টপিকঃ জিম্বাবুয়ে ৪৪ রানে আউট, সিরিজ বাংলাদেশের
খবরের সুত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
নিচে পড়েন বিডিনিউজের খবর।খেলা জব্বর হইছে।সাবাস বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ে ৪৪ রানে আউট, সিরিজ বাংলাদেশের
নভেম্বর ০৩জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে অলআউট করে লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু নিজেদের বিপক্ষে সবচেয়ে কম এই ৪৪ রান টপকাতে গিয়ে স্বাগতিকদেরও হারাতে হয় চার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। যদিও খুব একটা সময় নেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা, ১১ ওভার ৫ বলে ৪৯ রান করে জয় নিশ্চিত করেন ৬ উইকেটে। খেলাও শেষ করে দেন লাঞ্চের আগেই। এর আগে এত কম ওভারে বাংলাদেশ কোন ম্যাচ জেতেনি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ একদিনে ম্যাচে মঙ্গলবার সকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই চরম বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ২ ওভার ৩ বলে মাত্র ৪ রানেই খুইয়ে বসে তিন উইকেট। এরপর ঘুরে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, মড়ক লাগে ইনিংসে। ২৪ ওভার ৫ বলেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। স্কোর বোর্ডে তখন লজ্জা, মাত্র ৪৪ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে কম রান। এর আগে সবচেয়ে কম ৯২ রান করেছিল তারা নাইরোবিতে ১৯৯৭ সালের ১৪ অক্টোবর।
প্রথম ওভারের পঞ্চম বল তুলে মারতে গিয়ে খেসারত দেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২)। সহজ ক্যাচটি ধরতে মোহাম্মদ আশরাফুলের কোন অশুবিধা হয়নি। পরের ওভারেই ব্রেন্ডন টেলরকে (০) কট অ্যান্ড বোল্ড করেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। আবারো আঘাত হানেন নাজমুল পরের ওভারে। তুলে নেন চার্লস কভেন্ট্রির (১) উইকেট। পরের ওভারে আরেকটি উইকেট নেন, আউট হন ভারমুলেন (৩)। এখানেই শেষ নয়, নাজমুল ও রাজ্জাকের সঙ্গে যোগ দেন আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। তিনি মাত্র ১৬ রানে মাতসিকেনেরি, এলটন চিগুম্বুরা এবং চিবাবাকে ফেরত পাঠান সাজঘরে। অধিানয়ক সাকিব আল হাসানও চেয়ে দেখেননি তার বোলারদের উইকেট শিকার। আক্রমণে নামেন তিনিও। ৩ উইকেট নেন মাত্র ৮ রানে।
বাংলাদেশি বোলারদেও মধ্যে সব চেয়ে কম ৮ রান দেন সাকিব আল হাসান। বল করেন ৬ ওভার ৫ বল। এছাড়া নাজমুল ৬ ওভার বল করে রান দেন ১০।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ১৩ রান করেন ম্যালকম ওয়ালার।
৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল দশ উইকেটেই জিততে চলেছে বাংলাদেশ। মাত্র ৬ ওভার ২ বলে ৩৩ রান করেন তারা। জয় তখন মাত্র ১২ রান দূরে। কিন্তু পরের বলেই পাল্টে যায় চিত্র। এই ১২ রান টপকাতেই চার উইকেট খোয়াতে হয় বাংলাদেশকে, তবে লক্ষ্য ছাড়িয়ে বাংলাদেশ করেছে ৪৯ রান। আউট হন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছাড়াও সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ও নাঈম ইসলাম। রানের খাতাই খুলতে পারেননি দু'জনের কেউই। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ২২ রান করেন তামিম ইকবাল।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে দু'টি করে উইকেট নেন রেমন্ড প্রাইস ও গ্রায়েম ক্রিমার।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন নাজমুল হোসেন।
বিডিনিউজরে সাকিব আরো কি কইছে দেখেন: