টপিকঃ নেপাল ও পাকিস্তান ভ্রমণ

এক টিকেটে দুই দেশ ভ্রমণের সুযোগ হল। ঢাকা থেকে দের ঘণ্টা লাগলো কাথমুন্দ আস্তে। এক নৈসর্গিক ছবির মত। পাহার আর উচা নিচায় ঘেরা। পুরাতন আর নতুন আর পুরাতনের মিশ্রনে শহর। ভ্যানে করে অন্য দেশের ভ্রমণ কারিদের সাথে প্রায় ঘণ্টা দুই যাত্রা করে কয়েক হাজার ফুত উচু পাহারে আবস্থান নিলাম ভোরে সূর্য উদয় হিমালইয়ের গাঁ বেয়ে দেখার জন্য। ঐ রেস্ট হাউজে বিদ্যুৎ নাই সব কিছু মোমবাতি জ্বালিয়ে হল। খুব ভোরে মালিক দরজায় ধাক্কা আর বেল বাজিয়ে উঠিয়ে রাস্তা বলে দিল। আরও উপড়ে উঠতে হবে। আলো ফোতার আগেই সাবি উপস্থিত। ধীরে আলো ফোটা শুরু হল। এবার সবাই সবার চেহারা দেখতে পেলো। হটাত কে জেনো বলে উঠলো ঐ যে ঐযে। সবাই আবাক দৃষ্টি মেলে দেখলো। প্রথমে একটু কনার মত ঠিকরানো আলো। দ্রুত গোল বলয় দেখা দিতে লাগলো। যে যার মত হাত জোর করে,বা মাথা নিচু করে সেই শক্তি মান কে স্বাগত জানালো। কেউ কেউ কেঁদে দিলেও, কারন এই সেই মহা শক্তি যা যুগ যুগ সকল জীবন সচল রেখেছে নিজের সকল চাহিদা তুচ্ছ করে। সে এক রোমাঞ্চ কর পরিবেশ।
উরজাহাজের কমান্ডার কাথমুন্দ ছাড়ার একটু পরে বলল," আপনাদের বাম পাশের জানালা দিয়ে, যে দুটি চুড়া দেখা যাচ্ছে তাঁর পিছনেরতা এভারেস্ট। জাহাজ একটু কাত করছি এই ফ্লাইটের সৌজন্যে।" সবাই সে দিকে মুখ ফেরালো। সেদিন কি দেখলাম জানিনা, তবে আজ অব্দি বলতে পারি এভারেস্ট দেখাছি।
ঘণ্টা তিন পরে করাচী পৌছালো। দুলাভাইয়ের গাড়িতে যাচ্ছি। মনে হল সব কিছু যেন দ্রুত ছুটছে। গাড়ির অর্ধেক চালক মেয়ে। বড় বড় মার্কেট আলো ঝল মল। যেন অতি জীবন পূর্ণ। কিন্তু খুব গরম বোধ হল। কিলিফত্ন বীচের ধারে বাড়িতে উঠলাম। পরদিন বিচে গেলাম জীবনের প্রথম উঠ দেখলাম চরাও হল। এরপর শহর ঘোরা। জিন্নাহর কবর। সারাখন চার জন পাহারা দার। একটু পর পর স্থান বদলায়। পাসেই পার্ক কিন্তু গরমের জন্য থাকা গেল না। ফলের বাজার দেখার মত। আর চারিদিকে শুধু বালু। গাছ পালা কম। ডাক্তার বোন তকেত দিলেন লাহোরের জন্য। দুই ঘণ্টায় বড় প্লেনে লাহোর পৌছিলাম। এখানে গাছ গাছরা বেশী। শালিমার বাগান, চিড়িয়াখানা দেখা হল। তাজ হোটেলে আপ্যায়ন ভালোই ছিল। একটা বিষয় দেখলাম সবার হাতে বই পুস্তক বুঝলাম এ পড়াশুনার শহর। এর পর আবার করাচী এবং ফেরত ঢাকা।

Re: নেপাল ও পাকিস্তান ভ্রমণ

সাথে কিছু ছবি দিতে পারতেন।

Re: নেপাল ও পাকিস্তান ভ্রমণ

ছবি থাকলে আসলে অনেক ভাল হতো আর যাওয়া আসার বিস্তারিত লেখিলে ভাল হত ।
ধন্যবাদ ।