টপিকঃ দূঃখজনক - সাবমেরিন ক্যাবল, আবারও সুযোগ হারালো বাংলাদেশ।
দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত খবরের যোগসূত্র: http://www.ittefaq.com/get.php?d=07/05/01/w/n_zutzzz
একই সাথে দূঃখ ও রাগ লাগে। কিন্তু এর পেছনে অন্য কোন ঘটনা আছে কি না সেটা তদন্ত হওয়া দরকার:rolleyes:। শুধু অবহেলার কারণে হলে, দায়ীদের ধরে গণধোলাই করা উচিৎ ।
দৈনিক ইত্তেফাক ইউনিকোড নয়। তাই খবরটাকে ইউনিকোডে রূপান্তর করে দিলাম। (এস.এম. মাহবুব মুর্শেদ এবং অরূপ কামালের কনভার্টার ব্যবহৃত হয়েছে এজন্য)
সাবমেরিন ক্যাবল আবারও সুযোগ হারালো বাংলাদেশে
আরও একবার সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হবার সুযোগ হারালো বাংলাদেশ। কৌশলগত দিক থেকে এই কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হওয়াটা বাংলাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন ও স্বল্প মুল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। ধারনা করা হচ্ছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের গড়িমসির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন এই সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম এএজি গত বছর বিটিটিবি’এর সঙ্গে দুদফা যোগাযোগ কর্ েকিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব থাকায় আবারও বাংলাদেশকে বাদ দিয়েই ২০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সিমিউই ৪ সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে সংযুক্ত। এই ক্যাবলটি কোনো কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে বা ক্ষতির সম্মুখিন হলে বিদেশের সাথে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এবছর শুরুর দিকে তাইওয়ান ও চীনের সমুদ্র তলদেশের ভুমিকম্পের কারণে বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন বিটিটিবি ও বিটিআরসির একাধিক কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশের আইএসপি এসোসিয়েশনের সাথে মতবিনিয়ম কালে তারা দৈনিক ইত্তেফাকের কাছে জানান, প্রচলিত অবস্থায় ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগকে নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে আমাদের অবশ্যই সিমিউই ৪ এর একটি ব্যাকআপ সিস্টেম রাখা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছিলো ২ সমাধান। একটি ভিস্যাট ইন্টারনেট ব্যাকআপ, অপরটি বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবল। নতুন এই সাবমেরিন প্রকল্পের সাথে বাংলাদেশ যুক্ত হতে পারলে ঠিক এমনই কিছু বিপদজনক অবস্থা থেকে মুক্তি পেতাম আমরা। ২০০৬ সালের ১ জুন বিশ্বের প্রধান টেলিযোগাযোগ কোম্পানীগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণপুর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ঘোষনা দেয়। তারা এই নেটওয়ার্কের নাম দেয় এশিয়াআমেরিকা গেটওয়ে (্এএজি)। নতুন এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য স্থানান্তরের সর্বচ্চো হার হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ দশমিক ৯২ টেরাবাইট। প্রাথমিক হার হবে সেকেন্ডে ৪৮০ গিগাবাইট। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর থেকে এএজি ক্যাবলের মাধ্যমে সেবা দেওয়া শুরু করবে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশই এ অঞ্চলের একমাত্র দেশ যারা একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে সংযুক্ত। এপর্যন্ত তিন বার বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হবার সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে ক্ষতি হয়েছে দেশের আপামর জনগনের, সেই সাথে দেশের তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামোরও। ভবিষতে এমন পদক্ষেপগুলোতে যদি আমরা বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে না পারি সেক্ষেত্রে আমরা ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাবো একটি পিছিয়ে পড়া দেশ। এম এইচ মিশু