টপিকঃ তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকাণ্ডের ৮ বছর
Powerless, Less money people does not have right to get Justice in Bangladesh
আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের ৮ বছর পূর্ণ হলো আজ। দেশের পোশাক শিল্পের ইতিহাসে অন্যতম এ দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে মারা যান ১১৩ জন শ্রমিক, আহত হন দুই শতাধিক। সেদিনের ভয়াবহ আগুন থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিকরা আজও শরীর আর মনে বয়ে বেড়াচ্ছেন ক্ষত।
২০১২ সালে এই দিনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তোবা গ্রুপের তাজরিন ফ্যাশন নামের পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড কেড়ে নেয় শত শ্রমিকের প্রাণ। জীবন বাঁচাতে ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়েও মারা যায় অনেকেই। আগুনের লেলিহান শিখার মাঝে শত শত শ্রমিকের বাঁচার আকুতি আর কান্না, নাড়া দিয়েছিলো সারা বিশ্বকে।
বেঁচে ফেরাদের অনেকেই হারিয়েছেন শরীরিক সক্ষমতা, অনেকেই হারিয়েছেন আপনজন। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরন দেয়া হলেও, নামমাত্র সেই অনুদানের টাকার প্রায় সবটুকুই ব্যয় করতে হয়েছে চিকিৎসায়।
বিজিএমইএ-সহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সহযোগীতায় চাকরী বা ক্ষুদ্র ব্যবসা দিয়ে অনেকেই নতুন করে জীবন শুরু করেছেন। তবে, অসহায় দরিদ্র শ্রমিকদের অনেককেই, চিকিৎসা ও সংসার খরচ মেটাতে বিক্রি করতে হয়েছে ভিটে-মাটি।
আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সহযোগীতার পাশাপাশি চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবী জানান শ্রমিক নেতারা। এছাড়া সব ধরনের সহযোগিতার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ারকার্স ফেডারেশনের ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘পরিত্যাক্ত যে ভবন সেটা আধিগ্রহণ করে যেন পোশাক শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়।’
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘নামমাত্র পারিশ্রমিক তারা পেয়েছেন। যেটা তাদের জন্য যথেষ্ট না। এখনও সুযোগ আছে সরকার ও বিজেএমইএ’র; উদ্যোগ নিয়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।’
জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, ‘ফ্যাক্টরিটা যদি শ্রমিকদের কল্যানে ব্যবহার করা যায়, তবে আহত শ্রমিক এবং তাদের সন্তানদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।’