফাইল ম্যানেজার কেনে। এর চাইতে উইন্ডোজের ফাইল এক্সপ্লোরারও অনেক ভাল। নটিলাস তো অবশ্যই ভাল।
চকচক করলেই সোনা হয় না। হ্যাঁ, ম্যাকের চাইতে সুন্দর জিনিস দুনিয়াতে আর নাই। সেটা হার্ডওয়্যার হোক কিংবা সফটওয়্যার। কিন্তু এগুলো দেখতে সুন্দর হলেও এগুলোর চাইতে অনেক ভাল ভাল সফটওয়্যার আছে লিনাক্সে। ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের চেহারা চকচকে হয় না, কারণ প্রোগ্রামাররা বিনা পয়সায় কোড করলেও ভাল ডিজাইনাররা বিনা পয়সায় ডিজাইন করে না।
তারপরও সৌন্দর্য সংজ্ঞায়িত করা খুবই কঠিন কাজ। উইন্ডোজ ভিস্তা/সেভেনের যে ট্রান্সপারেন্সি দেখে আজকালকার পোলাপাইন মুগ্ধ। ম্যাকে সেই ট্রান্সপারেন্সি উইন্ডোজ এক্সপির আমলেই পুরনো হয়ে গেছে। এবং এখনকার ম্যাকে ট্রান্সপারেন্সি প্রায় অনুপস্থিত।
এবারে আমার পছন্দের ওএসের তালিকা:
১। ম্যাক ওএস এক্স এবং উবুন্তু (এ দুটোর একটা ছাড়া আমার চলে না)
৩। হাইকু (অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি এর জন্য)