টপিকঃ ফুটওভার ব্রিজ পুনঃস্থাপন করা হোক
ফুটওভার ব্রিজ পুনঃস্থাপন করা হোক
ঢাকা বীরত্তোম জিয়াউর রহমান সড়ক, এয়ারপোর্ট সড়ক, একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ও ব্যাস্ততম ভিআইপি মহাসড়ক,প্রতিদিন জোয়ার সাহারা বাজার, কালাচাঁদপুর, বারিধারা, ডিওএইচএস, থেকে হাজার হাজার মানুষ নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন যাওয়া আশা করে, এবং অত্র এলাকার একমাত্র বৃহূ বাজার থাকায় প্রতিদিন বিভিন্ন মানুষ জিনিসপত্র বেচাকেনা করতে এখানে আসে। এখানে ডিওএইচএস বারিধারা স্কলার্স, কালাচাঁদপুর হাই স্কুল, জসিম উদ্দিন সহ নিউ লাইট, নিউ লাইফ সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করতে আসে। শিশু ও মহিলাদের জীবনের ঝুঁকি ও বেশি এই ভিআইপি রাস্তা পারাপারে, আর এখানেই রয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতাল ও কর্মিটোলা সরকারি হাসপাতাল থাকায় অনেক রোগীকে রাস্তা পারাপার হতে হয়, আর বারিধারা ও ডিওএইচএস এ প্রচুর পরিমাণে অফিস থাকায়, সারাদিন শত শত লোক সড়ক পারাপার করে হয়, আর পাশেই রয়েছে বৃহত্তম শপিং মল যমুনা ফিউচার পার্ক যাতে প্রতিদিন শত শত মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে এখানে নেমে, বাজারের মাঝ দিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়া আসা করে, জোয়ার সাহারা বাজারের ওপর দিয়ে ভিআইপি মহাসড়কটি বয়ে গেছে। যার পাশেই বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, যেখানে প্রতিনিয়ত রিকশা-ভ্যান, অটোগাড়ি ভিড় থাকে। মূল সড়কটি ভিআইপি সড়ক হওয়ায় এখানে গাড়িগুলো চলে খুবই দ্রুত গতিতে, এখানে রাস্তার মাঝে ডিভাইডার থাকায়, মানুষ বাস থেকে নেমে, ডিভাইডারের উপর দিয়ে লাফ দিয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়, অনেক সময় চলাচলরত মানুষ ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হয়। ২০০৭ সালে এখানে বারিধারা স্কলার্স এর আদনান নামের ২ জন ছাত্রের ' যুগান্তর' পত্রিকার চিঠি পত্র কলামে, ফুট ওভার ব্রিজের আবেদন এর পরিপ্রেক্ষিতে এখানে একটি ফুট ওভার ব্রিজ স্থাপিত হয়, কিন্তু ২০১৮ সালে হঠাৎ করে ফুট ওভার ব্রিজটি এখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়, এখানে অনেক প্রভাবশালী ও নেতা থাকলেও কেউ বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না, এখানে নেই কোন জেব্রা ক্রসিং বা কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ, রাস্তায় ডিভাইডার । এ ছাড়া আশপাশে দোকানপাট থাকায় সাধারণ চলাচলরত যাত্রীদের জন্য বিকল্প কোনো রাস্তাও নেই যে তারা সড়কটি নির্বিঘ্নে পাড়ি দেবে। এ এলাকার জনগণের চাওয়া, বাসস্ট্যান্ডের যানবাহনের ভিড় ও দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে একটি ফুটওভার ব্রিজ পুনঃনির্মাণ করা হোক। জনগুরুপূর্ণ বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে জনগণের দাবি পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।