টপিকঃ রবাহুত

রবাহুত
গিনি

এক বৃদ্ধ আসিয়া উপাসনালয়ের যাজককে জিজ্ঞাসা করে,” শ্রি যুক্ত, বলতে পারেন এ অঞ্চলে কোনো অমরন স্যনাসি আছেন কি? শুনেছি তার আড্ডায় চির সঞ্জীবনী শুরা পাওয়া যায়। যা পান করতে পারলে যে কেউ অমর হয়”।
যাজক একটু অবাক হয় । মনে মনে বলে,” বৃদ্ধ কালেও চির যৌবনের শখ। বলে,” আমিও শুনেছে। হয়ত ঐ পাহারের ওপারে যে গহীন জঙ্গল আছে সেখানে।“
বৃদ্ধ আর দেরী না করে জোরে হাঁটা দেয়।
যাজকের মনে আশা জাগে। ভাবে সত্যই নিশ্চয় এমন কিছু আছে নইলে বৃদ্ধ এতো কষ্ট করে এই বালু মাটির পথ বেয়ে যাবে কেন? সে পিছু নেয়।
কিছু দূর যাওয়ার পর সেখান কার বিদ্যালয়ের শিক্ষক সামনে পরে।
শিক্ষক- যাজক, কোথায় যান?
যাজক- ভিন্ন দেশী দের বড় আনা গোনা। সেই চির যৌবন শুরা বোধ হয় পাহারের ওপারে।
শিক্ষক- তা দিয়ে আপনি কি করবেন?
যাজক- কিছু সময় পেলে মানুষের আরও কিছু করে যেতাম।
শিক্ষক- একটু সরে দাঁড়ায়। যাজক একটু দূরে যেতেই সেও তার পিছু নেয়।
যাজক পথ হাঁড়ায়। সামনে এক পানে দোকান পায়। বলে, একটু পূর্বে কোনো বৃদ্ধ এই পথে গেছে কিনা?
দোকানি- গেছে। ঐ মাটির পথ ধরে জংলের দিকে। তবে সে একটা ছোটো শিশি দেখিয়ে বলে, এটা চির যৈবন শুরা। এটা পান করলে দ্রীঘ যৌবন নিশ্চয়। আমি ঐ সবে ঠিক মনে করিনা।
যাজক আর সময় নষ্ট করে না। দ্রুত পা চালায় বনের দিকে।
দোকানি দ্বিধান্বিত তারা তারি দোকান বন্ধ করে আর একটু দূরত্ব রেখে যাজকের পিছু নেয়।
কিছু পরে দেখা যায় নতুন এক গ্রাম। সে গ্রামের লোকেরা দেখে এক মিছিল চলছে। তারা অবাক হয়। যখন মিছিল কাছে আসে তারা জিজ্ঞাসায় আস্ল কথা জানতে পারে। ক্রমানবে নতুন নতুন মানুষ সারি বাঁধে ঐ মিছিলে।
সারি বাঁধে সে যেন সেই হামিলনের বংশী বাদকের যাদু। এ যেন আলেকজান্দারের ভারত সফর সেই শুরার জন্য। এই সেই চির যৌবন শুরার জন্য অসুর আর দেবতার মধ্যের কারা কারি যার ফলে এক ফোটা অমৃত কুম্ভ থেকে উচ্ছলে পরে পুরা কালে , এর জন্য আজও চলে মেলা।
মূল বিষয় টা কারোই জানা নাই তাই সবাই রবাহুত।