টপিকঃ সিল্ক রোড
সিল্ক রোড
গিনি
আগামী ১০ বৎসরে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা এহ মহা অবস্থায় আসবে। স্থল এবং রেল পথ প্রভূত উন্নতি হবে। কিন্তু এর সুফল হবে আন্তর্জাতিক পর্যায়। চীন ও ভারত এর সুফল পাবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা হবে খুব কম
যদি না বাংলাদেশ নিজের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ শক্ত না করে। আর এর জন্য এখনি এক মহা পরিকল্পনা হয়া প্রয়োজন। তাকে আমরা বলব সিল্ক রোড। যা হবে নৌ পথ সমৃদ্ধ।
যেহেতু বাংলাদেশের মাটি নরম পলির এর উপর রাস্তা যথাযথ ভাবে নিরমান না হয় তখন দেখা দেয় ধস। রাস্তা বন্যার পানির গতি পথ বিঘ্ন করে আর বন্যা ও ক্ষয় ক্ষতি বাড়ায়। আর রাস্তা মেরামত ও ব্যয় সাপেক্ষ।
তাই নৌ পথই হল কম খরচের যাতায়াত ব্যবস্থা। নৌ পথের দুর্বলতা হল সে ধীর গতির। আর নৌ পথ রক্ষা করলে পরিবেষ দূষণ কমে যাবে, কৃষি, মতস চাষ বাড়বে।
এই সিল্ক পথের প্রস্তাব হল ব্রম্পুত্র, তেতুলিয়া থেকে সন্দীপ, পদ্মা, রাজশাহী থেকে চাদপুর, যমুনা, করিমগঞ্জ থেকে চাঁদপুর।
এই সকল নদী পথের দুই তীর ধরে প্রতি ২৫ কিমি পর পর একটি ছোটো নৌ বন্দর নির্মাণ। সেখানে একদম কম ব্যয়ে মাল উঠানামার সুবিধা সহ একটি বিদ্যালয় ও একটি ১০ বিছানার হাসপাতাল।
আজ সারা দেশে যে অস্থিরতা ল ক্ষ্য করা যায় যুবা সমাজে তার মূল কারণ আজ কের ইলেকট্রনিক মাধ্যমের কারণে গ্রাম বা শহর সবার ক্ষেত্রে আধুনিক সুযোগ আর তার জন্য সৃষ্ট গতির সঞ্চার হয়েছে। এখন গ্রাম আর শহরের
তেমন কোনো তফাত নাই, কিন্ত সামাজিক ভাবে এবং পৌর কাঠামোগত স্থাপনার অভাবে এই সমস্যার দেখা দিচ্ছে। গ্রামের যুবক বলে যাকে আমারা মনে করছি সে এখন লেডি গা গার গান শুনে অর্থাৎ মনে মনে পশ্চিমা বা শহুরে। এই বাস্তবতা
যখন কেউ ভুলে যায় তখনি দেখতে পাই নেশা সেবন, ধর্ষণ, রাহাজানি, ব্যাঙ্ক চুরি, ঘুষ, পুলিশের নির্লিপ্ততা। তাই এখানে সামাজিক বিপ্লব প্রয়োজন। সেই ল ক্ষে প্রস্তাবিত বন্দরের বিদ্যালয়টি তে কম্পিউটার শিক্ষা, ব্যবসা কোর্স, কৃষি,
নৌ পথ সংরক্ষণ শিক্ষা ইত্যাদি দেওয়া হবে। এতে সরকারি চাকরির যে চাপ, যেমন পিয়নের চাকরির জন্য স্নাতক ব্যক্তি দরখাস্ত করবে না বা কোটা বা চাকুরির বয়স বারানোর আন্দলন প্রয়োজন হবে না।
প্রস্তাবিত বন্দরের প্রাথমিক নির্মাণ খরচ,
ধরা যাক নদীর উচ্চ পানির সীমানা থেকে ভিতরে ২০০ ফুট, নদীর পাড় ঘেঁসে ২০০ ফুট বা মোট ৪০০০০@১০০০ প্রতি বর্গফুট তবে ৪.০০ কোটি টাকা। এর নির্মাণ ও পরিচালনা নির্মাণ কোম্পানি দ্বারা হবে।
এই বিপ্লব বিপুল কর্ম সংস্থান হবে আর সরকারের চাপ কমে যাবে। গ্রাম আর শহরের যে প্রাথক্যের দোটানা তা বিলিন হবে।
একটা বিশেষ উল্ল্যেক্ষ যে, বাংলাদেশের বর্তমান প্রতিস্থিতিতে অতি দ্রুত চলাচল ত্ত গুরুত্ব পূরন নয়।