সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন অরন্য (০২-০৮-২০০৯ ১৩:২০)

টপিকঃ ব্রেন সম্পর্কে জানুন

ব্রেন সম্পর্কে জানুন



১. আপনার মস্তিষ্ক রঙ পছন্দ করে। রঙিন কলম ব্যবহার করুন ভালো মানের, জেল পেন নয়। কিংবা ব্যবহার করুন রঙিন কাগজ। রঙ স্মরণ রাখতে সাহায্য করে।



২. আপনার মস্তিষ্ক কার্যকরভাবে মনোযোগী হতে পারে একটানা ২৫ মিনিট। এ সময় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। অতএব প্রতি আধা ঘণ্টা পড়াশোনার পর ১০ মিনিট করে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন। এ সময় উঠানে যেতে পারেন, একটা শার্ট ইস্ত্রি করতে পারেন, ঘরদোর পরিষ্কার করতে পারেন।



৩. দ্রুত শিখতে ও সর্বোত্তম উপায়ে স্মরণে রাখার জন্য মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিতে হয়। পরিশ্রান্ত হলে ২০ মিনিট বিশ্রাম নিন। নইলে পড়াশোনার সময় নষ্ট করা হবে।



৪. আপনার মস্তিষ্ক একটি মোটরের মতো। এর জন্য জ্বালানি প্রয়োজন। আপনি নিশ্চয়ই ময়লা জ্বালানি দেবেন না আপনার মোটর গাড়িতে। অতএব মস্তিষ্ক তো আরো মূল্যবান। অতএব মগজকে যথাযথ খাবার দিতে হবে। জাঙ্ক ফুড, কৃত্রিম খাবার, রাসায়নিক আপনার দেহ ও মনকে দুর্বল করে দেবে। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, আপনার খাবার আপনার আইকিউ’র ওপর প্রভাব ফেলে।



৫. আপনার মস্তিষ্ক ইলেকট্রো কেমিক্যাল কর্মকাণ্ডের এক সাগরের মতো। বিদ্যুৎ ও রাসায়নিক উভয়ই পানিতে ভালোভাবে প্রবাহিত হয়। অতএব আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানি আর কৃত্রিম পানীয় কিন্তু এক নয়।



৬. আপনার মস্তিষ্ক প্রশ্ন পছন্দ করে। যখন ক্লাসে প্রশ্ন করেন কিংবা একটা বই পড়েন, মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে জবাব খোঁজে। এতে শেখা হয় দ্রুত।



৭. মস্তিষ্ক ও দেহের মধ্যে আছে ছন্দচক্র। দিনের মধ্যে এমন সময় আছে যখন আপনি অধিকতর সচেতন থাকেন। আপনি শেখার সময় বাঁচাতে পারবেন, যদি পড়াশোনা করেন আপনার পিক পিরিয়ডে।



৮. শরীর ও দেহ যোগাযোগ রক্ষা করে অব্যাহতভাবে। পড়ার সময় বসে সামনে ঝুঁকে থাকুন এতে মন সচেতন থাকে। ভালো মানের মানানসই চেয়ার ব্যবহার করুন।



৯. গন্ধ মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্ককে সচল রাখতে অ্যারোমা থেরাপি ব্যবহার করুন। পিপারমেন্ট, লেমন ও সিনেমন নিয়ে পরীক্ষা চালাতে পারেন।



১০. মস্তিষ্কের প্রয়োজন অক্সিজেন। বাইরে যান, ব্যায়াম করুন।



১১. মস্তিষ্ক সুপরিসর স্থান চায়। আঁটসাঁট জায়গায় পড়তে বসবেন না।



১২. মস্তিষ্ক চায় আপনার পড়ার জায়গাটা সাজানো-গোছানো হোক। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, সুশৃঙ্খল সাজানো-গোছানো জায়গায় বেড়ে ওঠা শিশুরা লেখাপড়ায় ভালো করে। কারণ বাইরের শৃঙ্খলা থেকে মস্তিষ্ক অভ্যন্তরীণ জ্ঞানকেও সাজাতে শেখে।



১৩.মগজের গর্তের ভেতরের কোষগুলো স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি তথ্য জমা করে। কার্টিসল তা ধ্বংস করে দেয়। পাউনের সময় কার্টিসল জন্ম নেয়। অতএব মানসিক পাউন স্মৃতিতে আঘাত হানে। ব্যায়াম করে তা থেকে মুক্ত হোন।



১৪.মস্তিষ্ককে আপনি না বললে মস্তিষ্ক কিছুই জানে না। আপনি তাকে কী বলছেন? নিজের কথা নিজে শুনুন। নেতিবাচকতা থামান। এর বদলে আনুন আরো ইতিবাচক ও উৎসাহব্যঞ্জক কথা।



১৫.মস্তিষ্ক মাংসপেশির মতো। এটি সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হতে পারে। যেকোনো বয়সী মানুষের বেলায়ই তা সত্য। পেশাজীবী খেলোয়াড়রা প্রতিদিন অনুশীলন করুন।

১৬. মস্তিষ্ক রিপিটেশন চায়। কতবার আপনার মস্তিষ্ক কী দেখল, তার ওপর স্মৃতির দৈর্ঘø নির্ভর করবে।



১৭. আপনার পড়ার গতির চেয়েও বেশি গতিতে মস্তিষ্ক বুঝতে পারে। একটি আঙুল চালিয়ে পড়ুন এতে আপনার চোখ দ্রুত সরতে শিখবে।



১৮. মস্তিষ্কের চলাচল দরকার হয়।



১৯. মস্তিষ্ক চায় প্যাটার্ন ও কানেকশন।



২০. মস্তিষ্ক কৌতুক পছন্দ করে।



সুত্র: ইমেইল

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

ধন্যবাদ অরন্য,
ব্রেন সম্পর্কে অনেক অজানা অথ্য জানলাম ।

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

তথ্যগুলো জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

হুমম... দরকারী তথ্য।

রুমেল'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি CC by 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

ধন্যবাদ..
কতই না বিচিত্র!

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

চমৎকার। তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

লেখাটি CC by-nc-sa 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

১০

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

পরীক্ষার সময় ও কি এক ই নিয়ম

১১ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন নীল আকাশ (১৪-১০-২০০৯ ১২:১৬)

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

তথ্যগুলোর জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

লেখাটি GPL v3 এর অধীনে প্রকাশিত

১২

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

মনে হয় এখন ভালমত ব্রেইন যত্ন নেওয়া যাবে thumbs_up

কারো আশা নষ্ট করবেন না, হয়তো এই আশাই তার শেষ সম্বল।

১৩

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

৯ টা বুঝলাম না

লেখাটি CC by-nc-sa 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

১৪

Re: ব্রেন সম্পর্কে জানুন

বেশ কিছু অজানা তথ্য জানলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

লেখাটি CC by-nc-nd 3. এর অধীনে প্রকাশিত