টপিকঃ হাত-পা বাঁধার মতো কেউ নেই
দুদকের হাত পা তো বাঁধাই আছে।আর কাউকে লাগবে কেন?
মন্তব্য:
প্রথম আলো: নাইকো মামলা বিষয়ে কী বলবেন? ইকবাল মাহমুদ: সেটা চলমান। প্রথম আলো: চলমান, সেটা বিএনপির অংশ, সরকারি দলের অংশ চলছে না। সাক্ষাৎকার গ্রহণের এ পর্যায়ে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে খবর এল, ১০ লাখ টাকার প্লট শ্বশুরের নামে দেওয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদ গ্রেপ্তার হয়েছেন।
http://www.prothomalo.com/opinion/artic … 7%E0%A6%87
ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান
প্রথম আলো: হাইকোর্ট আপনাকে বারবার তিরস্কার করা সত্ত্বেও বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে কেন আসামি করছেন না? কেন চার্জশিট দিচ্ছেন না? যদিও ব্যাংকের ১ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা আদায় করেছেন, কিন্তু বিচার এড়িয়ে টাকা আদায় করার ম্যান্ডেট আপনাকে কে দিয়েছে?
ইকবাল মাহমুদ: বেসিক ব্যাংকের মামলাগুলো তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। আপনারা দেখছেন, বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে বারবার তদন্তকারী কর্মকর্তারা দুদকে তলব করছেন এবং তিনিও আসছেন। দুদক অভিযোগের তদন্ত করে, টাকা আদায় দুদকের দায়িত্ব নয়, এ বিষয়ে দুদক সচেতন। কিন্তু দুদকের কারণে এত টাকা আদায় হওয়ার খবর যখন বেরোয়, তখন এই সমাজের মানুষ হিসেবে আমরা তা দেখি। এ-জাতীয় দুর্নীতির ফল হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া। দুদকের হস্তক্ষেপে কেউ যদি আত্মসাৎ করা টাকা জমা দেন, তাহলে দুদকের কিছু করার নেই। তবে ফৌজদারি অপরাধের আইনি কার্যক্রম দুদক জানে। ম্যালাফাইডি বা বোনাফাইডি ভুলের বিষয়টিও দুদক জানে। দুদক আইনানুগ প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কিছুই করছে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না।প্রথম আলো: কিন্তু আদালত বলার আগ পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের বিষয়ে আপনি নীরব ছিলেন।
ইকবাল মাহমুদ: আদালত যেসব পর্যবেক্ষণ দেন সেসব আমরা দেখি। কিন্তু সব সময় এটা সত্য নয় যে আদালত বলার পরেই কেবল আমরা কিছু করেছি।প্রথম আলো: সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংকের বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ যেসব কেলেঙ্কারি হয়েছে, পর্ষদ সদস্যরা কীভাবে পার পাচ্ছেন? রাজনৈতিক নিয়োগ বলেই কি?
ইকবাল মাহমুদ: এই প্রশ্ন এখন আমাদের করলে তার উত্তর দেওয়া কঠিন। আগের কমিশন তদন্ত করেছে, মামলাগুলো বিচারাধীন। বেশ কয়েকজন কারাগারে। আমাদের এখন দায়িত্ব অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করা। বেসিক ব্যাংকের ঘটনায় ৫৯টি মামলা হয়েছে। প্রতিটি টাকা কোথায়, কীভাবে, কখন এবং কোন ব্যক্তির পকেটে গিয়েছে, তার তদন্ত চলছে। ফৌজদারি দায় নিরূপণ না করে আবেগ এবং ধারণা করে কাউকে আসামি করার সুযোগ নেই। কে কীভাবে ব্যাংক বোর্ডে নিয়োগ পেয়েছেন, তা বিবেচ্য নয়।