টপিকঃ সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কার বা কাদের জন্যে?
এক দেশে দুই আইন কেন?
সন্তান তূল্য আব্রার খুন হলো,
তাৎ ক্ষনিকভাবে শিক্ষার্থী রাস্তা ঘেরাও করলো,
বাস ধরা হলো, ঘাতক ধরা হলো , ঘাতকের ৭ দিনের রিমান্ড, হাইকোর্টের আদেশ ১০ লাখ টাকা ৭ দিনের মধ্যে দিতেই হবে ও ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ রুলজারি, তাৎক্ষণিক ফুটোওভার ব্রিজ আবরারের বাবাকে দিয়ে উদ্ভোদন, গাড়ির রুট পারমিট বাতিল, মিডিয়া কাভারেজ , ইত্যাদি সব ই সম্পন্ন হলো ঘটনা ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই
আর
আমার সাথে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই,
দেখছি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হচ্ছে, ভেবেছিলাম এই আন্দোলনে আমার সন্তানেরো খুনিদের বিচারের দাবি করবেন, আমার সন্তান তো শিক্ষার্থী ছিলো, কিন্তু আমার ভাবনা ভুল,
আমি "আবরার আন্দোলনে" একাত্বতা প্রকাশ করে সরাসরি ময়দানে ছিলাম, আমার ছেলে একি ভাবে ১১ই ফেব্রুয়ারিতে সেন্ট যোসেফ কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমান বন্দর সড়কে শেওড়া বাস ষ্টেন্ডে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গামী ঘাতক বাস তাকে খুন করে, আমি গত দুই বছর যাবৎ নিম্নাংশ প্যারালাইসিস নিয়ে শয্যাশায়ী, তার উপর হারালাম আদরের সন্তান, এতদিন অতিবাহিত হয়ে গেল এখনও ঘাতক গ্ৰেফতার হলোনা, কোন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করেনি, কোন মিডিয়া য় কাভারেজ দেয়নি, হাইকোর্ট স্বপ্রনোদিত হয়ে কোন রুল জারি করনি, আমি শুধু আমার সন্তানের খুনি র ফাঁসি চাই তাও পাবো কি? পুলিশের এইও এস আই গত ৭/৮ দিন যাবৎ আমার ফোন ধরেনা, আমার সন্তান একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল তার মর্মান্তিক হত্যা কান্ডের পরো তার অধ্যায়নরত কলেজ#সেন্ট_যোসেফ ও প্রতিষ্ঠানের #নপুংসতা শিক্ষার্থীরা শাড়ির আঁচলের নীচে ঢুকে পড়ে, তাদের ভীরুতা, কাপুরষতা একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ন্যায্য বিচার প্রাপ্তি তে বাধা হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রা ন নারী নয় পুরুষ, ঘৃনা, ধিক্কার, জানাই সেই সব #নপুংসক শিক্ষার্থীদের আর প্রতিষ্ঠান কে, তাদের এই #নপুংসক, #ভীরু, #কাপুরষতার কারনেই আমার সন্তান খুন হবার প্রায় ৪০ দিন পরো ঘাতকদের ধরা হয়নি, সেই গাড়ির রোড পারমিট বাতিল হয়নি, মালিক প্রায় থানায় এলেও তাকে গ্ৰেফতার করা হযনা, তার নামে ব্রিজের নামকরন হয়নি, কোন মিডিয়া তার হত্যার বিচার চেয়ে লিখেননি, মিডিয়া কাভারেজ নেই, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হচ্ছে কিন্তু আমার শিক্ষার্থী সন্তানের হত্যার বিচার কেউ তুলছেন না,
ফুটোওভার ব্রিজের উদ্ভোধন, ফুটোওভার ব্রিজ তার নামে নামকরন, ঘাতক গ্ৰেফতার, রুট পারমিট বাতিল এবং
কোর্টের রায়ে ১০ লাখ টাকা ও ৫ কোটি টাকা রুলের ঘোষনার সাথে সাথে আন্দোলন স্থগিত, তবে কি এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিলো এক শিক্ষার্থী কে কিছু পাইয়ে দেওয়া?? নাকি সত্যিই দেশের মঙ্গলের জন্য বা কল্যাণে কিছু করেছে, না করেনি, করছেন না, এটা ব্যাক্তি কেন্দ্রীক আর আন্দোলন দেখে প্রশাসন ঐ ব্যাক্তি কে খুশী , সন্তষ্ট রাখতে সদা প্রস্তুত, বাকি শিক্ষার্থী কে মরলো কে বাঁচলো তা দেখার সময় কোথায়? একজনের হত্যা কারি ধরা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ মিলছে সুতরাং আন্দোলন স্থগিত,