টপিকঃ আদনান তাসিন হত্যার বিচার চাই !!
ভিডিও টি দেখুন
[video (unkown provider)]
গত ২০১৭ সাল থেকে হটাত করে জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সম্পূর্ণ শরীর প্যারালাইসিস হয়ে বর্তমানে শয্যাশায়ী। আমি দুই সন্তানের জনক, আমার জ্যেষ্ঠ ছেলে আদনান সামিন (১৮) নটারডেম কলেজে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স ২য় বর্ষের ছাত্র এবং কনিষ্ঠ ছেলে আদনান তাসিন (১৭),বারিধারা স্কলার্স থেকে পিএসসি ও জেএসসি তে জিপিএ-৫ পায়, ২০১৮ সালে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে, সেন্ট যোসেফ এ একদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯,রোজ সোমবার, প্রায় দুপুর ২টার দিকে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমানবন্দর সড়কে শেওড়া রেলগেট নামক স্থানে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময়, আমার ছোট ছেলে আদনান তাসিনকে দ্রুতগামী উত্তরা পরিবহনের বাস ঢাকা মেট্রো ব- ১১ ৪৫৮৪ চাপা দিয়ে সড়কে ফেলে চলে যায়। তার একজন সহপাঠী ও পথচারী তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে স্থানীয় সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়, কিন্তু সেখানে তারা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে, তার দুর্ঘটনার সংবাদ মা বাবা বা তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জানান হয়নি, প্রায় ১ ঘণ্টা পর তার বাসায় ফেরার বিলম্ব দেখে আমারা ফোন করলে বিষয়টি অবগত হই এবং তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে এম্বুলেঞ্চে করে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে রওনা দেই, কিন্তু বনানী এলাকায় তীব্র ও দীর্ঘ যানজটে আমার ছেলের অবস্তা আরও খারাপ হতে থাকে, তাই বনানী কবরস্থান রোড এ এম্বুলেঞ্চ ঘুরিয়ে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়, ততক্ষণে আমার ছেলে আর ইহজগতে নেই, আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।
আমার ছেলের নির্মম হত্যা কাণ্ডের জন্য দায়ী ও কারনগুলো ঃ-
১। জেব্রা ক্রসিং দেখেও ঘাতক চালক গাড়ির গতি কমায়নি ও ব্রেকও করেনি, এবং আমার ছেলেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে মেরে চলে যায়
২। এস্থানে আগে ফুট ওভারব্রিজ ছিল, বিকল্প ব্যবস্থা না করে হটাত করে ওভারব্রিজ সরানো হলো? ইদানীং নুতুন ভাবে আবার ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণাধীন, যা এখন করা হচ্ছে তা সেই ফুট ওভারব্রিজ সরানোর সময়ে করলে, আমার ছেলেকে মরতে হত না,
৩। রঙ দিয়ে জেব্রা ক্রসিং করা হলেও, বিমান বন্দর সড়কের মত সড়কে জেব্রা ক্রসিং এর দুইপাশে স্পিড ব্রেকার নাই। জেব্রা ক্রসিং এর দুইপাশে স্পিড ব্রেকার থাকলে আমার ছেলেকে মরতে হত না,
৪। যাত্রীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে কোন ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট নাই – পথচারি পারাপারে ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক সিগন্যাল থাকলে আমার ছেলেকে মরতে হত না,
৫। আহত অবস্তায় আমার ছেলেকে সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হলে , তারা তার যথাযথা চিকিৎসা না দিয়ে , তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠাতে বলে, তারা তার চিকিৎসা করলে আমার ছেলেকে মরতে হত না, এবং ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানোর সময়ে তাকে অক্সিজেন বা লাইফ সাপোর্ট দেয়া উচিৎ ছিল