টপিকঃ মোবাইল বণিকেরা সরিয়ে নাও ঘাতক থাবা !
আমাদের চিলেকোঠার দখল নিয়ে যাচ্ছে মোবাইল কোম্পানিগুলো। একদিন যে চিলেকোঠায় দাঁড়িয়ে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতাম আমরা, ভিজতাম বৃষ্টিতে; সেখানে এখন গ্রামীনফোন-একটেল-বাংলালিংঙ্কের ধাতব টাওয়ার। চিলেকোঠায় ঘর বাঁধার বাউন্ডেলে স্বপ্ন আর এখন আর তাড়িয়ে বেড়ায় না আমাদের। এর চেয়ে লাভজনক চিলেকোঠাগুলোকে বিক্রি করে দেয়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করে দেয়া।
আমাদের ধানক্ষেতজুড়ে পা ছড়িয়ে দাড়িয়ে আছে দানবের মতো মস্ত মস্ত টাওয়ার। একসময় আমাদের দিগন্তজুড়ে দেখা যেত তাল-নারিকেল গাছের সারি; এখন যান্ত্রিক টাওয়ার। ভেঙে পড়ছে আমাদের সব তালগাছের সারি; নির্মিত হচ্ছে লোহারক্করে বানানো দানব। আমাদের চিলোকোঠা; আমাদের ধানক্ষেত দখল করে নিচ্ছে ওরা। ব্যস্ত সড়কের মাথায় ঝুলিয়ে দিচ্ছে পন্যনারীর মুখশোভিত বিলবোর্ড। ঢেকে যাচ্ছে দিগন্ত; আকাশের নীল ; মেঘের লুকোচুরি। আমাদের সবুজ চুরি করে মোবাইল বণিকেরা তাদের বিজ্ঞাপন বসাচ্ছে। পন্যনারীর মুখ আর জংঘার সৌন্দর্যে ভরিয়ে দিচ্ছে গোটা বাংলাদেশ।
আমার কেউ বিলবোর্ড দেখতে চাই না। আমরা আকাশ দেখতে চাই। আমরা আবার চিলেকোঠায় দাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে চাই। টাওয়ার দেখিয়ে নয়; তালগাছের সারি দেখিয়ে চিহ্নিত করতে চাই আমাদের মায়ামাখা গ্রামকে।
মেঘ আর চাঁদের লুকোচুরির বদলে আমরা আর বিলবোর্ড দেখতে চাই না। সেবার মুখোশে আমরা আর লুন্ঠনের আওয়াজ শুনতে চাই না টেলিভিশন আর সংবাদপত্র জুড়ে।
আমাদের আকাশ ফিরিয়ে দাও। আমাদের চিলোকোঠা ফিরিয়ে দাও। আমাদের সবজ গাছপালা আর ধানক্ষেতের সৌন্দর্য ফিরিযে দাও। সরিয়ে নাও ঘাতক থাবা!!:-SS
সংগ্রহেঃ প্রথম আলো