সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন গিনি (২৮-০২-২০১৮ ০৩:২৮)

টপিকঃ দাদন

দাদন
গিনি

দাদন একটি অতি পুরাতন ব্যবসা।
ইহা খুব সহজ একটি পদ্ধতি যার একটু  বেশী আছে সেটা ধার দিয়ে কিছু আলগা উপার্জন করা।

মধ্য যুগের শেষের দিকে এই রুপ ব্যবসার তারনায় অবস্থা পন্ন বাংলা অঞ্চলে কাবুল অঞ্চলের ব্যক্তি গন আসেন।
তারা কখন সরাসরি অর্থ ধার দিয়া সুদের ব্যবসা করতেন অথবা অন্য বস্তু যেমন হালুয়া বেচতেন এবং দিন হিসাবে তার দাম নিতেন । যে যত দিন দেরি করে দাম পরিশোধ করবে তার কাছ থেকে তত বেশী পয়সা নিবে। এ ছারাও তারা কাঁধে করে চাদর ও অন্য বস্তু লইয়াও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিতেন ও উপার্জন করতেন।
এসবের মধ্যে তাদের সুদের ব্যবসা বেশী ছিল আর হালুয়া বিক্রিও ভালো ছিল। এই কাবুলের বাসিন্দারা প্রথম প্রথম দেশে আসা যাওয়া করলেও আস্তে আস্তে তা কমে যায় বিভিন্ন কারনে। ঢাকা শহরে তাদের তেমন স্থাহি নিবাস গরে না উঠলেও কলিকাতায় হয়। তাহার যাদের কে ধার দিত তাদের নাম ঠিকানা লিখিয়া নিত আর কিছু দিন পর আসিয়া দরজায় ধাক্কা দিয়া বলিত, “ আসলি না মাঙ্গো, সুদ মাঙ্গো”। অর্থাৎ মূলদন ফেরত চাই না, শধু সুদ দাও। তাদারা প্রায় বাংলার গ্রামের অঞ্চলে যাইত ও ব্যবসা করিত। কিছু দুষ্ট ছেলের দল তাহাদের ভুল নাম ঠিকানা দিত। তখন তারা ঐ সকল ঠিকানায় যাইয়া হল্লা করিত আর বলিত, “ তু হালুয়া কায়া, কাহা চুপে গি। খান কে সাথ আচ্ছা নেহি কিয়া। পাকার লেংগে, চামড়া নিকাল দেংগে।“

তাহাদের অনেকের জন্ম এই বাংলায় হয় তারা কোনো দিন কাবুল দেখে নাই। তাহাদের ভাষাও এখন ভিন্ন, কিন্তু তাহদের জন্য সরকার থেকে অলিখিত থাকার অনুমতি থাকিলেও তাহার অন্য কোনো বিষয়ে যেমন ভোটে, স্কুলে বা বড় ব্যবসা করিতে পারে না।

তাহাদের চেহারার ছবিটিই শুধু তাহাদের পরিচয়।

আজ তাহারা দেশ বিহীন জন গোসটি হিসাবে সারা জীবন পার করিতেছে।সেই দাদন ব্যবসার মোহ জালে তাহারা চির বন্দী হইয়াছে।