Re: Reputation সিস্টেম চালু হল
অবশ্যই রেটিংটা মুল্যবান এবং আপনি তো ইতিমধ্যে রেটিংও পেয়েছেন।
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » নোটিসবোর্ড » নতুন সুবিধা (ফিচার) » Reputation সিস্টেম চালু হল
অবশ্যই রেটিংটা মুল্যবান এবং আপনি তো ইতিমধ্যে রেটিংও পেয়েছেন।
এই ব্যবস্থায় সবচাইতে বিপদ হবে আমার
![]()
। কারণ আমি শুধু উক্তি করি। এখানে কি রেটিং এর ব্যবস্থা থাকবে? না থাকলেও সমস্যা নেই। রেটিং তো আর গলায় ঝুলিয়ে বেড়ানো যাবেনা। এক অর্থে মূল্যহীন। আবার চিন্তা করে দেখলে মূল্যবান। আমার ক্ষেত্র মূল্যহীন - মূল্যবান = '০'।
কেন কেউ দিবে না? আপনার উক্তি যদি কারো পচ্ছন্দ হয় সে নিশ্চয় আপনাকে রেপুটেশন দিবে
ইশতিয়াক লিখেছেন:আমার রেপুটেশন সিস্টেমটা একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না। ধরা যাক, আমি টুটুল আংকেলের একটা লেখা দেখে সুন্দর মনে হওয়াতে উনাকে রেপুটেশন করলাম। ভদ্রতার খাতিরে (যদি টুটুল আংকেল ভদ্র হন) তখন উনিও চেষ্টা করবেন আমার একটা ভালো লেখা খুঁজে বের করতে অথবা কোন লেখা ভালো না লাগলেও রেপুটেশন করতে। আর তাছাড়া এই সিস্টেম সদস্যেদের মাঝে এক ধরনের শ্রেণীবিভাগ সৃষ্টি করে দেবে। (উদাহরণ - আমি অমুকের চাইতে ধনী আর অমুকের চাইতে গরীব) যাদের রেপুটেশন কম থাকবে তাদের লেখা বাকিরা কম পড়বে। তারা মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকবে।
চিন্তার বিষয়।
* কে কাকে রেপুটেশন দিল সেটা না জানলে তো প্রথম সমস্যাটা থাকবে না।তাছাড়া, ভদ্রতা প্রথম প্রথম করা যায়, দীর্ঘসময় চলবে না বলেই আমার ধারণা।
* অন্যদের ধনী হওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ ... না হলে অনেকেই লেখার মান উন্নত করার চেষ্টা করবে না।
* যে সকল ফোরামে এই রেটিং ব্যবস্থা চালু আছে, সেখানে কিভাবে ব্যাপারটা ম্যানেজ হচ্ছে।
আমি ইশতিয়াকের সাথে অনেকটাই একমত।(y)
কাউকে (-)ve রেপুটেশন দেয়াটা অনেক সময়
ভুল বুঝাবুঝি এবং নিজেদের মাঝে দুরত্ব সৃষ্টি করবে বলে আমি মনে করি।
শামীম ভাই-কে
যারা রেপুটেশন পাননি তাদের লেখার মান কি ভালো না...? অনেক ভালো লেখাও তো অনেক সময় কেউ পড়ে দেখেন না। সব ভালো লেখা যে সবার ভালো লাগবে তাতো না। লেখা ভালো লাগলে তো পড়ে সেখানেই মন্তব্য করা যায়।তাহলে আলাদা রেপুটেশনের প্রয়োজন আছে কি?
আমার মনে হয় রেপুটেশন ব্যাপারটা খারাপ না, এটাকে এত সিরিয়াসলি না নিয়ে মজা হিসেবে নিলে মজাই হবে।
আসলে রেপুটেশন নামটাই আপত্তিকর হতে পারে,আমার রেপুটেশন নেগেটিভ মানে কি আমি ভালো না !! তা তো না, হেহ হেহ আমি তো ভালো, কারন আমি প্রজন্মের সদস্য।
আর একটা ব্যাপার, পোস্টের রেটিং দেয়া যায় না ? ধরুন একটা পোস্ট আমার খুব ভালো লাগল আমি ৫/৫ দিলাম, কেউ হয়ত ০/৫ দিলাম। রেটিং নেগেটিভ হতে পারবে না। ০ মানে হয়ত আজাইরা প্যাচাল,১ মানে চলে, ২ মানে ভালো, ৩ মানে চমৎকার, ৪ ফাটাফাটি, ৫ মানে ... যেরকম অনেক সাইটে থাকে।
এমন কিন্তু সদস্যদের ক্ষেত্রেও করা যায়, নেগেটিভ ভ্যালু আসলে কষ্ট দেয়
আর, সম্ভব হলে,+,- যোগ না করে + কয়টা আর - কয়টা পেলাম এটা দেখানো যায় না ?
রেটিং তো আর গলায় ঝুলিয়ে বেড়ানো যাবেনা। এক অর্থে মূল্যহীন। আবার চিন্তা করে দেখলে মূল্যবান। [color=red]আমার ক্ষেত্র মূল্যহীন - মূল্যবান = '০'।[color]
সমীকরণ টা বেশ ভালো ।
গদগ
]
আমি ইশতিয়াকের সাথে অনেকটাই একমত।(y)কাউকে (-)ve রেপুটেশন দেয়াটা অনেক সময়
ভুল বুঝাবুঝি এবং নিজেদের মাঝে দুরত্ব সৃষ্টি করবে বলে আমি মনে করি।শামীম ভাই-কে
যারা রেপুটেশন পাননি তাদের লেখার মান কি ভালো না...? অনেক ভালো লেখাও তো অনেক সময় কেউ পড়ে দেখেন না। সব ভালো লেখা যে সবার ভালো লাগবে তাতো না। লেখা ভালো লাগলে তো পড়ে সেখানেই মন্তব্য করা যায়।তাহলে আলাদা রেপুটেশনের প্রয়োজন আছে কি?
ভাল পয়েন্ট।
আমার মনে হয় ব্লগ আর ফোরামের মধ্যে এটাই পার্থক্য। ব্লগ আমার মনের কথা লেখার জায়গা... কেউ পড়লেই কি ... না পড়লেই কি -- অনেকটা এরকম একটা ভাব। আর ফোরামে লেখা মানে, সকলের সামনে উপস্থাপন করা, একটা আড্ডাতে উপস্থাপন করা ..... সকলের মতামতের প্রত্যাশা করা।
আর রেপুটেশন পাননি --- সবুর করেন... এখনও তো কেবল শুরু হইল ব্যাপারটা। কয়টা দিন যাউক। এখনকার ব্যাপারটা হল ইনিশিয়াল ইনস্টেবল সময়। রেটিং থেকে কারো রেপুটেশনের একটা স্টেবল ইমেজ পাওয়ার জন্য একটু দীর্ঘমেয়াদী ধৈর্য দরকার।
আর সর্বোপরি মনে হয় রেপুটেশনটা লেখার মান নির্ধারনী নয়। এটা রেপুটেশন .... রেটিং নয়। একজনের প্রতি বাকি পাবলিকের কি মনোভাব সেটারই একটা আইডিয়া পাওয়া যাবে, রেপুটেশন থেকে। (হুমায়ুন আহমেদের অনেক লেখার মান খুব খারাপ, কিন্তু আগের ভাল লেখার কারণে রেপুটেশন ভাল থাকাতে ... এখনও প্রকাশকরা উচ্চমূল্যে সেইসব ছাইপাশ কেনেন।)
রেপুটেশন ব্যাপারটা দীর্ঘমেয়াদী .... ইনস্টান্টিনিয়াস নয়। এটার বাংলা অর্থ - যশ, খ্যাতি ....... মানদন্ড বা মান নয়।
আমার কথাগুলো শুধুই ব্যক্তিগত অভিমত।
পোস্টের রেটিং দেয়া যায় না ? ধরুন একটা পোস্ট আমার খুব ভালো লাগল আমি ৫/৫ দিলাম, কেউ হয়ত ০/৫ দিলাম। রেটিং নেগেটিভ হতে পারবে না। ০ মানে হয়ত আজাইরা প্যাচাল,১ মানে চলে, ২ মানে ভালো, ৩ মানে চমৎকার, ৪ ফাটাফাটি, ৫ মানে ... যেরকম অনেক সাইটে থাকে।
এমন কিন্তু সদস্যদের ক্ষেত্রেও করা যায়, নেগেটিভ ভ্যালু আসলে কষ্ট দেয় sadআর, সম্ভব হলে,+,- যোগ না করে + কয়টা আর - কয়টা পেলাম এটা দেখানো যায় না ?
আইডিয়াটা পছন্দনীয়। তবে সেটা রেটিং, রেপুটেশন নহে।
আমার মনে হয় ব্লগ আর ফোরামের মধ্যে এটাই পার্থক্য। ব্লগ আমার মনের কথা লেখার জায়গা... কেউ পড়লেই কি ... না পড়লেই কি -- অনেকটা এরকম একটা ভাব। আর ফোরামে লেখা মানে, সকলের সামনে উপস্থাপন করা, একটা আড্ডাতে উপস্থাপন করা ..... সকলের মতামতের প্রত্যাশা করা।
ব্লগ লেখাটা কি সবার সামনে উপস্থাপন করা না?
ব্লগে কি মতামতের প্রত্যাশা করা হয় না?
ফোরামে কি কোন লেখা নেই যেখানে তেমন কেউ কোন মতামত দেন নি?
ফোরামে কি মনের কথা লেখা যায় না?
আর রেপুটেশন পাননি --- সবুর করেন... এখনও তো কেবল শুরু হইল ব্যাপারটা। কয়টা দিন যাউক। এখনকার ব্যাপারটা হল ইনিশিয়াল ইনস্টেবল সময়। রেটিং থেকে কারো রেপুটেশনের একটা স্টেবল ইমেজ পাওয়ার জন্য একটু দীর্ঘমেয়াদী ধৈর্য দরকার।
ভালো ইমেজ তৈরির জন্য কারো রেপুটেশন পাওয়া কি খুব জরুরী?
এতোদিন রেপুটেশন ছিল না। আমরা কি বুঝিনি কে ভালো? নাকি রেপুটেশনটা ছাড়া কারো সম্পর্কে কোন ধারণা সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়।
যাদের এতোদিন আমাদের ভালো লেগেছে,এই নেগেটিভ রেটিং-এ কি তার ইমেজ খারাপ হয়ে গেল
আর সর্বোপরি মনে হয় রেপুটেশনটা লেখার মান নির্ধারনী নয়।
তাহলে রেপুটেশন কেন?ফোরামে তো সবকিছু লেখার মাধ্যমেই প্রকাশ করা হয়..
[আপনি আগের একটা পোষ্টে বলেছেন,রেপুটেশনের ফলে মানুষ লেখার মান ভালো করার চেষ্টা করবে]
একজনের প্রতি বাকি পাবলিকের কি মনোভাব সেটারই একটা আইডিয়া পাওয়া যাবে, রেপুটেশন থেকে।
এতোদিন কি আইডিয়া পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না?
রেপুটেশন ব্যাপারটা দীর্ঘমেয়াদী .... ইনস্টান্টিনিয়াস নয়। এটার বাংলা অর্থ - যশ, খ্যাতি ....... মানদন্ড বা মান নয়।
তবে আসলেই রেপুটেশন কি?
প্রথমেই বলে রাখি, রেপুটেশনের আইডিয়াটা আমার মাথা থেকে আসেনি। তবে, আইডিয়াটা আসার পরে আমার পছন্দ হয়েছিলো, তাই এর পক্ষে ওকালতি করার অপচেষ্টা করছি।
শামীম লিখেছেন:আমার মনে হয় ব্লগ আর ফোরামের মধ্যে এটাই পার্থক্য। ব্লগ আমার মনের কথা লেখার জায়গা... কেউ পড়লেই কি ... না পড়লেই কি -- অনেকটা এরকম একটা ভাব। আর ফোরামে লেখা মানে, সকলের সামনে উপস্থাপন করা, একটা আড্ডাতে উপস্থাপন করা ..... সকলের মতামতের প্রত্যাশা করা।
ব্লগ লেখাটা কি সবার সামনে উপস্থাপন করা না?
ব্লগে কি মতামতের প্রত্যাশা করা হয় না?
ফোরামে কি কোন লেখা নেই যেখানে তেমন কেউ কোন মতামত দেন নি?
ফোরামে কি মনের কথা লেখা যায় না?
ব্লগ কথাটার উৎস ওয়েব লগ কথাটা থেকে। তবে এখন এটার অর্থ আর সেটাতে আটকে নেই। অনেক বিস্তৃত। শুধু নিজের জন্যও যেমন ব্লগ হয়, তেমনি এর মাধ্যমে ই-জার্নালিজমও হচ্ছে। কাজেই ব্লগ অনেক ব্যাপক একটা ধারনা। আমি মনে করি ফোরাম সেই অর্থে অনেকটাই সীমিত। ফোরামগুলো সাধারণত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক হয় ---- অবশ্য এই ধারনাটা প্রচলিত সিম্পোজিয়াম (=অনেকগুলো ফোরাম প্যারালেলি চলে), ফোরাম ... এইসব থেকে ধার করা। যেমন, আমি দুইবার আর্সেনিক ফোরামে গিয়েছিলাম, অংশগ্রহন করতে। অবশ্য ইন্টারনেট ফোরাম হয়ত সেইরকম ফোরামের আইডিয়াতে আটকে থাকবে না। সম্ভবত আমি সেই আধবুড়া হয়ে গেছি, তাই আইডিয়া লিমিটেড হয়ে গেছে।
কাজেই আমার সেই সীমাবদ্ধ ধারণা থেকে মনে করি ফোরামে বিষয়ভিত্তিক মতামত হবে। আর ব্লগে তো হবেই। ব্লগ হলো আমার বাসার ড্রইংরূম, যেখানে বন্ধু বান্ধব, পরিজন বা প্রফেশনাল গেস্ট আসতে পারে, আলাপচারিতা হতে পারে - অসংখ্যা সম্ভাবনা। সেই ক্ষেত্রে ফোরাম হল, কমন ইনটারেস্ট ওয়ালা কয়েকজন একটা সেমিনার রূম বুক করে সেখানে স্পেসিফিক বিষয়ে আলোচনা করা। অর্থাৎ এটা সবসময়ই ফর্মাল। ড্রইংরূমের মিটিংগুলো ফর্মাল বা ইনফর্মাল হতে পারে (ব্লগ)।
তাছাড়া সেই সীমাবদ্ধ ধারনা থেকেই আরো মনে হয়: ফোরামে একজন চেয়ারম্যান টাইপ লোক থাকেন যিনি আলোচনাটাকে নির্দিষ্ট পথে গাইড করেন যাতে সেখান থেকে ফলপ্রসু কিছু ডিসিশন/গাইডলাইন বেরিয়ে আসে। অপরপক্ষে ড্রইংরূমে সবকিছুই সম্ভব .... গল্পগুজব, হাসি-ঠাট্টা, গুরুগম্ভীর পৃথিবী উদ্ধার করা আলোচনা, রাজনৈতীক, চাপাবাজি, এমনকি মারামারি, গালাগালি ইত্যাদি।
কাজেই আমি মনে করি ফোরামে সেই অর্থে মনের কথা লেখা যায় না। (এটা আমার মতামত; অ্যাবসলুট কিছু না)
শামীম লিখেছেন:আর রেপুটেশন পাননি --- সবুর করেন... এখনও তো কেবল শুরু হইল ব্যাপারটা। কয়টা দিন যাউক। এখনকার ব্যাপারটা হল ইনিশিয়াল ইনস্টেবল সময়। রেটিং থেকে কারো রেপুটেশনের একটা স্টেবল ইমেজ পাওয়ার জন্য একটু দীর্ঘমেয়াদী ধৈর্য দরকার।
ইমেজ তৈরির জন্য কারো রেপুটেশন পাওয়া কি খুব জরুরী?
এতোদিন রেপুটেশন ছিল না। আমরা কি বুঝিনি কে ভালো? নাকি রেপুটেশনটা ছাড়া কারো সম্পর্কে কোন ধারণা সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়।
যাদের এতোদিন আমাদের ভালো লেগেছে,এই নেগেটিভ রেটিং-এ কি তার ইমেজ খারাপ হয়ে গেল
এই ব্যাপারটা আমারও আপনার মতই মনে হয়। তবে আমি সবসময়ই অপটিমিস্টিক।
আমি যদি অনেকদিন ধরে একটা বিষয় অবজার্ভ করি, তাহলে তো ওটার বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় আমার বুদ্ধির লেভেল অনুযায়ী বুঝতে পারব। কে কেমন বুঝতে পারব। কিন্তু ধরেন সম্পুর্ণ অপরিচিত একটা জায়গায় আমি গেলাম; শুরুতেই বুঝার মত অবজারভেশ পাওয়ার কি সবার থাকে?
বা, একটু অন্যভাবে বলি,
জাপানের এখানে এসে আমি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লাম। আমার ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। অনেকগুলো অপশন আছে এখানে, ইউনিভার্সিটি হসপিটাল, স্টেট হসপিটাল, কয়েকটি ক্লিনিক। আমি কিভাবে নির্ধারণ করব যে কোনটাতে গেলে ভাল হবে .... সবাই তো ভালো ডাক্তার! এক ডাক্তার ভাবী এখানে আছেন প্রায় ১১ বছর ধরে, উনাকে বলাতে বললেন অমুক ক্লিনিকে যাও, বেশ ভাল চিকিৎসা করেন। আমার সুবিধা হল। উনি না থাকলে কি করতাম? প্রথমে যেতাম ইউনি. হসপিটালে, তারপর দেখতাম দ্রুত ভালো হচ্ছি না (এরকম ঘটনা আছে) ... ভুগে ভুগে, ধুকে ধুকে বিভিন্ন ডাক্তার ঘুরে শেষে সেই ক্লিনিকে গিয়ে বুঝতাম যে, এইখানেই প্রথম আসা দরকার ছিল।
অন্য উপায় হলো, এখানে বিদেশী যাঁরা আছেন আর আমার ল্যাবমেট ইত্যাদি সবাইকেই জিজ্ঞেস করলাম কোথায় গেলে ভাল হয় ... কেউ বলল এ ভাল কেউ বলল ও ভাল। তারপর সবার মতামত নিয়ে বুঝলাম একটা, সেই অনুযায়ী গেলাম। যদিও এটা আমার কেস স্পেসিফিক চিকিৎসার জন্য যে সবচেয়ে ভালো হবে তার কোন গ্যারান্টি দেবে না।
---আমার ধারণায় রেপুটেশনটা কি বুঝাতে পারলাম? (যদিও এখানেও অনেক কন্ট্রোভার্সির অবকাশ আছে।)
এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, সামহোয়্যারইন কিন্তু পিউর ব্লগ না।ওটা একটা ব্লগীয় ফোরাম।
কারণ সবার লেখা ফ্রন্টপেজে আসে। অর্থাৎ মতামতের জন্য সবার সামনে উপস্থাপন করা হয়। আমি চাই আর না চাই, আমার সামনে দেখতে দেয়া হচ্ছে। আর মানুষ তো ইন্টারেক্ট করতে ভালবাসে।
পিউর ব্লগ হলো, অন্যগুলো। এটা আমার বারান্দায় পারিবারিক/ব্যক্তিগত দেয়ালিকা। আপনার ইচ্ছা হলে এসে দেখবেন, ইচ্ছা না হলে আসবেন না।
কাজেই আমার সেই সীমাবদ্ধ ধারণা থেকে মনে করি ফোরামে বিষয়ভিত্তিক মতামত হবে। আর ব্লগে তো হবেই। ব্লগ হলো আমার বাসার ড্রইংরূম, যেখানে বন্ধু বান্ধব, পরিজন বা প্রফেশনাল গেস্ট আসতে পারে, আলাপচারিতা হতে পারে - অসংখ্যা সম্ভাবনা। সেই ক্ষেত্রে ফোরাম হল, কমন ইনটারেস্ট ওয়ালা কয়েকজন একটা সেমিনার রূম বুক করে সেখানে স্পেসিফিক বিষয়ে আলোচনা করা। অর্থাৎ এটা সবসময়ই ফর্মাল। ড্রইংরূমের মিটিংগুলো ফর্মাল বা ইনফর্মাল হতে পারে (ব্লগ)।
তাছাড়া সেই সীমাবদ্ধ ধারনা থেকেই আরো মনে হয়: ফোরামে একজন চেয়ারম্যান টাইপ লোক থাকেন যিনি আলোচনাটাকে নির্দিষ্ট পথে গাইড করেন যাতে সেখান থেকে ফলপ্রসু কিছু ডিসিশন/গাইডলাইন বেরিয়ে আসে। অপরপক্ষে ড্রইংরূমে সবকিছুই সম্ভব .... গল্পগুজব, হাসি-ঠাট্টা, গুরুগম্ভীর পৃথিবী উদ্ধার করা আলোচনা, রাজনৈতীক, চাপাবাজি, এমনকি মারামারি, গালাগালি ইত্যাদি।কাজেই আমি মনে করি ফোরামে সেই অর্থে মনের কথা লেখা যায় না। (এটা আমার মতামত; অ্যাবসলুট কিছু না)
আমার মনে হয়,ব্লগ এবং ফোরাম দুই জায়গাতেই ফর্মাল ও ইনফর্মাল কথা লেখা যায়। ফোরামেও কি ব্লগের মতো গল্পগুজব, হাসি-ঠাট্টা, গুরুগম্ভীর পৃথিবী উদ্ধার করা আলোচনা, রাজনৈতিক, চাপাবাজি আসছে না?এখানে কি শুধু স্পেসিফিক বিষয়ে ফর্মাল আলোচনা করা হচ্ছে?
আর 'ফোরামে সেই অর্থে মনের কথা লেখা যায় না'-এই কথাটি মানতে কষ্ট হচ্ছে...
শামীম ভাই,ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য ...ভালো থাকবেন।
শামীম লিখেছেন:আর সর্বোপরি মনে হয় রেপুটেশনটা লেখার মান নির্ধারনী নয়।
তাহলে রেপুটেশন কেন?ফোরামে তো সবকিছু লেখার মাধ্যমেই প্রকাশ করা হয়..
[আপনি আগের একটা পোষ্টে বলেছেন,রেপুটেশনের ফলে মানুষ লেখার মান ভালো করার চেষ্টা করবে]শামীম লিখেছেন:একজনের প্রতি বাকি পাবলিকের কি মনোভাব সেটারই একটা আইডিয়া পাওয়া যাবে, রেপুটেশন থেকে।
এতোদিন কি আইডিয়া পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না?
আপনি কি জানেন, আমি/বা অন্য একজন আপনার সম্পর্কে বা অন্য যে কোন একজন মেম্বারের সম্পর্কে কি ভাবে।
ধরেন, এই যে আমি সকলের উপরে একটু খবরদারী করার চেষ্টা করছি - অনেক সময় অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যের পক্ষে সাফাই গাচ্ছি .... .... এটাকে আপনি / অন্যরা কিভাবে দেখছেন? সেটা অনেকসময় সরাসরি জানিয়েছেন। এখন, আমার রেপুটেশন থেকে সেটার একটা আন্দাজ পাব। (এই মূহুর্তে রেপুটেশন সিস্টেমটা নিতান্তই শিশু; আরো কয়েকমাস পরের ঘটনা ধরে চিন্তা করুন।)। যখন দেখব, আমার রেপুটেশন কমছে, তখন বুঝতে পারব অন্যান্যরা আমার আচরনে খুশি হচ্ছে না, সেটা আমার দৃষ্টিকোন থেকে যতই ঠিক হউক না কেন। আমি সতর্ক হব, আরও বিনয়ী হব কিংবা ক্ষমা চাইব।
শামীম লিখেছেন:রেপুটেশন ব্যাপারটা দীর্ঘমেয়াদী .... ইনস্টান্টিনিয়াস নয়। এটার বাংলা অর্থ - যশ, খ্যাতি ....... মানদন্ড বা মান নয়।
তবে আসলেই রেপুটেশন কি?
একজনের সম্পর্কে অন্যদের মনে দীর্ঘমেয়াদী কি ধারনা জন্মেছে তারই একটা প্রতিফলন। (সেটা লেখার মানদন্ডের কারণে হতে পারে, বন্ধুত্বের কারণে হতে পারে, ভাল লেখা কিন্তু দাম্ভিক আচরণের কারণে হতে পারে = সামহোয়্যারের ত্রিভুজ....................)
যে নতুন তার জন্য এই স্কেলটা একটা সাহায্যকারী।
কিছু মানুষ দাম্ভিক হতে পারে।ফোরামে সব ধরনের মানুষ থাকবে।কিন্তু ফোরাম তো সব ধরনের মানুষের একটা সম্মিলিত প্লাটফর্ম...সবার সম্মিলিত অংশগ্রহনে ফোরাম এগিয়ে যাবে।
মনের সব কথা যদি প্রকাশই করা হয়ে যায় তাহলে সেটা কি ভালো? ধরুন আমার সম্পর্কে একজনের ধারণা খুব খারাপ। আমি সেই ভাবেই সেটা প্রকাশ করলাম। সেটা কি সব সময় খুব ভালো কিছু হবে শামীম ভাই?আপনাদেরই কি ভালো লাগবে তা সব সময়? আর আপনিই তো বলেছেন ,ফোরাম মনের কথা লেখার জায়গা না।
বাহ্ এই জিনিস টি তো খেয়ালই করিনি। সত্যিই আমি একটি অন্ধ উদাসীন =))
হাংরি কে ধন্যবাদ এই বিষয়টি চালু করার জন্য। তবে কেউ যদি আজাইরা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে যায়, তাহলে খবর আছে হাহাহাহাহাহাহাহা
বিপ্রতীপ,
আমি কিছু যুক্তি বা ধারণার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত টেনে বিশেষ অর্থে বলেছিলাম যে, মনের কথা বলা যাবে না ------ তাই বলে কি প্রশ্ন করবেন যে, আমরা ফোরামে যে সকল কথা বলি সেগুলো মন থেকে আসে না???? তাহলে আসে কোত্থেকে???
অপর যে পয়েন্টটি তুলেছেন: হাসি ঠাট্টা, মারামারি, চাপাবাজি..... এগুলো তো হচ্ছে ----- এই ব্যাপারে ১০০% একমত। কিন্তু সেগুলো ঠিক জায়গামত হচ্ছে না সবসময়। প্রথমদিকে অপ্রাসঙ্গিক পোস্টগুলোকে কিছু বলিনি কারণ এক্টিভ ফোরামিস্ট তখন ১০ জনেরও কম ছিল। এখন সময় আসছে এই ব্যাপারে আস্তে আস্তে সিরিয়াস হওয়ার।
আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে যখন আপনার (নাকি মানচুমাহারার?) কবিতার রেসপন্সে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য এসেছিল। কবিতার সমালোচনা বাদ দিয়ে কবির সমালোচনা করা হয়েছিল .... .... সেগুলো তো সেই সমালোচকের মনের কথাই ছিল; না কি? তারপরে দেখুন, নোটিশবোর্ডে বাংলা ইউজারনেম বিষয়ক পোস্টটিতে একজন এসে বললেন.. সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা!!!!! --- হাসি ঠাট্টা চলছে... কিন্তু সেটাকে কি আদৌ সমর্থন দিতে পারছেন? কম্পিউটারে একজন ভীষন সমস্যায় পড়েছেন, আরেকজন বা কয়েকজন বিভিন্ন আলোচনা করে পরামর্শ দিয়ে সেটা সমাধানে সাহায্য করছেন .... মাঝখানে আমি ঢুকে বললাম; কি ভাইরা, শইলডা ভালা? --- মনের কথাই তো! কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক। তাই অনাকাঙ্খিত।
এই ধরনের ঘটনাগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। জাতি হিসেবে যে আমরা খুবই বিশৃঙ্খল তারই ধারাবাহিকতার ফল। সেইটাকে একটু শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য রেপুটেশন সিস্টেম একটা ভুমিকা রাখতে পারে কি না সেটা দেখতে কি খুবই আপত্তি আপনার? হতে পারে এই সিস্টেমটা এক্ষেত্রে খুবই অকার্যকর ভুমিকা রাখবে কিন্তু সেটা ট্রায়াল না দিয়েই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কি খুব বিজ্ঞানসম্মত হবে? এটার এফেক্ট ভালোও হতে পারে, খারাপও হতে পারে। এটা যদি ফোরামকে আকর্ষনীয় করার বদলে উল্টোটা করে তাহলে তো বন্ধ করে দেয়ার অপশন খোলা আছেই। তাই ব্যাপারটাকে বাতিল করার আগে একটা সুযোগ দেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।
---- এই অচেনা বিষয়ের উপর সুযোগ/চান্স নেয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি রবীঠাকুরের একটা কবিতা থেকে ...
ওরে সবুজ ওরে আমার কাঁচা ... আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা ....
লাইন বাই লাইন মনে নাই, কিন্তু যতদুর মনে পড়ে বক্তব্যটা ছিল পুরোনোকে আঁকড়ে ধরে থাকা বনাম নতুনের এগিয়ে চলার সংঘাত নিয়ে। নতুনকে সুযোগ দিতে হবে।
ভাল থাকবেন।
শামীম।
(৯০০ তম পোস্ট)
কিছু মানুষ দাম্ভিক হতে পারে।ফোরামে সব ধরনের মানুষ থাকবে।কিন্তু ফোরাম তো সব ধরনের মানুষের একটা সম্মিলিত প্লাটফর্ম...সবার সম্মিলিত অংশগ্রহনে ফোরাম এগিয়ে যাবে।
মনের সব কথা যদি প্রকাশই করা হয়ে যায় তাহলে সেটা কি ভালো? ধরুন আমার সম্পর্কে একজনের ধারণা খুব খারাপ। আমি সেই ভাবেই সেটা প্রকাশ করলাম। সেটা কি সব সময় খুব ভালো কিছু হবে শামীম ভাই?আপনাদেরই কি ভালো লাগবে তা সব সময়? আর আপনিই তো বলেছেন ,ফোরাম মনের কথা লেখার জায়গা না।
দাম্ভিকতার বিষয়টা বলেছিলাম এজন্য যে, অতি উন্নত মানের লেখা দেয়া সত্বেও অন্য ক্ষেত্রে দাম্ভিকতার কারণে একজনের রেপুটেশন খারাপ হতে পারে। তাই রেপুটেশন শুধু লেখার মানের নির্ণায়ক নয় বলেই মনে হয়।
ধরুন নিবন্ধিত ৪০০+ সদস্যের মধ্যে ১০০ জন এক্টিভ। আপনাকে পারসোনাল ক্ল্যাশের জন্য ৫ জনের একটা গ্রুপ নেগেটিভ রেপুটেশন দিতে পারে। কিন্তু বাকী ৯৫ জন তো পজেটিভ দিবে ... তাহলে নেট রেপুটেশন কিন্তু ৯০ বাড়ল। আর যদি উল্টাটা হয়, মানে ৯৫ জনই নেগেটিভ দিল ... তাহলে আসলেই কিছু গলদ আছে ধরে নেয়া যায়। ঠিকাছে?
ধরুন নিবন্ধিত ৪০০+ সদস্যের মধ্যে ১০০ জন এক্টিভ। আপনাকে পারসোনাল ক্ল্যাশের জন্য ৫ জনের একটা গ্রুপ নেগেটিভ রেপুটেশন দিতে পারে। কিন্তু বাকী ৯৫ জন তো পজেটিভ দিবে ... তাহলে নেট রেপুটেশন কিন্তু ৯০ বাড়ল। আর যদি উল্টাটা হয়, মানে ৯৫ জনই নেগেটিভ দিল ... তাহলে আসলেই কিছু গলদ আছে ধরে নেয়া যায়। ঠিকাছে?
১। আমি একটা লেখা লিখলাম, লেখাটা ১০জন পড়ল। এর ভেতরে ১০জনের কাছেই মোটামুটি লাগলেও ৯জন আমাকে কোন রেপুটেশন দিলো না। কিন্তু বিপ্র আমাকে একটা নেগেটিভ রেপুটেশন দিলো। এরপর বিপ্র একটি লেখা লিখল। বিপ্রর লেখাটা ভালো হওয়াতে ৯জন তাকে পজিটিভ রেপুটেশন দিলেও আমি বিপ্রর লেখা না পড়েই নেগেটিভ রেপুটেশন দিলাম। সেইক্ষেত্রে কিন্তু বিপ্র ও আমার দুইজনেরই রেপুটেশন একটা করে কমল। এইভাবে বাকিরাও একজন আরেকজনের লেখা পড়ে কিংবা না পড়েই নিজেরা নিজেরা একজন অপরজনকে রেপুটেশন দিল অথবা বিয়োগ করল। সেই ক্ষেত্রে কী হবে?
২। মান্চু একটা সুন্দর লেখা লিখলো। লেখাটা যাদের কাছে সুন্দর লাগলো তারা লেখাটা পড়ল ও "লেখাটা সুন্দর হয়েছে" বললে মান্চু সাধারণ ভাবেই পরের লেখাটার জন্যে উত্সাহিত হবে। কিন্তু রেপুটেশন সিস্টেমে সবাই লেখাটা পড়ার পর যদি কোন পয়েন্ট দেয়া ছাড়া একই কমেন্ট করে এবং আমি হিংসা করে নেগেটিভ রেপুটেশন দেই, তাহলে মান্চুর কবিতা লেখার উত্সাহ সাধারণ ভাবেই কমে যাবে।
আপনাকে পারসোনাল ক্ল্যাশের জন্য ৫জনের একটা গ্রুপ নেগেটিভ রেপুটেশন দিতে পারে।
৩। অনেক সদস্য রেপুটেশন সিস্টেমকে অতটা সিরিয়াসলি নেয় না সুতরাং কারও পয়েন্ট নেগেটিভ বা পজিটিভ করার চিন্তা ভাবনা করেনা। কিন্তু পারসোনাল ক্ল্যাশের ক্ষেত্রে সবাই কিন্তু নেগেটিভ রেপুটেশন দেয়ার চেষ্টা করে।
১। আমি একটা লেখা লিখলাম, লেখাটা ১০জন পড়ল। এর ভেতরে ১০জনের কাছেই মোটামুটি লাগলেও ৯জন আমাকে কোন রেপুটেশন দিলো না। কিন্তু বিপ্র আমাকে একটা নেগেটিভ রেপুটেশন দিলো। এরপর বিপ্র একটি লেখা লিখল। বিপ্রর লেখাটা ভালো হওয়াতে ৯জন তাকে পজিটিভ রেপুটেশন দিলেও আমি বিপ্রর লেখা না পড়েই নেগেটিভ রেপুটেশন দিলাম। সেইক্ষেত্রে কিন্তু বিপ্র ও আমার দুইজনেরই রেপুটেশন একটা করে কমল। এইভাবে বাকিরাও একজন আরেকজনের লেখা পড়ে কিংবা না পড়েই নিজেরা নিজেরা একজন অপরজনকে রেপুটেশন দিল অথবা বিয়োগ করল। সেই ক্ষেত্রে কী হবে?
আপনার আশঙ্কাটা, আসলে অন্য সবারই আশঙ্কা। তবে শুধু পড়ে কোনরকম প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে চলে গেলে, সেটাকে ফোরামে এক্টিভ পার্টিসিপেশন বলা যাবে না। তাই সবাইকে এক্টিভলি পার্টিসিপেট করাতে উৎসাহ দিতে হবে। আর এই মুহুর্তে সেটাই আমি আশা করি (Optimistic)।
আপনি খালি বিপ্রর রেপুটেশন কমাটাই দেখছেন.... আমি তো দেখছি তার রেপুটেশন +৯-১=+৮ বাড়ল!
২। মান্চু একটা সুন্দর লেখা লিখলো। লেখাটা যাদের কাছে সুন্দর লাগলো তারা লেখাটা পড়ল ও "লেখাটা সুন্দর হয়েছে" বললে মান্চু সাধারণ ভাবেই পরের লেখাটার জন্যে উত্সাহিত হবে। কিন্তু রেপুটেশন সিস্টেমে সবাই লেখাটা পড়ার পর যদি কোন পয়েন্ট দেয়া ছাড়া একই কমেন্ট করে এবং আমি হিংসা করে নেগেটিভ রেপুটেশন দেই, তাহলে মান্চুর কবিতা লেখার উত্সাহ সাধারণ ভাবেই কমে যাবে।
এজন্য সবাইকেই রেপুটেশন দেয়ার ব্যাপার কৃপনতা ছাড়তে হবে। তবে আমার মনে হয়, এটা অটোমেটিকভাবেই ঠিক হয়ে যাবে। ধরুন, আপনি এবং আরো কয়েকজন মাঞ্চুর নিয়মিত পাঠক। মাঝখানে আমি ঢুকে মাঞ্চুরে নেগেটিভ দিয়ে গেলাম। যাঁরা নিয়মিত পাঠক, তাঁরা নিশ্চয়ই ব্যাপারটা খেয়াল করবেন .... তারপর সবাই মিলে একটা করে পজেটিভ রেপুটেশন দিয়ে আপনাদের ভাল লাগাটা প্রকাশ করবেন। (গত কয়েকদিনেই, আমি নিজেই এরকম দুইজনকে তাদের ভাল লেখাগুলো খুঁজে বের করে সেখানে + দিছি; কারণ দেখেছি যে, কেহ কেহ তারে সামগ্রীক বিচার না করেই - দিয়ে তাদের রেপুটেশন কমায় দিয়েছিল)। আর যদি সেইরকম সাপোর্টে বাকীরা এগিয়ে না আসেন, তাহলে অত্যন্ত দূঃখের সাথে, মাঞ্চুকে বন্ধুবিহীন/পজিটিভ মনোভাবসম্পন্ন পাঠকবিহীন ভাবাটাই যুক্তিযুক্ত হবে। (হা হা.... এক্ষেত্রে রেপুটেশন হিংসার পাশাপাশি বন্ধুত্ব প্রকাশেরও মাধ্যম হতে পারে)
৩। অনেক সদস্য রেপুটেশন সিস্টেমকে অতটা সিরিয়াসলি নেয় না সুতরাং কারও পয়েন্ট নেগেটিভ বা পজিটিভ করার চিন্তা ভাবনা করেনা। কিন্তু পারসোনাল ক্ল্যাশের ক্ষেত্রে সবাই কিন্তু নেগেটিভ রেপুটেশন দেয়ার চেষ্টা করে।
আমরা তো চাই ফোরামকে সবাই সিরিয়াসলি নিক.... ।
প্রিয় অপর ফোরামিস্টকে খারাপ রেপুটেশনে দেখেও কেউ যদি সেটাকে ইগনোর করে, (আগে যেমন বললাম) তাহলে সেটা বন্ধুত্বের জন্য দূঃখজনক।
ইশতিয়াক,
আরেকটা পয়েন্ট মনে হল,
যদি কেউ একটা ভালো কবিতা পড়ে, কমেন্টে ভাল বলেন .... তাহলে সেটাকে খুব গঠনমূলক সমালোচনা/আলোচনা বলা যাবে না। কিন্তু যদি বলেন, অমুক ছত্রের অমুক এক্সপ্রেশনটা দিয়ে জীবনের তমুক দিকটাকে দারুন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে (ভাববাচ্যে) তাহলে সেটাকে কবির প্রশংসা না করে কবিতার প্রশংসা হবে। আর ফোরামে আমার কাছে এটাকেই কাম্য বলে মনে হয়।
কবির প্রশংসা করতে হলে সেটা রেপুটেশনে + দিয়ে সেখানকার কমেন্টেই করাটা ভাল হবে।
---- উপরের কথাগুলো এইজন্য বললাম যে, একজন যদি ফোরাম ঘুরতে আসে, তাহলে সে কবিতার নিচে কবির প্রশংসার ফেনা দেখার চেয়ে কবিতার গঠনমূলক সমালোচনা (পজেটিভ বা নেগেটিভ) দেখতেই বেশি ভাল বোধ করবেন (অন্ততপক্ষে আমার কাছে তাই মনে হয়), অনুভব করবেন যে, এটা একটা ফোরাম।
.........
আমি হেক্সাডেসিমেল কালার কোডের উপরে একটা খইভাজা লেখা দিয়েছিলাম। তার নিচের আলোচনায় আসল -- আপনারে দিয়ে হবে! কিংবা, আপনি আমারে খুব সাহায্য করলেন ---- নিঃসন্দেহে এগুলো প্রশংসা করে বলেছে (অন্ততপক্ষে আমি তাই ভেবে সুখি হতে চাই! )। কিন্তু একটা ফোরামে তো বিষয়টা মূখ্য হওয়া উচিৎ, লেখক নয়। প্রশংসাটা তাই রেপুটেশনে গেলেই বেশি ভাল হত --- ফোরামে শুধু গঠনমূলক আলোচনা/সমালোচনাগুলোই সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকত (লগ ইন না করলে, রেপুটেশন দেখা যায় না; আর লগড ইন অবস্থায় রেপুটেশনে ক্লিক করলে সেই রেপুটেশন কে এবং কেন দিয়েছেন, সেটা দেখা যায় :::::--- সেটা কি সবাই দেখতে পান? নাকি আমি মডারেটর বলে দেখতে পাই? একটু confused
)।
দেখতে পাই।
১। আমি একটা লেখা লিখলাম, লেখাটা ১০জন পড়ল। এর ভেতরে ১০জনের কাছেই মোটামুটি লাগলেও ৯জন আমাকে কোন রেপুটেশন দিলো না। কিন্তু বিপ্র আমাকে একটা নেগেটিভ রেপুটেশন দিলো। এরপর বিপ্র একটি লেখা লিখল। বিপ্রর লেখাটা ভালো হওয়াতে ৯জন তাকে পজিটিভ রেপুটেশন দিলেও আমি বিপ্রর লেখা না পড়েই নেগেটিভ রেপুটেশন দিলাম। সেইক্ষেত্রে কিন্তু বিপ্র ও আমার দুইজনেরই রেপুটেশন একটা করে কমল। এইভাবে বাকিরাও একজন আরেকজনের লেখা পড়ে কিংবা না পড়েই নিজেরা নিজেরা একজন অপরজনকে রেপুটেশন দিল অথবা বিয়োগ করল। সেই ক্ষেত্রে কী হবে?
আপনি কেন না পড়েই নেগেটিভ রেপুটেশন দিবেন?
এক্ষেত্রে আমার সাজেশন হল কেউ যদি অকারনে নেগেটিভ রেপুটেশন দেয় তাহলে যে রেপুটেশন পেয়েছে তার উচিত এডমিনকে কম্পলেইন করা। আর সত্যতা যাচাই এর পর এডমিন এর উচিত হবে যে রেপুটেশন দিয়েছে তার কাছ থেকে ১ পয়েন্ট কেড়ে নেয়া ।
প্রজন্ম ফোরাম » নোটিসবোর্ড » নতুন সুবিধা (ফিচার) » Reputation সিস্টেম চালু হল
০.১৩১০১৪৮২৩৯১৩৫৭ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৮৬.৬৩৫১০০১৫৩৫৯ টি কোয়েরী চলেছে