টপিকঃ জোতস্না ভরা পৃথিবী
জোতস্না ভরা পৃথিবী
গিনি
এই গল্পটি আগামি দিনের।
এখন চন্দ্র ভ্রমণ অনেকটা বর্তমান কালের উড়োজাহাজের ভ্রমণের মত। গণনায় দেখা যায় পৃথিবী হইতে চন্দ্রে গমনের যাত্রি তালিকায় কবিদের স্থান বেশী। এর একটি মাত্র কারণ , পৃথিবী যখন বাহির থেকে দেখা যায় তখন এর নীল বলয়ের কঠিন সৌন্দর্য বর্ণনাতীত।
এতো কাল চন্দ্রকে ও তার জ্যোৎস্নাকে দেখিয়া কবিকুল পাগল হইতেন, কিন্তু এখন হইতে উজ্জল নীল পৃথিবী দেখিয়া প্রায় সংজ্ঞাহীন।
পৃথিবীর এই অপরূপ কবিদের কে প্রায় নেশা গ্রস্থ ও ভীষণ রুপে বিমোহিত করিতেছে। কিছু কবি চন্দ্র পৃষ্টে বসিয়া লিখিতে লিখিতে কলমের কালি আর খাতার পাতা শেষ করিতেছেন। আর কিছু জন পাগল প্রায় নিদ্রাহীন কোনো লেখা আসিতেছেনা। অতি আবেগের কারনে কয়েকজন খাওয়া নাওয়া ছাড়িয়া শুধু চাহিয়া বসিয়া আছেন।
কিছু চিৎকার করিয়া উতফুল্ল হইয়া বলিতেছেন আজ পৃথিবিতে পূর্ণিমা। ওর বন রাজিতে যে আলো খেলা করিতেছে সেখানে আমাদের শরীরের ঠিকরানো আলো আছে। কবিদের জ্ঞানের, ভালোবাসার, পঙক্তির , ছন্দের মোহন আলো।
কবিদের চন্দ্র সংঘ এখন মহা সংঘ।
সেই সংঘের এক কবিরে লেখা,
' ওগো, জন্ম ভূমি পৃথিবী নিলয়,
টল টলা সাগর জলের,
টুকরা টুকরা মেঘ মাল্লারের
মন মুগ্ধ বলয়।
বুঝিনি তোমার মাটিতে এতো রুপের ছটা,
বুঝিনি ফুল, লতা, পাতায়, মসৃন মোলায়েম ঘটা,
তুমিই স্বর্গ মোর,
প্রেমের আবাস ঘোর।
বহু ক্রোশ দূরে আসি মানি তুমি শুধুই আমার,
তাই ভাঙ্গে অলিক স্বপ্নে ভরা পরবাসের হাত ছানি,
সে সকল মায়া ত্যাগী, মোর হদয়ের রক্তে ধোঁয়া
মালা রাখি ঐ চরণে আনি।'