টপিকঃ একজন ১৮-২০ বছর বয়সের মেয়ের কোন কথাগুলো মনে রাখা দরকার?
মনে রাখতে হবে যে জীবন একজনের জন্য থেমে থাকবে না।
পরিবর্তনকে মেনে নিতে হবে।গ্রহণ করতে হবে ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যকে।
অন্ধভাবে কাউকে বিশ্বাস করা যাবেনা।
বয়ফ্রেন্ড নির্বাচনে সাবধান;এমন বয়ফ্রেন্ড নির্বাচন করা যাবে না যে তোমার স্বাধীন পথচলাকে অমসৃণ করে তুলবে।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সময় ব্যয় করতে হবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে।
নেতিবাচক এবং বিকৃত মানসিকতার লোকদের পরিহার করতে হবে।
অনলাইনে কখনো সস্তা সেলিব্রিটি হওয়ার চিন্তা মাথায় ঢোকানো যাবে না।
যারা অন্যের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
হতাশাবাদী লোকদের থেকে দূরে রাখতে হবে- নিজেকে।
চলাফেরা করতে হবে স্বাধীনভাবে,অন্যের নিয়ন্ত্রণে থাকা যাবে না।
যা-ই করো না কেন;কিন্তু দিনশেষে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই।
বাহিরের চাকচিক্য এবং মিষ্টি মিষ্টি কথার ফাঁদে পড়ে নিজেকে অন্যের কাছে সঁপে দেয়া ও বিলিয়ে দেয়া যাবে না।অর্থাৎ কৃত্রিম লোকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না।
তবে প্রেমেরও প্রয়োজন রয়েছে;কিন্তু সেটি হতে হবে অত্যন্ত উপাদেয়,পারস্পরিক মর্যাদাপূর্ণ,অক্ষতিকর এবং উপভোগ্য।যে প্রেম নিজের ক্ষতি বয়ে আনবে সে প্রেমে জড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই।
এসময় সময়ানুবর্তিতা,শৃঙ্খলা এবং পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণের কোনো বিকল্প নেই।তবে জ্ঞান আহরণ বলতে আবার শুধুই পড়ার টেবিলে বসে থাকা নয়!চষে বেড়াতে হবে সর্বত্র- সবখানে
কারো কাছে মাথা নত করা যাবে না;যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে!
লোকে অনেক কথাই বলবে,সমাজ কখনো কখনো বাঁকা চোখে তাকাবে,কখনো কখনো তোমার দিকে আঙুল তুলবে;কিন্তু এসব নিয়ে মাথা ঘামানো যাবেনা।চলতে হবে সাহসিকতার সাথে।
প্রতিটি পদক্ষেপ হতে হবে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী।
কোন মানুষই কামের ঊর্ধ্বে নয়;কিন্তু তাই বলে এমন কিছু করা যাবে না,যাতে নিজের ক্ষতি হয়।
সবচাইতে বড় বিষয় হচ্ছে বাকস্বাধীনতা এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা ছাড়া কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে না।মনে রাখতে হবে নিজের স্বকীয়তা যেন কখনো ক্ষুন্ন না হয়।
#সংগৃহীত