Re: ফ্যান কেন উপরে থাকে এবং হিটার কেন নিচে থাকে?
Re: ফ্যান কেন উপরে থাকে এবং হিটার কেন নিচে থাকে?
বুঝলাম,
ফ্যানের কথা বাদ দিলাম, এয়ারকুলার কি বাতাস ঠান্ডা করতে পারে না???
Re: ফ্যান কেন উপরে থাকে এবং হিটার কেন নিচে থাকে?
৬ ১৪-০৯-২০০৮ ২১:৩২ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন জুয়েল (১৪-০৯-২০০৮ ২১:৩৫)
Re: ফ্যান কেন উপরে থাকে এবং হিটার কেন নিচে থাকে?
Re: ফ্যান কেন উপরে থাকে এবং হিটার কেন নিচে থাকে?
এই জিনিসটার নাম হল পরিচলন প্রক্রিয়া।
Re: ফ্যান কেন উপরে থাকে এবং হিটার কেন নিচে থাকে?
হুম। তারমানে এয়ারকুলারের ক্ষেত্রে ঘুরেফিরে ব্যাপারটা একই হল। এটা সরাসরি বাতাসকে ঠান্ডা করে না। কিন্তু কয়েলের মাধ্যমে করে সেটাকে ঠান্ডা করে সাপ্লাই দেয়। খাবার মাথার পেছন দিয়ে ঘুরিয়ে খাওয়ার মতো আরকি।
Re: ফ্যান কেন উপরে থাকে এবং হিটার কেন নিচে থাকে?
ত্বোহা ভাইতো আজব জিনিস এইসব চিন্তা করার টাইম পান কখন?
Re: ফ্যান কেন উপরে থাকে এবং হিটার কেন নিচে থাকে?
Re: ফ্যান কেন উপরে থাকে এবং হিটার কেন নিচে থাকে?
এসিগুলোতে দুই রকমই অপশন থাকে। ঘরের বাতাসকেই আরো ঠান্ডা করা, অথবা বাইরের বাতাস টেনে এনে ঠান্ডা করে ঢুকানো।
তবে সাধারণ ক্ষেত্রে ঘরের বাতাসই বার বার ঠান্ডা করাতে শক্তি কম খরচ হয়। কারণ ইতিমধ্যেই কিছু বাতাস ঠান্ডা হয়ে যায়। সহজ উদাহরণ হল, ধরুন ঘর এবং বাইরের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এখন কিছুক্ষণ পর ঘরের তাপমাত্রা ঠান্ডা হয়ে ৩৪ ডিগ্রি হবে। কাজেই এরপর যদি সেই বাতাসকেই আরো ঠান্ডা করা হয় তাহলে অপেক্ষাকৃত দ্রুত ঠান্ডা হবে কিন্তু বাইরের বেশি তাপমাত্রার বাতাসকে ঠান্ডা করলে সময়/শক্তি বেশি খরচ হবে।
তবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের ভেন্টিলেশনের নিয়ম অনুসারে কোন ঘরের ৭০% এর বেশি বাতাস রিসাইকেল করা উচিত নয়। এছাড়া বাইরের আর ভেতরের তাপমাত্রার পার্থক্যও ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হওয়া উচিত নয়।
ফ্যানগুলো উপরে থাকাটা তাপীয় বিবেচনায় বরং খারাপ। কারণ সাধারণ সিলিং ফ্যান শুধু একপাশের বাতাস আরেকপাশে নিক্ষেপ করে। আর গরম দিনে ছাদের কাছে জমা হওয়া বাতাসগুলো থাকে গরম (কারণ গরম বাতাস আয়তনে বৃদ্ধি পায় বলে হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়)। আর ফ্যান সেই বাতাসকেই টেনে নিচে নিক্ষেপ করে। এর চেয়ে বরং ছাদের কাছাকাছি বাইরের দেয়ালে একজস্ট ফ্যান দিয়ে গরম বাতাস বাইরে টেনে বের করে দিলে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ঠান্ডা বাতাস মেঝের কাছাকাছি জানালা বা খোলা জায়গা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করবে।
ফ্যান ছেড়ে তার নিচে থাকলে আরাম লাগার কারণ হল দেহের চারপাশে থাকা বাতাস পরিবর্তন। দেহে উৎপন্ন তাপ চামড়ার খুব কাছের বাতাসে কিছুটা প্রবাহিত হয়। আর বাতাস তাপ কুপরিবাহী বলে এতে খুব সামান্য তাপই দেহ থেকে বাইরে যায়, ফলে শরীর ঠান্ডা হয় না। কিন্তু বাতাস প্রবাহিত হলে (ফ্যানের বাতাস) ঐ গরম বাতাসের আস্তরন বা লেয়ার শরীর থেকে সরে যায়, এবং ঐ জায়গায় অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বাতাস জায়গা নেয় এবং শরীর থেকে আবার কিছুটা তাপ গ্রহণ করে। এভাবে শরীর ঠান্ডা হয় ..... .... তাই ভাল লাগে।
আমার বিয়ের পর কিছুদিন শ্বশুড় বাড়ীতে ছিলাম (আমার বিয়ে হয়েছিল জুন মাসে)। তখন যেই ঘরটায় থাকতাম আর দুই দিকে জানালা থাকলেও আশে পাশে বড় বিল্ডিং থাকাতে কোন বাতাসের প্রবাহ থাকতো না। তাই জানালা খোলা থাকলেও লাভ হত না। ফ্যান চালালেও গায়ের ঘাম শুকাতো না। তখন আমি একদিকের জানালা বরাবর একটা প্যাডস্ট্যান্ড ফ্যান জানালার ঘেষে রাখি যেন ওটা চালালে বাতাস ঘর থেকে বের হয়ে যায় (একজস্ট ফ্যানের মত)। ঐ জানালার পর্দা ফেলে শুধু ফ্যানের জায়গাটুকু খোলা রাখি (এর চারপাশে গ্রীলের সাথে পর্দা গুটিয়ে কাপড় আটকানোর ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখি)। এই ফ্যান চালিয়ে দিলে দেখা যেত অন্য দেয়ালের জানালা দিয়ে বাইরের কম আদ্র বাতাস ঘরে প্রবেশ করত। বাতাসের প্রবাহে ঐ জানালার পর্দা ফুলে যেত, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শরীরের ঘাম শুকিয়ে যেত। অথচ সিলিং ফ্যান আর প্যাডস্ট্যাড ফ্যান আর সকলের মত ঘরের ভেতরে চালিয়ে রাখলে সব কিছু এলোমেলো করে দিত কিন্তু আরাম লাগতো না।
আমার মনে হয়, ছাদে ফ্যান লাগানো হয় শুধু নিরাপত্তা আর জায়গার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য। তাপীয় বিবেচনায় লাগালে মেঝের কাছাকাছি জানালা বরাবর লাগালেই ভাল হত, বাইরের ঠান্ডা/শুষ্ক বাতাস ঘরে নিয়ে আসতে পারতো। কিংবা একজস্ট ফ্যান হিসেবে লাগালেও ভাল।
এই প্রসঙ্গে ঢাকার কিছু শপিং সেন্টারের কথা বলতে পারি। ওগুলোতে মাথার উপরে কিছুদুর পর পর ফ্যান ঘুরছে কিন্তু তাও গরম কমে না। বরং ছোট জায়গায় অনেক লোকের ভীড়ে বাইরের চেয়ে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রী বেশি থাকে। এর বদলে যদি এমন ভাবে পাখা বসাতো যে ভেতরের বাতাসকে ঠেলে বাইরে পাঠিয়ে দেবে, তবে অনেক বেশি আরামদায়ক হতো। এরকম চমৎকার বিবেচনাপ্রসূত ভেন্টিলেশন দেখেছিলাম গুলিস্থানের বঙ্গবাজারে; তাই ওটা অনেক বেশি অপ্রশস্থ হওয়া সত্ত্বেও ঠান্ডা থাকে।