টপিকঃ ভ্রমণ বাংলাদেশ ০২ : মুন্সিগঞ্জ
("ভ্রমণ বাংলাদেশে" নামে বাংলাদেশের সবকটি বিভাগে ভ্রমণ করার মত স্থান গুলোর সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আশা করি জানাবেন কেমন লাগলো। সেই সাথে আমন্ত্রন রইলো আপনার জানা তথ্যগুলি শেয়ার করার। ধন্যবাদ সবাইকে।)
মুন্সিগঞ্জ
ইদ্রাকপুর দুর্গ + বল্লাল সেনের বাড়ি + হরিশচন্দ্রের দিঘিঃ ঢাকা থেকে মন্সিগঞ্জের দূরত্ব ৩০ কিঃ মিঃ। মুন্সিগঞ্জ শহরের দক্ষিণ প্রান্তে পুরনো কাচারি এলাকায় ইদ্রাকপুর দুর্গ অবস্থিত। রামপালে ছিল বল্লাল সেনের বাড়ি ও দিঘি। বর্তমানে বাড়ির অস্তিত্ব নেই। আছে ধলাগাঁওয়ের হরিশচন্দ্রের রহস্যময় দীঘি এটিকে মাঘী পূর্ণিমার দিঘিও বলা হয়। সারা বছর শুকনো দিঘিটি নাকি মাঘী পূর্ণিমার রাতে পানিতে ভরে যায়। মন্সিগঞ্জে আরো আছে কোদালধোয়া দিঘি, চুরাইন সানের দিঘি, ধামারন দিঘি, শেখের দিঘি, সোনারং মন্দির, কোটগাওয়ের কেল্লা।
শ্রীনগরের শ্যামসিদ্ধির মঠঃ ঢকার ওয়ারী থেকে এসি বাস যায়, ভাড়া জনপ্রতি ৫০-৬০ টাকা আর লোকাল বাসে ভাড়া ২৫ টাকা। নামিয়ে দেবে শ্রীনগর চৌরাস্তায়। সেখান থেকে ৫-১০ টাকা রিকশা ভাড়ায় আসতে হবে শ্রীনগর বাজারের শেষ প্রান্তে। এখান থেকে গাদিঘাট যেতে হবে গ্রামের সরু রাস্তা দিয়ে, রিকশা ভাড়া নেবে ১০-১৫ টাকা। গাদিঘাটেই উপমহাদেশের উচ্চতম এই মঠটি অবস্থিত। ভারতের কুতুবমিনারের উচ্চতা ২৬৩ ফুট আর এই মঠের উচ্চতা ২৮২ ফুট। এর দরজাটির উচ্চতা ২৭ ফুট। বৈশাখ মাশের ২ তারিখে এখানে বিশাল মেলা বসে।
পণ্ডিতের ভিটাঃ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের সোমপাড়া গ্রামে এটি অবস্থিত। মন্সিগঞ্জ শহর থেকে ৬.৫ কি.মি. দূরে এর অবস্থান।
বাবা আদমের মসজিদঃ বাবা আদমের মসজিদটি মুন্সিগঞ্জ শহর থেকে ৬.৫ কি.মি. দূরে রেকাবি সদরে অবস্থিত। দরগাবাড়ি নামক স্থানে বাবা আদমের মাজার রয়েছে।