Re: বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র
অনেক সুন্দর।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » রোমাঞ্চ » ভ্রমণ » বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র
অনেক সুন্দর।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
০২২ : লক্ষ্মী নিবাস
Lakshmi Nibas
শত বছরের পুরনো কলোনিয়াল আবাসিক এলাকা মানিকগঞ্জের নালোরা পাড়াতে মোট ৮টা কলোনিয়াল বাড়ি টিকে আছে। গলির বাম হাতে ২টা এবং ডান হাতে গায়ে গায়ে লাগানো ৬টা বাড়ি। এদের মধ্যে লক্ষ্মী নিবাস সবচেয়ে সুন্দর বাড়ি। বাকি বাড়িগুলি দ্বিতল হলেও এই লক্ষ্মী নিবাস বাড়িটি তিন তালা। বাড়ির চমৎকার কারুকাজগুলি এখনো টিকে আছে।
ছবি তোলার স্থান : নালোরা, বেতিলা, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°50'13.2"N 90°01'38.1"E
ছবি তোলার তারিখ : ২৫/১১/২০১৬ ইং
চালিয়ে যান।
চালিয়ে যান।
চলবে....
০২৩ : জ্ঞান কুটীর
মানিকগঞ্জের নালোরা পাড়ার শত বছরের পুরনো কলোনিয়াল আবাসিক এলাকা পার হয়ে সামান্য পশ্চিমে এগিয়ে গেলে হাতের বামে দেখা মেলে "জ্ঞান কুটীর" নামের একটি এক তলা বাড়ির। বাড়িটি সম্পর্কে কোনো তথ্যই আমার জানা নেই।
ছবি তোলার স্থান : নালোরা, বেতিলা, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°50'11.5"N 90°01'31.7"E
ছবি তোলার তারিখ : ২৫/১১/২০১৬ ইং
০২৪ : সত্য বাবুর জমিদার বাড়ি
মানিকগঞ্জের নালোরা পাড়ার শত বছরের পুরনো কলোনিয়াল আবাসিক এলাকা পার হয়ে সামান্য পশ্চিমে এগিয়ে গেলে হাতের বামে দেখা মেলে "জ্ঞান কুটীর" নামের একটি এক তলা বাড়ির।
জ্ঞান কুটীরের পাশেই ভিক্টোরিয়ান কায়দার একটি দোতলা ভবন আছে। এটি সত্য বাবুর জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত। সত্য বাবুর পুরো নাম সত্যেন্দ্র নাথ চৌধুরী। সত্যেন্দ্র নাথ চৌধুরীর বাবা বিশ্বনাথ চৌধুরী এই বাড়ির নির্মাতা। বিশ্বনাথ চৌধুরীর ছোট ছেলে এই সত্যেন্দ্র নাথ চৌধুরী।
বাড়িটার সামনে একটি ছোট পুকুর এবং মন্দির আছে। ঠিক পাশেই রয়েছে সত্যেন্দ্র নাথ চৌধুরীর সমাধিসৌধ।
ছবি তোলার স্থান : নালোরা, বেতিলা মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°50'10.9"N 90°01'32.0"E
ছবি তোলার তারিখ : ২৫/১১/২০১৬ ইং
০২৫ : রমেশ সেনের বাড়ি
মানিকগঞ্জের নালোরা পাড়ার শত বছরের পুরনো কলোনিয়াল আবাসিক এলাকা পার হয়ে সামান্য পশ্চিমে এগিয়ে গেলে হাতের বামে দেখা মেলে "জ্ঞান কুটীর" নামের একটি একতলা বাড়ির। জ্ঞান কুটীর পার হয়ে সামান্য পশ্চিমে এগুলে হাতের বাম দিকে রাস্তা থেকে সামান্য ভিতরে আরেকটি ভবন আছে। ভবনটি মূল সড়ক থেকে সামান্য ভিতরে পরেগেছে বলে মূল সড়ক থেকে চোখে পরে না।
ভবনের ভিতরটা পুরো পাল্টে ফেললেও বাইরের একটা অংশ টিকে আছে। ছোট এই ভবনটি বড় একটা বাড়ির অংশ মাত্র।
এর মূল মালিক ছিল রমেশ সেন নামের এক ব্যাক্তি। বর্তমান মালিকের নাম মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
ছবি তোলার স্থান : নালোরা, বেতিলা, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°50'10.1"N 90°01'29.7"E
ছবি তোলার তারিখ : ২৫/১১/২০১৬ ইং
সুন্দর
সুন্দর
শুকরিয়া
০২৬ : রাজেন্দ্র বাবুর বাড়ি
কেউ কেউ জমিদার বাড়ি বলে। বাড়ির পাশেই একটি প্রাচিন মহাদেব মন্দির আছে। বাড়িটিতে লোকজন বসবাস করে।
বাড়িটি সম্পর্কে কোনো তথ্যই আমার জানা নেই।
ছবি তোলার স্থান : ইছাপুরা, সিরাজদিখান, মুন্সীগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinate : 23°33'11.9"N 90°22'59.4"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
০২৭ : বুদ্ধদেব বসুদের পারিবারিক আদি বাড়ি
সপ্তদশ শতকে মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের অত্যাচার থেকে রক্ষার জন্য ১৬৬৪ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেব সেনাধ্যক্ষ শায়েস্তা খানকে বাংলার সুবেদার নিযুক্ত করেন। শায়েস্তা খান সুবেদার নিযুক্ত হওয়ার পরপরই ৫৫টি পরগণা নিয়ে গঠিত নাওয়ারা মহালের কানুনগো নিযুক্ত করেন দেবীদাস বসু ঠাকুরকে। দেবীদাস বসু ঠাকুর মূলত মালখানগরের গোড়াপত্তনকারী। দেবীদাস বসু ঠাকুর ধলেশ্বরী নদীর দু’মাইল দক্ষিণে নাওয়ারা মহালের কাচারি বাড়ি নির্মাণ করেন। কাচারি বাড়িটি স্থানীয়দের কাছে “মালখানা” নামে পরিচিত ছিল। “মালখানা” হতে এ গ্রামের নাম হয় “মালখানা নগর”। সময়ের পরিক্রমায় স্থানীয় মানুষদের মুখে মুখে এটি “মালখানগর” হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। তবে অতীত দলিলপত্রে আঠারশো শতকে এ গ্রামের নাম “বসুরনগর” নামেও দেখা যায়।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পূর্বে গোটা মালখানগরে ১৬ টি বসু পরিবারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মালখানগরে বসুদের এ বাড়িগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। যেমন -নাজির বাড়ি, উত্তরের বাড়ি, কিশোরী মোহন বসু ঠাকুরের বাড়ি, অশ্বিনী কুমার বসু ঠাকুরের বাড়ি, রামমনি বসু ঠাকুরের বাড়ি, পুবের বাড়ি, ছোট বাড়ি, মধ্যের বাড়ি, বড় বাড়ি, দক্ষিণের বাড়ি, নয়া বাড়ি, গিরিশচন্দ্র/ রজনীনাথ বসু ঠাকুরের বাড়ি, কালীকিশোর বসু ঠাকুরের বাড়ি, দারোগা বাড়ি।
অতিবৃদ্ধ রামরাজা বসু ঠাকুরের ছিল তিন ছেলে - মহেশচন্দ্র বসু ঠাকুর, ভারত চন্দ্র বসু ঠাকুর ও ঈশ্বরচন্দ্র বসু ঠাকুর। ভারতচন্দ্র বসু ঠাকুরের একমাত্র ছেলে ছিল শরত্চন্দ্র বসু ঠাকুর। শরত্চন্দ্র বসু ঠাকুরের দুই সন্তান ছিল - বঙ্কিমচন্দ্র বসু ঠাকুর ও ভূদেবচন্দ্র বসু ঠাকুর। ভূদেবচন্দ্র বসু ঠাকুরের ঘরে জন্মনেন বুদ্ধদেব বসু। বুদ্ধদেব তাঁর বংশীয় পদবি থেকে “ঠাকুর” ছেঁটে ফেলেন।
ছবি তোলার স্থান : মালখানগর, সিরাজদিখান, মুন্সীগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°33'07.6"N 90°25'31.9"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
অজানা তথ্য জানলাম।
অজানা তথ্য জানলাম।
আরো কতো অজানা রয়ে যায়।
খাইরুল লিখেছেন:অজানা তথ্য জানলাম।
আরো কতো অজানা রয়ে যায়।
আপনার মাধ্যমে জানতে পারছি।
০২৮ : আউটশাহী পুরনো বাড়ি
আউটশাহী মঠের পাশেই আছে একটি বিশাল দিঘী। দিঘীটির উত্তর পাশে কিছু জমিতে পানের চাষ করা হয়। তার পাশেই আছে পুরনো এই দোতালা বাড়িটি।
বাড়িটি সম্পর্কে কোনো তথ্যই আমার জানা নাই।
ছবি তোলার স্থান : আউটশাহী, টঙ্গীবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinate : 23°31'21.2"N 90°26'07.8"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
০২৯ : শিবু গুপ্ত বাড়ি
আউটশাহী মোঘল মসজিদ দেখে সামান্য উত্তর পশ্চিমে এগিয়ে গেলে বেশ বড় একটি পুকুর বা দিঘী পাওয়া যাবে হাতের বামে। দিঘীর ঠিক উলটো পাশে আছে এই প্রাচীন বাড়িটি।
দ্বিতল এই বাড়িটির দোতালায় উঠার জন্য এক পাশে দিয়ে চমৎকার একটি সিঁড়ি উঠে গেছে।
বাড়িটির অবস্থা খুব একটা ভালো না। বাড়ির পাশেই আছে একটি চমৎকার মন্দির। বাড়িটি বা মন্দিরটি সম্পর্কে আর কিছুই আমার জানা নাই।
ছবি তোলার স্থান : আউটশাহী, টঙ্গীবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinate : 23°31'24.8"N 90°26'36.6"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
০৩০ : ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি
যতদূর জানা যায়
গুরুন্ন প্রসাদের দুই পুত্র মথুরামোহন রায় এবং প্রিয় মোহন রায় এর উত্তরপুরম্নষ ভাগ্যকুলের বর্তমানের ওয়াপদায় বসতি স্থাপন করেন।
হরিপ্রসাদ রায় ১৮২৯ সালে ওলাউঠাতে মৃত্যুবরণ করলে গুরুন্ন প্রসাদ রায় ভ্রাতার বংশ রক্ষার্থে তার কণিষ্ঠপুত্র হরলাল রায়কে ১৮৩০ সালে পৌষ্যপুত্র প্রদান করেন। তীক্ষ্ণ বিষয়বুদ্ধি থাকায় হরলাল ব্যবসা বাণিজ্যে প্রভূত উন্নতিলাভ করেন। কলকাতায় বহু বাড়ি ক্রয় ও নির্মাণ করেন। তিনি ব্যয়শীল ও দাতা হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৬ বৎসর বয়সে বসন্ত রোগে নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রী মাণিক্যময়ী নিজের ৬ বছর বয়সী ছোটভাই হরেন্দ্রলালকে পৌষ্যপুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন।
গঙ্গাপ্রসাদ রায়ের ৪র্থ ও কণিষ্ঠ পুত্র প্রেমচাঁদ রায়ের তিনপুত্র ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী জমিদার। এদের মধ্যে শ্রীনাথ রায় এবং জানকী নাথ রায় ইংরেজ সরকার কর্তৃক রাজা উপাধি দ্বারা ভূষিত হন। এই দুইজন ভাগ্যকুলে প্রাসাদ নির্মাণ করে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাদের প্রাসাদও অনেক বছর পূর্বেই কৃত্তিনাশা পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়েছে। পরে বংশের পরিধি বাড়ায় জমিদার পরিবারটি ৭টি হিস্যায় ভাগ হয়ে যায়।
রাজা শ্রীনাথ রায় ছিলেন বিক্রমপুরের জমিদারদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাব-প্রতিপত্তিশালী। কলকাতার অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৮৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫২সালে জমিদারী প্রথা বাতিল ও দেশ ভাগের কারণে তাঁদের নামে আর রেকর্ড হয় নি। ভাগ্যকুলের জমিদার নন্দলাল রায় ও যশোদালাল রায় বর্তমান ওয়াপদা ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন। এখানে তাঁদের সমাধিসৌধ আছে। ভাগ্যকুলের জমিদারদের এই অংশটিতে অল্প কিছু স্থাপনা এখনো টিকে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে। তবে সমস্যা হচ্ছে এই অংশটি বর্তমানে র্যাবের দখলে হওয়ায় দর্শনার্থীদের অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করতে হয়।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট
ছবি তোলার স্থান : ভাগ্যকুল, শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinate : 23°30'45.3"N 90°13'12.7"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
০৩১ : যদুনাথ রায়ের জমিদার বাড়ি (১ নং ভবন)
যতদূর জানা যায়
গুরুন্ন প্রসাদের দুই পুত্র মথুরামোহন রায় এবং প্রিয় মোহন রায় এর উত্তরপুরম্নষ ভাগ্যকুলের বর্তমানের ওয়াপদায় বসতি স্থাপন করেন।
হরিপ্রসাদ রায় ১৮২৯ সালে ওলাউঠাতে মৃত্যুবরণ করলে গুরুন্ন প্রসাদ রায় ভ্রাতার বংশ রক্ষার্থে তার কণিষ্ঠপুত্র হরলাল রায়কে ১৮৩০ সালে পৌষ্যপুত্র প্রদান করেন। তীক্ষ্ণ বিষয়বুদ্ধি থাকায় হরলাল ব্যবসা বাণিজ্যে প্রভূত উন্নতিলাভ করেন। কলকাতায় বহু বাড়ি ক্রয় ও নির্মাণ করেন। তিনি ব্যয়শীল ও দাতা হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৬ বৎসর বয়সে বসন্ত রোগে নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রী মাণিক্যময়ী নিজের ৬ বছর বয়সী ছোটভাই হরেন্দ্রলালকে পৌষ্যপুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন।
গঙ্গাপ্রসাদ রায়ের ৪র্থ ও কণিষ্ঠ পুত্র প্রেমচাঁদ রায়ের তিনপুত্র ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী জমিদার। এদের মধ্যে শ্রীনাথ রায় এবং জানকী নাথ রায় ইংরেজ সরকার কর্তৃক রাজা উপাধি দ্বারা ভূষিত হন। এই দুইজন ভাগ্যকুলে প্রাসাদ নির্মাণ করে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাদের প্রাসাদও অনেক বছর পূর্বেই কৃত্তিনাশা পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়েছে। পরে বংশের পরিধি বাড়ায় জমিদার পরিবারটি ৭টি হিস্যায় ভাগ হয়ে যায়।
রাজা শ্রীনাথ রায় ছিলেন বিক্রমপুরের জমিদারদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাব-প্রতিপত্তিশালী। কলকাতার অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৮৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫২সালে জমিদারী প্রথা বাতিল ও দেশ ভাগের কারণে তাঁদের নামে আর রেকর্ড হয় নি। ভাগ্যকুলের জমিদার নন্দলাল রায় ও যশোদালাল রায় বর্তমান ওয়াপদা ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন। এখানে তাঁদের সমাধিসৌধ আছে। ভাগ্যকুলের জমিদারদের এই অংশটিতে অল্প কিছু স্থাপনা এখনো টিকে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে। তবে সমস্যা হচ্ছে এই অংশটি বর্তমানে র্যাবের দখলে হওয়ায় দর্শনার্থীদের অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করতে হয়।
অন্যদিকে রাজা সীতানাথ রায়ের দুই পুত্র যদুনাথ রায় এবং প্রিয়নাথ রায়। যদুনাথ রায় বাহাদুর বালাশুর গ্রামে গড়ে তুলেছিলেন তার জমিদার বাড়ি। তিনি হুবহু একই ধরনের দুটি ভবন নির্মাণ করেন। যার একটি ছিলো জমিদার যদুনাথ রায়ের। আর অন্যটি ছিলো তারই ছোট ভাই প্রিয়নাথ রায়ের।
বাড়িটির চারপাশ এক সময় রাতের আধাঁরে বিলের মাঝে আলোয় জলমল করত। প্রথা বিরোধী লেখক, ভাষা বিজ্ঞানী ড. হুমায়ূন আজাদ তার লেখা এক প্রবন্ধে এ বাড়িটিকে প্যারিস শহরের সাথে তুলনা করে লিখেছেন, বিলের ধারে প্যারিস শহর। বাড়ির সামনে বিশালাকৃতির দীঘি রয়েছে। দীঘির চারপাশেই শ্বেতপাথরে নির্মান করা শানবাঁধানো ঘাট।
জমিদার বাড়ীর সামনে রয়েছে “নবকুঠি”, এটি মূলত গদিঘর ছিল। এছাড়া আরো আছে শ্রী শ্রী সর্বজনীন দুর্গা মন্দির, শ্রী শ্রী রাজলক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দির, বায়োস্কোপ ঘর , কাচারি ঘর। এই জমিদার বাড়ীটি আনুমানিক ১৯২০ সালের আগে পড়ে নির্মাণ করা হয়।
ভাগ্যকুলের জমিদারদের সকলেরই কলকাতায় বাড়ি ছিল। তারা ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ কলকাতামুখী হয়ে পড়েছিলেন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র যদুনাথ রায় তার বিলের ধারের প্রাসাদে ছিলেন। তিনি ভাগ্যকুল ত্যাগ করতে চাননি। বৃদ্ধ বয়সে তার আত্মীয়-স্বজনরা জোর করে কলকাতায় নিয়ে যায়। তিনি কলকাতায় গিয়ে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট
ছবি তোলার স্থান : উত্তর বালাসুর, শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinate : 23°31'50.0"N 90°13'13.9"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
প্রজন্ম ফোরাম » রোমাঞ্চ » ভ্রমণ » বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র
০.১০৬৫৩৪৯৫৭৮৮৫৭৪ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৮৪.৩৯৯৪৮৬৯৫৭৩ টি কোয়েরী চলেছে