টপিকঃ থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালায়েশিয়া ভ্রমণ

বাংলাদেশ বিমানে ব্যাংকক যাত্রা। উড়োজাহাজ মধ্য আকাশে। পাইলট বেরিয়ে এসে দাঁড়ালেন একটু শ্বাস নিতে। একজন বন্ধু পেলেন এবং কথা জুরে দিলেন। আমাদের সিট ছিল অ ধূমপায়ী আসনে। ধূমপান আমার অপচ্ছন্দ। পাইলট এক খানা সিগারেত ধরালেন। কিছুই বলতে পারলাম না।
যাক ব্যাঙ্ককের বিমানে স্টেশন ম্যানেজার আমার স্কুল বন্ধুর পিতা সেখানে ঠাই নিলাম। ব্যাংককের দামি এলাকায় বিরাত বিলাশ বহুল এপার্টমেন্ট। পরিবার ঢাকায় থাকে উনি সেখানে একা থাকেন। ওদের কাজের মেয়ে নেপালি নাম কাঞ্চি অনেক যত্ন নিলো। অর জন্ম অ বেড়ে উঠা ব্যাংককে। তাকে নেপালের গল্প শুনালাম, শুধু একটু হাসল। বড় বড় মল দেখলাম আর তুক তুকে চরে ঘুরে বেড়ালাম অনেক পুরাতন মন্দির। একটা বিষয় দেখলাম এরা সব খানেই বিদেশীদের কে স্পা, এক ধরেনের আরাম দায়ক ম্যাসেজ, নেওয়ার জন্য দারিয়ে থাকে। ফ্লোতিং মার্কেট বা নৌকার উপর সাক সবজী, ফল মুল বেচা কেনা দেখার জন্য নৌকায় ঘুরে বেড়ালাম।
পর দিন পাতায়া যাওয়া। তিন ঘণ্টার বাস যাত্রা। নেমে একটা লঞ্চ করে সাগর পারি। লঞ্চ ঘাট থেকে একটু দূরে দাঁড়ালো। ছোটো নৌকায় করে দ্বীপে নামালো। তাবুতে খাওয়ার ব্যবস্থা। বহু সুস্বাদু খানা। কিন্তু সেদিন সেই গরম আর লম্বা যাত্রার পর একটা সুপ খেলাম এবং সকল প্রান শক্তি ফিরে পেলাম। পরে জানলাম ও টা ছোটো অক্টোপাসের সুপ। সন্ধ্যার পর আবার ফেরত। একটু হাঁটা হাঁটি। হোটেলে ডিনার। পরদিন ভোরে আবার ব্যাংকক।
এবার সিঙ্গাপুর বিমান বন্দর এতো সুন্দর আর গুছ গাছ আগে কোথাও দেখিনি। বাইরে আস্তেই একটা ট্যাক্সি সামনে দাঁড়ালো। উঠে শহরে একটা কম দামি হোটেলে চলেন। চালক ভারতীয়। একটা বাড়ির সামনে এনে বললেন এখানে অনেক কম দামি স্থান আছে। পেয়ে গেলাম। মল ঘোরা ঘুরি। পরদিন অর্কিড রাস্তায় সারাদিন কাটানো। দুজনে দুটা সুন্দর ডায়ালের ঘড়ি কিনলাম। বড় বড় অফিস আর হোটেলের সামনে ছবি তোলা, খাওয়া।জুরং পার্ক দেখা। হারবার ফ্রন্ট দেখা। বাসে করে ফিরছি এমন সময় রে ল স্টেশন চোখে পড়লো। বোনের কাছে শুনে ছিলাম রেল যাত্রা খুব আরাম দায়ক। নেমে স্টেশনে কোয়ালাম্পুর যাওয়ার সময় সূচি জেনে নিলাম আর টিকেট কাঁটা হল। এটা কিন্তু আমাদের প্রথম থেকে পরিকল্পনায় ছিল না। রাতে ঘুম দিয়ে সকালে মালেশিয়ার কইয়লাম্পুরে নামলাম। এর পর মলে ঘুরা। রাবার চাষ দেখা। বড় প্রেতোনাশ বিল্ডিং দেখা। সোনার চেইন হাতের মাপ অনুযায়ি কেনা হল। রাতের ট্রেনে লম্বা হয়ে শুয়ে আবার সিঙ্গাপুর। পুর সময় এক উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের ভিতর কখন গেল টের পাওয়া গেল না।
সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকা।